image

মাত্র ১০ দিনেই ভর্তি হাজার ডেঙ্গু রোগী, সারাদেশে প্রস্তুত হাসপাতাল

শনিবার, ১০ জুন ২০২৩
সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

এবার মৌসুমের আগেই ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব প্রকট আকার ধারণ করেছে। কেবলমাত্র চলতি জুনের প্রথম ১০ দিনেই হাজারো ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বলে তথ্য দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর মধ্যে ৯ জন মারা যান বলেও জানায় সংস্থাটি। এমন অবস্থায় রোগী কম হলেও ঢাকার বাইরে সব হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। আজ শনিবার (১০ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ‘চিকিৎসার বিষয়ে সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে সংশোধিত গাইডলাইন প্রত্যেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালগুলোর চাহিদা অনুযায়ী চিকিৎসক ও ওষুধসহ সবকিছু সরবরাহ করা হচ্ছে।’

ডেঙ্গু পরীক্ষার বিষয়ে ঘাটতি রয়েছে কিনা জানতে চাইলে মহাপরিচালক বলেন, ‘যারা আমাদের কাছে আসছেন, তাদের ডায়াগনোসিস করা হচ্ছে। যারা আসছেন না, তাদের তো করা সম্ভব না। এ বিষয়ে আমরা সচেতনতা বাড়াতে কাজ করছি। গণমাধ্যমসহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। মানুষকে সচেতন করতে হবে। জ্বর হলে তারা যেন ডেঙ্গু পরীক্ষা করান।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যেক বিভাগে ডেঙ্গু চিকিৎসায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে মশা নিধন করাটা সব থেকে জরুরি।’ সিটি করপোরেশন ও স্থানীয় সরকার বিভাগসহ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এটি সফল হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। একইসঙ্গে প্রত্যেক হাসপাতালে মশারি সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে রোগীরা মশারির ভেতর থাকছেন না বলেও জানান তিনি।

ডেঙ্গু রোগীদের সব তথ্য সংরক্ষণ করা হচ্ছে জানিয়ে অধিদফতরের এমআইএস শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘ডেঙ্গু রোগীদের তথ্য ও ডেঙ্গুর গতিবিধি পর্যবেক্ষণে রোগীদের তথ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালগুলোকে আগত রোগীদের মোবাইল নম্বর ও ঠিকানা সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডেঙ্গু বিফিংয়ের আওতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখন থেকে রাজধানীর ৫৩টি ডেডিকেটেড হাসপাতালের সঙ্গে আরও ৩২টি হাসপাতাল মিলিয়ে মোট ৮৫টি হাসপাতালের তথ্য তুলে ধরা হবে।’

‘জাতীয়’ : আরও খবর

» পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশের গেজেট প্রকাশ

সম্প্রতি