একপক্ষীয় নির্বাচন করে সরকারই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে: মির্জা ফখরুল # আন্দোলন অব্যাহত রাখার কথা বললেন খসরু # সকাল থেকেই কারাফটকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অপেক্ষমান ছিলেন # ফুল দিয়ে বরণ করে নেন নেতাকর্মী সমর্থক ও স্বজনরা
গ্রেপ্তার হওয়ার সাড়ে তিন মাস পর জামিনে মুক্তি পেলেন বিএনপি মহাসচিবসহ তিন কেন্দ্রিয় নেতা। এরমধ্যে রয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি।
গতকাল বৃহস্পতিবার কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে মুক্তি পান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এরআগে বেলা পৌনে দুইটার দিকে দলের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে তাদের প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট প্রত্যাহার করা হয়। কারাগারে জামিননামা ও প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট প্রত্যাহারের আবেদন পৌঁছলে তা যাচাই-বাছাই করে তাদের কারাগার থেকে ছেড়ে দেয় কারা কর্তৃপক্ষ।
এবিষয়ে গতকাল দুপুরে আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বলেন, সব মামলায় তাদের প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ফখরুল ও খসরুর মুক্তি পাওয়ার খবর পেয়ে সকাল থেকেই কারাফটকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অপেক্ষমান ছিলেন। এই নেতারা বেরিয়ে আসার পর তাদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন দলটির নেতাকর্মী সমর্থক ও পরিবারের স্বজনরা।
মুক্তি পাওয়ার পর নেতা-কর্মীরা ফুল ছিটিয়ে মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুকে শুভেচ্ছা জানান। কারাগার থেকে বেরিয়েই ‘ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার’ আন্দোলন অব্যাহত রাখার কথা বললেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, নেতা-কর্মীদের হতাশার কিছু নেই। ৭ জানুয়ারির একপক্ষীয় নির্বাচন করে সরকারই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিএনপির কোনো ক্ষতি হয়নি। এ সময় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীও বলেন, তাঁরা তাঁদের আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
কারাগার থেকে বেরিয়ে একটি সাদা গাড়িতে করে তার গুলশানের বাসার উদ্দেশে রওনা হন মির্জা ফখরুল। নেতাকর্মীরা এ সময় গোলাপের পাপড়ি ছিটিয়ে দেন তার গাড়িতে। তিনিও ছাদখোলা ওই গাড়িতে দাঁড়িয়ে নেতাকর্মীদের অভিনন্দনের জবাব দেন। মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী রাহাত আরা বেগম।
২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ শুরুর আগেই কাকরাইলে দুপুর থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষ পরে বিজয়নগর পানির ট্যাংক ও শান্তিনগর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বেলা ৩টার দিকে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্য ও যুবদলের ওয়ার্ড পর্যায়ের এক নেতা নিহত হন। আহত হন পুলিশের ৪১ ও আনসারের ২৫ সদস্য। এছাড়া কমপক্ষে ২০ জন সাংবাদিক আহত হন।
এ ঘটনার পর গুলশানের নিজ বাসা থেকে মির্জা ফখরুলকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এরপর তাকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় আদালতে হাজির করা হলে আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর সংঘর্ষ ও সহিংসতাকে কেন্দ্র করে তার বিরুদ্ধে ১১টি মামলা হয়। এই ১১ মামলার মধ্যে সর্বশেষ গত ১৭ জানুয়ারি রাজধানীর পল্টন থানায় হওয়া একটি মামলায় জামিন পান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর আগে ১০ জানুয়ারি ঢাকার সিএমএম আদালত থেকে ৯ মামলায় জামিন পান মির্জা ফখরুল। অর্থাৎ ১১ মামলার মধ্যে ১০ মামলায় তিনি জামিন পান আগেই। আর প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় বুধবার তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। গত ২৯ অক্টোবর গ্রেপ্তারের পর থেকে সাড়ে তিন মাস সময় ধরে কারাগারে ছিলেন মির্জা ফখরুল।
একই ঘটনায় করা মামলায় কারাগারে ছিলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীও। পুলিশ সদস্য হত্যা মামলায় আমীর খসরুকে গত ২ নভেম্বর রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তার বিরুদ্ধেও ১০টি মামলা হয়। এরমধ্যে ৯টি মামলায় তিনি আগেই জামিন পান। বুধবার তিনিও প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় জামিন পান। জামিনের কপি ও প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট প্রত্যাহারের চিঠি পৌছলে কেরানীগঞ্জের কারা কর্তৃপক্ষ তাকে মুক্তি দেন। ফলে দলটির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ১০৫ দিন পর গতকাল বিকাল পৌনে ৪টায় অবশেষে কারামুক্ত হন।
