alt

রাজনীতি

গ্রহণযোগ্য নির্বাচন : ইইউ ‘আশ্বস্ত’, ‘বিশ্বাস’ সিইসির

ফয়েজ আহমেদ তুষার : বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩

বৈঠকের পর সিইসি ও ইইউ প্রতিনিধি দলের প্রধান সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন

বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর ভোট বর্জনের ডাকের মধ্যে ‘গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক’ নির্বাচনের প্রত্যাশার কথা আবারও নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এ ক্ষেত্রে কমিশনের ‘সর্বোচ্চ পর্যায়ের চেষ্টা’ এবং ‘সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতার’ কথা শুনে ইইউ প্রতিনিধিরা আশ্বস্ত হয়েছেন বলে ধারণার পাশপাশি বিশ্বাসও করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁয়ে নির্বাচন ভবনে যান ঢাকায় ইইউভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতরা। বেলা তিনটায় শুরু হওয়া দুই পক্ষে বৈঠক চলে দেড় ঘণ্টার বেশি। বৈঠকে ঢাকায় ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির নেতৃত্বে সুইডেন, স্পেন, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, ফ্রান্স ও জার্মানির মিশন প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে ইইউ রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা একটি গণতান্ত্রিক, বিশ্বাসযোগ্য, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখার অপেক্ষায় আছি।’

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ‘বাইরের থাবা’র কথা দুদিন আগেই বলেছিলেন সিইসি। নির্বাচনের আগে মার্কিনিদের বিভিন্ন বিবৃতির আঙ্গিকে ‘আদেশ’, প্রতিক্রিয়ায় ‘পাল্টা হুমকি’ না দিতে পারার কথাও অকপটে স্বীকার করেছেন তিনি।

বুধবার ইইউ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সিইসিও সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

ইইউ প্রতিনিধিরা এর আগেও একাধিকবার এসেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এর মধ্যে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি আরও এগিয়ে গেছে। এবার যারা এলেন, তারা তো জানেন না, আমাদের কী কী অগ্রগতি হয়েছে... তা জানিয়েছি।’ ইইউ প্রতিনিধিরা যে গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রত্যাশার কথা বলেছে, সেটা সিইসিও জানান।

তবে বিরোধীদের ভোট বর্জনের আহ্বান, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন, তফসিল পুনঃনির্ধারণ নিয়ে যে গুঞ্জন, এসব নিয়ে কোনো প্রশ্নে নেয়নি ইসি বা ইইউ।

আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রণের তারিখ রেখে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন যে তফসিল ঘোষণা করেছে, তাতে মনোনয়নপত্র জমার সময় শেষ হচ্ছে আজ। তফসিল প্রত্যাখ্যান করে মঙ্গলবার ও সাপ্তাহিক ছুটির দুটি দিন বিরতি রেখে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো টানা অবরোধ ও হরতাল চালিয়ে যাচ্ছে। কয়েকটি রাজনৈতিক দল তফসিল পেছানোর দাবি তুলেছে।

‘বিএনপি ভোটে এলে আইন অনুযয়ী তফসিল পেছানোর সুযোগ আছে’, এমনটা একাধিক নির্বাচন কমিশনারও বলেছেন।

তবে ক্ষমতাসিন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা তফসিল পেছানোর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তাদের মতে, বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে চাইলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আসা উচিত। তারা বলছেন, ‘একটি দলের জন্য নির্বাচন পেছানোর কোনো অর্থ নেই। সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত রাখতে হলে কমিশন ঘোষিত তফসিলেই সবাইকে নির্বাচনে আসতে হবে।’

কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেন, ‘নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে আমরা সামগ্রিক বিষয় জেনেছি। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অংশীদার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচনের খুঁটিনাটি জানতে পেরে আমরা আনন্দিত। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও তার দল খোলামেলা আলোচনায় অংশ নিয়েছেন।’

সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, ‘সহসাই তাদের একটা এক্সপার্ট ইলেকশন টিম আসবে জানিয়েছেন। ইতোমধ্যে তাদের চার জনের এক্সপার্ট (ইলেকশন অবজারভার টিম) এসে গেছেন। তারা দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে জেনেছেন।’

