alt

রাজনীতি

ছাত্র আন্দোলন সামলাতে শেখ হাসিনা সরকারের ‘ভুল স্বীকার’ করলেন জয়

সংবাদ ডেস্ক : বুধবার, ১৪ আগস্ট ২০২৪

চাকরিতে কোটা সংস্কার নিয়ে মাঠে নামা ছাত্র আন্দোলন সামলানোর ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি থেকে একটি ভিডিও সাক্ষাত্কারে জয় ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জয় এ কথা বলেন।

বিষয়টি আদালতের ওপর ছেড়ে না দিয়ে সরকারের প্রথম থেকেই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে কোটার বিরুদ্ধে কথা বলা উচিত ছিল বলে মনে করেন জয়।

হাসিনাপুত্র জয় বলেন, আমি বিশ্বাস করি, আমাদের সরকারের উচিত ছিল কোটার বিরুদ্ধে কথা বলা এবং বিষয়টি আদালতের ওপর ছেড়ে দেওয়ার পরিবর্তে, শুরু থেকেই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলা। আমাদের সরকার চাকরিতে কোটা কমানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছে। আমি প্রকাশ্যে একটি অবস্থান নেওয়ারও সুপারিশ করেছিলাম, যেন আমরা বলি যে আদালত একটি ভুল করেছে, আমরা কোটা চাই না। কিন্তু সরকার সেটা কানে তোলেনি। তারা বিচার ব্যবস্থার ওপরই বিষয়টি ছেড়ে দিয়েছে।

ছাত্র আন্দোলন সহিংস হয়ে ওঠার পেছেন বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার হাত ছিল দাবি করে জয় বলেন, কারণ ১৫ জুলাই থেকে অনেক আন্দোলনকারীর কাছে অস্ত্র দেখা যায়। গত ১৫ বছরে জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে সফলতার কারণে বাংলাদেশে এভাবে অস্ত্র পাওয়া খুবই কঠিন। একমাত্র কোনো বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশে অস্ত্র পাচার হতে পারে এবং আন্দোলনকারীদের কাছে সরবরাহ করতে পারে।

জয় বলেন, তিনি বা শেখ হাসিনার কেউ ভাবতেই পারেননি পরিস্থিতি এত দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। মায়ের দেশ ছাড়ার কোনো ইচ্ছা ছিল না। তিনি পদত্যাগ করতে যাচ্ছিলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন এবং জনগণের উদ্দেশে একটি বার্তা দেবেন। আমার ধারণা, জনগণের উদ্দেশে মা যে বার্তা দিতে চেয়েছিলেন সেটির খসড়াও তিনি তৈরি করেছিলেন। অডিও বার্তা রেকর্ড করার প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন, তখন বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বলেন, ম্যাম, সময় নেই। আমাদের এখন যেতে হবে।

শেখ হাসিনা দেশ না ছাড়ার বিষয়ে অনড় ছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী তাকে সামরিক বিমানঘাঁটির মধ্যে একটি নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে একটি হেলিকপ্টার প্রস্তুত ছিল। কিন্তু তিনি যেতে চাননি। তখন ওই পরিস্থিতিতে আমার খালা (শেখ রেহানা) আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আমি মাকে বোঝালাম যে তোমার নিরাপত্তার জন্য তোমাকে চলে যেতে হবে। যদি এই জনতা তোমাকে খুঁজে পায়, কোথাও তোমাকে ধরে ফেলে এবং সেখানে গুলি চলে, তাহলে অনেক মানুষ মারা যাবে। এতে হয় তোমাকে এই হত্যার জন্য দায় দেওয়া হবে, নাহয় যদি তোমাকে ধরে ফেলে তাহলে মেরে ফেলবে। তাই সবচেয়ে ভালো বিকল্প হল তোমার দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া এবং আমিই তাকে চলে যেতে রাজি করিয়েছি।

সজীব ওয়াজেদ বলেন, আপাতত তিনি ভারতে থাকবেন। বাংলাদেশে পরিস্থিতি কি দাঁড়ায় সেটি পর্যবেক্ষণ করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারকে ধন্যবাদ যে তারা দ্রুত সাড়া দিয়েছে। মোদী সরকার তার জীবন বাঁচিয়েছে এবং নিরাপদে রেখেছে।

শেখ হাসিনা বিভিন্ন দেশে আশ্রয়ের জন্য চেষ্টা করছেন বলে যেসব খবর এসেছে, সেসব গুজব বলে উড়িয়ে দিয়ে জয় বলেন, উনি কোথাও আশ্রয়ের আবেদন করেনি।

