সবাই যাতে রোগমুক্ত পশু কোরবানী দিতে পারে তার জন্য নানা উদ্যোগ
আসন্ন কোরবানীর ঈদের জন্য রাজধানীসহ সারাদেশে প্রায় ১ কোটি ২৪ লাখ গবাদী পশুর শেষ মূহুর্তের পরিচর্যা নিয়ে খামারীরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। অপর দিকে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর থেকে সারাদেশের গবাদী পশু গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, দুম্বা, উটসহ অন্যান্য পশুর তথ্য সংগ্রহের কাজ ইতোমধ্যে শেষ করেছেন। তাদের গোপন প্রতিবেদন প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ে সম্প্রতি জমা দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শিগগিরই আনুষ্ঠানিক ভাবে বিষয়টি আনুষ্ঠানিক ভাবে জানানো হবে।
এদিকে পশুর খাদ্যের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় এবার কোরবানি পশুর দাম বেশি হতে পারে বলে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা আশংকা করছেন। খামারীরা বলছেন, ১৪শ টাকার পশু খাদ্য এখন ৩২শ থেকে ৩৩শ টাকা। তাই পশুর দাম বেশি হতে পারে। না হয় তারা লোকসান গুণতেদ হবে। আর বিদেশ থেকে পশু আমদানী করলে তারা আর্থিক ভাবে ক্ষতি গ্রস্থ হবেন। আর ক্ষুদ্র খামারীরা একবার ক্ষতিগ্রস্থ হলে তারা আর গবাদী পশু পালিন নাও করতে পারেন। তাই চোরাই পথে বা পর্শূ আমাদানী না করলে ক্ষুদ্র কৃষকরা লাভবান হবে।
প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, গত রমজানের ঈদের পর প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর থেকে বিভাগ, জেলা ও উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্ত্রাা খামারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোরবানির পশুর তালিকা তৈরি করেছেন।
প্রতি বছর কোরবানি ঈদের জন্য প্রায় এক কোটি পশু দরকার। তার মধ্যে কমপক্ষে ৯৭ থেকে ৯৮ লাখ পশু কোরবানি করা হয়। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আসছে কোরবানে অনেকেই একাধিক পশু কোরবান করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাই এবার প্রায় এক কোটি পশু দরকার হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত বছর ৯৯ লাখ ৫৪ হাজার ৬৬২টি কোরবানিযোগ্য পশু ছিল।
একজন পশু ডাক্তার সংবাদকে জানান, রোজার ঈদের পর তারা নিজ নিজ এলাকার খামারীদের সঙ্গে যোগায্গো করে ডাটা তৈরির কাজ করছেন। সম্প্রতি এই ডাটা চুড়ান্ত করা হয়েছে। সম্প্রতি ওই তালিকা প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন বলে জানান।
পশূ চিকিৎসকরা জানান, শেষ মুহূর্তের পরিচর্যা কিংবা মোটাতাজা করার কাজ এখন পুরোদমে চলছে। তবে কেউ পশু মোটাতাজা করতে ক্ষতিকর ওষুধ সেবন করাছে কিনা তারও খোজ নেয়া হচ্ছে।
লক্ষèীপুর জেলার একজন পশু খামারি জানান, তাদের বাড়িতে কোরবানীর জন্য ৩০টির বেশি গরু আছে। তবে পশু খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় তারা দুশ্চিন্তায় আছেন। ১৪শ টাকার পশু খাদ্য এখন ৩২শ থেকে ৩৩শ টাকা। আবার পশূ চিকিৎসার ওষুধের দ্মাও আকাশছোঁয়া। তাই গরুর দাম এইবার অনেকে বেশি হতে পারে বলেও আশংকা করা হচ্ছে।
অপর একজন ব্যবসায়ী জানান, পাশ্ববতী দেশ বা চোরাই পথে পশু না আনা হলে ক্ষুদ্র খামারিরা লাভবান হবেন। তারা স্বাভাব্কি খাবার দিয়ে পশু মোটা তাজা করছেন।
