alt

রাজনীতি

রাজশাহী আওয়ামী লীগে দ্বন্দ্ব এখন প্রকাশ্য রুপ নিয়েছে

জেলা বার্তা পরিবেশক,রাজশাহী : শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪

রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুইপক্ষে বিরোধ দলিল লেখক সমিতি নিয়ে। একটি পক্ষ দলিল লেখকদের পক্ষে থাকলেও আরেকটি পক্ষ চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করে আসছিল। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতারাও ভাগ হয়ে যান। সংঘর্ষে প্রাণ হারান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল।

এ ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজশাহীর রাজনীতি। হত্যাকান্ডে দলীয় নেতাদের সরাসরি দায়ী করে প্রকাশ্যে বক্তব্যও দিচ্ছেন নেতারা। রাজশাহী আওয়ামী লীগে দ্বন্দ্ব এখন প্রকাশ্যে রুপ নিয়েছে।

রাজশাহীর বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুলের জানাযা নামাজ শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বাঘা মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাযা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। পরে বাঘা পৌরসভার ৫ নম্বর ওযার্ডের গাওপাড়া গ্রামে পারিবারিক গোরস্থানে বাবা আমিরুল ইসলাম আমুর কবরের পাশে ছেলে বাবুলকে দাফন করা হয়।

জানাযা নামাজের আগে জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন আ.লীগ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে মরহুমকে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। জানাযায় হত্যাকান্ডে দলীয় নেতাদের সরাসরি দায়ী করে প্রকাশ্যে বক্তব্যও দিচ্ছেন নেতারা।

বৃহস্পতিবার থেকে মেয়র লিটনপন্থি নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মরহুম আশরাফুল ইসলাম বাবুলের জানাযায় রাজশাহী-৬ (বাঘা- চারঘাট) আসনের সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলমের কটূক্তির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার নওহাটায় বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নওহাটা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসানের নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

লাশকে পুঁজি করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন এবং রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ-সদস্য মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদের বিরুদ্ধে এমপি শাহরিয়ার আলম উদ্দেশ্যমূলকভাবে, মিথ্যা ও মনগড়া বক্তব্য রাখেন। সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন মিথ্যা ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে নওহাটা পৌর আওয়ামী লীগের আয়োজনে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

নওহাটা পৌর ছাত্রলীগ নেতা রুকুর সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন, পবা উপজেলা পরিষদ নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন ডাবলু সহ নওহাটা পৌর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

পবা উপজেলা পরিষদ নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন ডাবলু বলেন, বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুলের জানাজায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহরিয়ার আলমের বক্তব্য আমাদেরকে ভাবিয়ে তুলেছে। সম্মানিত নেতৃবৃন্দকে মৃত্যু নিয়ে কাদা ছুঁড়াছুড়ি, কাউকে ঘায়েল করতে এবং সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই এমন বক্তব্য দেয়া হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে বিক্ষোভ সমাবেশেরও আয়োজন করা হয় রাজশাহী নগরীতে।

জানা গেছে, বাবুলের জানাযা নামাজের আগে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম অভিযোগ করে বলেছেন, বাবুল হত্যার বিষয়ে গোপনে যারা মদদ দিয়েছেন তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। যারা বাবুল হত্যাককারীদের মদদ দিয়েছেন তাদের প্রত্যেকের বিচারের আওতায় আনা হবে। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, রাজশাহী সিটি মেয়র ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের এমপি আসাদুজ্জাম আসাদ ও বাঘা উপজেলা চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন লাভলু কেন জানাজায় আসেনি? তাদের সৎ সাহস নেই। তাই তারা এই জানাজায় উপস্থিত হননি। হত্যাকান্ডের মদদদাতা হিসেবে তাদের নামে মামলা করা হবে এবং প্রয়োজনে আইনের কাঠ গড়ায় তাদের দাঁড় করানো হবে।

জানাযায় অংশ গ্রহণ করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দূর্গাপুর) আসনের সংসদ সদস্য আবদুল ওয়াদুদ দারা, রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, সাবেক সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন, রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল প্রমুখ।