শেখ হাসিনার ছেলে জয় বলেন, আমি আশা করব, ৯০ দিনের সাংবিধানিক সময়সীমার মধ্যে বাংলাদেশে নির্বাচন করার বিষয়টি ভারত নিশ্চিত করবে। এছাড়া নৈরাজ্য বন্ধ করা হবে এবং আওয়ামী লীগকে প্রচার ও পুনর্গঠনের অনুমতি দেওয়া হবে। এই বিষয়গুলো নিশ্চিত করা হলে আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ারও আশা রাখেন জয়।

ছবি

গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের ৪২২ জন বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত ছিল : ফখরুল

ছবি

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ফ্ল্যাট করে নিহতদের পরিবারকে দেয়ার দাবী ইনকিলাব সম্পাদকের

ছবি

আ. লীগ শাসনামলে আন্দোলনে নিহতদের পরিবারকে ভাতা দিতে হবে: ফখরুল

ছবি

স্থগিত হলো গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির কমিটি ও কার্যক্রম

ছবি

জাতীয় ঐক্য তৈরিতে কাজ করবে জাতীয় নাগরিক কমিটি

ছবি

‘দুর্যোগপূর্ণ’ আবহাওয়া, বিএনপির সমাবেশ পেছাল দুদিন

সুপরিকল্পিতভাবে ঐক্য বিনষ্টের চেষ্টা চলছে, সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে : মির্জা ফখরুল

সংস্কার শেষে অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত নির্বাচনের দিকে যাবে, আশা ফখরুলের

ছবি

যথাশিগগির সংস্কার শেষে নির্বাচনে যাবে অন্তর্বর্তী সরকার, আশা ফখরুলের

ছবি

হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া

ছবি

সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুদক

দেশে এখনো আওয়ামী লীগের ঘাতকরা রয়ে গেছে - সিলেটে রিজভী

ছবি

নড়াইলে মাশরাফী ও তার বাবাসহ ৯০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

কুষ্টিয়ায় যুবদল নেতার উসকানিমূলক বক্তব্য, ফেসবুকে ভিডিও ভাইরাল

ছবি

বিএনপি নেতাদের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা ও ব্যানার-ফেস্টুন প্রদর্শনে নিষেধাজ্ঞা

ছবি

ভারতের প্রভুসুলভ আচরণ প্রতিবেশীদের জন্য শুভ নয়: মির্জা ফখরুল

ছবি

নতুন রাজনৈতিক প্লাটফর্ম ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি’র আত্মপ্রকাশ

ছবি

কিশোর হত্যা: সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান কারাগারে

ছবি

কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে হবে : ফয়জুল করিম

ছবি

‘যুবলীগ-শ্রমিক লীগই’ পরিবহনে বোমা মেরে বিরোধীদের মামলা দিত

ছবি

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের প্রেক্ষিতে জাতীয় নাগরিক কমিটির আত্মপ্রকাশ আজ

ছবি

বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি ভারতের শ্রদ্ধা প্রয়োজন: রুহুল কবির রিজভী

ছবি

অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত যথাযথ ও সময়োপযোগী: মির্জা ফখরুল

ছবি

আশুলিয়ায় বিএনপি’র শ্রমিক সমাবেশে হট্টগোল,আহত-৫

ছবি

এক ফ্যাসিবাদ গেলেও আরেক ফ্যাসিবাদ তৈরি করা হচ্ছে - শিবচরে নুরুল হক নূর

নারায়ণগঞ্জে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিবকে দলীয় কর্মীদের মারধর

ছবি

সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ও স্বামী–সন্তানের ব্যাংকের তথ্য তলব

ছবি

বিএনপির আহমেদ আযম খানের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ

ছবি

নির্বাচন কমিশনের সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ: পদত্যাগের সম্ভাবনা

ছবি

মুক্তিযুদ্ধ, জাতীয় সংগীত ও সংবিধানের ওপর আঘাতকারীদের রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান সিপিবির

ছবি

বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা ফখর উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিতে গোপালগঞ্জে বিক্ষোভ

ছবি

বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা চাইলেন তারেক রহমান

একে একে নিবন্ধন পাচ্ছে আগে বাতিল দলগুলো

ছবি

বিএনপির দুই শীর্ষ নেতার কাছে ব্যাখ্যা তলব

ছবি

ইসির নিবন্ধন পেল নাগরিক ঐক্য

tab

রাজনীতি

ছাত্র আন্দোলন সামলাতে শেখ হাসিনা সরকারের ‘ভুল স্বীকার’ করলেন জয়

সংবাদ ডেস্ক

বুধবার, ১৪ আগস্ট ২০২৪

চাকরিতে কোটা সংস্কার নিয়ে মাঠে নামা ছাত্র আন্দোলন সামলানোর ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি থেকে একটি ভিডিও সাক্ষাত্কারে জয় ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জয় এ কথা বলেন।