বুধবারের বৈঠক প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘আমরা আগের মতোই স্পষ্ট করে বলেছি, ফ্রি, ফেয়ার, পিসফুল অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন যাতে হয় সেটা নিশ্চিত করতে আমরা সর্বোচ্চ পর্যায়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা তাদের (ইইউ রাষ্ট্রদূত) জানিয়েছি- আমাদের নির্বাচন কমিশনাররা দুই সপ্তাহ ধরে জেলা, বিভাগীয় পর্যায়ে গেছেন। তারা প্রশাসন, জনগণকে এই বিষয়গুলো অবহিত করছেন, যাতে প্রশাসন স্থানীয়ভাবে তাদের সব শক্তিতে সমন্বিত করে; যাতে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনটা নিশ্চিত হয়।’

হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘তারা আমাদের বক্তব্যে যতদূর বুঝেছি সন্তুষ্ট হয়েছেন। একটা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন করতে আমরা আইনত ও সাংবিধানিকভাবে বাধ্য, সেটা আমরা খুব স্পষ্ট করে তাদের বুঝিয়েছি। আমার বিশ্বাস আমাদের এ সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতা তারা বুঝতে পেরেছেন।’

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিরোধীদের যে আন্দোলন সেই প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘আমরা বলেছি- রাজনৈতিক অঙ্গনে যদি কোনো মতবিরোধ, বিভেদ, বিভাজন থাকে, সেখানে কোনোভাবেই আমরা হস্তক্ষেপ করতে পারি না। আমরা নিজেদের সেখানে এনগেজ করতে পারি না।’

সিইসি ছাড়াও নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, মো. আনিছুর রহমান এবং ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বৈঠকে অংশ নেন।

বিরোধী জোটের আন্দোলনের মধ্যে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে গত জুলাইয়ে ইইউর একটি প্রাক-নির্বাচনী অনুসন্ধানী দল বাংলাদেশে আসে। দলটি নির্বাচন কমিশনসহ অংশীজনের সঙ্গে বৈঠকও করে।

কারফিউ প্রত্যাহার করুন, সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে নিন : ফখরুল

‘নিষ্ক্রিয়, ব্যর্থদের তালিকা যেন সঠিক হয়’-দাবি আ’লীগ তৃণমূলের

ছবি

খোঁজখবর নিচ্ছি, সত্য বেরিয়ে আসবে : কাদের

পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে : কাদের

‘আপনারা ফেইল করেছেন’, রংপুরে দলীয় নেতাকর্মীদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষ ২০ নেতাসহ গ্রেপ্তার ১৭৫৮ : পুলিশ

ছবি

বিএনপি কার্যালয়ে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় সাতজনের রিমান্ড মঞ্জুর

ছবি

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে বিএনপি জড়িত নয় : মির্জা ফখরুল

ছবি

নয়া পল্টনে বিএনপি অফিসে তালা, চারপাশে পুলিশের অবস্থান

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা কারো শেখানো বুলি বলছেন : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি

দুই দফা বৈঠক করেও আন্দোলনের দিনক্ষণ নির্ধারণ করতে পারেনি বিএনপির হাইকমান্ড

ছবি

যৌক্তিক দাবি কখনোই উপেক্ষিত হয়নি: ওবায়দুল কাদের

ছবি

জঙ্গীবাদ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যাবে গণতন্ত্রী পার্টি: ডা. শাহাদাত

ছবি

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কোন ষড়যন্ত্রই বরদাশত করা হবে নাঃ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

ছবি

শেখ হাসিনা চীন হতে শূন্য হাতে ফিরেছেন : রিজভী

ছবি

কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের দাবি ও বক্তব্য সংবিধান ও রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির বিরোধী: ওবায়দুল কাদের

ছবি

ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা

ছবি

স্বাধীনতাবিরোধীরা এ আন্দোলনের সঙ্গে মিশে গেছে বলে আমি আপনি সবাই বুঝে গেছি : আিইনমন্ত্রী