প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা বলেন, জেলায় জেলায় যে ডাটা কালেকশান করা হচ্ছে তাতে গরু ,মহিষ,খাশি ,ভেড়াসহ অন্যান্য প্রাণীর পৃথক সংখ্যা বেরিয়ে আসছে। সারাদেশে গত বছরের হিসাব মতে, ৬ লাখ ৮১ হাজার ৫৩২টি ছোট বড় খামারি ছিলেন। এই বছর এই সংখ্যা কিছু বাড়তে পারে। অনেক বেকার যুবক ক্ষুদ্র খামার করেছেন। অনেকেই গরু কিনে কোরবানির জন্য পালন করছে।
কোরবানীর পশুর চাহিদা বেশি হলে পশুর দাম উঠানামা করতে পারে। তবে অভিযোগ রয়েছে, মায়ানমারসহ অন্যান্য সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে এখন পশু আনা হচ্ছে। এসব পশু মজুদ করে কোরবানির হাটে উঠাবে বলে জানা গেছে।
এ দিকে গতকাল বিকেলে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, কোরবানীর গবাদী পশুর ডাটা তৈরী শেষ হয়ে গেছে। এই ডাটা এখন মন্ত্রণালয়ে আছে। আনুষ্ঠানিক ভাবে তা জানানো হবে। তবে গবাদী পশু সংখ্যা সব মিলিয়ে এক কোটি ২৪ লাখের মত হবে বলে তারা জানান।
কোরবারীর সময় সবাই যাতে রোগমুক্ত পশু কোরবানী দিতে পারে তার জন্য শহর থেকে জেলা ও উপজেলা পর্যন্ত ভ্যাটনারী মেডিকেল টিম কাজ করছেন। কোরবানরীর সময় পশু ডাক্তরা কাজ করবেন। এই নিয়ে এই বছর আগে থেকে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। রোগাক্রান্ত পশু যাতে না কোরবান দিতে হয় তা নিয়ে প্রাণী সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা এখন কাজ করে যাচেছন। কোরবানীর হাটেও পশু চিকিৎসার মেডিকেল টিম থাকবে। টার্গেট রোগমুক্ত পশু কোরবানী দেয়া।
সবাই যাতে রোগমুক্ত পশু কোরবানী দিতে পারে তার জন্য নানা উদ্যোগ
মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩
আসন্ন কোরবানীর ঈদের জন্য রাজধানীসহ সারাদেশে প্রায় ১ কোটি ২৪ লাখ গবাদী পশুর শেষ মূহুর্তের পরিচর্যা নিয়ে খামারীরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। অপর দিকে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর থেকে সারাদেশের গবাদী পশু গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, দুম্বা, উটসহ অন্যান্য পশুর তথ্য সংগ্রহের কাজ ইতোমধ্যে শেষ করেছেন। তাদের গোপন প্রতিবেদন প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ে সম্প্রতি জমা দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শিগগিরই আনুষ্ঠানিক ভাবে বিষয়টি আনুষ্ঠানিক ভাবে জানানো হবে।
এদিকে পশুর খাদ্যের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় এবার কোরবানি পশুর দাম বেশি হতে পারে বলে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা আশংকা করছেন। খামারীরা বলছেন, ১৪শ টাকার পশু খাদ্য এখন ৩২শ থেকে ৩৩শ টাকা। তাই পশুর দাম বেশি হতে পারে। না হয় তারা লোকসান গুণতেদ হবে। আর বিদেশ থেকে পশু আমদানী করলে তারা আর্থিক ভাবে ক্ষতি গ্রস্থ হবেন। আর ক্ষুদ্র খামারীরা একবার ক্ষতিগ্রস্থ হলে তারা আর গবাদী পশু পালিন নাও করতে পারেন। তাই চোরাই পথে বা পর্শূ আমাদানী না করলে ক্ষুদ্র কৃষকরা লাভবান হবে।
প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, গত রমজানের ঈদের পর প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর থেকে বিভাগ, জেলা ও উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্ত্রাা খামারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোরবানির পশুর তালিকা তৈরি করেছেন।
প্রতি বছর কোরবানি ঈদের জন্য প্রায় এক কোটি পশু দরকার। তার মধ্যে কমপক্ষে ৯৭ থেকে ৯৮ লাখ পশু কোরবানি করা হয়। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আসছে কোরবানে অনেকেই একাধিক পশু কোরবান করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাই এবার প্রায় এক কোটি পশু দরকার হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত বছর ৯৯ লাখ ৫৪ হাজার ৬৬২টি কোরবানিযোগ্য পশু ছিল।
একজন পশু ডাক্তার সংবাদকে জানান, রোজার ঈদের পর তারা নিজ নিজ এলাকার খামারীদের সঙ্গে যোগায্গো করে ডাটা তৈরির কাজ করছেন। সম্প্রতি এই ডাটা চুড়ান্ত করা হয়েছে। সম্প্রতি ওই তালিকা প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন বলে জানান।
পশূ চিকিৎসকরা জানান, শেষ মুহূর্তের পরিচর্যা কিংবা মোটাতাজা করার কাজ এখন পুরোদমে চলছে। তবে কেউ পশু মোটাতাজা করতে ক্ষতিকর ওষুধ সেবন করাছে কিনা তারও খোজ নেয়া হচ্ছে।
লক্ষèীপুর জেলার একজন পশু খামারি জানান, তাদের বাড়িতে কোরবানীর জন্য ৩০টির বেশি গরু আছে। তবে পশু খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় তারা দুশ্চিন্তায় আছেন। ১৪শ টাকার পশু খাদ্য এখন ৩২শ থেকে ৩৩শ টাকা। আবার পশূ চিকিৎসার ওষুধের দ্মাও আকাশছোঁয়া। তাই গরুর দাম এইবার অনেকে বেশি হতে পারে বলেও আশংকা করা হচ্ছে।
অপর একজন ব্যবসায়ী জানান, পাশ্ববতী দেশ বা চোরাই পথে পশু না আনা হলে ক্ষুদ্র খামারিরা লাভবান হবেন। তারা স্বাভাব্কি খাবার দিয়ে পশু মোটা তাজা করছেন।
প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা বলেন, জেলায় জেলায় যে ডাটা কালেকশান করা হচ্ছে তাতে গরু ,মহিষ,খাশি ,ভেড়াসহ অন্যান্য প্রাণীর পৃথক সংখ্যা বেরিয়ে আসছে। সারাদেশে গত বছরের হিসাব মতে, ৬ লাখ ৮১ হাজার ৫৩২টি ছোট বড় খামারি ছিলেন। এই বছর এই সংখ্যা কিছু বাড়তে পারে। অনেক বেকার যুবক ক্ষুদ্র খামার করেছেন। অনেকেই গরু কিনে কোরবানির জন্য পালন করছে।
কোরবানীর পশুর চাহিদা বেশি হলে পশুর দাম উঠানামা করতে পারে। তবে অভিযোগ রয়েছে, মায়ানমারসহ অন্যান্য সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে এখন পশু আনা হচ্ছে। এসব পশু মজুদ করে কোরবানির হাটে উঠাবে বলে জানা গেছে।
এ দিকে গতকাল বিকেলে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, কোরবানীর গবাদী পশুর ডাটা তৈরী শেষ হয়ে গেছে। এই ডাটা এখন মন্ত্রণালয়ে আছে। আনুষ্ঠানিক ভাবে তা জানানো হবে। তবে গবাদী পশু সংখ্যা সব মিলিয়ে এক কোটি ২৪ লাখের মত হবে বলে তারা জানান।
কোরবারীর সময় সবাই যাতে রোগমুক্ত পশু কোরবানী দিতে পারে তার জন্য শহর থেকে জেলা ও উপজেলা পর্যন্ত ভ্যাটনারী মেডিকেল টিম কাজ করছেন। কোরবানরীর সময় পশু ডাক্তরা কাজ করবেন। এই নিয়ে এই বছর আগে থেকে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। রোগাক্রান্ত পশু যাতে না কোরবান দিতে হয় তা নিয়ে প্রাণী সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা এখন কাজ করে যাচেছন। কোরবানীর হাটেও পশু চিকিৎসার মেডিকেল টিম থাকবে। টার্গেট রোগমুক্ত পশু কোরবানী দেয়া।