এর আগে জানাজা নামাজের উপস্থিত হতে গেলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অনিল কুমার সরকারকে চলে যেতে বলা হয়। এসময় এমপি শাহরিয়ার আলমের কর্মী-সমর্থকরা অনিল কুমার সরকারকে ধাক্কা-ধাক্কি করে মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে সরিয়ে দেন। পরে সেখান থেকে অনিল কুমার সরকার চলে যান।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অনিল কুমার সরকার বলেন, সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে মরহুম বাবুলকে শেষ শ্রদ্ধা ও পরিবারকে সমবেদনা জানাতে সেখানে গিয়েছিলাম। কিন্তু পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আবদুস সামাদ আমাকে কিছু বুঝে উঠার আগে জানাজার মাঠ থেকে চলে যেতে বলেন। এর পর কেউ কেউ আমাকে ধাক্কাধাক্কি করতে থাকে। এসময় আমি পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখান থেকে চলে আসি।

অনিল কুমার সরকার অভিযোগ করে বলেন, বাবুল হত্যাকান্ডের পর এটিকে নিয়ে কেউ কেউ নতুন করে রাজনীতি শুরু করেছেন। বিশেষ করে দলের মধ্যে তীব্র ভাঙ্গনের চেষ্টা করছেন। এটি মোটেও কাম্য নয়। বাঘা-চারঘাটে দীর্ঘদিন ধরে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বিরাজ করে আসছিল। এটি নিরসন করতে পারনেনি স্থানীয় এমপি। এখন তার দায় অন্যদের ওপর চাপানোর চেষ্টা হচ্ছে।

রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদও একই অভিযোগ করে বলেন, বাবুল হত্যার বিচার হোক এটা আমি চাই। এর সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হোক। আমি নিজেও ফোন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে মোবাইলের কললিস্ট ধরে তদন্ত করতে বলেছি। এমপি শাহরিয়ার আলম তার ব্যর্থতা ঢাঁকতে এ হত্যাকা- নিয়ে এখন নতুন রাজনীতি শুরু করেছেন। তাঁর ব্যর্থতার কারণেই বাঘা-চারঘাটে একের পর সংঘর্ষ, হামলা-পাল্টা হামলা হচ্ছে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে। কিন্তু তার দায় এখন তিনি অন্যদের ওপর চাপাচ্ছেন।

মেয়র লিটনের সংবাদ সম্মেলন:

এদিকে এমপি শাহরিয়ার আলমের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে এর প্রতিবাদ জানিয়ে মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন মরহুমের জানাযায় আমাকে দায়ী করে, সরাসরি আমার নাম ধরে, আমার দলীয় পদ উলেখ করে, আমার পাশাপাশি আমাদের আরেকজন সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ সহ আরো কয়েকজনের নাম উলেখ করে বাঘা-চারঘাটের বর্তমান এমপি উদ্দেশ্যপপ্রণোদিত ও ঈর্শাপরায়ণভাবে এ রকম উক্তি করতে পারেন, সেটা আমার বোধগম্য নয়। জানাযা নামাজের মতো একটি পবিত্র কাজ, যেখানে মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া করা হয়, সেখানে এভাবে মামলা করা হবে, মোবাইল কললিস্ট চেক করা হোক, মামলার আসামী করা হবে-এই সমস্ত কথা তাঁর কাছ থেকে আমি আশাই করিনি। তিনি কী উদ্দেশ্যে বলেছেন, কেন বলেছেন তা তিনিই বলতে পারবেন। যারা রাজনীতি সচেতন ও বিবেকসম্পন্ন মানুষ তারা নিশ্চিয় এ রকম কর্মকান্ডকে সমর্থন করবেন না। করার কোন কারণ নেই।

তিনি আরো বলেন, আমরা একজন দলীয় নেতাকে হারালাম। এ ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও কষ্টকর। বাবুল হত্যার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার আমিও চাই। আমার বয়স এখন ষাটের ওপরে। আমার রাজনৈতিক জীবনে এ ধরনের ঘটনায় মদদ দেওয়ার ইতিহাস নেই। মনে হচ্ছে যেন লাশটি কারও দরকার ছিল। একজনের মৃতদেহ দরকার ছিল যেটাকে পুঁজি করে রাজনীতি করা যায় এবং প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা যায়। এ রকম একটা চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রকারী একটি গোষ্ঠী ছিল, এখনো আছে বলে আমি মনে করি, অনেকেও তাই মনে করেন। এই লাইনেও বিষয়গুলো তদন্ত হওয়া দরকার।