আমির খসরু কারাগার থেকে বেরিয়ে একটি কালো পাজেরো গাড়িতে করে বাসার উদ্দেশে রওনা হন। এ সময় তিনি ছাদখোলা গাড়িতে দাঁড়িয়ে নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছার জবাব দেন। নেতাকর্মীরা তাকে উদ্দেশ্য করে গোলাপের পাঁপড়ি ছিটিয়ে দেন। এ সময় আমির খসরুর সঙ্গে ছিলেন ছেলে ইসরাফিল।
২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় ২ নভেম্বর রাত ১টার দিকে গুলশানের একটি বাসা থেকে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আটক করে ডিবি। পরদিন ৩ নভেম্বর সমাবেশ চলাকালে সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহতের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। মামলায় তার ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ৯ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
বুধবার প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরুকে জামিন দেন আদালত।
এরআগে বৃহস্পতিবার বেলা ১টা ৫০ মিনিটে কারামুক্ত হন শহীদ উদ্দীন চৌধুরী। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শায়রুল কবির খান বলেন, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী কাশিমপুর কারাগারে ছিলেন। বেলা দুইটার কিছু আগে তিনি কারাগার থেকে বের হন। তিনি ঢাকার বাসায় ফিরছেন। শহীদ উদ্দীন চৌধুরী বিএনপির মিডিয়া সেলেরও সদস্যসচিব।
বিএনপির মহাসাবেশকে কেন্দ্র করে সমাবেশের আগেই গত ১০ অক্টোবর গভীর রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার বাসা থেকে শহীদ উদ্দীন চৌধুরীকে আটক করে পুলিশ। পরে তাঁকে ধানমন্ডি থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
পরদিন ১১ অক্টোবর ধানমন্ডি থানার পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিএনপি নেতা শহীদ উদ্দীন চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুই মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল।
বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
একপক্ষীয় নির্বাচন করে সরকারই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে: মির্জা ফখরুল # আন্দোলন অব্যাহত রাখার কথা বললেন খসরু # সকাল থেকেই কারাফটকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অপেক্ষমান ছিলেন # ফুল দিয়ে বরণ করে নেন নেতাকর্মী সমর্থক ও স্বজনরা
গ্রেপ্তার হওয়ার সাড়ে তিন মাস পর জামিনে মুক্তি পেলেন বিএনপি মহাসচিবসহ তিন কেন্দ্রিয় নেতা। এরমধ্যে রয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি।
গতকাল বৃহস্পতিবার কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে মুক্তি পান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এরআগে বেলা পৌনে দুইটার দিকে দলের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে তাদের প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট প্রত্যাহার করা হয়। কারাগারে জামিননামা ও প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট প্রত্যাহারের আবেদন পৌঁছলে তা যাচাই-বাছাই করে তাদের কারাগার থেকে ছেড়ে দেয় কারা কর্তৃপক্ষ।
এবিষয়ে গতকাল দুপুরে আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বলেন, সব মামলায় তাদের প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ফখরুল ও খসরুর মুক্তি পাওয়ার খবর পেয়ে সকাল থেকেই কারাফটকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অপেক্ষমান ছিলেন। এই নেতারা বেরিয়ে আসার পর তাদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন দলটির নেতাকর্মী সমর্থক ও পরিবারের স্বজনরা।
মুক্তি পাওয়ার পর নেতা-কর্মীরা ফুল ছিটিয়ে মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুকে শুভেচ্ছা জানান। কারাগার থেকে বেরিয়েই ‘ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার’ আন্দোলন অব্যাহত রাখার কথা বললেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, নেতা-কর্মীদের হতাশার কিছু নেই। ৭ জানুয়ারির একপক্ষীয় নির্বাচন করে সরকারই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিএনপির কোনো ক্ষতি হয়নি। এ সময় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীও বলেন, তাঁরা তাঁদের আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
