সংবাদের স্টাফ কার্টুনিস্ট ও বিশিষ্ট কার্টুন শিল্পী, এমএ কুদ্দুস মারা গেছেন। শনিবার (১৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর শাহীনবাগের ভাড়া বাসায় স্ট্রোক করে মারা যান তিনি। এর কয়েক মাস আগেও একবার তার মাইল্ড স্ট্রোক হয়েছিল। তার বয়স হয়েছিল ৫০ বছর। তিনি স্ত্রী ও এক কন্যা রেখে গেছেন।
এমএ কুদ্দুসের মৃত্যুর খবর সাংবাদিক মহলে ছড়িয়ে পড়ার পর শোকের ছায়া নেমে আসে। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতারা তার বাসভবনে ছুটে যান। দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে তার মরদেহ রাজবাড়ি জেলার মহাদেবপুর গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয় সেখানে দ্বিতীয় জানাজার পর সন্ধ্যায় গ্রামের কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য ছিলেন এমএ কুদ্দুস।
দুর্নীতি ও রাজনৈতিক অনাচার বিরোধী কার্টুন একে খ্যাত শিল্পী কুদ্দুস
এম এ কুদ্দুস ১৯৭৩ সালের ২০ আগস্ট রাজবাড়ী জেলার সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের মহাদেবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। রাজবাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে তিনি এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে চারুকলায় স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৯৫ সালে জানুয়ারি মাসে দৈনিক সংবাদে কার্টুন শিল্পী হিসেবে যোগদান করেন। এরপর ২০১০ সালে তিনি দৈনিক ইত্তেফাকে কার্টুনিস্ট হিসেবে যোগদান করেন। সেখান থেকে আবার সংবাদে ফিরে আসেন ২০১৯ সালের ফেব্রয়ারি মাসে এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সংবাদে কর্মরত ছিলেন। এর আগে তিনি দৈনিক আজকের কাগজ, সাপ্তাহিক একতাসহ একাধিক পত্রিকায় কাজ করেছেন।
এম এ কুদ্দুস দৈনিক সংবাদে কার্টুন একে জাতীয় পর্যায়ে খ্যাতি অর্জন করেন। তার বেশিরভাগ কার্টুনই দুর্নীতি এবং রাজনৈতিক অনাচার বিরোধী বিষয় নিয়ে আঁকা। এক্ষেত্রে তিনি বিভিন্ন সময়ে স্বৈরাচার এবং রাজনৈতিক লেজুরবৃত্তি নিয়ে অনেক কার্টুন একে জাতীয়ভিত্তিক সুনাম অর্জন করেছেন। কার্টুনিস্ট হিসেবে খ্যাতি অর্জন করলেও এমএ কুদ্দুস জল রং ও তেল রঙয়ে ছবি একেছেন। এছাড়া তিনি রাজনীতি ও সামাজিক অনাচার বিষয়ে ব্যঙ্গাত্মক ছড়া-কবিতাও লিখেছেন। দৈনিক সংবাদে তিনি ‘বাঁশ’ নামে কার্টুনভিত্তিক একটি পাতাও সম্পাদনা করেছেন। তাতে তার আঁকা কার্টুন ছাড়াও গদ্য-পদ্য লেখা থাকতো।
দৈনিক পত্রিকায় কার্টুন একে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। এমএ কুদ্দুস তাদের উত্তর প্রজন্ম হলেও বিচিত্র বিষয় এবং সমকালীন কার্টুন একে তিনি তার আগের প্রজন্মের কার্টুন শিল্পীদের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন। তার দুর্নীতি ও রাজনৈতিক অনাচার বিরোধী কার্টুন নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন প্রদর্শনী করেছে। রাজনৈতিক নেতারাও তার কার্টুনের ভক্ত হয়ে উঠেছিলেন। তিনি কার্টুন ও ছবি আকার পাশাপাশি অসংখ্য বই ও ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ এঁকেছেন। এমএ কুদ্দুস কার্টুন এঁকে ১৯৯৮ সালে জাপানে আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রতিযোগিতায় সন্মানসূচক পুরস্কার লাভ করেন।
এমএ কুদ্দুস চারুকলায় নিবেদিতপ্রাণ মানুষ ছিলেন। তিনি চাইতেন তার পরবর্তী প্রজন্মও চিত্রশিল্পে আত্মনিয়োগ করুক। এজন্য তিনি একমাত্র কন্যাকে চারুকলায় দক্ষ করে তোলার চেষ্টা করতেন।
কার্টুনিস্ট হিসেবে খ্যাতি অর্জন করলেও একজন মানুষ হিসেবে এমএ কুদ্দুস ছিলেন খুবই সাদাসিধে এবং অমায়িক আচরণের সাদা মনের মানুষ। তার অসাধারণ ব্যবহার ও পরোপকারী মনোভাব এবং প্রতিবাদী নেতৃত্বের জন্য তিনি ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা হয়ে উঠতে পেরেছিলেন।
