নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বাবুল ওমর বাবুকে ভোট দেয়ার জন্য তার পক্ষ থেকে টাকা দিয়ে ভোট কিনছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী সোহাগ রনি। ভোট কেনার জন্য সাধারণ ভোটারদের কাছে পাঠানো টাকাসহ এক যুবককে এলাকাবাসী আটক করলে এমন স্বীকরোক্তি দিয়েছে আটককৃত যুবক। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হলে আটককারীদের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ দিয়ে থানা থেকে আটককৃতকে ছাড়িয়ে নেন নেতা সোহাগ রনি।
স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার বিকেলে উপজেলার মোগরাপাড়া ইউপির কাবিলগঞ্জ, দলদাসহ বিভিন্ন গ্রামে সাধারণ ভোটারদেরকে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকে বাবুল ওমর বাবুকে ভোট দেয়ার জন্য টাকা বিলি করছিল আঃ গাফফার (৩০) নামের এক যুবক। এমন সময় স্থানীয় জনগণ নগদ টাকাসহ সেই যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায়, আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবুল ওমরের পক্ষে সোহাগ রনি টাকা দিয়ে পাঠিয়েছে তাকে। পরে তাকে সোনারগাঁ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। টাকাসহ এলাকাবাসীর হাতে আটক যুবকের স্বীকারোক্তিমূলক ৪৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও এসেছে সংবাদের হাতে। ভিডিওতে আটককৃত যুবককে বলতে শোনা যায় আনারস প্রতীকের প্রার্থী বাবুল ওমরের পক্ষ থেকে তাকে একটি খামে করে ৫০-৬০ হাজার টাকা পাঠিয়েছে সোহাগ রনি। তবে তিনি তা গুনে দেখেনি। এই টাকা থেকে ২০-৩০ হাজার টাকার মতো সে মানুষকে দিয়েছে। আরো টাকা দেয়ার সময় তাকে এলাকাবাসী আটক করে। এদিকে টাকাসহ যুবক আটকের ঘটনায় আটককারীদের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় একটি পাল্টা অভিযোগ দিয়ে সেই যুবককে ছাড়িয়ে নেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী সোহাগ রনি। সোনারগাঁ থানার উপ-পরিদর্শক মাহমুদ রনি জানান, এক প্রার্থীর পক্ষে ভোটারদের টাকা দেয়ার সময় স্থানীয়রা এক যুবককে টাকাসহ আটক করে খবর দিলে ‘সোনারগাঁও রিসাইকেল ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ’ লেখা একটি খামে কিছু টাকাসহ তাকে থানায় নেয়া হয়। আটককৃতের নাম আঃ গাফফার। সে নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার মল্লিকপাড়া গ্রামের আফজাল মিয়ার ছেলে ও সোনারগাঁও পৌরসভা এলাকার দৈলেরবাগ এলাকার রফিকুল মিয়ার ভাড়াটিয়া। পরবর্তিতে আমি অন্যত্র ডিওটিতে চলে যাই। এই বিষয়ে জানতে চেয়ে সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামানকে সরকারি নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলেও রিসিভ করেননি। ওসি তদন্ত’র কাছে ফোন করলে তার ফোন রিসিভ করে ওসি (অপারেশন) সাইফুল ইসলাম সোহাগ বলেন, আমি বাইরে আছি, এই বিষয়ে আমি জানিনা। তবে পরিচয় গোপন রাখার শর্তে পুলিশের এক কর্তাব্যাক্তি জানান, সোহাগ রনি ১০/১২ জনের নামে পাল্টা একটি অভিযোগ দিয়ে সেই যুবককে ছাড়িয়ে নিয়ে গেছেন। নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-সার্কেল) শেখ বিল্লাল হোসেন জানান, এক প্রার্থীর লোকজনের অভিযোগে আটককৃতকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। সে লোকজনকে টাকা দেয়ার কথা অস্বীকার করেছে। তার কাছে কর্মস্থলের কিছু টাকা ছিল। এছাড়াও সম্মুখ কোনো স্বাক্ষী পাওয়া যায়নি। তাই সে যেখানে কাজ করে সেই মালিকের কাছে তাকে দেয়া হয়েছে। আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বাবুল ওমরকে ভোট দেয়ার জন্য তার পক্ষ থেকে টাকা দিয়ে ভোট কিনছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী সোহাগ রনি। ভোট কেনার জন্য সাধারণ ভোটারদের কাছে পাঠানো টাকাসহ যুবককে এলাকাবাসী আটকের বিষয়ে জানতে হাজী সোহাগ রনির মোবাইলে একাধীকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
আগামী ২১ মে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ৪ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন।
