দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আড়াই শতাধিক প্রার্থীর পেছনে আওয়ামী লীগ ব্যয় দেখিয়েছে ২ কোটি ৭৬ লাখ ৭৮ হাজার ১২০ টাকা। পোস্টার, জনসভাসহ প্রচারের নানা খাতে এসব ব্যয়ের বিবরণী গতকাল নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দলটি।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, দলটির সর্বোচ্চ সাড়ে ৪ কোটি টাকা ব্যয় করার সুযোগ ছিল। ৭ জানুয়ারি ভোটের পর ৯০ দিনের মধ্যে অর্থাৎ আগামী ৭ এপ্রিলের মধ্যে দলীয় নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সোমবার ঢাকার আগারগাঁয়ে নির্বাচন ভবনে গিয়ে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলমের কাছে ব্যয় বিবরণী জমা দেন।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান বলেন, ‘দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মোট নির্বাচনী ব্যয় ২ কোটি ৭৬ লাখ ৭৮ হাজার ১২০ টাকা।’ তিনি বলেন, ‘প্রার্থীরা নিজ থেকে ব্যয় করে। তাই আমাদের ব্যয় কম হয়। পুরো ব্যয়টা দলীয় হয় না। অন্য দলের যেখানে ১০ টাকা লাগে, সেখানে আমাদের দুই টাকা লাগে। পোস্টার, জনসভা, পোস্টার, প্রচার ইত্যাদি খাতে ব্যয় হয়েছে।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কাজী জাফর উল্যাহ বলেন, ‘আমাদের সাড়ে চার কোটি টাকা ব্যয়ের সীমা ছিল। তার থেকে ব্যয় কম হয়েছে।’
এর আগে ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ খরচ দেখিয়েছিল ১ কোটি ৫ লাখ টাকা।
গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী দিয়েছিল ২৬৬ আসনে। নির্বাচনে অংশ নেওয়া দলগুলোকে দলীয় নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব দিতে কয়েকদিন আগে তাগিদ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।
ইসিতে ব্যয় বিবরণী জমা দেয়ার পর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘নিবন্ধিত দল হিসেবে আমরা প্রতি বছর আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিই। আজ নির্বাচনী ব্যয়ের বিবরণী জমা দেওয়া হয়েছে। আয়ের বিবরণী বার্ষিক অডিট রিপোর্টে দেওয়া হয়ে থাকে।’
অন্যদের মধ্যে প্রতিনিধি দলে ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দল রয়েছে ৪৪টি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ ২৮টি দল দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। অন্যদিকে বিএনপিসহ ১৬টি দল এই নির্বাচন বর্জন করেছে।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, প্রার্থী অনুপাতে দলগুলোর ৭৫ লাখ টাকা থেকে সাড়ে চার কোটি টাকা নির্বাচনী ব্যয়ের সুযোগ ছিল। ৫০ জনের কম প্রার্থী হলে ৭৫ লাখ টাকা, ৫০-১০০ প্রার্থী হলে দেড় কোটি টাকা, ১০১-২০০ প্রার্থী হলে ৩ কোটি টাকা এবং ২০১ প্রার্থীর বেশি হলে সাড়ে চার কোটি টাকা ব্যয়ের সুযোগ রয়েছে আইনে।
###১৬:৩০###
সোমবার, ০১ এপ্রিল ২০২৪
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আড়াই শতাধিক প্রার্থীর পেছনে আওয়ামী লীগ ব্যয় দেখিয়েছে ২ কোটি ৭৬ লাখ ৭৮ হাজার ১২০ টাকা। পোস্টার, জনসভাসহ প্রচারের নানা খাতে এসব ব্যয়ের বিবরণী গতকাল নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দলটি।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, দলটির সর্বোচ্চ সাড়ে ৪ কোটি টাকা ব্যয় করার সুযোগ ছিল। ৭ জানুয়ারি ভোটের পর ৯০ দিনের মধ্যে অর্থাৎ আগামী ৭ এপ্রিলের মধ্যে দলীয় নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সোমবার ঢাকার আগারগাঁয়ে নির্বাচন ভবনে গিয়ে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলমের কাছে ব্যয় বিবরণী জমা দেন।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান বলেন, ‘দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মোট নির্বাচনী ব্যয় ২ কোটি ৭৬ লাখ ৭৮ হাজার ১২০ টাকা।’ তিনি বলেন, ‘প্রার্থীরা নিজ থেকে ব্যয় করে। তাই আমাদের ব্যয় কম হয়। পুরো ব্যয়টা দলীয় হয় না। অন্য দলের যেখানে ১০ টাকা লাগে, সেখানে আমাদের দুই টাকা লাগে। পোস্টার, জনসভা, পোস্টার, প্রচার ইত্যাদি খাতে ব্যয় হয়েছে।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কাজী জাফর উল্যাহ বলেন, ‘আমাদের সাড়ে চার কোটি টাকা ব্যয়ের সীমা ছিল। তার থেকে ব্যয় কম হয়েছে।’
এর আগে ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ খরচ দেখিয়েছিল ১ কোটি ৫ লাখ টাকা।
গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী দিয়েছিল ২৬৬ আসনে। নির্বাচনে অংশ নেওয়া দলগুলোকে দলীয় নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব দিতে কয়েকদিন আগে তাগিদ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।
ইসিতে ব্যয় বিবরণী জমা দেয়ার পর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘নিবন্ধিত দল হিসেবে আমরা প্রতি বছর আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিই। আজ নির্বাচনী ব্যয়ের বিবরণী জমা দেওয়া হয়েছে। আয়ের বিবরণী বার্ষিক অডিট রিপোর্টে দেওয়া হয়ে থাকে।’
অন্যদের মধ্যে প্রতিনিধি দলে ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দল রয়েছে ৪৪টি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ ২৮টি দল দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। অন্যদিকে বিএনপিসহ ১৬টি দল এই নির্বাচন বর্জন করেছে।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, প্রার্থী অনুপাতে দলগুলোর ৭৫ লাখ টাকা থেকে সাড়ে চার কোটি টাকা নির্বাচনী ব্যয়ের সুযোগ ছিল। ৫০ জনের কম প্রার্থী হলে ৭৫ লাখ টাকা, ৫০-১০০ প্রার্থী হলে দেড় কোটি টাকা, ১০১-২০০ প্রার্থী হলে ৩ কোটি টাকা এবং ২০১ প্রার্থীর বেশি হলে সাড়ে চার কোটি টাকা ব্যয়ের সুযোগ রয়েছে আইনে।
###১৬:৩০###