চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে রোডমার্চের কর্মসূচি নিয়ে যুগপৎ আন্দোলন মাঠে গড়াতে পারে
রেল করিডর দিয়ে ভারতের ট্রেন চলাচল শুরুর আগেই বিএনপি রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ, সমাবেশ, পদযাত্রা, গণমিছিল, রোডমার্চসহ বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি নিয়ে সোচ্চার হতে চায়। পাশাপশি খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তিসহ আরও কয়েকটি বিষয়কে সামনে রেখে সর্বাত্মক আন্দোলনের সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন দলটির নেতারা। তবে একদিনে দুই দফা বৈঠক করেও বিএনপির হাইকমান্ড আন্দোলনের দিনক্ষণ নির্ধারণ করতে পারেননি।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর ছয় মাসের বেশি অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত মাঠে গড়ায়নি যুগপৎ আন্দোলন। তবে এ নিয়ে আর সময়ক্ষেপণ করতে চায় না বিএনপির শরিক বিভিন্ন দল ও জোট। শিগগির যুগপৎ কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে নামার আগ্রহ তাদের। আর ছাত্র-শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনকে সামনে রেখে রাজপথে জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। এই ধাপে মিত্রদেরও পাশে চায় দলটি, তাই তাদের সাথে ধারাবাহিক বৈঠক চালিয়ে যাচ্ছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে রোডমার্চের কর্মসূচি নিয়ে যুগপৎ আন্দোলন মাঠে গড়াতে পারে।
বিএনপি সূত্র থেকে জানা গেছে, সপ্তাখানেকের মধ্যে যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষ হবে। এর পরপরই ঘোষণা করা হবে নতুন কর্মসূচি। ইতোমধ্যে সামনের দিনগুলোতে রাজনীতির মাঠে বিএনপির অবস্থান কেমন হবে এবং করণীয় কি হবে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে দুই দফা ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আন্দোলন কর্মসূচি ঠিক করতে গত শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন দলের যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক এবং অঙ্গসংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা। বৈঠকে দিক নির্দেশনা দিতে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও ভার্চুয়ালি অংশ নেন বলে বিএনপি সূত্র থেকে জানা গেছে। এরপর রাতে আবার দ্বিতীয় দফায় যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক এবং অঙ্গসংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে সম্ভাব্য কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করেন তারেক রহমান ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এরইমধ্যে দীর্ঘ বিরতির পর যুগপৎ আন্দোলনের প্রস্তুতি হিসেবে শরিক দল ও জোটের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির নেতারা। রাজপথের আন্দোলনে নতুন কর্মসূচি ঠিক করতেই দলটি এই বৈঠক করছে বলে দলিয় সূত্রে জানা গেছে।
শনিবার গণঅধিকার পরিষদের (নুর) সঙ্গেও বৈঠক করেছে দলটি। শুক্রবার গণ অধিকার পরিষদ (মশিউজ্জামান) ও ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাদের সঙ্গে এবং এরআগে বৃহস্পতিবার গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, এনডিএম, গণফোরাম ও পিপলস পার্টির সঙ্গে পর্যায়ক্রমে পৃথক বৈঠক করে বিএনপি নেতারা। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বিকেলে ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠক করে দলটি।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, যুগপৎ আন্দোলনের শরিকরা সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের মতো প্রচলিত আন্দোলনের পাশাপাশি ঢাকা থেকে দেশের চার প্রান্ত অভিমুখী রোডমার্চ কর্মসূচি দেওয়ার প্রস্তাব করেছে। তবে রাজপথে নামার আগেই আন্দোলন পরিচালনা ও কর্মসূচি প্রণয়নের লক্ষ্যে শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের জন্য মিত্রদের পক্ষ থেকে বিএনপিকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকগুলোতে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির পাশাপাশি রেল করিডোর, দুর্নীতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ সমসাময়িক কয়েকটি ইস্যুতে কর্মসূচি দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মিত্ররা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটি ও যুগপতের লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘দেশ ও দেশের মানুষ পরিবর্তনের জন্য প্রতীক্ষা করছে। এ পরিবর্তনের জন্য খুব শিগগির কর্মসূচি আসছে। দেশটাকে রক্ষা করার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াইটা চালিয়ে যেতে হবে। সবাই মিলে আমরা দেশটাকে মুক্ত করার চেষ্টা করব।’
