alt

জাতীয়

প্রতিবছর মৃত্যু ২৫০ , সতর্কতার অভাবেই বজ্রপাতে মৃত্যু বাড়ছে

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩

ব্জ্রপাতে প্রতিবছর গড়ে ২৫০ জনের বেশি মানুষ মারা যায় বলে সরকারি হিসাবে দেখানো হচ্ছে। তবে বেসরকারি হিসাবে এ সংখ্যা আরও বেশি। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, ভৌগলিক অবস্থান, জলবায়ুর পরিবর্তন আর অসচেনতার কারণে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে অসংখ্য মানুষ মারা যাচ্ছেন বলে অভিমত প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিশেষজ্ঞদের।

অধিক পরিমাণে বজ্রপাতের ঘটনা ও প্রতিকার বিষয়ে মতামত জানতে চাওয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অনুষদের ডিন ও ডিজেস্টার সায়েন্স এবং ক্লাইমট রেজিলিয়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জিল্লুর রহমানের।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অবস্থানের কারণেই বজ্রপাত বেশি হয়। দক্ষিণে বঙ্গপোসাগর, উত্তরে হিমালয় থাকায় গরম-আর্দ্র ও শীতল-শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ করে। এই দুই ধরনের আবহাওয়ার সংঘাত ঘটলেই বজ্রপাত হয় সাধারণত। মার্চ থেকে শুরু হয় বজ্রপাতের অনুকূল পরিবেশ।’

‘আমার বয়স ও অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, বজ্রপাতে মৃত্যুর হার প্রতি বছরই বাড়ছে। এর প্রধানতম কারণ হচ্ছে, দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং জলবায়ুর পরিবর্তন। আগে একটি ফাঁকা জায়গায় হয়তো দশ জন মানুষ ছিল। এখন সেখানে ৫০ জন মানুষ অবস্থান করে। সঙ্গত কারণেই জনবহুল এলাকায় কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে হতাহতের সংখ্যাও বাড়বে।’

‘বজ্রপাতে মৃত্যুর হার বাড়ছে মূলত সতর্কতা না থাকার কারণেই। কৃষক মরছে বেশি। তারা বজ্রপাত আর বৃষ্টির মধ্যে মাঠে কাজ করেন। অনেকের কাজ না করে উপায়ও থাকে না। শহরে কিন্তু বড় বড় ভবন থাকার কারণে এর প্রভাব কম। শহরে মরছেও কম।’

আবহাওয়া-জলবায়ুর পরিবর্তনকে এর জন্য সরাসরি দায়ী করে ড. জিল্লুর বলেন, প্রাকৃতিক এই দুর্যোগ রোধে মানুষের কোনো হাত নেই। কিন্তু বজ্রপাতনিরোধক ব্যবস্থা গড়ে তোলা তো মানুষের পক্ষে সম্ভব।

‘সরকার হাওর এলাকায় কিছু কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে। তবে এই দুর্যোগ যেহেতু বাড়ছে, সেহেতু ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপকতা আরও বাড়াতে হবে। সতর্কতার জন্য ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে। গণমাধ্যমেরও দায় আছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও এ ব্যাপারে কর্মসূচি নিতে হবে। মৃত্যুর হার কমাতে হলে সবাইকে সতর্কতা অবলম্বনের আওতায় আনতে হবে।’

দুর্যোগ ব‍্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং বেসকারি সংগঠন ডিজাস্টার ফোরামের তথ‍্যমতে, এদেশে প্রতি বছর গড়ে বজ্রপাতে ২৬৫ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ৭০ শতাংশই মাঠে থাকা কৃষক, সাড়ে ১৪ শতাংশ বাড়ি ফেরার পথে, আর ১৩ শতাংশ গোসল কিংবা মাছ শিকারের সময়। তবে শহরের ভবনগুলোতে বজ্রপাত প্রতিরোধক দণ্ড থাকায় হতাহতের সংখ্যা কম। ২০১১-এর শুরু থেকে ২০২২ পর্যন্ত ১২ বছরে দেশে বজ্রপাতে মৃত‍্যু হয়েছে ৩ হাজার ১৬২ জনের। সাধারণত এপ্রিল ও জুনে বজ্রপাত বেশি হয়।

