alt

রাজনীতি

রাষ্ট্রের পুনর্গঠন, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তই লক্ষ্য : নাহিদ ইসলাম

খালেদ মাহমুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় : শুক্রবার, ০৯ আগস্ট ২০২৪

অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টার দায়িত্ব পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। এই তরুণ দায়িত্ব পেয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের। এক সাক্ষাৎকারে তিনি সংবাদের সঙ্গে কথা বলেছেন তাদের লক্ষ্য, মেয়াদ এবং অন্যান্য প্রসঙ্গে।

প্রশ্ন: উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে প্রাথমিক কী আলোচনা হয়েছে?

নাহিদ: আইনশৃঙ্খলা কীভাবে ফিরিয়ে আনা যায়, সংস্কার করা যায় সেটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশের পক্ষ থেকে কিছু সংস্কারের দাবি এসেছে সেটি নিয়েও কথা হয়েছে। ছাত্ররাও রাস্তায় আছে তাদেরকে কিভাবে কাজে লাগানো যায়, দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পরিকল্পনা করছি। আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। আহত-নিহতদের তালিকাও করা হচ্ছে।

প্রশ্ন: সরকারে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি বাড়ানোর বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়েছে?

নাহিদ: ছাত্রদের নেতৃত্বে অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে। সেজন্য শিক্ষার্থীদেরও নেতৃত্বে আসা উচিত। প্রতিজন উপদেষ্টার সাথে আমরা একজন ছাত্র প্রতিনিধি থাকার বিষয়ে আলোচনা করছি।

প্রশ্ন: সরকারের মেয়াদ নিয়ে কোনও আলোচনা?

নাহিদ: মেয়াদ এখনো ঠিক হয়নি। কিছু প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে এ সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রীয় পুনর্গঠন তথা সংস্কার আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। এটি ছাড়া নির্বাচন দিলে সবকিছু আগের অবস্থানে ফিরে আসবে। পুনর্গঠনের প্রস্তাবনা আমরা তৈরী করছি। সেটি অনুযায়ী মেয়াদ নির্ধারিত হবে। অন্যান্য রাজনৈতিক পক্ষগুলোর সাথে আলোচনা করেই সব ঠিক করা হবে।

প্রশ্ন: আপনার মন্ত্রণালয় নিয়ে কী পরিকল্পনা?

নাহিদ: আমাদের আন্দোলনে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়ে ডিজিটাল ক্র্যাকডাউন চালানো হয়েছিল। এই ইন্টারনেটের দায়িত্বই আমার কাছে চলে এসেছে। আমার প্রথম কাজ হবে এটার তদন্ত করা। কেন ঐ সময়ে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছিল। সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাখা বিশ্লেষণ দেওয়া উচিত, সে সুযোগটা আমার আছে। যেহেতু এখন তথ্যপ্রযুক্তির যুগ, বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে এর ভূমিকা থাকবে। অফিসিয়ালি যেহেতু এখনো যাইনি, যাওয়ার পর পরিকল্পনা সাজাবো। তবে এই মন্ত্রণালয় নিয়ে যে সমালোচনাগুলো আছে, যেমন আড়িপাতা, সিকিউরিটি এ্যাক্ট — এই সমালোচনাগুলোকে আমলে নেওয়ার চেষ্টা করব। এটা নিয়ে নতুন ধরনের পলিসি নেওয়ার চিন্তা রয়েছে।

প্রশ্ন: সরকারি নিয়োগে কোটাসংস্কার নিয়ে কী ভাবছেন?

নাহিদ: কোটা সংস্কার যেটা হয়েছে সেটা আমরা চূড়ান্তভাবে গ্রহণ করিনি। আমরা একটি কমিশনের কথা বলছি, সংসদে আইনের কথা বলছি। এখন সেটা অবশ্যই সুযোগ আছে। তবে সংসদ যেহেতু নাই, নির্বাহী আদেশের সুযোগ আছে। কমিশন যাতে গঠন করা হয় সে প্রস্তাবনা আমরা দিব। কোটা নিয়ে চূড়ান্ত ফয়সালা আমরা করব।

প্রশ্ন: এ সরকারের মূল লক্ষ্য কী হবে?

