সাহিত্যিক সাংবাদিক ও রাজনীতিক আবুল মনসুর আহমদ সম্পর্কে একটি অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, তিনি সাংবাদিকতাকে সাধনা হিসেবে নিয়েছিলেন। তার সকল কর্মকাণ্ডের মূলে ছিল তখনকার কৃষক, সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণ।
আবুল মনসুর আহমদকে একজন বহুমুখী প্রতিভাসম্পন্ন ব্যক্তি হিসেবে অভিহিত করে বক্তারা আরও বলেন, সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতার বোধ থেকে তিনি নাগরিকের অধিকার, বাক স্বাধীনতা এবং সমাজের পরিবর্তনের জন্য ক্রমাগত লড়াই করে গেছেন। একইসঙ্গে সাহিত্য এবং সাংবাদিকতার যে অসাধারণ সংমিশ্রন তিনি ঘটিয়েছেন তা এখনো দৃষ্টান্তস্বরূপ।
আজ শনিবার আবুল মনসুর আহমদ স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজাফফর আহমদ চৌধুরী মিলনায়তনে ‘শতবের্ষে আবুল মনসুর আহমদের সাংবাদিকতার প্রাসঙ্গিকতা ও প্রবন্ধ প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আবুল মনসুর আহমদের অনেকগুলো পরিচয় ছিল। তিনি সাংবাদিক ছিলেন, সাহিত্যিক ছিলেন, রাজনীতিক ছিলেন, পেশায় আইনজীবী ছিলেন। আজ আমরা যোদের বুদ্ধিজীবী বলি আবুল মনসুর আহমদ তেমন একজন বুদ্ধিজীবী ছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আবুল মনসুর আহমদ যখন সাংবাদিকতা শুরু করেন ১০০ বছর আগে, তখন সমাজ আরও অনগ্রসর ছিল, আমরা ঔপনিবেশিক শাসনের মধ্যে ছিলাম, আমাদের সামনের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত ছিল। সেখানে তিনি কৃষকের সমস্যাকে প্রধান মনে করেছেন। রাজনীতির বিষয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি অত্যন্ত পরিষ্কার ছিল।’
ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ’র সম্পাদক নুরুল কবির বলেন, ‘ভাষার রাজনীতি নিয়ে ওই সময়ে আবুল মনসুর আহমদ ছাড়া এ অঞ্চলের একটা মানুষও আলোচনা করেননি।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক আর রাজীর অভিমত, ‘আবুল মনসুর আহমদের শিক্ষাটা এই যে মানুষের মুখ থেকে ভাষাটা কলমে আসুক। কলম থেকে মানুষের মুখের ভাষাটা না যাক।’
দৈনিক সমকালের পরিকল্পনা সম্পাদক ফারুক ওয়াসিফ, আবুল মনসুর আহমদের কৃষক প্রজা পার্টির মাধ্যমে সমাজ রূপান্তরের যে বিপ্লবী ভূমিকা, সাংবাদিকতার ভেতর দিয়ে বাংলা ভাষার রাজনীতি, সংস্কৃতির রাজনীতির গোড়াপত্তন করা এবং শেষ পর্যন্ত এই দেশের একজন ভিশনারি হিসেবে তার অবস্থান নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে ‘শতবর্ষে আবুল মনসুর আহমদের প্রাসঙ্গিকতা’ বিষয়ে আলোচনা করেন সাংবাদিক ও গবেষক কাজল রশীদ শাহীন।
একইসঙ্গে অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
সাহিত্যিক সাংবাদিক ও রাজনীতিক আবুল মনসুর আহমদ সম্পর্কে একটি অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, তিনি সাংবাদিকতাকে সাধনা হিসেবে নিয়েছিলেন। তার সকল কর্মকাণ্ডের মূলে ছিল তখনকার কৃষক, সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণ।
আবুল মনসুর আহমদকে একজন বহুমুখী প্রতিভাসম্পন্ন ব্যক্তি হিসেবে অভিহিত করে বক্তারা আরও বলেন, সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতার বোধ থেকে তিনি নাগরিকের অধিকার, বাক স্বাধীনতা এবং সমাজের পরিবর্তনের জন্য ক্রমাগত লড়াই করে গেছেন। একইসঙ্গে সাহিত্য এবং সাংবাদিকতার যে অসাধারণ সংমিশ্রন তিনি ঘটিয়েছেন তা এখনো দৃষ্টান্তস্বরূপ।
আজ শনিবার আবুল মনসুর আহমদ স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজাফফর আহমদ চৌধুরী মিলনায়তনে ‘শতবের্ষে আবুল মনসুর আহমদের সাংবাদিকতার প্রাসঙ্গিকতা ও প্রবন্ধ প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আবুল মনসুর আহমদের অনেকগুলো পরিচয় ছিল। তিনি সাংবাদিক ছিলেন, সাহিত্যিক ছিলেন, রাজনীতিক ছিলেন, পেশায় আইনজীবী ছিলেন। আজ আমরা যোদের বুদ্ধিজীবী বলি আবুল মনসুর আহমদ তেমন একজন বুদ্ধিজীবী ছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আবুল মনসুর আহমদ যখন সাংবাদিকতা শুরু করেন ১০০ বছর আগে, তখন সমাজ আরও অনগ্রসর ছিল, আমরা ঔপনিবেশিক শাসনের মধ্যে ছিলাম, আমাদের সামনের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত ছিল। সেখানে তিনি কৃষকের সমস্যাকে প্রধান মনে করেছেন। রাজনীতির বিষয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি অত্যন্ত পরিষ্কার ছিল।’
ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ’র সম্পাদক নুরুল কবির বলেন, ‘ভাষার রাজনীতি নিয়ে ওই সময়ে আবুল মনসুর আহমদ ছাড়া এ অঞ্চলের একটা মানুষও আলোচনা করেননি।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক আর রাজীর অভিমত, ‘আবুল মনসুর আহমদের শিক্ষাটা এই যে মানুষের মুখ থেকে ভাষাটা কলমে আসুক। কলম থেকে মানুষের মুখের ভাষাটা না যাক।’
দৈনিক সমকালের পরিকল্পনা সম্পাদক ফারুক ওয়াসিফ, আবুল মনসুর আহমদের কৃষক প্রজা পার্টির মাধ্যমে সমাজ রূপান্তরের যে বিপ্লবী ভূমিকা, সাংবাদিকতার ভেতর দিয়ে বাংলা ভাষার রাজনীতি, সংস্কৃতির রাজনীতির গোড়াপত্তন করা এবং শেষ পর্যন্ত এই দেশের একজন ভিশনারি হিসেবে তার অবস্থান নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে ‘শতবর্ষে আবুল মনসুর আহমদের প্রাসঙ্গিকতা’ বিষয়ে আলোচনা করেন সাংবাদিক ও গবেষক কাজল রশীদ শাহীন।
একইসঙ্গে অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।