ফেনীর পরশুরাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনটি পদে একক প্রার্থী থাকায় এবারও সেখানে ভোটের প্রয়োজন পড়বে না। আওয়ামী লীগ নেতানেত্রীরাই বিনা ভোটে জয়ী হতে চলেছেন।
আর ফুলগাজী উপজেলায় সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী থাকায় চেয়ারম্যান ও সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট হবে।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৮ মে ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
দুই উপজেলায় চেয়ারম্যান, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২১ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে ১৯ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। সেসময় ফুলগাজী উপজেলার দুই ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন সোমবার দুই উপজেলায় ১৩ জন তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন।
এর ফলে পরশুরাম উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজ মজুমদার, সাধারণ ভাইস চেয়য়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম সফিকুল হোসেন মহিম এবং সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান সামছুন নাহার পাপিয়া একক প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনি মাঠে রয়েছেন। ফলে তাদের নির্বাচিত ঘোষণা করা শুধু সময়ের ব্যাপার।
পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাউল করিম এসব তথ্য জানিয়েছেন।
বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও পরশুরাম উপজেলা পরিষদের সবাই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিলেন।
পরশুরাম উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী কামাল উদ্দীন মজুমদার তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
কেন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, “২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তিনবার আমি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। এর মধ্যে দুইবার ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এবং একবার বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হই।
“এবার দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতাকে সম্মান জানিয়ে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছি।”
সেখানে শুধু চেয়ারম্যান ও সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট হবে।
ফুলগাজীতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে দলের আরেক নেতার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারাও সবাই আওয়ামী লীগ নেতা।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর ফুলগাজী উপজেলার চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবদুল আলিম মজুমদার এবং হুমায়ুন কবির লড়াইয়ের মাঠে রয়েছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে মাহবুবুল হক কালা, অনিল বণিক, আবদুর রহিম পাটোয়ারী ও সাইফুদ্দিন মজুমদার ভোট করছেন।
আর সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ায়ারম্যান পদে মঞ্জুরা আজিজ একক প্রার্থী হওয়ায় তিনি বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হতে চলেছেন।
ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আব্দুল আলিম মজুমদারও তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
তবে কী কারণে তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিলেন এ ব্যাপারে জানতে আব্দুল আলিম মজুমদারকে মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
তবে জেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্দেশনা হচ্ছে, দল বা জেলা-উপজেলা কমিটি কাউকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করতে পারবে না। কিন্তু ফেনীতে সেটাই করা হয়েছে।
ফেনী জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এম শাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া বলেন, “দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে একক প্রার্থী ঘোষণা করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এবার দলীয় প্রতীক ও দলীয় প্রার্থী থাকবে না, সেখানে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের শামিল।”
যদিও বিষয়টি অস্বীকার করেছিলেন ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী।
৭ এপ্রিল ফেনী পৌরসভা সম্মেলন কক্ষে এক সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সংসদ সদস্য বলেছিলেন, “উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলা আওয়ামী লীগ থেকে আমরা কোনো নমিনেশন ফর্ম বিক্রি করিনি। শুধু জেলার সম্ভাব্য কতজন প্রার্থী আছে, সেটা জানতে চেয়েছি।
“কেন্দ্র যেহেতু কাউকে সমর্থন দেবে না, আমাদেরও সমর্থনের সুযোগ নেই। এ বিষয়ে ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিমসহ বসে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।”
সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪
ফেনীর পরশুরাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনটি পদে একক প্রার্থী থাকায় এবারও সেখানে ভোটের প্রয়োজন পড়বে না। আওয়ামী লীগ নেতানেত্রীরাই বিনা ভোটে জয়ী হতে চলেছেন।
আর ফুলগাজী উপজেলায় সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী থাকায় চেয়ারম্যান ও সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট হবে।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৮ মে ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
দুই উপজেলায় চেয়ারম্যান, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২১ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে ১৯ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। সেসময় ফুলগাজী উপজেলার দুই ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন সোমবার দুই উপজেলায় ১৩ জন তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন।
এর ফলে পরশুরাম উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজ মজুমদার, সাধারণ ভাইস চেয়য়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম সফিকুল হোসেন মহিম এবং সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান সামছুন নাহার পাপিয়া একক প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনি মাঠে রয়েছেন। ফলে তাদের নির্বাচিত ঘোষণা করা শুধু সময়ের ব্যাপার।
পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাউল করিম এসব তথ্য জানিয়েছেন।
বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও পরশুরাম উপজেলা পরিষদের সবাই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিলেন।
পরশুরাম উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী কামাল উদ্দীন মজুমদার তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
কেন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, “২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তিনবার আমি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। এর মধ্যে দুইবার ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এবং একবার বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হই।
“এবার দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতাকে সম্মান জানিয়ে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছি।”
সেখানে শুধু চেয়ারম্যান ও সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট হবে।
ফুলগাজীতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে দলের আরেক নেতার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারাও সবাই আওয়ামী লীগ নেতা।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর ফুলগাজী উপজেলার চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবদুল আলিম মজুমদার এবং হুমায়ুন কবির লড়াইয়ের মাঠে রয়েছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে মাহবুবুল হক কালা, অনিল বণিক, আবদুর রহিম পাটোয়ারী ও সাইফুদ্দিন মজুমদার ভোট করছেন।
আর সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ায়ারম্যান পদে মঞ্জুরা আজিজ একক প্রার্থী হওয়ায় তিনি বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হতে চলেছেন।
ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আব্দুল আলিম মজুমদারও তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
তবে কী কারণে তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিলেন এ ব্যাপারে জানতে আব্দুল আলিম মজুমদারকে মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
তবে জেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্দেশনা হচ্ছে, দল বা জেলা-উপজেলা কমিটি কাউকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করতে পারবে না। কিন্তু ফেনীতে সেটাই করা হয়েছে।
ফেনী জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এম শাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া বলেন, “দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে একক প্রার্থী ঘোষণা করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এবার দলীয় প্রতীক ও দলীয় প্রার্থী থাকবে না, সেখানে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের শামিল।”
যদিও বিষয়টি অস্বীকার করেছিলেন ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী।
৭ এপ্রিল ফেনী পৌরসভা সম্মেলন কক্ষে এক সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সংসদ সদস্য বলেছিলেন, “উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলা আওয়ামী লীগ থেকে আমরা কোনো নমিনেশন ফর্ম বিক্রি করিনি। শুধু জেলার সম্ভাব্য কতজন প্রার্থী আছে, সেটা জানতে চেয়েছি।
“কেন্দ্র যেহেতু কাউকে সমর্থন দেবে না, আমাদেরও সমর্থনের সুযোগ নেই। এ বিষয়ে ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিমসহ বসে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।”