ছবি

নির্বাচন কালীন সরকার নিয়ে শব্দচয়নে ভুল করেছে আইনমন্ত্রী : মন্ত্রণালয়

ছবি

মরণকামড় দিলে আমরাও প্রতিহত করবো : সেনা প্রধান

ছবি

একদিনে দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ৩, ভর্তি ৯৭

প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করার দাবি টিআইবির

ছবি

লোডশেডিং কতদিন থাকবে, জানালেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

ছবি

আমরা চাই না কোনো রোগী বিদেশ যাক: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ছবি

আরও ১৩০ ইমিগ্রেশন পুলিশ চায় শাহজালাল বিমানবন্দর

ছবি

রেল দুর্ঘটনা রোধে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

ছবি

আহত সেই সদস্যকে দেখতে শেখ হাসিনা বার্নে র‌্যাব ডিজি

ছবি

দা‌য়িত্ব পালনে ত্রিপলিতে বাংলাদেশের নব‌নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত

ছবি

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা

ছবি

সৌদি পৌঁছেছেন ৫০ হাজার হজযাত্রী, মৃত্যু ৪

ছবি

চা শিল্পের উন্নয়নে শ্রমিকবান্ধব কর্মপরিবেশের প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর

ছবি

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১৪১ রোগী হাসপাতালে ভর্তি

ছবি

অনেক মহাদেশ আছে, আমেরিকা না গেলে কিচ্ছু যায় আসে না : প্রধানমন্ত্রী

ছবি

১০টি সংসদীয় আসনের সীমানায় পরিবর্তন

ছবি

মক্কায় আরও এক বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু

ছবি

কয়েকটি পাওয়ার প্ল্যান্ট কাজ না করায় লোডশেডিং বেড়েছে : নসরুল হামিদ

ছবি

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বরাদ্দ কাজে লাগাতে পারেনি : শিক্ষামন্ত্রী

ছবি

৩০০ আসনের সীমানা চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ

ছবি

চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে আরও তিন দিন

ছবি

ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর শোক

ছবি

ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের ৫০ হাজার ডলার সহায়তা দেবে বাংলাদেশ

ছবি

পাঁচ অঞ্চলে ৬০ কি.মি. বেগে ঝড়ের আভাস

ছবি

অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে ই-পাসপোর্ট চালু

ছবি

ভারতে রেল দুর্ঘটনার তথ্য পেতে বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন নম্বর

ছবি

ভারতে কারাভোগ শেষে ৫০ কিশোর-কিশোরীকে বেনাপোলে হস্তান্তর

ছবি

করোনা: দুই মাস পর ২ জনের মৃত্যু

ছবি

দেশে ১৪ বছরে একজন মানুষও না খেয়ে মারা যাননি: কৃষিমন্ত্রী

ছবি

বাজেট নিয়ে আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলন শনিবার

ছবি

রাশিয়া থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টন সার আমদানি করবে সরকার

ছবি

‘স্বাভাবিক’ পরিস্থিতির আশায় ‘নতুন’ লক্ষ্যের বাজেট

ছবি

উন্নয়ন বাজেট: এবারও সর্বোচ্চ পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে

ছবি

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে রাষ্ট্রপতির সম্মতি

ছবি

মে মাসে ৩০১ নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার

ছবি

প্রায় ৫ লাখ পদ শূন্য সরকারি চাকরিতে

tab

জাতীয়

প্রতিবছর মৃত্যু ২৫০ , সতর্কতার অভাবেই বজ্রপাতে মৃত্যু বাড়ছে

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩

ব্জ্রপাতে প্রতিবছর গড়ে ২৫০ জনের বেশি মানুষ মারা যায় বলে সরকারি হিসাবে দেখানো হচ্ছে। তবে বেসরকারি হিসাবে এ সংখ্যা আরও বেশি। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, ভৌগলিক অবস্থান, জলবায়ুর পরিবর্তন আর অসচেনতার কারণে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে অসংখ্য মানুষ মারা যাচ্ছেন বলে অভিমত প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিশেষজ্ঞদের।

অধিক পরিমাণে বজ্রপাতের ঘটনা ও প্রতিকার বিষয়ে মতামত জানতে চাওয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অনুষদের ডিন ও ডিজেস্টার সায়েন্স এবং ক্লাইমট রেজিলিয়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জিল্লুর রহমানের।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অবস্থানের কারণেই বজ্রপাত বেশি হয়। দক্ষিণে বঙ্গপোসাগর, উত্তরে হিমালয় থাকায় গরম-আর্দ্র ও শীতল-শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ করে। এই দুই ধরনের আবহাওয়ার সংঘাত ঘটলেই বজ্রপাত হয় সাধারণত। মার্চ থেকে শুরু হয় বজ্রপাতের অনুকূল পরিবেশ।’

‘আমার বয়স ও অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, বজ্রপাতে মৃত্যুর হার প্রতি বছরই বাড়ছে। এর প্রধানতম কারণ হচ্ছে, দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং জলবায়ুর পরিবর্তন। আগে একটি ফাঁকা জায়গায় হয়তো দশ জন মানুষ ছিল। এখন সেখানে ৫০ জন মানুষ অবস্থান করে। সঙ্গত কারণেই জনবহুল এলাকায় কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে হতাহতের সংখ্যাও বাড়বে।’

‘বজ্রপাতে মৃত্যুর হার বাড়ছে মূলত সতর্কতা না থাকার কারণেই। কৃষক মরছে বেশি। তারা বজ্রপাত আর বৃষ্টির মধ্যে মাঠে কাজ করেন। অনেকের কাজ না করে উপায়ও থাকে না। শহরে কিন্তু বড় বড় ভবন থাকার কারণে এর প্রভাব কম। শহরে মরছেও কম।’

আবহাওয়া-জলবায়ুর পরিবর্তনকে এর জন্য সরাসরি দায়ী করে ড. জিল্লুর বলেন, প্রাকৃতিক এই দুর্যোগ রোধে মানুষের কোনো হাত নেই। কিন্তু বজ্রপাতনিরোধক ব্যবস্থা গড়ে তোলা তো মানুষের পক্ষে সম্ভব।

‘সরকার হাওর এলাকায় কিছু কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে। তবে এই দুর্যোগ যেহেতু বাড়ছে, সেহেতু ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপকতা আরও বাড়াতে হবে। সতর্কতার জন্য ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে। গণমাধ্যমেরও দায় আছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও এ ব্যাপারে কর্মসূচি নিতে হবে। মৃত্যুর হার কমাতে হলে সবাইকে সতর্কতা অবলম্বনের আওতায় আনতে হবে।’

দুর্যোগ ব‍্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং বেসকারি সংগঠন ডিজাস্টার ফোরামের তথ‍্যমতে, এদেশে প্রতি বছর গড়ে বজ্রপাতে ২৬৫ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ৭০ শতাংশই মাঠে থাকা কৃষক, সাড়ে ১৪ শতাংশ বাড়ি ফেরার পথে, আর ১৩ শতাংশ গোসল কিংবা মাছ শিকারের সময়। তবে শহরের ভবনগুলোতে বজ্রপাত প্রতিরোধক দণ্ড থাকায় হতাহতের সংখ্যা কম। ২০১১-এর শুরু থেকে ২০২২ পর্যন্ত ১২ বছরে দেশে বজ্রপাতে মৃত‍্যু হয়েছে ৩ হাজার ১৬২ জনের। সাধারণত এপ্রিল ও জুনে বজ্রপাত বেশি হয়।

back to top