রোহিঙ্গাদের পরিচয় যাচাইয়ে মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধি দলের কক্সবাজারে অবস্থানের মধ্যেই জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা-ইউএনএইচসিআর বলছে, রাখাইনের পরিবেশ এখনও এই জনগোষ্ঠীর ‘টেকসই প্রত্যাবাসনে সহায়ক নয়’।
রোববার জাতিসংঘ সংস্থার এক বিবৃতিতে বলা হয়, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিয়ানমারে ফেরানোর বিষয়ে ইউএনএইচসিআরের অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে। ইউএনএইচসিআরের মূল্যায়নে- মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বর্তমান অবস্থা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের টেকসই প্রত্যাবাসনে সহায়ক নয়।
মিয়ানমারের মুসলমান জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের বাস বাংলাদেশ লাগোয়া রাখাইন রাজ্যে। নিজ দেশে দমন-পীড়নের শিকার হয়ে যুগ যুগ ধরে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আসছে। তবে ২০১৭ সালের অগাস্টে রাখাইনে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানের সময় ‘নিধনযজ্ঞের’ মুখে এক বারেই ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়।
সব মিলিয়ে ১১ লাখের বেশি শরণার্থীদের অধিকাংশই রয়েছে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে; একটি অংশকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে নোয়াখালীর ভাসানচরে। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশ শুরু থেকে মিয়ানমারকে আহ্বান জনিয়ে আসছিল। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে মিয়ানমার সরকার বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে চুক্তিও করে।
তবে তারপর প্রত্যাবাসন এগোয়নি। রাখাইনে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে রোহিঙ্গাদের ভীতি কাটেনি এখনও। তাই সেখানে রোহিঙ্গাদের নিরাপদে থাকার নিশ্চয়তার জন্য মিয়ানমারকে বলে আসছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়ার প্রস্তুতি হিসেবে ১৫ মার্চ কক্সবাজারের টেকনাফে এসেছে মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধি দল। ১৭ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদল রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে যাচাই-বাছাইয়ের কাজ করছে।
চুক্তি অনুযায়ী, প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশ সর্বশেষ আসা আট লাখের বেশি রোহিঙ্গার তালিকা মিয়ানমারের কাছে পাঠিয়েছে। ওই তালিকা থেকে প্রত্যাবাসনের জন্য প্রাথমিকভাবে ১ হাজার ১৪০ জনকে বাছাই করা হয়।
এর মধ্যে ৭১১ জন রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেওয়ায় মিয়ানমারের সম্মতি মিললেও বাকি ৪২৯ জনের বিষয়ে আপত্তি ছিল দেশটির। মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলটি ওই ৪২৯ জন রোহিঙ্গার তথ্য যাচাইয়ের জন্য টেকনাফে এসেছেন।
ওই প্রতিনিধিদলের টেকনাফে অবস্থানের মধ্যেই আসা বিবৃতিতে ইউএনএইচসিআর বলছে, জেনেশুনে নেওয়া সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে স্বভূমে ফেরার অধিকার আছে প্রত্যেক শরণার্থীর, কিন্তু কাউকেই জোর করা যাবে না। ‘টেকসই প্রত্যাবাসনের’ বিষয়ে বাংলাদেশের আন্তরিকতার কথাও বলা হয়েছে জাতিসংঘ সংস্থাটির বিবৃতিতে।
ইউএনএইচসিআর বলছে, বাংলাদেশে মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের সফরে খবরটি তাদের জানান, তবে দ্বিপক্ষীয় এই আলোচনায় তারা যুক্ত নয়।
তবে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশে প্রবেশের বিষয়ে আনুষঙ্গিক সহায়তা সংস্থাটি দিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
রোহিঙ্গারা যাতে বুঝেশুনে নিজ দেশে ফেরার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে, সেক্ষেত্রে যে কোনো আলোচনা ও সংলাপের বিষয়ে যে কোনো পক্ষকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে ইউএনএইচসিআর।
সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩
রোহিঙ্গাদের পরিচয় যাচাইয়ে মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধি দলের কক্সবাজারে অবস্থানের মধ্যেই জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা-ইউএনএইচসিআর বলছে, রাখাইনের পরিবেশ এখনও এই জনগোষ্ঠীর ‘টেকসই প্রত্যাবাসনে সহায়ক নয়’।
রোববার জাতিসংঘ সংস্থার এক বিবৃতিতে বলা হয়, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিয়ানমারে ফেরানোর বিষয়ে ইউএনএইচসিআরের অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে। ইউএনএইচসিআরের মূল্যায়নে- মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বর্তমান অবস্থা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের টেকসই প্রত্যাবাসনে সহায়ক নয়।
মিয়ানমারের মুসলমান জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের বাস বাংলাদেশ লাগোয়া রাখাইন রাজ্যে। নিজ দেশে দমন-পীড়নের শিকার হয়ে যুগ যুগ ধরে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আসছে। তবে ২০১৭ সালের অগাস্টে রাখাইনে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানের সময় ‘নিধনযজ্ঞের’ মুখে এক বারেই ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়।
সব মিলিয়ে ১১ লাখের বেশি শরণার্থীদের অধিকাংশই রয়েছে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে; একটি অংশকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে নোয়াখালীর ভাসানচরে। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশ শুরু থেকে মিয়ানমারকে আহ্বান জনিয়ে আসছিল। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে মিয়ানমার সরকার বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে চুক্তিও করে।
তবে তারপর প্রত্যাবাসন এগোয়নি। রাখাইনে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে রোহিঙ্গাদের ভীতি কাটেনি এখনও। তাই সেখানে রোহিঙ্গাদের নিরাপদে থাকার নিশ্চয়তার জন্য মিয়ানমারকে বলে আসছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়ার প্রস্তুতি হিসেবে ১৫ মার্চ কক্সবাজারের টেকনাফে এসেছে মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধি দল। ১৭ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদল রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে যাচাই-বাছাইয়ের কাজ করছে।
চুক্তি অনুযায়ী, প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশ সর্বশেষ আসা আট লাখের বেশি রোহিঙ্গার তালিকা মিয়ানমারের কাছে পাঠিয়েছে। ওই তালিকা থেকে প্রত্যাবাসনের জন্য প্রাথমিকভাবে ১ হাজার ১৪০ জনকে বাছাই করা হয়।
এর মধ্যে ৭১১ জন রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেওয়ায় মিয়ানমারের সম্মতি মিললেও বাকি ৪২৯ জনের বিষয়ে আপত্তি ছিল দেশটির। মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলটি ওই ৪২৯ জন রোহিঙ্গার তথ্য যাচাইয়ের জন্য টেকনাফে এসেছেন।
ওই প্রতিনিধিদলের টেকনাফে অবস্থানের মধ্যেই আসা বিবৃতিতে ইউএনএইচসিআর বলছে, জেনেশুনে নেওয়া সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে স্বভূমে ফেরার অধিকার আছে প্রত্যেক শরণার্থীর, কিন্তু কাউকেই জোর করা যাবে না। ‘টেকসই প্রত্যাবাসনের’ বিষয়ে বাংলাদেশের আন্তরিকতার কথাও বলা হয়েছে জাতিসংঘ সংস্থাটির বিবৃতিতে।
ইউএনএইচসিআর বলছে, বাংলাদেশে মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের সফরে খবরটি তাদের জানান, তবে দ্বিপক্ষীয় এই আলোচনায় তারা যুক্ত নয়।
তবে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশে প্রবেশের বিষয়ে আনুষঙ্গিক সহায়তা সংস্থাটি দিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
রোহিঙ্গারা যাতে বুঝেশুনে নিজ দেশে ফেরার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে, সেক্ষেত্রে যে কোনো আলোচনা ও সংলাপের বিষয়ে যে কোনো পক্ষকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে ইউএনএইচসিআর।