ছবি

কোটা সংস্কারের নামে বিএনপি জামায়াতের সন্তানেরা মাঠে নেমেছে - মাইনুল হোসেন নিখিল

ছবি

সরকার মেধাবী জাতি গঠনে অনাগ্রহী: আমির খসরু

ছয় বছর আগের মামলায় ছয় যুবদল নেতার কারাদণ্ড

ছবি

জবি : অভিযুক্তদের প্রটোকলেই ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের তদন্ত কমিটি

ছবি

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে বললেন ওবায়দুল কাদের

ছবি

জবি ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীমের চাঁদাবাজির মামলা তদন্তে সিআইডি, প্রতিবেদন ২২ জুলাই

ছবি

কোটার সিদ্ধান্ত সরকারের নয়, আদালতের: ওবায়দুল কাদের

ছবি

রাজধানীতে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত ১

ছবি

প্রশ্নফাঁস ও টেন্ডার বাণিজ্যের অভিযোগ : জবি শাখার বিরুদ্ধে কাল তদন্তে নামছে কেন্দ্রীয় তদন্ত কমিটি

ছবি

কোটা এবং পেনশনবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির সমর্থন আছে: ফখরুল

ছবি

এখন কারো গায়ে চুলকায়, কারো অন্তরে জ্বালা: কাদের

ছবি

দেশের পক্ষে কথা বলার কোনও সরকার এখানে নেই : গণতন্ত্র মঞ্চ

ছবি

প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ, জবি শাখার তদন্তে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ

ছবি

অচল হয়ে পড়েছে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো

ছবি

কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে জাবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

ছবি

যারা সহিংসতাকে উস্কে দেবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ: কাদের

ছবি

অবস্থান কর্মসূচির ডাক দিয়ে শাহবাগ ছেড়েছে বিক্ষোভকারীরা

ছবি

"জাহাঙ্গীর আলমকে ছাড়া গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি ঘোষণা"

tab

রাজনীতি

গ্রহণযোগ্য নির্বাচন : ইইউ ‘আশ্বস্ত’, ‘বিশ্বাস’ সিইসির

ফয়েজ আহমেদ তুষার

বৈঠকের পর সিইসি ও ইইউ প্রতিনিধি দলের প্রধান সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন

বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩

বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর ভোট বর্জনের ডাকের মধ্যে ‘গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক’ নির্বাচনের প্রত্যাশার কথা আবারও নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এ ক্ষেত্রে কমিশনের ‘সর্বোচ্চ পর্যায়ের চেষ্টা’ এবং ‘সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতার’ কথা শুনে ইইউ প্রতিনিধিরা আশ্বস্ত হয়েছেন বলে ধারণার পাশপাশি বিশ্বাসও করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁয়ে নির্বাচন ভবনে যান ঢাকায় ইইউভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতরা। বেলা তিনটায় শুরু হওয়া দুই পক্ষে বৈঠক চলে দেড় ঘণ্টার বেশি। বৈঠকে ঢাকায় ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির নেতৃত্বে সুইডেন, স্পেন, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, ফ্রান্স ও জার্মানির মিশন প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে ইইউ রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা একটি গণতান্ত্রিক, বিশ্বাসযোগ্য, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখার অপেক্ষায় আছি।’

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ‘বাইরের থাবা’র কথা দুদিন আগেই বলেছিলেন সিইসি। নির্বাচনের আগে মার্কিনিদের বিভিন্ন বিবৃতির আঙ্গিকে ‘আদেশ’, প্রতিক্রিয়ায় ‘পাল্টা হুমকি’ না দিতে পারার কথাও অকপটে স্বীকার করেছেন তিনি।

বুধবার ইইউ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সিইসিও সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

ইইউ প্রতিনিধিরা এর আগেও একাধিকবার এসেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এর মধ্যে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি আরও এগিয়ে গেছে। এবার যারা এলেন, তারা তো জানেন না, আমাদের কী কী অগ্রগতি হয়েছে... তা জানিয়েছি।’ ইইউ প্রতিনিধিরা যে গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রত্যাশার কথা বলেছে, সেটা সিইসিও জানান।