বিষয়টি আদালতের ওপর ছেড়ে না দিয়ে সরকারের প্রথম থেকেই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে কোটার বিরুদ্ধে কথা বলা উচিত ছিল বলে মনে করেন জয়।

হাসিনাপুত্র জয় বলেন, আমি বিশ্বাস করি, আমাদের সরকারের উচিত ছিল কোটার বিরুদ্ধে কথা বলা এবং বিষয়টি আদালতের ওপর ছেড়ে দেওয়ার পরিবর্তে, শুরু থেকেই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলা। আমাদের সরকার চাকরিতে কোটা কমানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছে। আমি প্রকাশ্যে একটি অবস্থান নেওয়ারও সুপারিশ করেছিলাম, যেন আমরা বলি যে আদালত একটি ভুল করেছে, আমরা কোটা চাই না। কিন্তু সরকার সেটা কানে তোলেনি। তারা বিচার ব্যবস্থার ওপরই বিষয়টি ছেড়ে দিয়েছে।

ছাত্র আন্দোলন সহিংস হয়ে ওঠার পেছেন বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার হাত ছিল দাবি করে জয় বলেন, কারণ ১৫ জুলাই থেকে অনেক আন্দোলনকারীর কাছে অস্ত্র দেখা যায়। গত ১৫ বছরে জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে সফলতার কারণে বাংলাদেশে এভাবে অস্ত্র পাওয়া খুবই কঠিন। একমাত্র কোনো বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশে অস্ত্র পাচার হতে পারে এবং আন্দোলনকারীদের কাছে সরবরাহ করতে পারে।

জয় বলেন, তিনি বা শেখ হাসিনার কেউ ভাবতেই পারেননি পরিস্থিতি এত দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। মায়ের দেশ ছাড়ার কোনো ইচ্ছা ছিল না। তিনি পদত্যাগ করতে যাচ্ছিলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন এবং জনগণের উদ্দেশে একটি বার্তা দেবেন। আমার ধারণা, জনগণের উদ্দেশে মা যে বার্তা দিতে চেয়েছিলেন সেটির খসড়াও তিনি তৈরি করেছিলেন। অডিও বার্তা রেকর্ড করার প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন, তখন বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বলেন, ম্যাম, সময় নেই। আমাদের এখন যেতে হবে।

শেখ হাসিনা দেশ না ছাড়ার বিষয়ে অনড় ছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী তাকে সামরিক বিমানঘাঁটির মধ্যে একটি নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে একটি হেলিকপ্টার প্রস্তুত ছিল। কিন্তু তিনি যেতে চাননি। তখন ওই পরিস্থিতিতে আমার খালা (শেখ রেহানা) আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আমি মাকে বোঝালাম যে তোমার নিরাপত্তার জন্য তোমাকে চলে যেতে হবে। যদি এই জনতা তোমাকে খুঁজে পায়, কোথাও তোমাকে ধরে ফেলে এবং সেখানে গুলি চলে, তাহলে অনেক মানুষ মারা যাবে। এতে হয় তোমাকে এই হত্যার জন্য দায় দেওয়া হবে, নাহয় যদি তোমাকে ধরে ফেলে তাহলে মেরে ফেলবে। তাই সবচেয়ে ভালো বিকল্প হল তোমার দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া এবং আমিই তাকে চলে যেতে রাজি করিয়েছি।

সজীব ওয়াজেদ বলেন, আপাতত তিনি ভারতে থাকবেন। বাংলাদেশে পরিস্থিতি কি দাঁড়ায় সেটি পর্যবেক্ষণ করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারকে ধন্যবাদ যে তারা দ্রুত সাড়া দিয়েছে। মোদী সরকার তার জীবন বাঁচিয়েছে এবং নিরাপদে রেখেছে।

শেখ হাসিনা বিভিন্ন দেশে আশ্রয়ের জন্য চেষ্টা করছেন বলে যেসব খবর এসেছে, সেসব গুজব বলে উড়িয়ে দিয়ে জয় বলেন, উনি কোথাও আশ্রয়ের আবেদন করেনি।

শেখ হাসিনার ছেলে জয় বলেন, আমি আশা করব, ৯০ দিনের সাংবিধানিক সময়সীমার মধ্যে বাংলাদেশে নির্বাচন করার বিষয়টি ভারত নিশ্চিত করবে। এছাড়া নৈরাজ্য বন্ধ করা হবে এবং আওয়ামী লীগকে প্রচার ও পুনর্গঠনের অনুমতি দেওয়া হবে। এই বিষয়গুলো নিশ্চিত করা হলে আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ারও আশা রাখেন জয়।

back to top