ডেইলি স্টারে প্রকাশিত এক রম্য রচনায় মানহানি হয়েছে দাবি করে তার ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১০০ কোটি টাকা চেয়ে ইংরেজি দৈনিকটিকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
গত সোমবার ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম, নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক ও লেখক নাজিবা বাশারকে এ নোটিস পাঠান হয়।
নোটিস পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই লেখা সরিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি সাত দিনের মধ্যে ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে, জানিয়েছেন তাপসের আইনজীবী মেজবাহুর রহমান।
গত ১৩ মে ডেইলি স্টারে রম্যবিষয়ক পাতা ‘স্যাটেয়ারডে’ তে প্রকাশিত ‘কাটিং ট্রিজ মেক ওয়ে এয়ার’ শিরোনামের লেখা নিয়ে আপত্তি তুলেছেন মেয়র তাপস।
তার আইনজীবী মেজবাহুর বুধবার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘স্যাটায়ারডে’ তে প্রকাশিত ওই লেখায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের নাম বিকৃত করা হয়েছে। ওই লেখাটিতে লেখকের বক্তব্য মেয়রের বক্তব্য হিসেবে দেওয়া হয়েছে।
“ওই লেখায় ইনভার্টেড কমার মধ্যে মেয়র মহোদয়কে ইমপ্লিকেট করা হয়েছে। অনেকগুলো কথা বলা হয়েছে। এরমধ্যে একটি হচ্ছে ‘দ্য নর্দার্ন মেয়র প্রোবাবলি লাইকস আগলি থিংস। হিজ সাইড অফ দ্য সিটি উইল নট বি অ্যাজ বিউটিফুল অ্যাজ মাই সাইড। দ্য ক্যান রট ইন দ্য হেল উইথ দেয়ার ট্রিস অ্যান্ড ল্যাক অফ এয়ার অ্যান্ড উইন্ড’।
“এই যে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে, তা তো মেয়র তাপসের না। কিন্তু দক্ষিণের মেয়রের বক্তব্য হিসেবে লেখা হয়েছে।”
বিষয়টি তাপসের নজরে এলে তিনি এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এর অংশ হিসেবে প্রাথমিকভাবে আইনি নোটিস পাঠানো হয় বলে জানান মেজবাহুর।
নোটিসে বলা হয়েছে, মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস সম্পর্কে ‘বিকৃত বক্তব্য দিয়ে’ প্রকাশিত এই লেখাটি নোটিস পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করতে হবে। এছাড়া নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। এছাড়া আগামী সাত দিনের মধ্যে ১০০ কোটি মানহানির জন্য ক্ষতিপূরণ দেবেন। এটা না করলে (ডেইলি স্টার) পরবর্তীতে কী করব, সেটা মাননীয় মেয়র মহোদয় যেটা ইনস্ট্রাকশন দেবেন, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।
এ বিষয়ে ডেইলি স্টার এক বিবৃতিতে বলেছে, ৫ জুন পাঠান ওই নোটিস তারা ৬ জুন হাতে পেয়েছে। সেখানে তাদের জবাব দিতে মাত্র দুদিন সময় দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যেই তারা জবাব পাঠাবে।
প্রকাশিত লেখাটি নিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, “এটাকে ‘রিপোর্ট’ বা ‘কলাম’ বলা হয়েছে। এটা ঠিক নয়। এটা একটি ব্যাঙ্গাত্মক রচনা। তা প্রকাশিতও হয়েছে সাপ্তাহিক রম্য পাতা স্যাটায়ারেডেতে।
“আর জরুরি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এই ধরনের রচনা সারাবিশ্বেই সাংবাদিকতায় প্রচলিত এবং স্বীকৃত।”
বুধবার, ০৭ জুন ২০২৩
ডেইলি স্টারে প্রকাশিত এক রম্য রচনায় মানহানি হয়েছে দাবি করে তার ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১০০ কোটি টাকা চেয়ে ইংরেজি দৈনিকটিকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
গত সোমবার ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম, নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক ও লেখক নাজিবা বাশারকে এ নোটিস পাঠান হয়।
নোটিস পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই লেখা সরিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি সাত দিনের মধ্যে ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে, জানিয়েছেন তাপসের আইনজীবী মেজবাহুর রহমান।
গত ১৩ মে ডেইলি স্টারে রম্যবিষয়ক পাতা ‘স্যাটেয়ারডে’ তে প্রকাশিত ‘কাটিং ট্রিজ মেক ওয়ে এয়ার’ শিরোনামের লেখা নিয়ে আপত্তি তুলেছেন মেয়র তাপস।
তার আইনজীবী মেজবাহুর বুধবার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘স্যাটায়ারডে’ তে প্রকাশিত ওই লেখায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের নাম বিকৃত করা হয়েছে। ওই লেখাটিতে লেখকের বক্তব্য মেয়রের বক্তব্য হিসেবে দেওয়া হয়েছে।
“ওই লেখায় ইনভার্টেড কমার মধ্যে মেয়র মহোদয়কে ইমপ্লিকেট করা হয়েছে। অনেকগুলো কথা বলা হয়েছে। এরমধ্যে একটি হচ্ছে ‘দ্য নর্দার্ন মেয়র প্রোবাবলি লাইকস আগলি থিংস। হিজ সাইড অফ দ্য সিটি উইল নট বি অ্যাজ বিউটিফুল অ্যাজ মাই সাইড। দ্য ক্যান রট ইন দ্য হেল উইথ দেয়ার ট্রিস অ্যান্ড ল্যাক অফ এয়ার অ্যান্ড উইন্ড’।
“এই যে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে, তা তো মেয়র তাপসের না। কিন্তু দক্ষিণের মেয়রের বক্তব্য হিসেবে লেখা হয়েছে।”
বিষয়টি তাপসের নজরে এলে তিনি এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এর অংশ হিসেবে প্রাথমিকভাবে আইনি নোটিস পাঠানো হয় বলে জানান মেজবাহুর।
নোটিসে বলা হয়েছে, মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস সম্পর্কে ‘বিকৃত বক্তব্য দিয়ে’ প্রকাশিত এই লেখাটি নোটিস পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করতে হবে। এছাড়া নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। এছাড়া আগামী সাত দিনের মধ্যে ১০০ কোটি মানহানির জন্য ক্ষতিপূরণ দেবেন। এটা না করলে (ডেইলি স্টার) পরবর্তীতে কী করব, সেটা মাননীয় মেয়র মহোদয় যেটা ইনস্ট্রাকশন দেবেন, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।
এ বিষয়ে ডেইলি স্টার এক বিবৃতিতে বলেছে, ৫ জুন পাঠান ওই নোটিস তারা ৬ জুন হাতে পেয়েছে। সেখানে তাদের জবাব দিতে মাত্র দুদিন সময় দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যেই তারা জবাব পাঠাবে।
প্রকাশিত লেখাটি নিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, “এটাকে ‘রিপোর্ট’ বা ‘কলাম’ বলা হয়েছে। এটা ঠিক নয়। এটা একটি ব্যাঙ্গাত্মক রচনা। তা প্রকাশিতও হয়েছে সাপ্তাহিক রম্য পাতা স্যাটায়ারেডেতে।
“আর জরুরি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এই ধরনের রচনা সারাবিশ্বেই সাংবাদিকতায় প্রচলিত এবং স্বীকৃত।”