ইউনূসের নেতৃত্বে সরকার গঠনের প্রস্তাব ‘পাগলের প্রলাপ’
কোটা সংস্কার আন্দোলন ইস্যুতে শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী মন্ত্রিসভা থেকে নিজের এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পতদ্যাগের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কে অপরাধী আর কে নিরপরাধ, সেটা বের করবে তদন্ত কমিশন। সিদ্ধান্ত সেখানেই হবে।
শুক্রবার (২ আগস্ট) ঢাকার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবি মানার পরও একটি মহল সরকার বনাম শিক্ষার্থীর গেম খেলে ফায়দা লোটার অপচেষ্টা করছে।’
সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল- ‘শিক্ষার্থীদের প্রধান দাবি কোটা সংস্কারের। সেটা সরকার মেনে নিয়েছে। এখন তারা ৯ দফা দাবি দিয়েছে। এই ৯ দফার মধ্যে আপনার (সেতুমন্ত্রী) এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর (আসাদুজ্জাামান খান কামাল) পদত্যাগসহ বেশ কয়েকটা দাবি আছে। এ দাবির ব্যাপারে আপনারা কী ভাবছেন?’
জবাবে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেখুন, আমি একটা কথা পরিষ্কার করে বলতে চাই, আমি আজকেও বলেছি, সরকার অলরেডি বিচারবিভাগীর তদন্ত কমিশন গঠন করেছে। এতে তিনজন বিচারপতি, জাতিসংঘসহ যেসব দেশ এই তদন্তের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করবে, আমরা তাদেরও স্বাগত জানিয়েছি। তদন্তকাজে তারাও অংশ নিতে পারে। এখন কে অপরাধী, কে অপরাধী নয়, প্রতিটি হত্যাকা-ের তদন্ত করতে আমরা বদ্ধপরিকর। সেটাও ওই যে তদন্ত কমিশন, তার কার্যপরিধির আওতার মধ্যে পড়ে। কাজেই এ বিষয়টি সেখানেই থাকবে, সেখানেই সিদ্ধান্ত হবে।’ শান্তিতে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূসকে সরকারপ্রধান করে একটি মন্ত্রিসভা গঠনের আলাপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে- বিষয়টি আওয়ামী লীগ কীভাবে দেখছে?’- সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পাগলের প্রলাপ।’
‘ডিবি কার্যালয়ে থেকে ফিরে কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছয়জন সমন্বয়ক ফের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এ ব্যাপারে সরকার তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করবে কিনা’- এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সরকার কোনো সিদ্ধান্ত নিলে আপনাদের জানিয়ে দেয়া হবে।’
চলমান আন্দোলনে নাগরিক সমাজের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেখছি, নাগরিক সমাজের অনেকে চলমান সংকটে তাদের নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করেছেন। আমরা ব্যক্তিগত মতের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। কিন্তু একটা রাষ্ট্রের শান্তিশৃঙ্খলা, জনগণের জানমালের নিরাপত্তার বিষয়টি সবার বিবেচনায় থাকা উচিত। তাদের মতামত প্রকাশের সুযোগ কাজে লাগিয়ে তৃতীয় কোনো স্বার্থান্বেষী মহল যেন উসকানি সৃষ্টির কাজে ব্যবহার করতে না পারে, সেই বিষয়ে সবাইকে দায়িত্বশীল হওয়া উচিত।’
‘নাগরিক সমাজের মধ্যে উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে সরকার আলাপ-আলোচনা করবে কিনা’- এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পেশাজীবী, সংস্কৃতিসেবী থেকে শুরু করে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর সঙ্গে মতবিনিময় শুরু করেছেন। পর্যায়ক্রমে সকলের সঙ্গে মতবিনিময় হবে।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের প্রধান দাবি যেহেতু পূরণ হয়েছে, তাই আমরা বিশ্বাস করি, তারা শ্রেণীকক্ষে, পরীক্ষার হলে ফিরে যাবে। তারা কারও অশুভ রাজনীতির ঢাল হিসেবে ব্যবহার হোক, এটা জাতি চায় না। পরিবেশ ও পরিস্থিতি অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য তারানা হালিম, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
ইউনূসের নেতৃত্বে সরকার গঠনের প্রস্তাব ‘পাগলের প্রলাপ’
শনিবার, ০৩ আগস্ট ২০২৪
কোটা সংস্কার আন্দোলন ইস্যুতে শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী মন্ত্রিসভা থেকে নিজের এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পতদ্যাগের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কে অপরাধী আর কে নিরপরাধ, সেটা বের করবে তদন্ত কমিশন। সিদ্ধান্ত সেখানেই হবে।
শুক্রবার (২ আগস্ট) ঢাকার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবি মানার পরও একটি মহল সরকার বনাম শিক্ষার্থীর গেম খেলে ফায়দা লোটার অপচেষ্টা করছে।’
সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল- ‘শিক্ষার্থীদের প্রধান দাবি কোটা সংস্কারের। সেটা সরকার মেনে নিয়েছে। এখন তারা ৯ দফা দাবি দিয়েছে। এই ৯ দফার মধ্যে আপনার (সেতুমন্ত্রী) এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর (আসাদুজ্জাামান খান কামাল) পদত্যাগসহ বেশ কয়েকটা দাবি আছে। এ দাবির ব্যাপারে আপনারা কী ভাবছেন?’
