alt

রাজনীতি

দেশের পক্ষে কথা বলার কোনও সরকার এখানে নেই : গণতন্ত্র মঞ্চ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪

গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলার কোনও সরকার এই দেশে নেই। এই দেশে আছে অন্য দেশের তাঁবেদার সরকার, যারা নিজ দেশের সমস্ত স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে অন্য দেশের সঙ্গে চুক্তি করেছেন।

শুক্রবার (৫ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে ‘সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে সম্পাদিত দেশের স্বার্থবিরোধী বিভিন্ন সমঝোতা স্মারকের প্রতিবাদ’-এ আয়োজিত এক সমাবেশে তারা এসব কথা বলেন। পরে চুক্তি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।

গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক ও গণসংহতি আন্দোলন প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, বাংলাদেশের এখন যিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ দখল করে আছেন, তিনি সংসদে দাঁড়িয়ে বললেন, ভারতকে ট্রানজিট দিলে ক্ষতি কী তা জানেন না। আসলে তারা ক্ষতি কী জানেন না। তারা জানেন কীভাবে গদি রক্ষা করতে হয়। গদি রক্ষার জন্য সমস্ত কিছু উজাড় করে দিতেও তাদের আপত্তি নেই।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, যদি বঙ্গোপসাগর ও সেন্টমার্টিন দিয়ে দেই তাহলে ক্ষমতায় থাকতে পারব। এখন আমরা প্রশ্ন করতে পারি... এই যে বিনা ভোটে ক্ষমতায় আছেন, কীসের বিনিময়ে আছেন? বাংলাদেশের কী কী জিনিস কার কার হাতে তুলে দিয়েছেন? পরিষ্কার করে আমাদের নেতাকর্মীরা বলেছেন, ট্রানজিটের নামে ভারতকে করিডোর দেওয়া হচ্ছে।

ভারতের চাহিদা থাকতেই পারে বলে উল্লেখ করে সাকি বলেন, ভারতের এক অঞ্চল থেকে আরেক অঞ্চলে যেতে অনেক অসুবিধা হয়। তারা কলিডোর চাইতে পারে। কিন্তু আমাদের সরকার বলছে ট্রানজিট বলছে। এটাকে কলিডোর বলুন।

গণসংহতি আন্দোলন প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, গতকাল আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসল কথা বলে দিয়েছেন। বলেছেন, ভারতে গিয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রী সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে চীন সফরের কথা বলেছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী চীনে যাবেন, এটা নিয়ে ভারতের কোনও আপত্তি নেই। এখানে আর কিছু বলার দরকার আছে? এটা কী স্বাধীন সার্বভৌম দেশ? এই দেশের প্রধানমন্ত্রী যে কোনও দেশে যেতে পারেন। তার জন্য কি অন্য দেশের অনুমতি লাগবে? কিন্তু শেখ হাসিনার লাগে।

এই সরকারের সঙ্গে কোনও আপস হবে না জানিয়ে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই সরকারকে আমরা কোনও অনুমোদন দেবো না। এই সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে। মাঝে মাঝে অনেকেই বলেন, অনেক বছর ধরে তো লড়াই করছেন, পারলেন না তো। আমি বলছি, গতকাল পারিনি, আজ পারব। আজ পারিনি, কাল পারব, লড়াইটা চলবে। যতদিন পর্যন্ত তাদেরকে পরাজিত করতে না পারি, এখানে কোনও থামাথামি নেই, আপস নেই।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দুর্নীতিবাজদের, চরিত্রহীনদের এবং জবরদখলকারীদের সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চ কোনও আপস করবে না। আমরা কোনও বিভ্রান্তকর আন্দোলন করব না। মূল সমস্যা যেগুলো, সেগুলোকে আড়াল করে অন্য একটা সমস্যা নিয়ে এসে মানুষকে বিভ্রান্ত করব... সেই রকম কাজও করব না। আমরা সুনির্দিষ্ট একটা কর্মসূচির ভিত্তিতে মত-পদ নির্ধারণ করে আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। আমরা পথ থেকে বিচ্যুত হইনি। আর লড়াই ছাড়া মুক্তি পাবেন না। তাই বাঁচার জন্য এই লড়াই আপনাদের সবাইকে করতে হবে।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে বাংলাদেশের সমস্ত স্বার্থ জলাঞ্জলি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রব প্রমুখ।

