আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ঝালকাঠি-১ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার মুহাম্মদ শাহজাহান ওমর একই মঞ্চে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের নিয়ে সমাবেশ করেছেন। কাঁঠালিয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত ওই সমাবেশে বন্দুক হাতে এক বিএনপি নেতাকেও দেখা গেছে।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বন্দুকধারী ওই ব্যক্তির নাম আব্দুল জলিল মিয়াজী। তিনি কাঠালিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধিতে বলা হয়েছে, কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা এর মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাঁদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি ভোট গ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিনের তিন সপ্তাহ সময়ের আগে কোনো প্রকার নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে পারবেন না। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে আগামী ৭ জানুয়ারি।
এ ছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচন আচরণবিধিমালার ১১(ঘ) ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে, কমিশনের অনুমোদন ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তি অস্ত্র বহন করতে পারবেন না।
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন মুহাম্মদ শাহজাহান ওমর। সম্প্রতি তিনি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। পরে ঝালকাঠি-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। আজ সমাবেশ শুরুর আগে বিএনপির নেতা-কর্মীদের নিয়ে আওয়ামী লীগের এ সমাবেশে উপস্থিত হন শাহজাহান ওমর। সমাবেশে শাহজাহান ওমর কাঠালিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন।
এ সময় সমাবেশে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. গোলাম কিবরিয়া সিকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল বসার বাদশা, শৌলজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মো. মাহমুদ হোসেনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন কবির বলেছেন, বন্দুকটি আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাহজাহান ওমরের লাইসেন্সকৃত। তিনি বক্তব্য রাখার সময় পাশে বসে থাকা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আ. জলিল মিয়াজীর কাছে রাখেন।
সমাবেশে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল জলিল মিয়াজী ও সম্পাদক জাকির হোসেন কবিরের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের পরিচয় করিয়ে দেন শাহজাহান ওমর। বিএনপির এই দুই নেতা ছাড়াও সমাবেশে আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
শাহজাহান ওমর বলেন, কাঁঠালিয়া আওয়ামী লীগে কোনো গ্রুপিং থাকতে পারবে না। এখানে তরুণ লীগ, কিবরিয়ালীগ, বুড়ালীগ ও বাচ্চা লীগ থাকতে পারবে না। এখানে থাকবে শুধু শেখ হাসিনা গ্রুপ।
নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কাঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নেছার উদ্দিন জানিয়েছেন, শাহজাহান ওমর সমাবেশের জন্য অনুমতি নেননি। তিনি বলেন, আমরা শুনেছি তিনি সমাবেশ করেছেন। এ বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩
আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ঝালকাঠি-১ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার মুহাম্মদ শাহজাহান ওমর একই মঞ্চে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের নিয়ে সমাবেশ করেছেন। কাঁঠালিয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত ওই সমাবেশে বন্দুক হাতে এক বিএনপি নেতাকেও দেখা গেছে।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বন্দুকধারী ওই ব্যক্তির নাম আব্দুল জলিল মিয়াজী। তিনি কাঠালিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধিতে বলা হয়েছে, কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা এর মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাঁদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি ভোট গ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিনের তিন সপ্তাহ সময়ের আগে কোনো প্রকার নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে পারবেন না। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে আগামী ৭ জানুয়ারি।
এ ছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচন আচরণবিধিমালার ১১(ঘ) ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে, কমিশনের অনুমোদন ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তি অস্ত্র বহন করতে পারবেন না।
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন মুহাম্মদ শাহজাহান ওমর। সম্প্রতি তিনি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। পরে ঝালকাঠি-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। আজ সমাবেশ শুরুর আগে বিএনপির নেতা-কর্মীদের নিয়ে আওয়ামী লীগের এ সমাবেশে উপস্থিত হন শাহজাহান ওমর। সমাবেশে শাহজাহান ওমর কাঠালিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন।
এ সময় সমাবেশে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. গোলাম কিবরিয়া সিকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল বসার বাদশা, শৌলজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মো. মাহমুদ হোসেনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন কবির বলেছেন, বন্দুকটি আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাহজাহান ওমরের লাইসেন্সকৃত। তিনি বক্তব্য রাখার সময় পাশে বসে থাকা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আ. জলিল মিয়াজীর কাছে রাখেন।
সমাবেশে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল জলিল মিয়াজী ও সম্পাদক জাকির হোসেন কবিরের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের পরিচয় করিয়ে দেন শাহজাহান ওমর। বিএনপির এই দুই নেতা ছাড়াও সমাবেশে আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
শাহজাহান ওমর বলেন, কাঁঠালিয়া আওয়ামী লীগে কোনো গ্রুপিং থাকতে পারবে না। এখানে তরুণ লীগ, কিবরিয়ালীগ, বুড়ালীগ ও বাচ্চা লীগ থাকতে পারবে না। এখানে থাকবে শুধু শেখ হাসিনা গ্রুপ।
নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কাঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নেছার উদ্দিন জানিয়েছেন, শাহজাহান ওমর সমাবেশের জন্য অনুমতি নেননি। তিনি বলেন, আমরা শুনেছি তিনি সমাবেশ করেছেন। এ বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।