দেশ পুনর্গঠনে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে নবগঠিত জাতীয় নাগরিক কমিটি তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। শনিবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে প্রথম সংবাদ সম্মেলনে তারা এ অভিপ্রায় প্রকাশ করে।
সংবাদ সম্মেলনে কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশের শোষণহীন, বৈষম্যহীন ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে রাজনৈতিক পক্ষগুলোর মধ্যে ঐক্য গঠন করতে চায় তারা। এই ঐক্য জাতির ভবিষ্যৎ পুনর্গঠনের ভিত্তি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমীন। তিনি বলেন, "স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও আমাদের মধ্যে কোনো জাতীয় ঐক্য নেই। প্রাথমিক রাষ্ট্রীয় কাজগুলোও শান্তিপূর্ণভাবে করা যাচ্ছে না, যা একটি রাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।"
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকার বিদায় নিলেও ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ এখনো হয়নি। এই ব্যবস্থার বিলোপ ঘটিয়ে নতুন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য কাজ করবে নাগরিক কমিটি। “আমরা এমন একটি বন্দোবস্ত তৈরি করতে চাই, যেখানে সামনের দিনে কোনো সরকারপ্রধানকে শেখ হাসিনার মতো পালিয়ে যেতে না হয়।”
সংবাদ সম্মেলনে কমিটির আহ্বায়ক মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী এবং সদস্য সচিব আখতার হোসেন বক্তব্য রাখেন। আহ্বায়ক পাটওয়ারী বলেন, "আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের স্বপ্ন পূরণে আমাদের সময় দিতে হবে। সরকারের বিভিন্ন কাজ পর্যালোচনা করে আমরা তাদের সহযোগিতা করব।"
কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা ৮ দফা কর্মসূচির বাস্তবায়নে শিগগিরই সারাদেশে জনসংযোগ কার্যক্রম শুরু করবে।
সাংগঠনিক কাঠামোর বিষয়ে আখতার হোসেন বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে যুক্ত হওয়ার পর গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির সকল কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। এর সাথে জড়িত নেতাকর্মীরা আন্দোলনে সম্পৃক্ত থাকায় ছাত্রশক্তির কমিটি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সংগঠনের মুখপাত্র সামান্তা শারমীন বলেন, "২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে আমরা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত গড়ে তুলতে চাই। এই বন্দোবস্তে সকল রাজনৈতিক পক্ষের সহযোগিতা প্রয়োজন। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মতামত নিয়ে আমরা নতুন রাষ্ট্র গঠনে কাজ করব।"
মব জাস্টিস এবং সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, “এই ধরনের আক্রমণের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা উচিত। এছাড়া সরকারের ধীরগতি ও তৎপরতার অভাবের কারণেও আমরা উদ্বিগ্ন। সরকারকে মনে রাখতে হবে, তারা গণঅভ্যুত্থানের সরকার। তাদের ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষা পূরণে দায়িত্বশীল হতে হবে।”
তিনি দ্রুত আহত ও নিহতদের তালিকা সম্পূর্ণ করে, তাদের সুচিকিৎসার দাবি জানান এবং সরকারের প্রতি এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
রোববার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
দেশ পুনর্গঠনে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে নবগঠিত জাতীয় নাগরিক কমিটি তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। শনিবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে প্রথম সংবাদ সম্মেলনে তারা এ অভিপ্রায় প্রকাশ করে।
সংবাদ সম্মেলনে কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশের শোষণহীন, বৈষম্যহীন ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে রাজনৈতিক পক্ষগুলোর মধ্যে ঐক্য গঠন করতে চায় তারা। এই ঐক্য জাতির ভবিষ্যৎ পুনর্গঠনের ভিত্তি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমীন। তিনি বলেন, "স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও আমাদের মধ্যে কোনো জাতীয় ঐক্য নেই। প্রাথমিক রাষ্ট্রীয় কাজগুলোও শান্তিপূর্ণভাবে করা যাচ্ছে না, যা একটি রাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।"
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকার বিদায় নিলেও ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ এখনো হয়নি। এই ব্যবস্থার বিলোপ ঘটিয়ে নতুন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য কাজ করবে নাগরিক কমিটি। “আমরা এমন একটি বন্দোবস্ত তৈরি করতে চাই, যেখানে সামনের দিনে কোনো সরকারপ্রধানকে শেখ হাসিনার মতো পালিয়ে যেতে না হয়।”
সংবাদ সম্মেলনে কমিটির আহ্বায়ক মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী এবং সদস্য সচিব আখতার হোসেন বক্তব্য রাখেন। আহ্বায়ক পাটওয়ারী বলেন, "আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের স্বপ্ন পূরণে আমাদের সময় দিতে হবে। সরকারের বিভিন্ন কাজ পর্যালোচনা করে আমরা তাদের সহযোগিতা করব।"
কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা ৮ দফা কর্মসূচির বাস্তবায়নে শিগগিরই সারাদেশে জনসংযোগ কার্যক্রম শুরু করবে।
সাংগঠনিক কাঠামোর বিষয়ে আখতার হোসেন বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে যুক্ত হওয়ার পর গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির সকল কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। এর সাথে জড়িত নেতাকর্মীরা আন্দোলনে সম্পৃক্ত থাকায় ছাত্রশক্তির কমিটি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সংগঠনের মুখপাত্র সামান্তা শারমীন বলেন, "২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে আমরা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত গড়ে তুলতে চাই। এই বন্দোবস্তে সকল রাজনৈতিক পক্ষের সহযোগিতা প্রয়োজন। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মতামত নিয়ে আমরা নতুন রাষ্ট্র গঠনে কাজ করব।"
মব জাস্টিস এবং সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, “এই ধরনের আক্রমণের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা উচিত। এছাড়া সরকারের ধীরগতি ও তৎপরতার অভাবের কারণেও আমরা উদ্বিগ্ন। সরকারকে মনে রাখতে হবে, তারা গণঅভ্যুত্থানের সরকার। তাদের ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষা পূরণে দায়িত্বশীল হতে হবে।”
তিনি দ্রুত আহত ও নিহতদের তালিকা সম্পূর্ণ করে, তাদের সুচিকিৎসার দাবি জানান এবং সরকারের প্রতি এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।