শনিবার দুপুরে এমএ কুদ্দুসের মরদেহ প্রথমে তার দীর্ঘদিনের কর্মস্থল দৈনিক সংবাদ কার্যালয়ে আনা হয়। মরদেহের সঙ্গে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়েনের নেতারাও সংবাদ কার্যালয়ে আসেন। এ সময় সংবাদে এমএ কুদ্দুসের সহকর্মীরা শোকাভিভূত হয়ে পড়েন। পরে সংবাদ পরিবারের সদস্যরা শোক প্রকাশ এবং পুষ্পস্তবক দিয়ে তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান। এ সময় সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কাশেম হুমায়ূন, বার্তা সম্পাদক কাজী রফিক, প্রধান প্রতিবেদন সালাম জুবায়ের, ইউনিট প্রধান খোরশেদ আলম, বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক মাহবুব আলম, সহকারী সম্পাদক সাকি আহসান, সাহিত্য সম্পাদক ওবায়েদ আকাশসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ কার্যালয়ে এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে প্রয়াত এমএ কুদ্দুসের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কাশেম হুমায়ূন, বার্তা সম্পাদক কাজী রফিক ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার।
কাশেম হুমায়ূন বলেন, এমএ কুদ্দুস ছিলেন অত্যন্ত নিবেদিতপ্রাণ সংবাদকর্মী। সংবাদের পাঠকরা কুদ্দুসের কার্টুন অত্যন্ত পছন্দ করতেন।
কাজী রফিক বলেন, কুদ্দুস তার নিরলস কাজের মধ্য দিয়ে আমাদের সবার মন জয় করে নিয়েছিলেন।
সোহেল হায়দার বলেন, একজন কার্টুন শিল্প হিসেবে এমএ কুদ্দুস আমাদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি সবার কাছে এমএ কুদ্দুসের জন্য দোয়া কামনা করেন।
সংবাদ কার্যালয় থেকে এমএ কুদ্দুসের মরদেহ জাতীয় প্রেসক্লাবে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বিভিন্ন সংবাদপত্র, ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিক ও সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা পুষ্পস্তবক দিয়ে প্রয়াত কুদ্দুসের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান। প্রথম শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্তের নেতৃত্বে প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যরা, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়েনের সভাপতি ওমর ফারুক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শেখ মামুন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়েেনর সভাপতি সোহেল হায়দার, সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন প্রমুখ। এরপর বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও সংবাদপত্রের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। শ্রদ্ধা জানান ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, নারী সাংবাদিক কেন্দ্র, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ঢাকাস্থ রাজবাড়ী সাংবাদিক সমিতি, সাউথ বাংলা ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোশিয়েশন এবং সাপ্তাহিক একতা পরিবার। এছাড়া সংবাদ পরিবারের পক্ষে পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানান কাশেম হুমায়ূন, কাজী রফিক, সোহরাব আলম, খোরশেদ আলম, মাহবুব আলম, আতাউর রহমান প্রমুখ।
এমএ কুদ্দুসের মৃত্যুতে বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা শোক প্রকাশ করেছেন। শোক বিবৃতি দিয়ে ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়েনের সভাপতি সোহেল হায়দার, সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, নারী সাংবাদিক কেন্দ্র, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা এমএ কুদ্দুসের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে অনেকে তাকে স্মরণ করেছেন, শোক জানিয়েছেন।