এদিকে রাজশাহীর বাঘা উপজেলা আওয়া লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুলের জানাজার নামাজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকাল ১১টায় বাঘা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশগ্রহণ করেন। পরে তার মরদেহ দাফন করা হয়। এর আগে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (২৬ জুন) বিকেলে তার মৃত্যু হয়। বিকেল সাড়ে ৪টার সময় তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

দুই গ্রুপের নেতাকর্মীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত রাজশাহীর বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুলের বয়স হয়েছিল ৫০ বছর।

জানাজার মাঠে আওয়ামী লীগ নেতা বাবুলের বড় ছেলে আশিক জাবেদ- বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাছ আলীসহ তার বাবার হত্যাকারী সব আসামিদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচারের আওতার আনার দাবি জানান।

এছাড়া জানাজার আগে নিহত আওয়ামী লীগ নেতা বাবুলের স্ত্রী বেবি বেগম বলেন, আমার স্বামী কেমন মানুষ ছিলেন তা আপনারা সবাই জানেন। এই হত্যাকান্ডে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিচার দাবি জানাই।

এর আগে গত ২২ জুন রাজশাহীর বাঘা উপজেলা সদরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের নেতাকর্মী। এতে উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। তাদের মধ্যে বাবুলের অবস্থা ছিল আশংকাজনক। জমির দলিল রেজিস্ট্রির সময় দিনের পর দিন বাড়তি টাকা আদায় করে আসছে বাঘা উপজেলা দলিল লেখক সমিতি। উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশ সমর্থন দিয়ে থাকে এই সমিতিকে। আর অন্য একটি অংশ অবস্থান নেয় দলিল লেখক সমিতির এই দৌরাত্বের বিপক্ষে। দলিল লেখক সমিতিকে সমর্থন দেওয়া না দেওয়ার দ্বন্দ্বেই গত শনিবার (২২ জুন) সংঘর্ষে জড়ায় দুপক্ষ।

রাজশাহীর বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের দিন আশরাফুল ইসলাম বাবুলকে কুপিয়ে ফেলে রাখা হয়েছিল। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। বুধবার বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এছাড়া মারামারির ঘটনায় যে মামলাটি হয়েছিল, সেই মামলাটিই এখন হত্যা মামলায় রূপ নিয়েছে। তারা মামলাটি অধিকতর গুরুত্ব দিয়েই তদন্ত করছেন।

ছবি

খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেয়ার আহবান

ছবি

প্রশ্নফাঁসসহ নানা অপকর্মে জড়িত জবি ছাত্রলীগ নেতা আকতার

ছবি

মারা গেছেন বিএনপি নেতা নাদিম মোস্তফা

ছবি

দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদার মুক্তি দাবি ধৃষ্টতা ছাড়া কিছু নয়: কাদের

ছবি

নয়াপল্টনে চলছে বিএনপির সমাবেশ

ছবি

ঢাকায় আজ বিএনপির সমাবেশ, আ. লীগের আলোচনা সভা

ছবি

রাজশাহীতে এমপি শাহরিয়ারকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা, কুশপুত্তলিকা দাহ

তরুণদের আওয়ামী লীগে যোগদানের আহ্বান ওবায়দুল কাদেরের

ছবি

সরকারের আশ্রয়ে আরও দুর্নীতিবাজ আছে: ফারুক

ফতুল্লায় রাস্তার উপর আ.লীগ নেতাকে কুপিয়ে খুন, আহত দুই ছেলেসহ ৪ জন

ছবি

৬ মাস করে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করা সরকারের আরেক খেলা : ফখরুল

ছবি

বাংলাদেশের জনগণের কাছে আমি কৃতজ্ঞ : শেখ হাসিনা

ছবি

কাঞ্চন পৌরসভা মেয়র আবুল বাশার, ভোট পড়েছে ৭২ শতাংশ

ছবি

আজিজের ভাইদের এনআইডি জালিয়াতি তদন্তে আরও ২ সপ্তাহ

ছবি

খালেদার মুক্তির দাবিতে ঢাকায় সমাবেশসহ তিনদিনের কর্মসূচী ঘোষণা বিএনপির

ছবি

বর্তমান প্রজন্মকে অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল ও স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে ছাত্রলীগের প্রতি প্রতিমন্ত্রী পলকের আহ্বান

