র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) হেফাজতে নওগাঁর ভূমি অফিসের কর্মচারী সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। কমিটির প্রধান করা হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. মাহমুদুল হোসাইন খানকে। কমিটি গঠনের বিষয়টি আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন মাহমুদুল হোসাইন খান।
কমিটিতে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব, নওগাঁর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, সিভিল সার্জন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, নওগাঁর পুলিশ সুপারের মনোনীত একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। আর কমিটির সাচিবিক দায়িত্বে থাকবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা।
জানতে চাইলে মাহমুদুল হোসাইন খান গণমাধ্যমকে বলেন, কমিটির আদেশ হাতে পেয়েছেন। কমিটিকে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। কমিটির সদস্য হিসেবে অন্য প্রতিনিধিদের নাম চাওয়া হয়েছে। নাম পাওয়ার পর তাঁরা কাজ শুরু করবেন।
সুলতানা জেসমিন নওগাঁ সদর উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ে অফিস সহকারী পদে চাকরি করতেন। গত ২২ মার্চ নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড় থেকে তাঁকে আটক করে র্যাব। ২৪ মার্চ সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। র্যাবের ভাষ্য, প্রতারণার অভিযোগে সুলতানা জেসমিনকে আটক করা হয়। আটকের পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। স্বজনদের অভিযোগ, আটক হওয়ার আগে সুলতানা জেসমিন সুস্থ ছিলেন। র্যাবের হেফাজতে নির্যাতনের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
বিষয়টি উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়ায়। হাইকোর্ট পুরো ঘটনা তদন্তে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাতে নওগাঁর জেলা জজ পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে অন্তর্ভুক্ত করে ওই কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছিল। এখন সেই কমিটি গঠন করা হলো।
মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) হেফাজতে নওগাঁর ভূমি অফিসের কর্মচারী সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। কমিটির প্রধান করা হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. মাহমুদুল হোসাইন খানকে। কমিটি গঠনের বিষয়টি আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন মাহমুদুল হোসাইন খান।
কমিটিতে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব, নওগাঁর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, সিভিল সার্জন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, নওগাঁর পুলিশ সুপারের মনোনীত একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। আর কমিটির সাচিবিক দায়িত্বে থাকবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা।
জানতে চাইলে মাহমুদুল হোসাইন খান গণমাধ্যমকে বলেন, কমিটির আদেশ হাতে পেয়েছেন। কমিটিকে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। কমিটির সদস্য হিসেবে অন্য প্রতিনিধিদের নাম চাওয়া হয়েছে। নাম পাওয়ার পর তাঁরা কাজ শুরু করবেন।
সুলতানা জেসমিন নওগাঁ সদর উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ে অফিস সহকারী পদে চাকরি করতেন। গত ২২ মার্চ নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড় থেকে তাঁকে আটক করে র্যাব। ২৪ মার্চ সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। র্যাবের ভাষ্য, প্রতারণার অভিযোগে সুলতানা জেসমিনকে আটক করা হয়। আটকের পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। স্বজনদের অভিযোগ, আটক হওয়ার আগে সুলতানা জেসমিন সুস্থ ছিলেন। র্যাবের হেফাজতে নির্যাতনের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
বিষয়টি উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়ায়। হাইকোর্ট পুরো ঘটনা তদন্তে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাতে নওগাঁর জেলা জজ পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে অন্তর্ভুক্ত করে ওই কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছিল। এখন সেই কমিটি গঠন করা হলো।