রোববার, ১৯ মে ২০২৪
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বাবুল ওমর বাবুকে ভোট দেয়ার জন্য তার পক্ষ থেকে টাকা দিয়ে ভোট কিনছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী সোহাগ রনি। ভোট কেনার জন্য সাধারণ ভোটারদের কাছে পাঠানো টাকাসহ এক যুবককে এলাকাবাসী আটক করলে এমন স্বীকরোক্তি দিয়েছে আটককৃত যুবক। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হলে আটককারীদের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ দিয়ে থানা থেকে আটককৃতকে ছাড়িয়ে নেন নেতা সোহাগ রনি।
স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার বিকেলে উপজেলার মোগরাপাড়া ইউপির কাবিলগঞ্জ, দলদাসহ বিভিন্ন গ্রামে সাধারণ ভোটারদেরকে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকে বাবুল ওমর বাবুকে ভোট দেয়ার জন্য টাকা বিলি করছিল আঃ গাফফার (৩০) নামের এক যুবক। এমন সময় স্থানীয় জনগণ নগদ টাকাসহ সেই যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায়, আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবুল ওমরের পক্ষে সোহাগ রনি টাকা দিয়ে পাঠিয়েছে তাকে। পরে তাকে সোনারগাঁ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। টাকাসহ এলাকাবাসীর হাতে আটক যুবকের স্বীকারোক্তিমূলক ৪৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও এসেছে সংবাদের হাতে। ভিডিওতে আটককৃত যুবককে বলতে শোনা যায় আনারস প্রতীকের প্রার্থী বাবুল ওমরের পক্ষ থেকে তাকে একটি খামে করে ৫০-৬০ হাজার টাকা পাঠিয়েছে সোহাগ রনি। তবে তিনি তা গুনে দেখেনি। এই টাকা থেকে ২০-৩০ হাজার টাকার মতো সে মানুষকে দিয়েছে। আরো টাকা দেয়ার সময় তাকে এলাকাবাসী আটক করে। এদিকে টাকাসহ যুবক আটকের ঘটনায় আটককারীদের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় একটি পাল্টা অভিযোগ দিয়ে সেই যুবককে ছাড়িয়ে নেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী সোহাগ রনি। সোনারগাঁ থানার উপ-পরিদর্শক মাহমুদ রনি জানান, এক প্রার্থীর পক্ষে ভোটারদের টাকা দেয়ার সময় স্থানীয়রা এক যুবককে টাকাসহ আটক করে খবর দিলে ‘সোনারগাঁও রিসাইকেল ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ’ লেখা একটি খামে কিছু টাকাসহ তাকে থানায় নেয়া হয়। আটককৃতের নাম আঃ গাফফার। সে নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার মল্লিকপাড়া গ্রামের আফজাল মিয়ার ছেলে ও সোনারগাঁও পৌরসভা এলাকার দৈলেরবাগ এলাকার রফিকুল মিয়ার ভাড়াটিয়া। পরবর্তিতে আমি অন্যত্র ডিওটিতে চলে যাই। এই বিষয়ে জানতে চেয়ে সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামানকে সরকারি নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলেও রিসিভ করেননি। ওসি তদন্ত’র কাছে ফোন করলে তার ফোন রিসিভ করে ওসি (অপারেশন) সাইফুল ইসলাম সোহাগ বলেন, আমি বাইরে আছি, এই বিষয়ে আমি জানিনা। তবে পরিচয় গোপন রাখার শর্তে পুলিশের এক কর্তাব্যাক্তি জানান, সোহাগ রনি ১০/১২ জনের নামে পাল্টা একটি অভিযোগ দিয়ে সেই যুবককে ছাড়িয়ে নিয়ে গেছেন। নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-সার্কেল) শেখ বিল্লাল হোসেন জানান, এক প্রার্থীর লোকজনের অভিযোগে আটককৃতকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। সে লোকজনকে টাকা দেয়ার কথা অস্বীকার করেছে। তার কাছে কর্মস্থলের কিছু টাকা ছিল। এছাড়াও সম্মুখ কোনো স্বাক্ষী পাওয়া যায়নি। তাই সে যেখানে কাজ করে সেই মালিকের কাছে তাকে দেয়া হয়েছে। আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বাবুল ওমরকে ভোট দেয়ার জন্য তার পক্ষ থেকে টাকা দিয়ে ভোট কিনছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী সোহাগ রনি। ভোট কেনার জন্য সাধারণ ভোটারদের কাছে পাঠানো টাকাসহ যুবককে এলাকাবাসী আটকের বিষয়ে জানতে হাজী সোহাগ রনির মোবাইলে একাধীকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
আগামী ২১ মে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ৪ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন।