আগামী অর্থবছরের (২০২৩-২৪) প্রস্তাবিত বাজেটে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে বরাদ্দ বেড়েছে। নতুন বাজেটে এ খাতের বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে ৮৭ হাজার ৬২৯ কোটি টাকা। এ খাতে যেটি ২০২২-২৩ অর্থবছরে ছিল ৮১ হাজার ৫১৯ কোটি টাকা। এ হিসেবে এবার বরাদ্দ বেড়েছে ৬ হাজার ১১০ কোটি টাকা তথা ৭.৫ শতাংশ।
‘উন্নয়নের অভিযাত্রার দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা’ স্লোগান সামনে রেখে গতকাল সংসদে বাজেট নতুন অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
মেট্রোরেল, টানেলসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প চলার মধ্যে প্রস্তাবিত উন্নয়ন বাজেটে সর্বোচ্চ বরাদ্দ রাখা হয়েছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে। এবার মোট উন্নয়ন বাজেট ধরা হয়েছে ২ লাখ ৭৭ হাজার ৫৮২ কোটি টাকা, যার মধ্যে ২৮ দশমিক ৯ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে।
আগামীতে সারা দেশে ২ হাজার ৩৪২ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়কের উভয় পাশে সার্ভিস লেনসহ ৪-লেনে উন্নীতকরণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। একই সঙ্গে মিটারগেজ রেললাইনকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর এবং নতুন নতুন রেলপথ নির্মাণ করার প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।
বাজেট ভাষণে এসব কথা তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, ‘২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে আমরা সড়ক, সেতু, কালভার্ট, ব্রিজ ইত্যাদি নির্মাণ করার ফলে সারা দেশে ২২ হাজার ৪৭৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সুগঠিত মহাসড়ক তৈরি হয়েছে।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকারের মেয়াদকালে বাস্তবায়িত দেশের ৮টি বিভাগের ২৫টি জেলায় মোট ১০০টি সেতু উদ্বোধন করা হয়েছে, যার মোট দৈর্ঘ্য ৫ হাজার ৪৯৪ মিটার।’
মন্ত্রী বলেন, ‘কর্ণফুলী নদীর তলদেশে সড়ক টানেল নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে। শিগগিরই এটিকে যানচলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত র্যাম্পসহ ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ জুন ২০২৪ সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি। আগামী সেপ্টেম্বর ২০২৩ এর মধ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হতে তেজগাঁও পর্যন্ত অংশ চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। ’
রেল খাত উন্নয়ন নিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের সাশ্রয়ী ও নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে রেল খাতের উন্নয়নের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ২০০৯ সালের পর থেকে ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত ৭৩৯ দশমিক ৭১ কিলোমিটার নতুন রেল লাইন নির্মাণ, ২৮০ দশমিক ২৮ কিলোমিটার মিটারগেজ রেললাইনকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর, ৭৩২টি নতুন রেলসেতু নির্মাণ এবং ১৪৪টি নতুন ট্রেন চালু করা হয়েছে।’
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প; যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু, দোহাজারী হতে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু হতে মিয়ানমারের নিকটে গুনদুম পর্যন্ত ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ ইত্যাদি, বলেন তিনি।
যানজট নিরসন ও নিরাপদ সড়কের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা মহানগরী ও তৎসংলগ্ন এলাকার যানজট নিরসন ও দ্রুত যোগাযোগ নিশ্চিত করতে ৬টি মেট্রোরেল লাইনের একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে।’
বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩
আগামী অর্থবছরের (২০২৩-২৪) প্রস্তাবিত বাজেটে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে বরাদ্দ বেড়েছে। নতুন বাজেটে এ খাতের বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে ৮৭ হাজার ৬২৯ কোটি টাকা। এ খাতে যেটি ২০২২-২৩ অর্থবছরে ছিল ৮১ হাজার ৫১৯ কোটি টাকা। এ হিসেবে এবার বরাদ্দ বেড়েছে ৬ হাজার ১১০ কোটি টাকা তথা ৭.৫ শতাংশ।
‘উন্নয়নের অভিযাত্রার দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা’ স্লোগান সামনে রেখে গতকাল সংসদে বাজেট নতুন অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
মেট্রোরেল, টানেলসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প চলার মধ্যে প্রস্তাবিত উন্নয়ন বাজেটে সর্বোচ্চ বরাদ্দ রাখা হয়েছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে। এবার মোট উন্নয়ন বাজেট ধরা হয়েছে ২ লাখ ৭৭ হাজার ৫৮২ কোটি টাকা, যার মধ্যে ২৮ দশমিক ৯ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে।
আগামীতে সারা দেশে ২ হাজার ৩৪২ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়কের উভয় পাশে সার্ভিস লেনসহ ৪-লেনে উন্নীতকরণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। একই সঙ্গে মিটারগেজ রেললাইনকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর এবং নতুন নতুন রেলপথ নির্মাণ করার প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।
বাজেট ভাষণে এসব কথা তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, ‘২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে আমরা সড়ক, সেতু, কালভার্ট, ব্রিজ ইত্যাদি নির্মাণ করার ফলে সারা দেশে ২২ হাজার ৪৭৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সুগঠিত মহাসড়ক তৈরি হয়েছে।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকারের মেয়াদকালে বাস্তবায়িত দেশের ৮টি বিভাগের ২৫টি জেলায় মোট ১০০টি সেতু উদ্বোধন করা হয়েছে, যার মোট দৈর্ঘ্য ৫ হাজার ৪৯৪ মিটার।’
মন্ত্রী বলেন, ‘কর্ণফুলী নদীর তলদেশে সড়ক টানেল নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে। শিগগিরই এটিকে যানচলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত র্যাম্পসহ ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ জুন ২০২৪ সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি। আগামী সেপ্টেম্বর ২০২৩ এর মধ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হতে তেজগাঁও পর্যন্ত অংশ চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। ’
রেল খাত উন্নয়ন নিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের সাশ্রয়ী ও নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে রেল খাতের উন্নয়নের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ২০০৯ সালের পর থেকে ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত ৭৩৯ দশমিক ৭১ কিলোমিটার নতুন রেল লাইন নির্মাণ, ২৮০ দশমিক ২৮ কিলোমিটার মিটারগেজ রেললাইনকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর, ৭৩২টি নতুন রেলসেতু নির্মাণ এবং ১৪৪টি নতুন ট্রেন চালু করা হয়েছে।’
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প; যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু, দোহাজারী হতে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু হতে মিয়ানমারের নিকটে গুনদুম পর্যন্ত ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ ইত্যাদি, বলেন তিনি।
যানজট নিরসন ও নিরাপদ সড়কের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা মহানগরী ও তৎসংলগ্ন এলাকার যানজট নিরসন ও দ্রুত যোগাযোগ নিশ্চিত করতে ৬টি মেট্রোরেল লাইনের একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে।’