ছবি

বিমসটেক সম্মেলনে ফাঁকে মোদী-ইউনূস বৈঠক চায় ঢাকা

ছবি

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনো পরিকল্পনা নেই: মুহাম্মদ ইউনূস

ছবি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সিলেটে জামায়াতে ইসলামীর প্রচারণা শুরু

ছবি

ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে দেশ সঠিক পথে থাকবে: আমীর খসরু

ছবি

সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলায় দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে, অভিযোগ জি এম কাদেরের

ছবি

গণপরিষদ নির্বাচন ছাড়া সংবিধানের মৌলিক সংস্কার সম্ভব নয়: নাহিদ ইসলাম

ছবি

সংস্কার সুপারিশের ১২০টিতে একহমত এলডিপি, ৪২টিতে দ্বিমত

ছবি

২১ কোটি টাকা ঘুষ মামলায় তারেক-বাবরসহ আটজন খালাস

ছবি

সংস্কার প্রশ্নে জাতীয় ঐকমত্য: এলডিপির সঙ্গে বৈঠকে বসল ঐকমত্য কমিশন

ছবি

ঐকমত্য কমিশনে জামায়াতের মতামত, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনে জোর

ছবি

বাংলাদেশে মুজিববাদী রাজনীতির স্থান হবে না: নাহিদ ইসলাম

ছবি

রাউজানে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ: গুলিবিদ্ধ ১, আহত ১৫, মোটরসাইকেলে আগুন

ছবি

জাতীয় পার্টির ইফতার অনুষ্ঠানে হামলা, সরকারের ‘বিদায়’ চেয়েছেন জি এম কাদের, প্রশ্ন তুলেছেন সংস্কার নিয়েও

ছবি

সিরাজগঞ্জে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতার মৃত্যু, প্রতিবাদে বি‌ক্ষোভ

ছবি

ময়মনসিংহে বিএনপির ইফতার অনুষ্ঠান নিয়ে সংঘর্ষ, ১৪৪ ধারা জারি

ছবি

খুলনায় গণ অধিকার পরিষদের কার্যালয় উচ্ছেদ, সংঘর্ষে আহত অনেকে

ছবি

অস্ত্র মামলায় লুৎফুজ্জামান বাবর খালাস, ১৭ বছরের দণ্ড বাতিল

ছবি

হাই কোর্টের রায়ে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি নিবন্ধন ফিরে পেল

ছবি

আলেমদের ওপর নিপীড়নের অভিযোগ, সরকারের সমালোচনায় মামুনুল হক

ছবি

সংস্কার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার

ছবি

ছাত্র উপদেষ্টাদের পদত্যাগের দাবি গণঅধিকার পরিষদের

ছবি

গত ২০ বছরে ছাত্ররাজনীতীর ভালো কোনো উদাহরণ গড়ে উঠেনি- শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি

ছবি

রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের গণবিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট

ছবি

জুলাই আন্দোলনে হামলায় ‘জড়িত’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২৮ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার

ছবি

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের ভূমিকা নিয়ে রিজভীর প্রশ্ন

ছবি

আন্দোলনে বিভাজন কেন, উপদেষ্টাদের প্রশ্ন রিজভীর

ছবি

জুলাই অভ্যুত্থানের নেতারা নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম গঠনের ঘোষণা দিলেন

ছবি

বিএনপির মির্জা আব্বাস: "অনির্বাচিত সরকারের সংস্কার মেনে নেব না, নির্বাচিত সরকারই সংস্কার করবে

মতভিন্নতা থাকবে, জাতীয় স্বার্থে একমত হতে হবে: জামায়াত আমির

ছবি

নির্বাচন নিয়ে সংশয়, ‘সংস্কার’ নিয়ে ক্ষোভ: মির্জা আব্বাস

ছবি

বিএনপির পতন তাদের কথা না শোনার ফল: ফরহাদ মজহার

ছবি

জনগণের নির্বাচিত সরকার ছাড়া গণতন্ত্র সম্ভব নয়: আমীর খসরু

ছবি

গণপরিষদের মাধ্যমে সংস্কার না হলে টেকসই নয়: নাহিদ ইসলাম

ছবি

গণতন্ত্রী পার্টির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

ছবি

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হলেন সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের স্ত্রী নার্গিস বেগম