নাহিদ: যে যে প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে এই গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে এবং সরকার গঠিত হয়েছে, সে লক্ষ্যগুলোকে সামনে রেখে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের পুনর্গঠন এবং এবং একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরি করা আমাদের লক্ষ্য। এছাড়া ন্যায় বিচার, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, গণহত্যাসহ ফ্যাসিজমের অপকর্ম রয়েছে তার বিচার করা এবং একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করাই হবে আমাদের সরকারের লক্ষ্য।

প্রশ্ন: যারা সাম্প্রতিক আন্দোলনে নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারের ক্ষতিপূরণের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত?

নাহিদ: শহীদ পরিবার এবং যারা আহত তাদেরকে সুযোগ সুবিধা অবশ্যই দেওয়া হবে। এজন্য পূর্ণাঙ্গ তালিকাটা প্রয়োজন, সেটা আমরা করব। তারপর তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা এই আন্দোলনে ত্যাগ স্বীকার করেছে সবাই থাকবে এর আওতায়।

প্রশ্ন: পুলিশ পুনর্গঠন বিষয়ে কী চিন্তা?

নাহিদ: পুলিশ কাজে আসাটা শুরু করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে রাজারবাগ গিয়ে কথা বলার আলোচনা চলছে। পুলিশের প্রধান পদগুলোতে ইতিমধ্যে পরিবর্তন হচ্ছে, আরো হবে। যারা নির্দেশ দাতা যারা ছিলেন, বিশেষ করে আন্দোলনে গুলি চালানোর ক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পুনর্গঠনের কিছু দাবি পুলিশের পক্ষ থেকেও এসেছে, আমাদের জায়গা থেকেও আসছে। যেকোন সরকার পুলিশকে নিজেদের লক্ষ্য বাস্তবায়নে ব্যবহার করে, বিরোধী দলকে দমনের কাছে ব্যবহার করে। শেষ পর্যন্ত দোষটা প্রতিষ্ঠানের উপর যায়। এই বিষয়গুলো সংশোধন করতে আরেকটু সময় লাগবে। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে একটা আস্থায় জায়গা নিতে চাচ্ছি।

ছবি

উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতিতে অনড় থাকার ঘোষণা এনসিপির

ছবি

জামায়াত-ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন ও এনসিপিকে হুঁশিয়ার করল স্বেচ্ছাসেবক দল

ছবি

“পতিত স্বৈরাচার অস্থিতিশীলতার সুযোগ নিচ্ছে”—চরমোনাই পীরের হুঁশিয়ারি

ছবি

দ্বিকক্ষ সংসদে পিআর পদ্ধতির পক্ষে অবস্থান পুনর্ব্যক্ত জামায়াতের

ছবি

দুর্নীতির মামলায় খালাস, বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলল হাই কোর্ট

ছবি

দ্বিকক্ষ সংসদে রাজি বিএনপি, তবে ব্যয় ও পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন

ছবি

উচ্চকক্ষ গঠনে মতানৈক্য, ঐকমত্য হয়নি: সালাহউদ্দিন আহমদ

ছবি

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র হচ্ছে: জাহিদ

ছবি

তারেক-জুবাইদার মামলার বিচার নিরপেক্ষ ছিল না : হাইকোর্ট

ছবি

দুদকের আবেদনে লতিফ বিশ্বাস ও পরিবারের বিদেশযাত্রা স্থগিত

ছবি

‘সংস্কার ছাড়া নতুন বাংলাদেশ আসবে না’ — বরগুনায় এনসিপির পথসভায় আহ্বায়ক

ছবি

বিএনপির বিক্ষোভে ব্যবসায়ী হত্যা তদন্তের দাবি ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ

ছবি

বিএনপির বিক্ষোভে ব্যবসায়ী হত্যা তদন্তের দাবি ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ

ছবি

জাতীয় পার্টির বিভক্তির জন্য ক্ষমতাসীনদের দায় দেখছেন কিছু নেতা

ছবি

‘গুপ্ত সংগঠনের মব’ এর বিরুদ্ধে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল

ছবি

বিএনপি এখন চাঁদাবাজের দলে পরিণত হয়েছে: নাহিদ

ছবি

‘তুমি টানতেছ কেন?’—পুলিশকে ধমক সাবেক মন্ত্রী কামরুলের

ছবি

সোহাগ হত্যা: আসামিদের পক্ষে লড়বেন না বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা

ছবি

জয়-পুতুলের দান-অনুদান সংক্রান্ত নথি চেয়ে এনবিআরকে দুদকের চিঠি

ছবি

সোহাগ হত্যাকে ‘রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ার’ হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ ফখরুলের