কারাগার থেকে বেরিয়ে একটি সাদা গাড়িতে করে তার গুলশানের বাসার উদ্দেশে রওনা হন মির্জা ফখরুল। নেতাকর্মীরা এ সময় গোলাপের পাপড়ি ছিটিয়ে দেন তার গাড়িতে। তিনিও ছাদখোলা ওই গাড়িতে দাঁড়িয়ে নেতাকর্মীদের অভিনন্দনের জবাব দেন। মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী রাহাত আরা বেগম।
২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ শুরুর আগেই কাকরাইলে দুপুর থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষ পরে বিজয়নগর পানির ট্যাংক ও শান্তিনগর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বেলা ৩টার দিকে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্য ও যুবদলের ওয়ার্ড পর্যায়ের এক নেতা নিহত হন। আহত হন পুলিশের ৪১ ও আনসারের ২৫ সদস্য। এছাড়া কমপক্ষে ২০ জন সাংবাদিক আহত হন।
এ ঘটনার পর গুলশানের নিজ বাসা থেকে মির্জা ফখরুলকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এরপর তাকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় আদালতে হাজির করা হলে আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর সংঘর্ষ ও সহিংসতাকে কেন্দ্র করে তার বিরুদ্ধে ১১টি মামলা হয়। এই ১১ মামলার মধ্যে সর্বশেষ গত ১৭ জানুয়ারি রাজধানীর পল্টন থানায় হওয়া একটি মামলায় জামিন পান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর আগে ১০ জানুয়ারি ঢাকার সিএমএম আদালত থেকে ৯ মামলায় জামিন পান মির্জা ফখরুল। অর্থাৎ ১১ মামলার মধ্যে ১০ মামলায় তিনি জামিন পান আগেই। আর প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় বুধবার তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। গত ২৯ অক্টোবর গ্রেপ্তারের পর থেকে সাড়ে তিন মাস সময় ধরে কারাগারে ছিলেন মির্জা ফখরুল।
একই ঘটনায় করা মামলায় কারাগারে ছিলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীও। পুলিশ সদস্য হত্যা মামলায় আমীর খসরুকে গত ২ নভেম্বর রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তার বিরুদ্ধেও ১০টি মামলা হয়। এরমধ্যে ৯টি মামলায় তিনি আগেই জামিন পান। বুধবার তিনিও প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় জামিন পান। জামিনের কপি ও প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট প্রত্যাহারের চিঠি পৌছলে কেরানীগঞ্জের কারা কর্তৃপক্ষ তাকে মুক্তি দেন। ফলে দলটির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ১০৫ দিন পর গতকাল বিকাল পৌনে ৪টায় অবশেষে কারামুক্ত হন।
আমির খসরু কারাগার থেকে বেরিয়ে একটি কালো পাজেরো গাড়িতে করে বাসার উদ্দেশে রওনা হন। এ সময় তিনি ছাদখোলা গাড়িতে দাঁড়িয়ে নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছার জবাব দেন। নেতাকর্মীরা তাকে উদ্দেশ্য করে গোলাপের পাঁপড়ি ছিটিয়ে দেন। এ সময় আমির খসরুর সঙ্গে ছিলেন ছেলে ইসরাফিল।
২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় ২ নভেম্বর রাত ১টার দিকে গুলশানের একটি বাসা থেকে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আটক করে ডিবি। পরদিন ৩ নভেম্বর সমাবেশ চলাকালে সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহতের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। মামলায় তার ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ৯ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
বুধবার প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরুকে জামিন দেন আদালত।
এরআগে বৃহস্পতিবার বেলা ১টা ৫০ মিনিটে কারামুক্ত হন শহীদ উদ্দীন চৌধুরী। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শায়রুল কবির খান বলেন, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী কাশিমপুর কারাগারে ছিলেন। বেলা দুইটার কিছু আগে তিনি কারাগার থেকে বের হন। তিনি ঢাকার বাসায় ফিরছেন। শহীদ উদ্দীন চৌধুরী বিএনপির মিডিয়া সেলেরও সদস্যসচিব।
বিএনপির মহাসাবেশকে কেন্দ্র করে সমাবেশের আগেই গত ১০ অক্টোবর গভীর রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার বাসা থেকে শহীদ উদ্দীন চৌধুরীকে আটক করে পুলিশ। পরে তাঁকে ধানমন্ডি থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
পরদিন ১১ অক্টোবর ধানমন্ডি থানার পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিএনপি নেতা শহীদ উদ্দীন চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুই মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল।