‘নির্বাচনকালীন সরকার’ নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তার জবাব দিতে গিয়ে ‘শব্দচয়েনে ভুল’ করার দাবি করেছেন আইনমন্ত্রী আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এ কারণে কার বক্তব্য নিয়ে ‘বিভ্রান্তি’ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়ে ওই বিষয়ে তার ‘পরিস্কার’ বক্তব্য দিয়ে বিবৃতিও দিয়েছে।
আজ রোববার সকালে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে বিচারকদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বক্তব্য প্রদান করেন আইনমন্ত্রী। পরে বিকেলে বিষয়টি পরিষ্কার করতে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠায় আইন মন্ত্রণালয়। বিজ্ঞপ্তিটি পাঠিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা ড. মো. রেজাউল করিম।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সাংবাদিকদের উপর্যুপরি প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে মন্ত্রী নির্বাচনকালীন সরকার গঠন প্রসঙ্গে শব্দচয়নে ভুল করায় যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। তা এই বক্তব্যের মাধ্যমে স্পষ্ট করা হলো। প্রকৃত তথ্য হলো, সাংবাদিকেদের প্রশ্নের জবাবে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী ওয়েস্ট মিনিস্টার স্টাইল পার্লামেন্টারি সিস্টেম অব গভর্নমেন্টে আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনা করা হয়। সেই ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী যখন মনে করেন যে, তিনি একটি ছোট সরকার গঠন করতে চান বা নির্বাচনকালীন সরকার করতে চান, তখন তিনি তা করবেন। আমার মনে হয় এই ব্যাপারে কোনো অষ্পষ্টতা নেই। প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে বলে দিয়েছেন, নির্বাচনকালীন সরকারে কারা কারা থাকতে পারেন, সে ব্যাপারে একটি রূপরেখা তিনি দিয়েই দিয়েছেন।’
সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের একজন র্যাপোর্টিয়ার বাংলাদেশ সফর শেষে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে যে বক্তব্য দিয়েছেন, সে প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এই বক্তব্য জাতিসংঘ দিয়েছে বলে আমি মনে করি না। তারা এই বক্তব্য দেওয়ার আগেই ২০১৯ সালের শেষের দিক থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যখন অপব্যবহার (মিসইউজ) ও অপপ্রয়োগ (অ্যাবিউজ) হচ্ছিল, তখনই কিন্তু আমি বলেছি যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এই আইনের অপব্যবহার ও অপ্রয়োগ বন্ধ করা প্রয়োজন। সেই ধারাবাহিকতায় আমি পরিষ্কারভাবে বলেছি যে এই অপব্যবহার ও অপপ্রয়োগ বন্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কিছু সংশোধন প্রয়োজন হবে এবং সে বিষয়ে আমরা আলাপ-আলোচনা করেছি।’
আনিসুল হক বলেন, ‘তিনি কারিগরি (টেকনিক্যাল) নোট পেয়েছেন। এসব মতামত বিবেচনা করে আগামী সেপ্টেম্বর নাগাদ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সংশোধনী আনা হবে। এটা কারও প্রেসক্রিপশনের ওপর নির্ভরশীল না। যখন মনে হয়েছে অপব্যবহার হয়েছে, তাঁরা স্বীকার করেছেন এবং সেই অপব্যবহারকে সংশোধন করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
রোববার, ০৪ জুন ২০২৩
‘নির্বাচনকালীন সরকার’ নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তার জবাব দিতে গিয়ে ‘শব্দচয়েনে ভুল’ করার দাবি করেছেন আইনমন্ত্রী আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এ কারণে কার বক্তব্য নিয়ে ‘বিভ্রান্তি’ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়ে ওই বিষয়ে তার ‘পরিস্কার’ বক্তব্য দিয়ে বিবৃতিও দিয়েছে।
আজ রোববার সকালে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে বিচারকদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বক্তব্য প্রদান করেন আইনমন্ত্রী। পরে বিকেলে বিষয়টি পরিষ্কার করতে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠায় আইন মন্ত্রণালয়। বিজ্ঞপ্তিটি পাঠিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা ড. মো. রেজাউল করিম।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সাংবাদিকদের উপর্যুপরি প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে মন্ত্রী নির্বাচনকালীন সরকার গঠন প্রসঙ্গে শব্দচয়নে ভুল করায় যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। তা এই বক্তব্যের মাধ্যমে স্পষ্ট করা হলো। প্রকৃত তথ্য হলো, সাংবাদিকেদের প্রশ্নের জবাবে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী ওয়েস্ট মিনিস্টার স্টাইল পার্লামেন্টারি সিস্টেম অব গভর্নমেন্টে আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনা করা হয়। সেই ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী যখন মনে করেন যে, তিনি একটি ছোট সরকার গঠন করতে চান বা নির্বাচনকালীন সরকার করতে চান, তখন তিনি তা করবেন। আমার মনে হয় এই ব্যাপারে কোনো অষ্পষ্টতা নেই। প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে বলে দিয়েছেন, নির্বাচনকালীন সরকারে কারা কারা থাকতে পারেন, সে ব্যাপারে একটি রূপরেখা তিনি দিয়েই দিয়েছেন।’
সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের একজন র্যাপোর্টিয়ার বাংলাদেশ সফর শেষে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে যে বক্তব্য দিয়েছেন, সে প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এই বক্তব্য জাতিসংঘ দিয়েছে বলে আমি মনে করি না। তারা এই বক্তব্য দেওয়ার আগেই ২০১৯ সালের শেষের দিক থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যখন অপব্যবহার (মিসইউজ) ও অপপ্রয়োগ (অ্যাবিউজ) হচ্ছিল, তখনই কিন্তু আমি বলেছি যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এই আইনের অপব্যবহার ও অপ্রয়োগ বন্ধ করা প্রয়োজন। সেই ধারাবাহিকতায় আমি পরিষ্কারভাবে বলেছি যে এই অপব্যবহার ও অপপ্রয়োগ বন্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কিছু সংশোধন প্রয়োজন হবে এবং সে বিষয়ে আমরা আলাপ-আলোচনা করেছি।’
আনিসুল হক বলেন, ‘তিনি কারিগরি (টেকনিক্যাল) নোট পেয়েছেন। এসব মতামত বিবেচনা করে আগামী সেপ্টেম্বর নাগাদ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সংশোধনী আনা হবে। এটা কারও প্রেসক্রিপশনের ওপর নির্ভরশীল না। যখন মনে হয়েছে অপব্যবহার হয়েছে, তাঁরা স্বীকার করেছেন এবং সেই অপব্যবহারকে সংশোধন করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’