সিলেট-২ আসনের গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। রোববার ( ৩ ডিসেম্বর) যাচাই-বাছাইকালে বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনে মোকাব্বিরের মনোনয়নপত্রটি বাতিল করা হয়।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান জানান মোকাব্বির খানের মনোনয়নপত্র বাতিল প্রসঙ্গে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, প্রার্থী মোকাব্বির খান গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি হিসেবে তার মনোনয়নপত্রে নিজেই সই করেন। কিন্তু তিনি যে দলের নির্বাহী সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন তার কোনো প্রমাণ রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে উপস্থাপন করতে পারেননি। যে কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
নিজের প্রার্থিতার বিষয়ে সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান রাতে সাংবাদিকদের বলেন, আমি ঢাকাতে আসছি মাত্র, এটি সমাধান হয়ে যাবে।
মোকাব্বির খান ২০১৮ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যজোট থেকে গণফোরামের প্রার্থী হিসেবে উদীয়মান সূর্য প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এই আসনে মোকাব্বির খান ছাড়া আরও ছয়জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমানের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
সিলেট-২ আসনে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া অন্যরা হলেন- তৃণমূল বিএনপির মো. আব্দুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. জহির, স্বতন্ত্র প্রার্থী ইকবাল হোসেন ও মোশাহিদ আলী।
এই আসনে মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা হয়েছে- আওয়ামী লীগের শফিকুর রহমান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির ইয়াহইয়া চৌধুরী, তৃণমূল বিএনপির মো. আবদুল মান্নান খান, জাকের পার্টির মো. ছায়েদ মিয়া ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আলতাফুর রহমান সোহেল।
সিলেট জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সিলেটের ছয়টি আসনে ৪৭ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। বাছাইয়ে ১৪ জন বাদ পড়েছেন এবং ৩১ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষিত হয়েছে।
এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইয়াহইয়া চৌধুরী আয়কর রিটার্নের কাগজ জমা না দেওয়ায় সকালে তার মনোনয়নপত্র স্থগিত করা হয়। পরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উপস্থাপন করলে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন।
এছাড়া আসনটিতে মনোনয়ন স্থগিত করা হয়েছে জাতীয় পার্টির মাহবুবুর রহমান চৌধুরী ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. মনোয়ার হোসেনের। আর দুই প্রার্থীর মনোনয়ন স্থগিত রাখা হয়েছে। তাদের বিষয়ে সোমবার দুপুর ১২টায় সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
এর মধ্যে সিলেট-১ আসনে বৈধ ৫, স্থগিত ১, বাতিল ১; সিলেট-২ আসনে বৈধ ৬, বাতিল ৮; সিলেট-৩ আসনে বৈধ ৪, বাতিল ৪; সিলেট-৪ আসনে বৈধ ৩, বাতিল ১; সিলেট-৫ আসনে বৈধ ৮, স্থগিত ১ আর সিলেট-৬ আসনের সবার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা হয়েছে।
সিলেট-১ (সিসি করপোরেশন-সদর উপজেলা) আসন: মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা হয়েছে আওয়ামী লীগের এ কে আবদুল মোমেন, জাকের পার্টির মো. আবদুল হান্নান, ইসলামী ঐক্যজোটের ফয়জুল হক, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. সোহেল আহমদ চৌধুরী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ।
বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের প্রার্থী আবদুল বাছিতের মনোনয়নপত্র বাতিল ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ইউসুফ আহমদের মনোনয়ন স্থগিত করা হয়েছে।
সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা-বালাগঞ্জ-ফেঞ্চুগঞ্জ) আসন: মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা হয়েছে আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান হাবিব, জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান আতিক, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) আনোয়ারা হোসেন আফরোজ, ইসলামী ফ্রন্টের শেখ জাহেদুর রহমান মাসুম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কফিল আহমদ চৌধুরীর।
আর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএমএর মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল, মো. ফখরুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোটের মো. মইনুল ইসলাম।
সিলেট-৪ (কোম্পনীগঞ্জ-গোয়াইনঘাট-জৈন্তাপুর) আসন: মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা হয়েছে আওয়ামী লীগের ইমরান আহমদ, ইসলামী ঐক্যজোটের মো. নাজিম উদ্দিন কামরান, জাকের পার্টির মো. আলী আকবরের।
আর স্থগিত হয়েছে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী মো. আবুল হোসেনের।
সিলেট-৫ (কানাইঘাট-জকিগঞ্জ) আসন: মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে আওয়ামী লীগের মাসুক উদ্দিন আহমদ, জাতীয় পার্টির শাব্বীর আহমদ, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মো. খায়রুল ইসলাম, তৃণমূল বিএনপির কুতুব উদ্দিন শিকদার, স্বতন্ত্র প্রার্থী আঞ্জুমানে আল ইসলাহর সভাপতি মোহাম্মদ হুছামুদ্দিন চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আহমদ আল কবীর ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. বদরুল আলমের।
মনোনয়নপত্র স্থগিত হয়েছে তৃণমূল বিএনপির কয়ছর আহমদ কাওসারের।
সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ) আসন: সবার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই আসনের প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের নুরুল ইসলাম নাহিদ, জাতীয় পার্টির সেলিম উদ্দিন, তৃণমূল বিএনপির শমসের মবিন চৌধুরী, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের আতাউর রহমান, ইসলামী ঐক্যজোটের সাদিকুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী সরওয়ার হোসেন।
