ঢাকা থেকে ২০১৫ সালে নিখোঁজ হওয়ার পর ভারতের শিলংয়ে আবিষ্কৃত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ আজ রবিবার দেশে ফিরছেন। দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনি।
তিনি সকালে একটি নিউজ পোর্টালকে জানান, “আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে হাজারো শুকরিয়া, অনেক বছর পর আমি আমার মাতৃভূমিতে ফিরতে পারছি। দেশের জনগণ ও প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রতি আমার সালাম ও শুভেচ্ছা।”
সালাহ উদ্দিন আহমেদ এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে বেলা ২টায় ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
২০১৫ সালের ১০ মার্চ আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপির আন্দোলনের মধ্যে ঢাকার উত্তরা থেকে নিখোঁজ হন সালাহ উদ্দিন। সে সময় তিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। নিখোঁজ হওয়ার ৬৩ দিন পর, ১১ মে, মেঘালয়ের শিলংয়ে উদ্ভ্রান্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করে। ভারতে প্রবেশের সময় তার বৈধ কাগজপত্র না থাকায় মেঘালয় পুলিশ তাকে ফরেনার্স অ্যাক্টে গ্রেপ্তার করে।
২০১৫ সালের ২২ জুলাই শিলংয়ের আদালতে তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হয়। পরে, ২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর মেঘালয় পুলিশের করা মামলায় তিনি খালাস পান। কিন্তু ভারত সরকার ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি শিলং জজ কোর্ট তাকে পুনরায় খালাস দেয় এবং দ্রুত দেশে ফেরানোর নির্দেশনা দেয়।
তবে দেশে ফিরলে বৈরী পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার শঙ্কায় এতদিন সালাহ উদ্দিন দেশে ফিরতে পারেননি।
সালাহ উদ্দিন আহমেদ বিসিএস ক্যাডারের কর্মকর্তা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন এবং ১৯৯১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব হিসেবে কাজ করেন। পরবর্তীতে সরকারি চাকরি ছেড়ে বিএনপিতে যোগ দিয়ে রাজনীতিতে আসেন। ২০০১ সালে কক্সবাজার থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং চারদলীয় জোট সরকারের যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদও সংসদ সদস্য ছিলেন।
ভারতে আটকের সময়ে তিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন এবং ২০১৬ সালে ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন।
বিএনপি অভিযোগ করেছে, সালাহ উদ্দিন স্বেচ্ছায় ভারতে যাননি; তাকে ধরে নিয়ে সীমান্তে পার করা হয়েছিল এবং এতে আওয়ামী লীগ সরকারের হাত ছিল।
রোববার, ১১ আগস্ট ২০২৪
ঢাকা থেকে ২০১৫ সালে নিখোঁজ হওয়ার পর ভারতের শিলংয়ে আবিষ্কৃত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ আজ রবিবার দেশে ফিরছেন। দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনি।
তিনি সকালে একটি নিউজ পোর্টালকে জানান, “আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে হাজারো শুকরিয়া, অনেক বছর পর আমি আমার মাতৃভূমিতে ফিরতে পারছি। দেশের জনগণ ও প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রতি আমার সালাম ও শুভেচ্ছা।”
সালাহ উদ্দিন আহমেদ এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে বেলা ২টায় ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
২০১৫ সালের ১০ মার্চ আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপির আন্দোলনের মধ্যে ঢাকার উত্তরা থেকে নিখোঁজ হন সালাহ উদ্দিন। সে সময় তিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। নিখোঁজ হওয়ার ৬৩ দিন পর, ১১ মে, মেঘালয়ের শিলংয়ে উদ্ভ্রান্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করে। ভারতে প্রবেশের সময় তার বৈধ কাগজপত্র না থাকায় মেঘালয় পুলিশ তাকে ফরেনার্স অ্যাক্টে গ্রেপ্তার করে।
২০১৫ সালের ২২ জুলাই শিলংয়ের আদালতে তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হয়। পরে, ২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর মেঘালয় পুলিশের করা মামলায় তিনি খালাস পান। কিন্তু ভারত সরকার ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি শিলং জজ কোর্ট তাকে পুনরায় খালাস দেয় এবং দ্রুত দেশে ফেরানোর নির্দেশনা দেয়।
তবে দেশে ফিরলে বৈরী পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার শঙ্কায় এতদিন সালাহ উদ্দিন দেশে ফিরতে পারেননি।
সালাহ উদ্দিন আহমেদ বিসিএস ক্যাডারের কর্মকর্তা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন এবং ১৯৯১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব হিসেবে কাজ করেন। পরবর্তীতে সরকারি চাকরি ছেড়ে বিএনপিতে যোগ দিয়ে রাজনীতিতে আসেন। ২০০১ সালে কক্সবাজার থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং চারদলীয় জোট সরকারের যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদও সংসদ সদস্য ছিলেন।
ভারতে আটকের সময়ে তিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন এবং ২০১৬ সালে ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন।
বিএনপি অভিযোগ করেছে, সালাহ উদ্দিন স্বেচ্ছায় ভারতে যাননি; তাকে ধরে নিয়ে সীমান্তে পার করা হয়েছিল এবং এতে আওয়ামী লীগ সরকারের হাত ছিল।