তবে বিরোধীদের ভোট বর্জনের আহ্বান, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন, তফসিল পুনঃনির্ধারণ নিয়ে যে গুঞ্জন, এসব নিয়ে কোনো প্রশ্নে নেয়নি ইসি বা ইইউ।

আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রণের তারিখ রেখে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন যে তফসিল ঘোষণা করেছে, তাতে মনোনয়নপত্র জমার সময় শেষ হচ্ছে আজ। তফসিল প্রত্যাখ্যান করে মঙ্গলবার ও সাপ্তাহিক ছুটির দুটি দিন বিরতি রেখে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো টানা অবরোধ ও হরতাল চালিয়ে যাচ্ছে। কয়েকটি রাজনৈতিক দল তফসিল পেছানোর দাবি তুলেছে।

‘বিএনপি ভোটে এলে আইন অনুযয়ী তফসিল পেছানোর সুযোগ আছে’, এমনটা একাধিক নির্বাচন কমিশনারও বলেছেন।

তবে ক্ষমতাসিন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা তফসিল পেছানোর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তাদের মতে, বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে চাইলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আসা উচিত। তারা বলছেন, ‘একটি দলের জন্য নির্বাচন পেছানোর কোনো অর্থ নেই। সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত রাখতে হলে কমিশন ঘোষিত তফসিলেই সবাইকে নির্বাচনে আসতে হবে।’

কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেন, ‘নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে আমরা সামগ্রিক বিষয় জেনেছি। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অংশীদার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচনের খুঁটিনাটি জানতে পেরে আমরা আনন্দিত। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও তার দল খোলামেলা আলোচনায় অংশ নিয়েছেন।’

সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, ‘সহসাই তাদের একটা এক্সপার্ট ইলেকশন টিম আসবে জানিয়েছেন। ইতোমধ্যে তাদের চার জনের এক্সপার্ট (ইলেকশন অবজারভার টিম) এসে গেছেন। তারা দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে জেনেছেন।’

বুধবারের বৈঠক প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘আমরা আগের মতোই স্পষ্ট করে বলেছি, ফ্রি, ফেয়ার, পিসফুল অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন যাতে হয় সেটা নিশ্চিত করতে আমরা সর্বোচ্চ পর্যায়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা তাদের (ইইউ রাষ্ট্রদূত) জানিয়েছি- আমাদের নির্বাচন কমিশনাররা দুই সপ্তাহ ধরে জেলা, বিভাগীয় পর্যায়ে গেছেন। তারা প্রশাসন, জনগণকে এই বিষয়গুলো অবহিত করছেন, যাতে প্রশাসন স্থানীয়ভাবে তাদের সব শক্তিতে সমন্বিত করে; যাতে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনটা নিশ্চিত হয়।’

হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘তারা আমাদের বক্তব্যে যতদূর বুঝেছি সন্তুষ্ট হয়েছেন। একটা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন করতে আমরা আইনত ও সাংবিধানিকভাবে বাধ্য, সেটা আমরা খুব স্পষ্ট করে তাদের বুঝিয়েছি। আমার বিশ্বাস আমাদের এ সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতা তারা বুঝতে পেরেছেন।’

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিরোধীদের যে আন্দোলন সেই প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘আমরা বলেছি- রাজনৈতিক অঙ্গনে যদি কোনো মতবিরোধ, বিভেদ, বিভাজন থাকে, সেখানে কোনোভাবেই আমরা হস্তক্ষেপ করতে পারি না। আমরা নিজেদের সেখানে এনগেজ করতে পারি না।’

সিইসি ছাড়াও নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, মো. আনিছুর রহমান এবং ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বৈঠকে অংশ নেন।

বিরোধী জোটের আন্দোলনের মধ্যে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে গত জুলাইয়ে ইইউর একটি প্রাক-নির্বাচনী অনুসন্ধানী দল বাংলাদেশে আসে। দলটি নির্বাচন কমিশনসহ অংশীজনের সঙ্গে বৈঠকও করে।

back to top