জানা গেছে, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ঢাকায় সমাবেশ কিংবা ঢাকা-পঞ্চগড়, ঢাকা-খুলনা, ঢাকা- চট্টগ্রাম রুটে রোডমার্চের প্রস্তাব দিয়েছে। গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য দেশের একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে অর্থাৎ টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া অথবা রূপসা থেকে পাথারিয়া পর্যন্ত রোডমার্চ অথবা পদযাত্রা চায়। এ ছাড়া ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত বিভিন্ন চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের বিস্তারিত দেশের মানুষের কাছে তুলে ধরতে ঢাকায় একটি সেমিনার আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে বাম ঐক্য।
আন্দোলন সফল করতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের বাইরে থাকা জামায়াতে ইসলামীসহ ডান ও বাম ঘরানার সব দল নিয়ে ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচি পালনের প্রস্তাব দিয়েছে সমমনা জোট ও লেবার পার্টি। তবে কোনো কারণে ‘একমঞ্চ’ সম্ভব না হলে সেক্ষেত্রে যুগপতের পরিধি বাড়ানোর পরামর্শ তাদের।
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, ‘আগামীতে আন্দোলন কীভাবে কঠোর থেকে কঠোরতর করা যায়, বৈঠকে সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আশা করি, বিএনপি সবার সঙ্গে আলোচনা করে খুব তাড়াতাড়ি কর্মসূচি ঘোষণা করবে।’
১২ দলীয় জোট নেতা ও লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে ১২ দলীয় জোটের বৈঠকে সরকারবিরোধী আন্দোলনের কর্মকৌশল ও যুগপতের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আশা করছি, শিগগির যুগপতভাবে কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামতে পারব।’
চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে রোডমার্চের কর্মসূচি নিয়ে যুগপৎ আন্দোলন মাঠে গড়াতে পারে
রোববার, ১৪ জুলাই ২০২৪
রেল করিডর দিয়ে ভারতের ট্রেন চলাচল শুরুর আগেই বিএনপি রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ, সমাবেশ, পদযাত্রা, গণমিছিল, রোডমার্চসহ বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি নিয়ে সোচ্চার হতে চায়। পাশাপশি খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তিসহ আরও কয়েকটি বিষয়কে সামনে রেখে সর্বাত্মক আন্দোলনের সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন দলটির নেতারা। তবে একদিনে দুই দফা বৈঠক করেও বিএনপির হাইকমান্ড আন্দোলনের দিনক্ষণ নির্ধারণ করতে পারেননি।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর ছয় মাসের বেশি অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত মাঠে গড়ায়নি যুগপৎ আন্দোলন। তবে এ নিয়ে আর সময়ক্ষেপণ করতে চায় না বিএনপির শরিক বিভিন্ন দল ও জোট। শিগগির যুগপৎ কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে নামার আগ্রহ তাদের। আর ছাত্র-শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনকে সামনে রেখে রাজপথে জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। এই ধাপে মিত্রদেরও পাশে চায় দলটি, তাই তাদের সাথে ধারাবাহিক বৈঠক চালিয়ে যাচ্ছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে রোডমার্চের কর্মসূচি নিয়ে যুগপৎ আন্দোলন মাঠে গড়াতে পারে।
বিএনপি সূত্র থেকে জানা গেছে, সপ্তাখানেকের মধ্যে যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষ হবে। এর পরপরই ঘোষণা করা হবে নতুন কর্মসূচি। ইতোমধ্যে সামনের দিনগুলোতে রাজনীতির মাঠে বিএনপির অবস্থান কেমন হবে এবং করণীয় কি হবে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে দুই দফা ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আন্দোলন কর্মসূচি ঠিক করতে গত শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন দলের যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক এবং অঙ্গসংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা। বৈঠকে