ছবি

খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে বিএনপি নেতারা রাজনীতি করছেন : ওবায়দুল কাদের

ছবি

সরকারের মূল লক্ষ্য খালেদা জিয়াকে রাজনীতির বাইরে রাখা: ফখরুল

ছবি

হার্টে পেসমেকার বসানোর পর খালেদা জিয়াকে সিসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর

ছবি

‘প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে অর্জন অনেক’- ওবায়দুল কাদের

ছবি

আওয়ামী লীগ কর্মীদের দল আর বিএনপি অভ্যন্তরীণ কোন্দল আর মধ্যরাতে পদায়নের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি

ভারসাম্য ঠিক নেই বলে বিএনপি দোষারোপ করছে

ছবি

শেখ হাসিনা রাজনীতির জাদুকর : ওবায়দুল কাদের

ছবি

খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হচ্ছে

ছবি

ভস্ম থেকে জেগে উঠেছে আওয়ামী লীগ: শেখ হাসিনা

ছবি

ভারতের স্বার্থেই ১০ টি চুক্তি করেছেন : ফখরুল

ছবি

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলোচনা সভার ম‌ঞ্চে‌ শেখ হাসিনা

গাজীপুরে আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

ছবি

দুদকে হাজির হননি বেনজীর, দিয়েছেন লিখিত বক্তব্য

ছবি

আওয়ামী লীগের ৭৫ বছর: নেতাকর্মীদের ঢল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

ছবি

খালেদা জিয়া জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে : মির্জা ফখরুল

ছবি

আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

ছবি

খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসায় নতুন আবেদন পাইনি : আইনমন্ত্রী

ছবি

স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার-শপথ নিয়ে আ.লীগের সৃষ্টি

ছবি

দোয়া চাইলেন ফখরুল,খালেদা জিয়ার অবস্থা ‘বেশ ক্রিটিক্যাল’

ছবি

সিসিইউতে ভর্তি খালেদা জিয়া

tab

রাজনীতি

রাজশাহী আওয়ামী লীগে দ্বন্দ্ব এখন প্রকাশ্য রুপ নিয়েছে

জেলা বার্তা পরিবেশক,রাজশাহী

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪

রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুইপক্ষে বিরোধ দলিল লেখক সমিতি নিয়ে। একটি পক্ষ দলিল লেখকদের পক্ষে থাকলেও আরেকটি পক্ষ চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করে আসছিল। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতারাও ভাগ হয়ে যান। সংঘর্ষে প্রাণ হারান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল।

এ ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজশাহীর রাজনীতি। হত্যাকান্ডে দলীয় নেতাদের সরাসরি দায়ী করে প্রকাশ্যে বক্তব্যও দিচ্ছেন নেতারা। রাজশাহী আওয়ামী লীগে দ্বন্দ্ব এখন প্রকাশ্যে রুপ নিয়েছে।

রাজশাহীর বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুলের জানাযা নামাজ শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বাঘা মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাযা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। পরে বাঘা পৌরসভার ৫ নম্বর ওযার্ডের গাওপাড়া গ্রামে পারিবারিক গোরস্থানে বাবা আমিরুল ইসলাম আমুর কবরের পাশে ছেলে বাবুলকে দাফন করা হয়।

জানাযা নামাজের আগে জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন আ.লীগ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে মরহুমকে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। জানাযায় হত্যাকান্ডে দলীয় নেতাদের সরাসরি দায়ী করে প্রকাশ্যে বক্তব্যও দিচ্ছেন নেতারা।

বৃহস্পতিবার থেকে মেয়র লিটনপন্থি নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মরহুম আশরাফুল ইসলাম বাবুলের জানাযায় রাজশাহী-৬ (বাঘা- চারঘাট) আসনের সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলমের কটূক্তির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার নওহাটায় বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নওহাটা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসানের নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

লাশকে পুঁজি করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন এবং রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ-সদস্য মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদের বিরুদ্ধে এমপি শাহরিয়ার আলম উদ্দেশ্যমূলকভাবে, মিথ্যা ও মনগড়া বক্তব্য রাখেন। সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন মিথ্যা ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে নওহাটা পৌর আওয়ামী লীগের আয়োজনে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

নওহাটা পৌর ছাত্রলীগ নেতা রুকুর সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন, পবা উপজেলা পরিষদ নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন ডাবলু সহ নওহাটা পৌর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