ছবি

হাতিরঝিলে গ্রেপ্তার শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট

ছবি

জরুরি অবস্থার অপব্যবহার ঠেকাতে সুনির্দিষ্ট আইন চায় এনসিপি

অপপ্রচারের জবাব দিতে তরুণদের সাইবার যুদ্ধে নামতে হবে’

ছবি

ইসি পুনর্গঠন ও শাপলা প্রতীকের পক্ষে অবস্থান নিলো এনসিপি

ছবি

মির্জা ফখরুলের ভাইয়ের ওপর বিএনপি কর্মীদের হামলা চেষ্টা, গাড়ি ভাঙচুর

ছবি

ব্যবসায়ী হত্যার প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মশাল মিছিল

ছবি

‘৯ লাখের শেয়ার লেনদেন, দিয়েছেন ২৫ হাজার’ — খাগড়াছড়িতে এনসিপি নেত্রীকে অভিযুক্ত করলেন সহকর্মী

ছবি

‘গণতান্ত্রিক অধিকারের যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি’ — সজাগ থাকার আহ্বান তারেকের

ছবি

‘অন্তর্বর্তী সরকার অন্যায়কারীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে কি না?’ – প্রশ্ন তারেক রহমানের

ছবি

সহিংসতা বন্ধ না করলে আওয়ামী লীগের পরিণতি ভোগ করবে বিএনপি’ — হুঁশিয়ারি যুবশক্তির

ছবি

পরিকল্পিত প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তায় দেশে অরাজকতা, নির্বাচন বিলম্বের সুযোগ তৈরি করছে : যুবদল সভাপতি

ছবি

সোহাগ হত্যাকাণ্ডে বিএনপির কড়া প্রতিক্রিয়া, জড়িতদের শাস্তির দাবি

ছবি

‘নৃশংসতার রাজনীতি চলতে পারে না’ — সোহাগ হত্যার প্রতিবাদে দুই দলের বিবৃতি

ছবি

জাতিসংঘ কার্যালয়কে ‘সার্বভৌমত্বের হুমকি’ আখ্যা দিয়ে তিন দাবি হেফাজতে ইসলামের

ছবি

সোহরাওয়ার্দীর সমাবেশকে ‘টার্নিং পয়েন্ট’ বললেন জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেল

ছবি

“পাগলও বোঝে কারা ক্ষমতায় যাবে,” প্রতিবাদ সভায় দুদু

tab

রাজনীতি

রাষ্ট্রের পুনর্গঠন, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তই লক্ষ্য : নাহিদ ইসলাম

খালেদ মাহমুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

শুক্রবার, ০৯ আগস্ট ২০২৪

অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টার দায়িত্ব পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। এই তরুণ দায়িত্ব পেয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের। এক সাক্ষাৎকারে তিনি সংবাদের সঙ্গে কথা বলেছেন তাদের লক্ষ্য, মেয়াদ এবং অন্যান্য প্রসঙ্গে।

প্রশ্ন: উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে প্রাথমিক কী আলোচনা হয়েছে?

নাহিদ: আইনশৃঙ্খলা কীভাবে ফিরিয়ে আনা যায়, সংস্কার করা যায় সেটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশের পক্ষ থেকে কিছু সংস্কারের দাবি এসেছে সেটি নিয়েও কথা হয়েছে। ছাত্ররাও রাস্তায় আছে তাদেরকে কিভাবে কাজে লাগানো যায়, দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পরিকল্পনা করছি। আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। আহত-নিহতদের তালিকাও করা হচ্ছে।

প্রশ্ন: সরকারে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি বাড়ানোর বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়েছে?

নাহিদ: ছাত্রদের নেতৃত্বে অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে। সেজন্য শিক্ষার্থীদেরও নেতৃত্বে আসা উচিত। প্রতিজন উপদেষ্টার সাথে আমরা একজন ছাত্র প্রতিনিধি থাকার বিষয়ে আলোচনা করছি।

প্রশ্ন: সরকারের মেয়াদ নিয়ে কোনও আলোচনা?

নাহিদ: মেয়াদ এখনো ঠিক হয়নি। কিছু প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে এ সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রীয় পুনর্গঠন তথা সংস্কার আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। এটি ছাড়া নির্বাচন দিলে সবকিছু আগের অবস্থানে ফিরে আসবে। পুনর্গঠনের প্রস্তাবনা আমরা তৈরী করছি। সেটি অনুযায়ী মেয়াদ নির্ধারিত হবে। অন্যান্য রাজনৈতিক পক্ষগুলোর সাথে আলোচনা করেই সব ঠিক করা হবে।

প্রশ্ন: আপনার মন্ত্রণালয় নিয়ে কী পরিকল্পনা?

নাহিদ: আমাদের আন্দোলনে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়ে ডিজিটাল ক্র্যাকডাউন চালানো হয়েছিল। এই ইন্টারনেটের দায়িত্বই আমার কাছে চলে এসেছে। আমার প্রথম কাজ হবে এটার তদন্ত করা। কেন ঐ সময়ে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছিল। সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাখা বিশ্লেষণ দেওয়া উচিত, সে সুযোগটা আমার আছে। যেহেতু এখন তথ্যপ্রযুক্তির যুগ, বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে এর ভূমিকা থাকবে। অফিসিয়ালি যেহেতু এখনো যাইনি, যাওয়ার পর পরিকল্পনা সাজাবো। তবে এই মন্ত্রণালয় নিয়ে যে সমালোচনাগুলো আছে, যেমন আড়িপাতা, সিকিউরিটি এ্যাক্ট — এই সমালোচনাগুলোকে আমলে নেওয়ার চেষ্টা করব। এটা নিয়ে নতুন ধরনের পলিসি নেওয়ার চিন্তা রয়েছে।

প্রশ্ন: সরকারি নিয়োগে কোটাসংস্কার নিয়ে কী ভাবছেন?

নাহিদ: কোটা সংস্কার যেটা হয়েছে সেটা আমরা চূড়ান্তভাবে গ্রহণ করিনি। আমরা একটি কমিশনের কথা বলছি, সংসদে আইনের কথা বলছি। এখন সেটা অবশ্যই সুযোগ আছে। তবে সংসদ যেহেতু নাই, নির্বাহী আদেশের সুযোগ আছে। কমিশন যাতে গঠন করা হয় সে প্রস্তাবনা আমরা দিব। কোটা নিয়ে চূড়ান্ত ফয়সালা আমরা করব।

প্রশ্ন: এ সরকারের মূল লক্ষ্য কী হবে?

নাহিদ: যে যে প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে এই গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে এবং সরকার গঠিত হয়েছে, সে লক্ষ্যগুলোকে সামনে রেখে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের পুনর্গঠন এবং এবং একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরি করা আমাদের লক্ষ্য। এছাড়া ন্যায় বিচার, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, গণহত্যাসহ ফ্যাসিজমের অপকর্ম রয়েছে তার বিচার করা এবং একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করাই হবে আমাদের সরকারের লক্ষ্য।

প্রশ্ন: যারা সাম্প্রতিক আন্দোলনে নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারের ক্ষতিপূরণের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত?

নাহিদ: শহীদ পরিবার এবং যারা আহত তাদেরকে সুযোগ সুবিধা অবশ্যই দেওয়া হবে। এজন্য পূর্ণাঙ্গ তালিকাটা প্রয়োজন, সেটা আমরা করব। তারপর তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা এই আন্দোলনে ত্যাগ স্বীকার করেছে সবাই থাকবে এর আওতায়।

প্রশ্ন: পুলিশ পুনর্গঠন বিষয়ে কী চিন্তা?

নাহিদ: পুলিশ কাজে আসাটা শুরু করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে রাজারবাগ গিয়ে কথা বলার আলোচনা চলছে। পুলিশের প্রধান পদগুলোতে ইতিমধ্যে পরিবর্তন হচ্ছে, আরো হবে। যারা নির্দেশ দাতা যারা ছিলেন, বিশেষ করে আন্দোলনে গুলি চালানোর ক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পুনর্গঠনের কিছু দাবি পুলিশের পক্ষ থেকেও এসেছে, আমাদের জায়গা থেকেও আসছে। যেকোন সরকার পুলিশকে নিজেদের লক্ষ্য বাস্তবায়নে ব্যবহার করে, বিরোধী দলকে দমনের কাছে ব্যবহার করে। শেষ পর্যন্ত দোষটা প্রতিষ্ঠানের উপর যায়। এই বিষয়গুলো সংশোধন করতে আরেকটু সময় লাগবে। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে একটা আস্থায় জায়গা নিতে চাচ্ছি।

back to top