আগামী ৯ মার্চ্চ কাউন্সিল অধিবেশনে যোগ না দেবার ঘোষনা
জাতীয় পার্টির রওশন পন্থি নেতা হিসেবে পরিচিত দল থেকে বহিস্কৃত সাবেক বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ মশিয়ার রহমান রাঙ্গা অবশেষে রওশন এরশাদের সাথে তার দীর্ঘদিনের সম্পর্কের ইতি টানলেন। তিনি ঘোষনা দিয়েছেন আগামী ৯ মার্চ্চ রওশন এরশাদের ডাকা জাতীয় পার্টির কাউন্সিল অধিবেশনে তিনি যোগ দেবেননা। ওই কাউন্সিল আহবানকেও তিনি অবৈধ ও দলের গঠনতন্ত্র বিরোধী বলে মনে করেন। তিনি বলেছেন আমি কারো তামাশার পাত্র হতে চাইনা। রাজনীতি করলে মুল জাতীয় পার্টি করবো। অর্থাৎ যে দলের মার্কা লাঙ্গল আছে সেই দলই করবেন। আবারো জিএম কাদেরের নেতৃত্বে জাপায় ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
শনিবার রাতে এ প্রতিনিধিকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।
মশিয়ার রহমান রাঙ্গা দাবি করেন এখনো রওশন এরশাদের পক্ষ থেকে তার বেশ কয়েকজন যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে কিন্তু তিনি রওশন এরশাদের জাতীয় পার্টি করবেননা। জাতীয় পার্টির ঘাটি বলে পরিচিত রংপুর সহ পুরো বিভাগের ৮ জেলা থেকে কোন নেতা কর্মী ওই কাউন্সিল বা সম্মেলনে যাবেনা। কেননা রংপুর অঞ্চলের মানুষ দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত এরশাদের প্রতি এখনও সহানুভুতিশীল এখানে রওশন এরশাদের পক্ষে কোন নেতা কর্মী নেই এমনকি তার নেতৃত্বে যদি আলাদা জাতীয় পার্টি গঠন করা হয় সেটা এ অঞ্চলের সকল স্তরের নেতা কর্মী সমর্থক সহ সাধারন মানুষের সমর্থন একদমই পাবেনা বলে মনে করেন।
দীর্ঘদিন রওশন এরশাদের সবচেয়ে কাছের মানুষ হিসেবে পরিচিত হবার পরেও কেন তার ডাকা কাউন্সিলে যোগ দেবেননা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন জাতীয় পার্টির মুল পরিচয় এবং দলের প্রতীক লাঙ্গল। আমি কাউন্সিলের মাধ্যমে ি নর্বাচিত জাতীয় পার্টির মহাসচিব ছিলাম দলের গঠনতন্ত্র সম্পর্কে আমি পুরোপুরি ওয়াকিপহাল। বর্তমান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নাম উল্লেখ না করে বলেন তারা লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে সংসদ নির্বাচন করেছেন। ১১ জন সাংসদ নির্বাচিত হয়েছে ফলে দলের প্রতীক লাঙ্গল পাবার কোন সম্ভাবনা নেই রওশন এরশাদের বলে আমার ধারনা। ফলে তার আহবান করা কাউন্সিলে যোগদান করে নিজেকে আর বিতর্কিত করতে চাইনা। এক পর্যায়ে বলে ফেলেন অনেক হয়েছে আমি আর কারো তামাশার পাত্র হতে চাইনা।
গত ৭ জানুয়ারী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জিএম কাদেরের সাথে নিজে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করেও জাতীয় পার্টির মনোনয়ন রাঙ্গাকে দেয়া হয়নি। এরপর রওশন এরশাদের সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করে জিএম কাদের আর রওশন এরশাদের মধ্যে সমঝোতা করার চেষ্টা করে ব্যার্থ হন রাঙ্গা। শেষে রওশন এরশ্দা ও তার ছেলে শাদ এরশাদ সংসদ নির্বাচন না করার ঘোষনা দিলেও রাঙ্গা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রংপুর ১ আসন থেকেই সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন। এই রংপুর ১ আসন থেকে ৩ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এবারের নির্বাচনে অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুজ্জামান বাবলুর কাছে শোচনীয় ভাবে পরাজিত হন রাঙ্গা। যদিও তিনি ৪৪ হাজারের বেশী ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থান লাভ করেছিলেন আর জাতীয় পার্টির প্রার্থী জিএম কাদেরের আপন ভাতিজা হোসেন মকবুল শাহারিয়ার আসিফ লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে তৃতীয় হয়েছিলেন।
নির্বাচনে পরাজিত হবার পর থেকে ঢাকা থেকে রংপুরে আসলেই তিনি তার নির্বাচনী এলাকা রংপুর ১ আসনের গঙ্গাচড়া উপজেলা সদরের বাসায় অবস্থান করেন। তিনি রংপুর নগরীর গুপ্ত পাড়াস্থ বাসভবনে যাননা।
রাঙ্গার এক একান্ত সহযোগী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন উনি আগামী সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত তার নির্বাচনী এলাকার বাসায় থাকবেন এলাকার মানুষের সাথে সংযোগ রাখবেন বিভিন্ন এলাকায় গন সংযোগ অব্যাহত রাখবেন। দল করলে লাঙ্গল প্রতীক যে দিকে সেই জাতীয় পার্টি করবেন বলে তাদের জানিয়েছেন।
এদিকে রাঙ্গাকে জাতীয় পার্টি থেকে বহিস্কার করা হলেও তিনি আবারো সেখানেই ফিরে যেতে চান বলে জানা গেছে।
আগামী ৯ মার্চ্চ কাউন্সিল অধিবেশনে যোগ না দেবার ঘোষনা
রোববার, ০৩ মার্চ ২০২৪
জাতীয় পার্টির রওশন পন্থি নেতা হিসেবে পরিচিত দল থেকে বহিস্কৃত সাবেক বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ মশিয়ার রহমান রাঙ্গা অবশেষে রওশন এরশাদের সাথে তার দীর্ঘদিনের সম্পর্কের ইতি টানলেন। তিনি ঘোষনা দিয়েছেন আগামী ৯ মার্চ্চ রওশন এরশাদের ডাকা জাতীয় পার্টির কাউন্সিল অধিবেশনে তিনি যোগ দেবেননা। ওই কাউন্সিল আহবানকেও তিনি অবৈধ ও দলের গঠনতন্ত্র বিরোধী বলে মনে করেন। তিনি বলেছেন আমি কারো তামাশার পাত্র হতে চাইনা। রাজনীতি করলে মুল জাতীয় পার্টি করবো। অর্থাৎ যে দলের মার্কা লাঙ্গল আছে সেই দলই করবেন। আবারো জিএম কাদেরের নেতৃত্বে জাপায় ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
শনিবার রাতে এ প্রতিনিধিকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।
মশিয়ার রহমান রাঙ্গা দাবি করেন এখনো রওশন এরশাদের পক্ষ থেকে তার বেশ কয়েকজন যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে কিন্তু তিনি রওশন এরশাদের জাতীয় পার্টি করবেননা। জাতীয় পার্টির ঘাটি বলে পরিচিত রংপুর সহ পুরো বিভাগের ৮ জেলা থেকে কোন নেতা কর্মী ওই কাউন্সিল বা সম্মেলনে যাবেনা। কেননা রংপুর অঞ্চলের মানুষ দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত এরশাদের প্রতি এখনও সহানুভুতিশীল এখানে রওশন এরশাদের পক্ষে কোন নেতা কর্মী নেই এমনকি তার নেতৃত্বে যদি আলাদা জাতীয় পার্টি গঠন করা হয় সেটা এ অঞ্চলের সকল স্তরের নেতা কর্মী সমর্থক সহ সাধারন মানুষের সমর্থন একদমই পাবেনা বলে মনে করেন।
দীর্ঘদিন রওশন এরশাদের সবচেয়ে কাছের মানুষ হিসেবে পরিচিত হবার পরেও কেন তার ডাকা কাউন্সিলে যোগ দেবেননা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন জাতীয় পার্টির মুল পরিচয় এবং দলের প্রতীক লাঙ্গল। আমি কাউন্সিলের মাধ্যমে ি নর্বাচিত জাতীয় পার্টির মহাসচিব ছিলাম দলের গঠনতন্ত্র সম্পর্কে আমি পুরোপুরি ওয়াকিপহাল। বর্তমান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নাম উল্লেখ না করে বলেন তারা লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে সংসদ নির্বাচন করেছেন। ১১ জন সাংসদ নির্বাচিত হয়েছে ফলে দলের প্রতীক লাঙ্গল পাবার কোন সম্ভাবনা নেই রওশন এরশাদের বলে আমার ধারনা। ফলে তার আহবান করা কাউন্সিলে যোগদান করে নিজেকে আর বিতর্কিত করতে চাইনা। এক পর্যায়ে বলে ফেলেন অনেক হয়েছে আমি আর কারো তামাশার পাত্র হতে চাইনা।
গত ৭ জানুয়ারী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জিএম কাদেরের সাথে নিজে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করেও জাতীয় পার্টির মনোনয়ন রাঙ্গাকে দেয়া হয়নি। এরপর রওশন এরশাদের সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করে জিএম কাদের আর রওশন এরশাদের মধ্যে সমঝোতা করার চেষ্টা করে ব্যার্থ হন রাঙ্গা। শেষে রওশন এরশ্দা ও তার ছেলে শাদ এরশাদ সংসদ নির্বাচন না করার ঘোষনা দিলেও রাঙ্গা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রংপুর ১ আসন থেকেই সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন। এই রংপুর ১ আসন থেকে ৩ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এবারের নির্বাচনে অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুজ্জামান বাবলুর কাছে শোচনীয় ভাবে পরাজিত হন রাঙ্গা। যদিও তিনি ৪৪ হাজারের বেশী ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থান লাভ করেছিলেন আর জাতীয় পার্টির প্রার্থী জিএম কাদেরের আপন ভাতিজা হোসেন মকবুল শাহারিয়ার আসিফ লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে তৃতীয় হয়েছিলেন।
নির্বাচনে পরাজিত হবার পর থেকে ঢাকা থেকে রংপুরে আসলেই তিনি তার নির্বাচনী এলাকা রংপুর ১ আসনের গঙ্গাচড়া উপজেলা সদরের বাসায় অবস্থান করেন। তিনি রংপুর নগরীর গুপ্ত পাড়াস্থ বাসভবনে যাননা।
রাঙ্গার এক একান্ত সহযোগী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন উনি আগামী সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত তার নির্বাচনী এলাকার বাসায় থাকবেন এলাকার মানুষের সাথে সংযোগ রাখবেন বিভিন্ন এলাকায় গন সংযোগ অব্যাহত রাখবেন। দল করলে লাঙ্গল প্রতীক যে দিকে সেই জাতীয় পার্টি করবেন বলে তাদের জানিয়েছেন।
এদিকে রাঙ্গাকে জাতীয় পার্টি থেকে বহিস্কার করা হলেও তিনি আবারো সেখানেই ফিরে যেতে চান বলে জানা গেছে।