ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান নস্যাৎ করতে ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘পতিত সরকার ও শেখ হাসিনা ভারত থেকে অপপ্রচার চালাচ্ছে। শিল্পক্ষেত্রে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে।’ সুপরিকল্পিতভাবে ঐক্য বিনষ্টের এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সহকারী প্রেস সচিব সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতীয় প্রেসক্লাব, বিএফইউজে, ডিইউজে, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ও সাংবাদিক সমবায় সমিতি লিমিটেড।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসনামলে অনেকেই নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। অনেকেই দেশে থাকতে পারেনি ফ্যাসিবাদী হাসিনার কারণে। আমরা দেশের ভেতরে থেকে আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলাম আবার অনেকে দেশের বাইরে থেকেও সংগ্রামে অংশ নিয়েছেন। মুশফিকুল ফজল আনসারী তার মধ্যে অন্যতম। তিনি ছিলেন গণতন্ত্রের সত্যিকারের নায়ক।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যখন কথা বলতে পারিনি, মুশফিক তখন আমেরিকা এবং ইউরোপে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এমন সন্তান বাংলার ঘরে ঘরে জন্ম নেয়া দরকার। এই দেশের মানুষ ও গণতন্ত্রকামী মানুষের কাছে তিনি হিরো হিসেবে থাকবেন।’ তিনি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা যে বিজয় অর্জন করেছি, বিজয় তখনি সুসংহত হবে যদি এটা ধরে রাখতে পারি। সুপরিকল্পিতভাবে আমাদের ঐক্য বিনষ্টের চেষ্টা চলছে, সেটিকে রুখে দিতে হবে। যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে সেটিকে যেন কাজে লাগাতে পারি।’
প্রধান উপদেষ্টার জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে যে সংস্কারের কথা বলা হয়েছে, তা দ্রুত শেষ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নির্বাচনের দিকে যাওয়ার দাবি জানান তিনি। ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্রের ভীত মজবুত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান বিএনপির মহাসচিব।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীকে জাতীয় প্রেসক্লাব, বিএফইউজে, ডিইউজে, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতারা ফুলের তোড়া দিয়ে অভিবাদন জানান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন, সরকারি কর্মকর্তা সমিতির নেতা নেয়ামত উল্যাহ, বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দচন্দ্র প্রমাণিক, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি এম আবদুল্লাহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাবেক সভাপতি এলাহী নেওয়াজ খান সাজু, ডিইউজে সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলম ও কবি আবদুল হাই সিকদার প্রমুখ।
শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান নস্যাৎ করতে ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘পতিত সরকার ও শেখ হাসিনা ভারত থেকে অপপ্রচার চালাচ্ছে। শিল্পক্ষেত্রে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে।’ সুপরিকল্পিতভাবে ঐক্য বিনষ্টের এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সহকারী প্রেস সচিব সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতীয় প্রেসক্লাব, বিএফইউজে, ডিইউজে, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ও সাংবাদিক সমবায় সমিতি লিমিটেড।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসনামলে অনেকেই নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। অনেকেই দেশে থাকতে পারেনি ফ্যাসিবাদী হাসিনার কারণে। আমরা দেশের ভেতরে থেকে আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলাম আবার অনেকে দেশের বাইরে থেকেও সংগ্রামে অংশ নিয়েছেন। মুশফিকুল ফজল আনসারী তার মধ্যে অন্যতম। তিনি ছিলেন গণতন্ত্রের সত্যিকারের নায়ক।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যখন কথা বলতে পারিনি, মুশফিক তখন আমেরিকা এবং ইউরোপে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এমন সন্তান বাংলার ঘরে ঘরে জন্ম নেয়া দরকার। এই দেশের মানুষ ও গণতন্ত্রকামী মানুষের কাছে তিনি হিরো হিসেবে থাকবেন।’ তিনি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা যে বিজয় অর্জন করেছি, বিজয় তখনি সুসংহত হবে যদি এটা ধরে রাখতে পারি। সুপরিকল্পিতভাবে আমাদের ঐক্য বিনষ্টের চেষ্টা চলছে, সেটিকে রুখে দিতে হবে। যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে সেটিকে যেন কাজে লাগাতে পারি।’
প্রধান উপদেষ্টার জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে যে সংস্কারের কথা বলা হয়েছে, তা দ্রুত শেষ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নির্বাচনের দিকে যাওয়ার দাবি জানান তিনি। ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্রের ভীত মজবুত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান বিএনপির মহাসচিব।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীকে জাতীয় প্রেসক্লাব, বিএফইউজে, ডিইউজে, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতারা ফুলের তোড়া দিয়ে অভিবাদন জানান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন, সরকারি কর্মকর্তা সমিতির নেতা নেয়ামত উল্যাহ, বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দচন্দ্র প্রমাণিক, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি এম আবদুল্লাহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাবেক সভাপতি এলাহী নেওয়াজ খান সাজু, ডিইউজে সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলম ও কবি আবদুল হাই সিকদার প্রমুখ।