দিক নির্দেশনা দিতে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও ভার্চুয়ালি অংশ নেন বলে বিএনপি সূত্র থেকে জানা গেছে। এরপর রাতে আবার দ্বিতীয় দফায় যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক এবং অঙ্গসংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে সম্ভাব্য কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করেন তারেক রহমান ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এরইমধ্যে দীর্ঘ বিরতির পর যুগপৎ আন্দোলনের প্রস্তুতি হিসেবে শরিক দল ও জোটের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির নেতারা। রাজপথের আন্দোলনে নতুন কর্মসূচি ঠিক করতেই দলটি এই বৈঠক করছে বলে দলিয় সূত্রে জানা গেছে।
শনিবার গণঅধিকার পরিষদের (নুর) সঙ্গেও বৈঠক করেছে দলটি। শুক্রবার গণ অধিকার পরিষদ (মশিউজ্জামান) ও ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাদের সঙ্গে এবং এরআগে বৃহস্পতিবার গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, এনডিএম, গণফোরাম ও পিপলস পার্টির সঙ্গে পর্যায়ক্রমে পৃথক বৈঠক করে বিএনপি নেতারা। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বিকেলে ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠক করে দলটি।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, যুগপৎ আন্দোলনের শরিকরা সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের মতো প্রচলিত আন্দোলনের পাশাপাশি ঢাকা থেকে দেশের চার প্রান্ত অভিমুখী রোডমার্চ কর্মসূচি দেওয়ার প্রস্তাব করেছে। তবে রাজপথে নামার আগেই আন্দোলন পরিচালনা ও কর্মসূচি প্রণয়নের লক্ষ্যে শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের জন্য মিত্রদের পক্ষ থেকে বিএনপিকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকগুলোতে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির পাশাপাশি রেল করিডোর, দুর্নীতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ সমসাময়িক কয়েকটি ইস্যুতে কর্মসূচি দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মিত্ররা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটি ও যুগপতের লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘দেশ ও দেশের মানুষ পরিবর্তনের জন্য প্রতীক্ষা করছে। এ পরিবর্তনের জন্য খুব শিগগির কর্মসূচি আসছে। দেশটাকে রক্ষা করার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াইটা চালিয়ে যেতে হবে। সবাই মিলে আমরা দেশটাকে মুক্ত করার চেষ্টা করব।’
জানা গেছে, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ঢাকায় সমাবেশ কিংবা ঢাকা-পঞ্চগড়, ঢাকা-খুলনা, ঢাকা- চট্টগ্রাম রুটে রোডমার্চের প্রস্তাব দিয়েছে। গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য দেশের একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে অর্থাৎ টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া অথবা রূপসা থেকে পাথারিয়া পর্যন্ত রোডমার্চ অথবা পদযাত্রা চায়। এ ছাড়া ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত বিভিন্ন চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের বিস্তারিত দেশের মানুষের কাছে তুলে ধরতে ঢাকায় একটি সেমিনার আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে বাম ঐক্য।
আন্দোলন সফল করতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের বাইরে থাকা জামায়াতে ইসলামীসহ ডান ও বাম ঘরানার সব দল নিয়ে ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচি পালনের প্রস্তাব দিয়েছে সমমনা জোট ও লেবার পার্টি। তবে কোনো কারণে ‘একমঞ্চ’ সম্ভব না হলে সেক্ষেত্রে যুগপতের পরিধি বাড়ানোর পরামর্শ তাদের।
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, ‘আগামীতে আন্দোলন কীভাবে কঠোর থেকে কঠোরতর করা যায়, বৈঠকে সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আশা করি, বিএনপি সবার সঙ্গে আলোচনা করে খুব তাড়াতাড়ি কর্মসূচি ঘোষণা করবে।’
১২ দলীয় জোট নেতা ও লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে ১২ দলীয় জোটের বৈঠকে সরকারবিরোধী আন্দোলনের কর্মকৌশল ও যুগপতের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আশা করছি, শিগগির যুগপতভাবে কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামতে পারব।’