রোববার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩
সিলেট-২ আসনের গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। রোববার ( ৩ ডিসেম্বর) যাচাই-বাছাইকালে বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনে মোকাব্বিরের মনোনয়নপত্রটি বাতিল করা হয়।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান জানান মোকাব্বির খানের মনোনয়নপত্র বাতিল প্রসঙ্গে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, প্রার্থী মোকাব্বির খান গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি হিসেবে তার মনোনয়নপত্রে নিজেই সই করেন। কিন্তু তিনি যে দলের নির্বাহী সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন তার কোনো প্রমাণ রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে উপস্থাপন করতে পারেননি। যে কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
নিজের প্রার্থিতার বিষয়ে সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান রাতে সাংবাদিকদের বলেন, আমি ঢাকাতে আসছি মাত্র, এটি সমাধান হয়ে যাবে।
মোকাব্বির খান ২০১৮ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যজোট থেকে গণফোরামের প্রার্থী হিসেবে উদীয়মান সূর্য প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এই আসনে মোকাব্বির খান ছাড়া আরও ছয়জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমানের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
সিলেট-২ আসনে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া অন্যরা হলেন- তৃণমূল বিএনপির মো. আব্দুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. জহির, স্বতন্ত্র প্রার্থী ইকবাল হোসেন ও মোশাহিদ আলী।
এই আসনে মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা হয়েছে- আওয়ামী লীগের শফিকুর রহমান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির ইয়াহইয়া চৌধুরী, তৃণমূল বিএনপির মো. আবদুল মান্নান খান, জাকের পার্টির মো. ছায়েদ মিয়া ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আলতাফুর রহমান সোহেল।
সিলেট জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সিলেটের ছয়টি আসনে ৪৭ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। বাছাইয়ে ১৪ জন বাদ পড়েছেন এবং ৩১ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষিত হয়েছে।
এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইয়াহইয়া চৌধুরী আয়কর রিটার্নের কাগজ জমা না দেওয়ায় সকালে তার মনোনয়নপত্র স্থগিত করা হয়। পরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উপস্থাপন করলে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন।
এছাড়া আসনটিতে মনোনয়ন স্থগিত করা হয়েছে জাতীয় পার্টির মাহবুবুর রহমান চৌধুরী ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. মনোয়ার হোসেনের। আর দুই প্রার্থীর মনোনয়ন স্থগিত রাখা হয়েছে। তাদের বিষয়ে সোমবার দুপুর ১২টায় সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
এর মধ্যে সিলেট-১ আসনে বৈধ ৫, স্থগিত ১, বাতিল ১; সিলেট-২ আসনে বৈধ ৬, বাতিল ৮; সিলেট-৩ আসনে বৈধ ৪, বাতিল ৪; সিলেট-৪ আসনে বৈধ ৩, বাতিল ১; সিলেট-৫ আসনে বৈধ ৮, স্থগিত ১ আর সিলেট-৬ আসনের সবার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা হয়েছে।
সিলেট-১ (সিসি করপোরেশন-সদর উপজেলা) আসন: মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা হয়েছে আওয়ামী লীগের এ কে আবদুল মোমেন, জাকের পার্টির মো. আবদুল হান্নান, ইসলামী ঐক্যজোটের ফয়জুল হক, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. সোহেল আহমদ চৌধুরী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ।
বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের প্রার্থী আবদুল বাছিতের মনোনয়নপত্র বাতিল ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ইউসুফ আহমদের মনোনয়ন স্থগিত করা হয়েছে।
সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা-বালাগঞ্জ-ফেঞ্চুগঞ্জ) আসন: মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা হয়েছে আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান হাবিব, জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান আতিক, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) আনোয়ারা হোসেন আফরোজ, ইসলামী ফ্রন্টের শেখ জাহেদুর রহমান মাসুম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কফিল আহমদ চৌধুরীর।
আর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএমএর মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল, মো. ফখরুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোটের মো. মইনুল ইসলাম।
সিলেট-৪ (কোম্পনীগঞ্জ-গোয়াইনঘাট-জৈন্তাপুর) আসন: মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা হয়েছে আওয়ামী লীগের ইমরান আহমদ, ইসলামী ঐক্যজোটের মো. নাজিম উদ্দিন কামরান, জাকের পার্টির মো. আলী আকবরের।
আর স্থগিত হয়েছে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী মো. আবুল হোসেনের।
সিলেট-৫ (কানাইঘাট-জকিগঞ্জ) আসন: মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে আওয়ামী লীগের মাসুক উদ্দিন আহমদ, জাতীয় পার্টির শাব্বীর আহমদ, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মো. খায়রুল ইসলাম, তৃণমূল বিএনপির কুতুব উদ্দিন শিকদার, স্বতন্ত্র প্রার্থী আঞ্জুমানে আল ইসলাহর সভাপতি মোহাম্মদ হুছামুদ্দিন চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আহমদ আল কবীর ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. বদরুল আলমের।
মনোনয়নপত্র স্থগিত হয়েছে তৃণমূল বিএনপির কয়ছর আহমদ কাওসারের।
সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ) আসন: সবার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই আসনের প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের নুরুল ইসলাম নাহিদ, জাতীয় পার্টির সেলিম উদ্দিন, তৃণমূল বিএনপির শমসের মবিন চৌধুরী, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের আতাউর রহমান, ইসলামী ঐক্যজোটের সাদিকুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী সরওয়ার হোসেন।