ছবি

শাহবাগ আন্দোলনের কর্মীদের ‘ফ্যাসিবাদী’ বা ‘ইসলামবিদ্বেষী’ তকমা দেওয়া যাবে না : মাহফুজ আলম

tab

রাজনীতি

দেশের পক্ষে কথা বলার কোনও সরকার এখানে নেই : গণতন্ত্র মঞ্চ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪

গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলার কোনও সরকার এই দেশে নেই। এই দেশে আছে অন্য দেশের তাঁবেদার সরকার, যারা নিজ দেশের সমস্ত স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে অন্য দেশের সঙ্গে চুক্তি করেছেন।

শুক্রবার (৫ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে ‘সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে সম্পাদিত দেশের স্বার্থবিরোধী বিভিন্ন সমঝোতা স্মারকের প্রতিবাদ’-এ আয়োজিত এক সমাবেশে তারা এসব কথা বলেন। পরে চুক্তি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।

গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক ও গণসংহতি আন্দোলন প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, বাংলাদেশের এখন যিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ দখল করে আছেন, তিনি সংসদে দাঁড়িয়ে বললেন, ভারতকে ট্রানজিট দিলে ক্ষতি কী তা জানেন না। আসলে তারা ক্ষতি কী জানেন না। তারা জানেন কীভাবে গদি রক্ষা করতে হয়। গদি রক্ষার জন্য সমস্ত কিছু উজাড় করে দিতেও তাদের আপত্তি নেই।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, যদি বঙ্গোপসাগর ও সেন্টমার্টিন দিয়ে দেই তাহলে ক্ষমতায় থাকতে পারব। এখন আমরা প্রশ্ন করতে পারি... এই যে বিনা ভোটে ক্ষমতায় আছেন, কীসের বিনিময়ে আছেন? বাংলাদেশের কী কী জিনিস কার কার হাতে তুলে দিয়েছেন? পরিষ্কার করে আমাদের নেতাকর্মীরা বলেছেন, ট্রানজিটের নামে ভারতকে করিডোর দেওয়া হচ্ছে।

ভারতের চাহিদা থাকতেই পারে বলে উল্লেখ করে সাকি বলেন, ভারতের এক অঞ্চল থেকে আরেক অঞ্চলে যেতে অনেক অসুবিধা হয়। তারা কলিডোর চাইতে পারে। কিন্তু আমাদের সরকার বলছে ট্রানজিট বলছে। এটাকে কলিডোর বলুন।

গণসংহতি আন্দোলন প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, গতকাল আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসল কথা বলে দিয়েছেন। বলেছেন, ভারতে গিয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রী সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে চীন সফরের কথা বলেছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী চীনে যাবেন, এটা নিয়ে ভারতের কোনও আপত্তি নেই। এখানে আর কিছু বলার দরকার আছে? এটা কী স্বাধীন সার্বভৌম দেশ? এই দেশের প্রধানমন্ত্রী যে কোনও দেশে যেতে পারেন। তার জন্য কি অন্য দেশের অনুমতি লাগবে? কিন্তু শেখ হাসিনার লাগে।

এই সরকারের সঙ্গে কোনও আপস হবে না জানিয়ে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই সরকারকে আমরা কোনও অনুমোদন দেবো না। এই সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে। মাঝে মাঝে অনেকেই বলেন, অনেক বছর ধরে তো লড়াই করছেন, পারলেন না তো। আমি বলছি, গতকাল পারিনি, আজ পারব। আজ পারিনি, কাল পারব, লড়াইটা চলবে। যতদিন পর্যন্ত তাদেরকে পরাজিত করতে না পারি, এখানে কোনও থামাথামি নেই, আপস নেই।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দুর্নীতিবাজদের, চরিত্রহীনদের এবং জবরদখলকারীদের সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চ কোনও আপস করবে না। আমরা কোনও বিভ্রান্তকর আন্দোলন করব না। মূল সমস্যা যেগুলো, সেগুলোকে আড়াল করে অন্য একটা সমস্যা নিয়ে এসে মানুষকে বিভ্রান্ত করব... সেই রকম কাজও করব না। আমরা সুনির্দিষ্ট একটা কর্মসূচির ভিত্তিতে মত-পদ নির্ধারণ করে আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। আমরা পথ থেকে বিচ্যুত হইনি। আর লড়াই ছাড়া মুক্তি পাবেন না। তাই বাঁচার জন্য এই লড়াই আপনাদের সবাইকে করতে হবে।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে বাংলাদেশের সমস্ত স্বার্থ জলাঞ্জলি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রব প্রমুখ।

back to top