জবাবে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেখুন, আমি একটা কথা পরিষ্কার করে বলতে চাই, আমি আজকেও বলেছি, সরকার অলরেডি বিচারবিভাগীর তদন্ত কমিশন গঠন করেছে। এতে তিনজন বিচারপতি, জাতিসংঘসহ যেসব দেশ এই তদন্তের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করবে, আমরা তাদেরও স্বাগত জানিয়েছি। তদন্তকাজে তারাও অংশ নিতে পারে। এখন কে অপরাধী, কে অপরাধী নয়, প্রতিটি হত্যাকা-ের তদন্ত করতে আমরা বদ্ধপরিকর। সেটাও ওই যে তদন্ত কমিশন, তার কার্যপরিধির আওতার মধ্যে পড়ে। কাজেই এ বিষয়টি সেখানেই থাকবে, সেখানেই সিদ্ধান্ত হবে।’ শান্তিতে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূসকে সরকারপ্রধান করে একটি মন্ত্রিসভা গঠনের আলাপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে- বিষয়টি আওয়ামী লীগ কীভাবে দেখছে?’- সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পাগলের প্রলাপ।’
‘ডিবি কার্যালয়ে থেকে ফিরে কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছয়জন সমন্বয়ক ফের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এ ব্যাপারে সরকার তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করবে কিনা’- এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সরকার কোনো সিদ্ধান্ত নিলে আপনাদের জানিয়ে দেয়া হবে।’
চলমান আন্দোলনে নাগরিক সমাজের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেখছি, নাগরিক সমাজের অনেকে চলমান সংকটে তাদের নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করেছেন। আমরা ব্যক্তিগত মতের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। কিন্তু একটা রাষ্ট্রের শান্তিশৃঙ্খলা, জনগণের জানমালের নিরাপত্তার বিষয়টি সবার বিবেচনায় থাকা উচিত। তাদের মতামত প্রকাশের সুযোগ কাজে লাগিয়ে তৃতীয় কোনো স্বার্থান্বেষী মহল যেন উসকানি সৃষ্টির কাজে ব্যবহার করতে না পারে, সেই বিষয়ে সবাইকে দায়িত্বশীল হওয়া উচিত।’
‘নাগরিক সমাজের মধ্যে উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে সরকার আলাপ-আলোচনা করবে কিনা’- এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পেশাজীবী, সংস্কৃতিসেবী থেকে শুরু করে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর সঙ্গে মতবিনিময় শুরু করেছেন। পর্যায়ক্রমে সকলের সঙ্গে মতবিনিময় হবে।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের প্রধান দাবি যেহেতু পূরণ হয়েছে, তাই আমরা বিশ্বাস করি, তারা শ্রেণীকক্ষে, পরীক্ষার হলে ফিরে যাবে। তারা কারও অশুভ রাজনীতির ঢাল হিসেবে ব্যবহার হোক, এটা জাতি চায় না। পরিবেশ ও পরিস্থিতি অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য তারানা হালিম, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।