শনিবার, ১৫ জুলাই ২০২৩
সংবাদের স্টাফ কার্টুনিস্ট ও বিশিষ্ট কার্টুন শিল্পী, এমএ কুদ্দুস মারা গেছেন। শনিবার (১৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর শাহীনবাগের ভাড়া বাসায় স্ট্রোক করে মারা যান তিনি। এর কয়েক মাস আগেও একবার তার মাইল্ড স্ট্রোক হয়েছিল। তার বয়স হয়েছিল ৫০ বছর। তিনি স্ত্রী ও এক কন্যা রেখে গেছেন।
এমএ কুদ্দুসের মৃত্যুর খবর সাংবাদিক মহলে ছড়িয়ে পড়ার পর শোকের ছায়া নেমে আসে। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতারা তার বাসভবনে ছুটে যান। দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে তার মরদেহ রাজবাড়ি জেলার মহাদেবপুর গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয় সেখানে দ্বিতীয় জানাজার পর সন্ধ্যায় গ্রামের কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য ছিলেন এমএ কুদ্দুস।
দুর্নীতি ও রাজনৈতিক অনাচার বিরোধী কার্টুন একে খ্যাত শিল্পী কুদ্দুস
এম এ কুদ্দুস ১৯৭৩ সালের ২০ আগস্ট রাজবাড়ী জেলার সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের মহাদেবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। রাজবাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে তিনি এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে চারুকলায় স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৯৫ সালে জানুয়ারি মাসে দৈনিক সংবাদে কার্টুন শিল্পী হিসেবে যোগদান করেন। এরপর ২০১০ সালে তিনি দৈনিক ইত্তেফাকে কার্টুনিস্ট হিসেবে যোগদান করেন। সেখান থেকে আবার সংবাদে ফিরে আসেন ২০১৯ সালের ফেব্রয়ারি মাসে এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সংবাদে কর্মরত ছিলেন। এর আগে তিনি দৈনিক আজকের কাগজ, সাপ্তাহিক একতাসহ একাধিক পত্রিকায় কাজ করেছেন।
এম এ কুদ্দুস দৈনিক সংবাদে কার্টুন একে জাতীয় পর্যায়ে খ্যাতি অর্জন করেন। তার বেশিরভাগ কার্টুনই দুর্নীতি এবং রাজনৈতিক অনাচার বিরোধী বিষয় নিয়ে আঁকা। এক্ষেত্রে তিনি বিভিন্ন সময়ে স্বৈরাচার এবং রাজনৈতিক লেজুরবৃত্তি নিয়ে অনেক কার্টুন একে জাতীয়ভিত্তিক সুনাম অর্জন করেছেন। কার্টুনিস্ট হিসেবে খ্যাতি অর্জন করলেও এমএ কুদ্দুস জল রং ও তেল রঙয়ে ছবি একেছেন। এছাড়া তিনি রাজনীতি ও সামাজিক অনাচার বিষয়ে ব্যঙ্গাত্মক ছড়া-কবিতাও লিখেছেন। দৈনিক সংবাদে তিনি ‘বাঁশ’ নামে কার্টুনভিত্তিক একটি পাতাও সম্পাদনা করেছেন। তাতে তার আঁকা কার্টুন ছাড়াও গদ্য-পদ্য লেখা থাকতো।
দৈনিক পত্রিকায় কার্টুন একে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। এমএ কুদ্দুস তাদের উত্তর প্রজন্ম হলেও বিচিত্র বিষয় এবং সমকালীন কার্টুন একে তিনি তার আগের প্রজন্মের কার্টুন শিল্পীদের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন। তার দুর্নীতি ও রাজনৈতিক অনাচার বিরোধী কার্টুন নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন প্রদর্শনী করেছে। রাজনৈতিক নেতারাও তার কার্টুনের ভক্ত হয়ে উঠেছিলেন। তিনি কার্টুন ও ছবি আকার পাশাপাশি অসংখ্য বই ও ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ এঁকেছেন। এমএ কুদ্দুস কার্টুন এঁকে ১৯৯৮ সালে জাপানে আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রতিযোগিতায় সন্মানসূচক পুরস্কার লাভ করেন।
এমএ কুদ্দুস চারুকলায় নিবেদিতপ্রাণ মানুষ ছিলেন। তিনি চাইতেন তার পরবর্তী প্রজন্মও চিত্রশিল্পে আত্মনিয়োগ করুক। এজন্য তিনি একমাত্র কন্যাকে চারুকলায় দক্ষ করে তোলার চেষ্টা করতেন।
কার্টুনিস্ট হিসেবে খ্যাতি অর্জন করলেও একজন মানুষ হিসেবে এমএ কুদ্দুস ছিলেন খুবই সাদাসিধে এবং অমায়িক আচরণের সাদা মনের মানুষ। তার অসাধারণ ব্যবহার ও পরোপকারী মনোভাব এবং প্রতিবাদী নেতৃত্বের জন্য তিনি ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা হয়ে উঠতে পেরেছিলেন।