পবা উপজেলা পরিষদ নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন ডাবলু বলেন, বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুলের জানাজায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহরিয়ার আলমের বক্তব্য আমাদেরকে ভাবিয়ে তুলেছে। সম্মানিত নেতৃবৃন্দকে মৃত্যু নিয়ে কাদা ছুঁড়াছুড়ি, কাউকে ঘায়েল করতে এবং সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই এমন বক্তব্য দেয়া হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে বিক্ষোভ সমাবেশেরও আয়োজন করা হয় রাজশাহী নগরীতে।

জানা গেছে, বাবুলের জানাযা নামাজের আগে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম অভিযোগ করে বলেছেন, বাবুল হত্যার বিষয়ে গোপনে যারা মদদ দিয়েছেন তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। যারা বাবুল হত্যাককারীদের মদদ দিয়েছেন তাদের প্রত্যেকের বিচারের আওতায় আনা হবে। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, রাজশাহী সিটি মেয়র ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের এমপি আসাদুজ্জাম আসাদ ও বাঘা উপজেলা চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন লাভলু কেন জানাজায় আসেনি? তাদের সৎ সাহস নেই। তাই তারা এই জানাজায় উপস্থিত হননি। হত্যাকান্ডের মদদদাতা হিসেবে তাদের নামে মামলা করা হবে এবং প্রয়োজনে আইনের কাঠ গড়ায় তাদের দাঁড় করানো হবে।

জানাযায় অংশ গ্রহণ করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দূর্গাপুর) আসনের সংসদ সদস্য আবদুল ওয়াদুদ দারা, রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, সাবেক সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন, রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল প্রমুখ।

এর আগে জানাজা নামাজের উপস্থিত হতে গেলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অনিল কুমার সরকারকে চলে যেতে বলা হয়। এসময় এমপি শাহরিয়ার আলমের কর্মী-সমর্থকরা অনিল কুমার সরকারকে ধাক্কা-ধাক্কি করে মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে সরিয়ে দেন। পরে সেখান থেকে অনিল কুমার সরকার চলে যান।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অনিল কুমার সরকার বলেন, সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে মরহুম বাবুলকে শেষ শ্রদ্ধা ও পরিবারকে সমবেদনা জানাতে সেখানে গিয়েছিলাম। কিন্তু পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আবদুস সামাদ আমাকে কিছু বুঝে উঠার আগে জানাজার মাঠ থেকে চলে যেতে বলেন। এর পর কেউ কেউ আমাকে ধাক্কাধাক্কি করতে থাকে। এসময় আমি পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখান থেকে চলে আসি।

অনিল কুমার সরকার অভিযোগ করে বলেন, বাবুল হত্যাকান্ডের পর এটিকে নিয়ে কেউ কেউ নতুন করে রাজনীতি শুরু করেছেন। বিশেষ করে দলের মধ্যে তীব্র ভাঙ্গনের চেষ্টা করছেন। এটি মোটেও কাম্য নয়। বাঘা-চারঘাটে দীর্ঘদিন ধরে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বিরাজ করে আসছিল। এটি নিরসন করতে পারনেনি স্থানীয় এমপি। এখন তার দায় অন্যদের ওপর চাপানোর চেষ্টা হচ্ছে।

রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদও একই অভিযোগ করে বলেন, বাবুল হত্যার বিচার হোক এটা আমি চাই। এর সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হোক। আমি নিজেও ফোন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে মোবাইলের কললিস্ট ধরে তদন্ত করতে বলেছি। এমপি শাহরিয়ার আলম তার ব্যর্থতা ঢাঁকতে এ হত্যাকা- নিয়ে এখন নতুন রাজনীতি শুরু করেছেন। তাঁর ব্যর্থতার কারণেই বাঘা-চারঘাটে একের পর সংঘর্ষ, হামলা-পাল্টা হামলা হচ্ছে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে। কিন্তু তার দায় এখন তিনি অন্যদের ওপর চাপাচ্ছেন।

মেয়র লিটনের সংবাদ সম্মেলন:

এদিকে এমপি শাহরিয়ার আলমের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে এর প্রতিবাদ জানিয়ে মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন মরহুমের জানাযায় আমাকে দায়ী করে, সরাসরি আমার নাম ধরে, আমার দলীয় পদ উলেখ করে, আমার পাশাপাশি আমাদের আরেকজন সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ সহ আরো কয়েকজনের নাম উলেখ করে বাঘা-চারঘাটের বর্তমান এমপি উদ্দেশ্যপপ্রণোদিত ও ঈর্শাপরায়ণভাবে এ রকম উক্তি করতে পারেন, সেটা আমার বোধগম্য নয়। জানাযা নামাজের মতো একটি পবিত্র কাজ, যেখানে মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া করা হয়, সেখানে এভাবে মামলা করা হবে, মোবাইল কললিস্ট চেক করা হোক, মামলার আসামী করা হবে-এই সমস্ত কথা তাঁর কাছ থেকে আমি আশাই করিনি। তিনি কী উদ্দেশ্যে বলেছেন, কেন বলেছেন তা তিনিই বলতে পারবেন। যারা রাজনীতি সচেতন ও বিবেকসম্পন্ন মানুষ তারা নিশ্চিয় এ রকম কর্মকান্ডকে সমর্থন করবেন না। করার কোন কারণ নেই।

তিনি আরো বলেন, আমরা একজন দলীয় নেতাকে হারালাম। এ ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও কষ্টকর। বাবুল হত্যার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার আমিও চাই। আমার বয়স এখন ষাটের ওপরে। আমার রাজনৈতিক জীবনে এ ধরনের ঘটনায় মদদ দেওয়ার ইতিহাস নেই। মনে হচ্ছে যেন লাশটি কারও দরকার ছিল। একজনের মৃতদেহ দরকার ছিল যেটাকে পুঁজি করে রাজনীতি করা যায় এবং প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা যায়। এ রকম একটা চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রকারী একটি গোষ্ঠী ছিল, এখনো আছে বলে আমি মনে করি, অনেকেও তাই মনে করেন। এই লাইনেও বিষয়গুলো তদন্ত হওয়া দরকার।

এদিকে রাজশাহীর বাঘা উপজেলা আওয়া লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুলের জানাজার নামাজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকাল ১১টায় বাঘা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশগ্রহণ করেন। পরে তার মরদেহ দাফন করা হয়। এর আগে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (২৬ জুন) বিকেলে তার মৃত্যু হয়। বিকেল সাড়ে ৪টার সময় তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

দুই গ্রুপের নেতাকর্মীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত রাজশাহীর বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুলের বয়স হয়েছিল ৫০ বছর।

জানাজার মাঠে আওয়ামী লীগ নেতা বাবুলের বড় ছেলে আশিক জাবেদ- বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাছ আলীসহ তার বাবার হত্যাকারী সব আসামিদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচারের আওতার আনার দাবি জানান।

এছাড়া জানাজার আগে নিহত আওয়ামী লীগ নেতা বাবুলের স্ত্রী বেবি বেগম বলেন, আমার স্বামী কেমন মানুষ ছিলেন তা আপনারা সবাই জানেন। এই হত্যাকান্ডে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিচার দাবি জানাই।

এর আগে গত ২২ জুন রাজশাহীর বাঘা উপজেলা সদরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের নেতাকর্মী। এতে উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। তাদের মধ্যে বাবুলের অবস্থা ছিল আশংকাজনক। জমির দলিল রেজিস্ট্রির সময় দিনের পর দিন বাড়তি টাকা আদায় করে আসছে বাঘা উপজেলা দলিল লেখক সমিতি। উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশ সমর্থন দিয়ে থাকে এই সমিতিকে। আর অন্য একটি অংশ অবস্থান নেয় দলিল লেখক সমিতির এই দৌরাত্বের বিপক্ষে। দলিল লেখক সমিতিকে সমর্থন দেওয়া না দেওয়ার দ্বন্দ্বেই গত শনিবার (২২ জুন) সংঘর্ষে জড়ায় দুপক্ষ।

রাজশাহীর বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের দিন আশরাফুল ইসলাম বাবুলকে কুপিয়ে ফেলে রাখা হয়েছিল। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। বুধবার বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এছাড়া মারামারির ঘটনায় যে মামলাটি হয়েছিল, সেই মামলাটিই এখন হত্যা মামলায় রূপ নিয়েছে। তারা মামলাটি অধিকতর গুরুত্ব দিয়েই তদন্ত করছেন।

back to top