বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের নামে বিএনপি ‘নাশকতার পরিকল্পনা করছে’ বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। নাশকতা প্রতিরোধে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনার দাবিতে আন্দোলনে থাকা বিএনপি ও সমমনা দলগুলো সাপ্তাহিক সরকারি ছুটির দুই দিন এবং মঙ্গলবার বিরতি রেখে টানা অবরোধ-হরতাল দিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে আজ বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে ঢাকাসহ দেশের অন্য জেলা সদরে ‘গুম-খুনের শিকার’ ব্যক্তিদের স্বজনদের নিয়ে মানববন্ধনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে হঠাৎ করে মানববন্ধন কর্মসূচির নামে নাশকতার পরিকল্পনা করছে। এই দেশে নির্বাচনের পক্ষের শক্তি যারা আছেন, তাদের অনুরোধ করব- তাদের এই নাশকতা, গুপ্তহত্যা, অগ্নিসন্ত্রাস প্রতিহত করবেন। আমাদের দলের নেতাকর্মীদেরও সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে, যেন বিএনপি কর্মসূচির নামে কোথাও কোনো নাশকতা করতে না পারে।’
নির্বাচনকে ঘিরে দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র চলছে মন্তব্য করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এসব নিয়ে আমরা বিচলিত নই। যেহেতু জাতিসংঘ থেকে কিছু কথা বলা হচ্ছে, জাতিসংঘ তো বিশ্বের সব দেশের। রাজনৈতিক অভিযোগের বিষয়টা তো জাতিসংঘের কাছেই যায়।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু কিছু চাপের ব্যাপার নিশ্চয়ই আছে, তা না হলে এত কিছু হলো কেন। বাংলাদেশে গত কয়েক মাস কত রকমের ঘটনা ঘটেছে। এই নিষেধাজ্ঞা আসলো, এই নিষেধাজ্ঞা আসলো- এসব তো ছিল।’
‘সরকার ভালো নির্বাচন করবে, কোনো সমস্যা হবে না। অহেতুক বাংলাদেশ সরকারকে যেন কেউ চাপ না দেয়’- জাতিসংঘকে দেয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রীর একে আবদুল মোমেনের এই বার্তার কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণের সব ধরনের সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগ কাজ করে যাচ্ছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, এবার যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ১৩ দেশের ৩৭ ব্যক্তির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণা ৭৫তম বার্ষিকীর প্রাক্কালে গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেয়। যে অপশক্তি নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্থ করে বা করার অপচেষ্টা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য অনুযায়ী এসব অপশক্তির বিরুদ্ধে তারা নিষেধাজ্ঞা দেয়।
অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট আয়োজনে শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সুতরাং নিষেধাজ্ঞার যৌক্তিক কোনো কারণ আমরা দেখছি না। বরং নির্বাচনকে যারা বাধাগ্রস্ত করবার জন্য সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে, জ্বালাও-পোড়াও, গুপ্ত হামলা করছে- এদের ওপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এদেশে মানবাধিকারের ইতিহাস বড়ই ট্র্যাজিক। পনেরই আগস্টে সপরিবারে অবলা নারী, অবুঝ শিশু ও অন্তঃসত্ত্বা নারীকে... বর্বরোচিত যে হত্যাকান্ড, এ ব্যাপারে মানবাধিকার নিয়ে যারা কথা বলে তাদের অনেককেই দেখেছি নীরব। তাদের অনেকেই স্বৈরশাসকদের তাবেদারি করেছে, এরা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক সামসুন্নাহার চাঁপা, উপপ্রচার সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আওয়াল শামীমসহ কেন্দ্রীয় নেতারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের নামে বিএনপি ‘নাশকতার পরিকল্পনা করছে’ বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। নাশকতা প্রতিরোধে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনার দাবিতে আন্দোলনে থাকা বিএনপি ও সমমনা দলগুলো সাপ্তাহিক সরকারি ছুটির দুই দিন এবং মঙ্গলবার বিরতি রেখে টানা অবরোধ-হরতাল দিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে আজ বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে ঢাকাসহ দেশের অন্য জেলা সদরে ‘গুম-খুনের শিকার’ ব্যক্তিদের স্বজনদের নিয়ে মানববন্ধনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে হঠাৎ করে মানববন্ধন কর্মসূচির নামে নাশকতার পরিকল্পনা করছে। এই দেশে নির্বাচনের পক্ষের শক্তি যারা আছেন, তাদের অনুরোধ করব- তাদের এই নাশকতা, গুপ্তহত্যা, অগ্নিসন্ত্রাস প্রতিহত করবেন। আমাদের দলের নেতাকর্মীদেরও সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে, যেন বিএনপি কর্মসূচির নামে কোথাও কোনো নাশকতা করতে না পারে।’
নির্বাচনকে ঘিরে দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র চলছে মন্তব্য করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এসব নিয়ে আমরা বিচলিত নই। যেহেতু জাতিসংঘ থেকে কিছু কথা বলা হচ্ছে, জাতিসংঘ তো বিশ্বের সব দেশের। রাজনৈতিক অভিযোগের বিষয়টা তো জাতিসংঘের কাছেই যায়।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু কিছু চাপের ব্যাপার নিশ্চয়ই আছে, তা না হলে এত কিছু হলো কেন। বাংলাদেশে গত কয়েক মাস কত রকমের ঘটনা ঘটেছে। এই নিষেধাজ্ঞা আসলো, এই নিষেধাজ্ঞা আসলো- এসব তো ছিল।’
‘সরকার ভালো নির্বাচন করবে, কোনো সমস্যা হবে না। অহেতুক বাংলাদেশ সরকারকে যেন কেউ চাপ না দেয়’- জাতিসংঘকে দেয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রীর একে আবদুল মোমেনের এই বার্তার কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণের সব ধরনের সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগ কাজ করে যাচ্ছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, এবার যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ১৩ দেশের ৩৭ ব্যক্তির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণা ৭৫তম বার্ষিকীর প্রাক্কালে গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেয়। যে অপশক্তি নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্থ করে বা করার অপচেষ্টা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য অনুযায়ী এসব অপশক্তির বিরুদ্ধে তারা নিষেধাজ্ঞা দেয়।
অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট আয়োজনে শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সুতরাং নিষেধাজ্ঞার যৌক্তিক কোনো কারণ আমরা দেখছি না। বরং নির্বাচনকে যারা বাধাগ্রস্ত করবার জন্য সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে, জ্বালাও-পোড়াও, গুপ্ত হামলা করছে- এদের ওপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এদেশে মানবাধিকারের ইতিহাস বড়ই ট্র্যাজিক। পনেরই আগস্টে সপরিবারে অবলা নারী, অবুঝ শিশু ও অন্তঃসত্ত্বা নারীকে... বর্বরোচিত যে হত্যাকান্ড, এ ব্যাপারে মানবাধিকার নিয়ে যারা কথা বলে তাদের অনেককেই দেখেছি নীরব। তাদের অনেকেই স্বৈরশাসকদের তাবেদারি করেছে, এরা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক সামসুন্নাহার চাঁপা, উপপ্রচার সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আওয়াল শামীমসহ কেন্দ্রীয় নেতারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।