শনিবার দুপুরে এমএ কুদ্দুসের মরদেহ প্রথমে তার দীর্ঘদিনের কর্মস্থল দৈনিক সংবাদ কার্যালয়ে আনা হয়। মরদেহের সঙ্গে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়েনের নেতারাও সংবাদ কার্যালয়ে আসেন। এ সময় সংবাদে এমএ কুদ্দুসের সহকর্মীরা শোকাভিভূত হয়ে পড়েন। পরে সংবাদ পরিবারের সদস্যরা শোক প্রকাশ এবং পুষ্পস্তবক দিয়ে তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান। এ সময় সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কাশেম হুমায়ূন, বার্তা সম্পাদক কাজী রফিক, প্রধান প্রতিবেদন সালাম জুবায়ের, ইউনিট প্রধান খোরশেদ আলম, বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক মাহবুব আলম, সহকারী সম্পাদক সাকি আহসান, সাহিত্য সম্পাদক ওবায়েদ আকাশসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ কার্যালয়ে এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে প্রয়াত এমএ কুদ্দুসের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কাশেম হুমায়ূন, বার্তা সম্পাদক কাজী রফিক ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার।
কাশেম হুমায়ূন বলেন, এমএ কুদ্দুস ছিলেন অত্যন্ত নিবেদিতপ্রাণ সংবাদকর্মী। সংবাদের পাঠকরা কুদ্দুসের কার্টুন অত্যন্ত পছন্দ করতেন।
কাজী রফিক বলেন, কুদ্দুস তার নিরলস কাজের মধ্য দিয়ে আমাদের সবার মন জয় করে নিয়েছিলেন।
সোহেল হায়দার বলেন, একজন কার্টুন শিল্প হিসেবে এমএ কুদ্দুস আমাদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি সবার কাছে এমএ কুদ্দুসের জন্য দোয়া কামনা করেন।
সংবাদ কার্যালয় থেকে এমএ কুদ্দুসের মরদেহ জাতীয় প্রেসক্লাবে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বিভিন্ন সংবাদপত্র, ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিক ও সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা পুষ্পস্তবক দিয়ে প্রয়াত কুদ্দুসের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান। প্রথম শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্তের নেতৃত্বে প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যরা, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়েনের সভাপতি ওমর ফারুক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শেখ মামুন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়েেনর সভাপতি সোহেল হায়দার, সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন প্রমুখ। এরপর বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও সংবাদপত্রের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। শ্রদ্ধা জানান ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, নারী সাংবাদিক কেন্দ্র, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ঢাকাস্থ রাজবাড়ী সাংবাদিক সমিতি, সাউথ বাংলা ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোশিয়েশন এবং সাপ্তাহিক একতা পরিবার। এছাড়া সংবাদ পরিবারের পক্ষে পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানান কাশেম হুমায়ূন, কাজী রফিক, সোহরাব আলম, খোরশেদ আলম, মাহবুব আলম, আতাউর রহমান প্রমুখ।
এমএ কুদ্দুসের মৃত্যুতে বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা শোক প্রকাশ করেছেন। শোক বিবৃতি দিয়ে ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়েনের সভাপতি সোহেল হায়দার, সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, নারী সাংবাদিক কেন্দ্র, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা এমএ কুদ্দুসের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে অনেকে তাকে স্মরণ করেছেন, শোক জানিয়েছেন।