আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশেকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে অন্তত ১৭ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা বিভিন্ন সংবাদপত্র, টেলিভিশন, নিউজ এজেন্সির সংবাদিক আহতদের বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে পেশাগত দায়িত্বপালনকালে পুলিশ ও বিএনপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী আহত হন। এ সময় সাংবাদিকদের কয়েকটি মোটরসাইকেলেও আগুন দেয়া হয়েছে।
এই সংঘর্ষে ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন ঢাকা টাইমসের প্রতিবেদক সালেকিন তারিন। তাকে চিকিৎসার জন্য জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) নেয়া হয়েছে। এ সময় মারধরের শিকার হয়েছেন দৈনিক কালবেলার প্রতিবেদক রাফসান জানি। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। কালবেলার অপরাধ বিষয়ক প্রতিবেদক রাফসান জানি বলেন, নাইটেঙ্গেল মোড়ে দায়িত্ব পালন করছিলাম। আমি আর বাংলা ট্রিবিউনের প্রধান প্রতিবেদক সালমান তারেক শাকিল ভাই কাছাকাছি ছিলাম। এর মধ্যে দেখলাম দুই জন পুলিশ ও একজন আনসার সদস্যকে কাকরাইলের দিকে ধাওয়া দিয়ে বেধড়ক মারা হচ্ছে।
২০-২৫ জন বিএনপি কর্মী রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেটাচ্ছে। আমি রাস্তার এপার থেকে এসে মাঝখানের সড়ক বিভাজকের ওপর দাঁড়িয়ে ভিডিও করছিলাম। আমার গলায় আইডি কার্ড ঝোলানো ছিল, ওইপাশ থেকে দুই তিন জন এসে ধাওয়া দিল। সাংবাদিক, সাংবাদিক বলে চিৎকার করে আমাকে ধাওয়া দিল এবং ইচ্ছেমতো মারধর করলো। লাঠি, রড ও বাঁশ এমন কিছু বাদ নাই, যা দিয়ে তারা মারেনি। মারতে মারতে আমাকে ডিআইজি ঢাকা রেঞ্জের কার্যালয় পর্যন্ত নিয়ে গেলো। আমি চেষ্টা করছিলাম সরে যেতে কিন্তু পেছন থেকে ধাওয়া দিচ্ছিল। সামনে যেই পাচ্ছিলো, সেই মারছিল।’
রাফসান বলেন, ‘কোনোমতে ডিআইজি কার্যালয় পর্যন্ত আসার পর তারা আমার পিছু ছাড়ে। সেখানে যাওয়ার পর আমি গাজী টিভির সাংবাদিকদের সাহায্য নেই এবং অফিসকে জানাই। এরপর আমাকে আমার সহকর্মীরা ঢাকা মেডিকেল নিয়ে আসে।’ চিকিৎসকরা জানান, রাফসান মাথায় কিছু জায়গায় আঘাত পেয়েছেন। তার পিঠেও কয়েক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন আছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
সংঘর্ষের সময় আহত হয়েছেন বাংলা ট্রিবিউনের প্রধান প্রতিবেদক সালমান তারেক শাকিল, ফটো সাংবাদিক সাজ্জাদ হোসেন ও নিজস্ব প্রতিবেদক জোবায়ের আহমেদ। কাকরাইল মোড়ে উড়ে আসা ইট বা ভারী কিছু আঘাতে ডান পায়ে আঘাত পান সালমান তারেক। এরপর সড়কে পড়ে গেলে একজনের সহযোগিতায় নিরাপদ অবস্থানে যান তিনি। আর পল্টনে পুলিশের ধাওয়ায় ভিড়ের মধ্যে রাস্তায় পড়ে যান সাজ্জাদ হোসেন। এ সময় অন্য মানুষের পদদলিত হয়ে আহত হন তিনি। অন্যদিকে পল্টনে বিএনপি অফিসের সামনে পুলিশের ধাওয়ায় বিএনপির নেতাকর্মীদের ধাক্কায় রাস্তায় পড়ে পদদলিত হয়ে আহত হন জোবায়ের আহমেদ।
সংঘর্ষে আরও আহত হয়েছেন, নিউ এইজের আহাম্মদ ফয়েজ, দৈনিক কালবেলার আবু সালেহ মুসা, রবিউল ইসলাম রুবেল এবং তৌহিদুল ইসলাম তারেক, ব্রেকিং নিউজের ক্রাইম রিপোর্টার কাজী ইহসান বিন দিদার, দৈনিক ইনকিলাবের ফটোসাংবাদিক এফ এ মাসুম, দৈনিক ইত্তেফাকের মাল্টিমিডিয়ার রিপোর্টার তানভীর আহাম্মেদ, একুশে টিভির রিপোর্টার তৌহিদুর রহমান ও ক্যামেরা পারসন আরিফুর রহমান, দৈনিক দেশ রূপান্তরের সাংবাদিক আরিফুর রহমান রাব্বি, ইত্তেফাকের সাংবাদিক শেখ নাছের ও ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক মারুফ। ইত্তেফাকের মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার তানভীরের সঙ্গে থাকা সাংবাদিক মুজাহিদ জানান, জামায়াতের সমাবেশ শেষ করে আসার পথে হামলা চালায় বিএনপি কর্মীরা। তানভীরকে রাস্তায় ফেলে ইচ্ছামতো পেটায়। তার অবস্থা গুরুতর।
শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৩
আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশেকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে অন্তত ১৭ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা বিভিন্ন সংবাদপত্র, টেলিভিশন, নিউজ এজেন্সির সংবাদিক আহতদের বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে পেশাগত দায়িত্বপালনকালে পুলিশ ও বিএনপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী আহত হন। এ সময় সাংবাদিকদের কয়েকটি মোটরসাইকেলেও আগুন দেয়া হয়েছে।
এই সংঘর্ষে ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন ঢাকা টাইমসের প্রতিবেদক সালেকিন তারিন। তাকে চিকিৎসার জন্য জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) নেয়া হয়েছে। এ সময় মারধরের শিকার হয়েছেন দৈনিক কালবেলার প্রতিবেদক রাফসান জানি। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। কালবেলার অপরাধ বিষয়ক প্রতিবেদক রাফসান জানি বলেন, নাইটেঙ্গেল মোড়ে দায়িত্ব পালন করছিলাম। আমি আর বাংলা ট্রিবিউনের প্রধান প্রতিবেদক সালমান তারেক শাকিল ভাই কাছাকাছি ছিলাম। এর মধ্যে দেখলাম দুই জন পুলিশ ও একজন আনসার সদস্যকে কাকরাইলের দিকে ধাওয়া দিয়ে বেধড়ক মারা হচ্ছে।
২০-২৫ জন বিএনপি কর্মী রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেটাচ্ছে। আমি রাস্তার এপার থেকে এসে মাঝখানের সড়ক বিভাজকের ওপর দাঁড়িয়ে ভিডিও করছিলাম। আমার গলায় আইডি কার্ড ঝোলানো ছিল, ওইপাশ থেকে দুই তিন জন এসে ধাওয়া দিল। সাংবাদিক, সাংবাদিক বলে চিৎকার করে আমাকে ধাওয়া দিল এবং ইচ্ছেমতো মারধর করলো। লাঠি, রড ও বাঁশ এমন কিছু বাদ নাই, যা দিয়ে তারা মারেনি। মারতে মারতে আমাকে ডিআইজি ঢাকা রেঞ্জের কার্যালয় পর্যন্ত নিয়ে গেলো। আমি চেষ্টা করছিলাম সরে যেতে কিন্তু পেছন থেকে ধাওয়া দিচ্ছিল। সামনে যেই পাচ্ছিলো, সেই মারছিল।’
রাফসান বলেন, ‘কোনোমতে ডিআইজি কার্যালয় পর্যন্ত আসার পর তারা আমার পিছু ছাড়ে। সেখানে যাওয়ার পর আমি গাজী টিভির সাংবাদিকদের সাহায্য নেই এবং অফিসকে জানাই। এরপর আমাকে আমার সহকর্মীরা ঢাকা মেডিকেল নিয়ে আসে।’ চিকিৎসকরা জানান, রাফসান মাথায় কিছু জায়গায় আঘাত পেয়েছেন। তার পিঠেও কয়েক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন আছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
সংঘর্ষের সময় আহত হয়েছেন বাংলা ট্রিবিউনের প্রধান প্রতিবেদক সালমান তারেক শাকিল, ফটো সাংবাদিক সাজ্জাদ হোসেন ও নিজস্ব প্রতিবেদক জোবায়ের আহমেদ। কাকরাইল মোড়ে উড়ে আসা ইট বা ভারী কিছু আঘাতে ডান পায়ে আঘাত পান সালমান তারেক। এরপর সড়কে পড়ে গেলে একজনের সহযোগিতায় নিরাপদ অবস্থানে যান তিনি। আর পল্টনে পুলিশের ধাওয়ায় ভিড়ের মধ্যে রাস্তায় পড়ে যান সাজ্জাদ হোসেন। এ সময় অন্য মানুষের পদদলিত হয়ে আহত হন তিনি। অন্যদিকে পল্টনে বিএনপি অফিসের সামনে পুলিশের ধাওয়ায় বিএনপির নেতাকর্মীদের ধাক্কায় রাস্তায় পড়ে পদদলিত হয়ে আহত হন জোবায়ের আহমেদ।
সংঘর্ষে আরও আহত হয়েছেন, নিউ এইজের আহাম্মদ ফয়েজ, দৈনিক কালবেলার আবু সালেহ মুসা, রবিউল ইসলাম রুবেল এবং তৌহিদুল ইসলাম তারেক, ব্রেকিং নিউজের ক্রাইম রিপোর্টার কাজী ইহসান বিন দিদার, দৈনিক ইনকিলাবের ফটোসাংবাদিক এফ এ মাসুম, দৈনিক ইত্তেফাকের মাল্টিমিডিয়ার রিপোর্টার তানভীর আহাম্মেদ, একুশে টিভির রিপোর্টার তৌহিদুর রহমান ও ক্যামেরা পারসন আরিফুর রহমান, দৈনিক দেশ রূপান্তরের সাংবাদিক আরিফুর রহমান রাব্বি, ইত্তেফাকের সাংবাদিক শেখ নাছের ও ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক মারুফ। ইত্তেফাকের মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার তানভীরের সঙ্গে থাকা সাংবাদিক মুজাহিদ জানান, জামায়াতের সমাবেশ শেষ করে আসার পথে হামলা চালায় বিএনপি কর্মীরা। তানভীরকে রাস্তায় ফেলে ইচ্ছামতো পেটায়। তার অবস্থা গুরুতর।