তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার জন্য জামায়াতে ইসলামী এবার আপিল বিভাগে আবেদন করেছে। দলটির পক্ষে সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার এই আবেদন জমা দেন বলে বুধবার জানান তাদের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
এর আগে একই দাবি নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আপিল বিভাগে আবেদন করেন, যা এখন শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
১৯৯০ সালে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এরশাদ সরকারের পতনের পর প্রথমবারের মতো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন হলেও, সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান তখন যুক্ত করা হয়নি। পরে ১৯৯৬ সালে বিরোধী দলগুলোর দাবির প্রেক্ষিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী পাস করে বিএনপি সরকার।
কিন্তু ২০১০ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়, এবং পরবর্তী শুনানিতে ২০১১ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে রায় দেন আপিল বিভাগ। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে এ রায় দেন।
রায়ে বিচারপতিরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুর্বলতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং এর বিপক্ষে অবস্থান নেন। যদিও বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা এবং বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে অবস্থান নেন।
রায়ের পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার অবসান ঘটে এবং ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে এটি সংবিধান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার জন্য জামায়াতে ইসলামী এবার আপিল বিভাগে আবেদন করেছে। দলটির পক্ষে সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার এই আবেদন জমা দেন বলে বুধবার জানান তাদের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
এর আগে একই দাবি নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আপিল বিভাগে আবেদন করেন, যা এখন শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
১৯৯০ সালে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এরশাদ সরকারের পতনের পর প্রথমবারের মতো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন হলেও, সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান তখন যুক্ত করা হয়নি। পরে ১৯৯৬ সালে বিরোধী দলগুলোর দাবির প্রেক্ষিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী পাস করে বিএনপি সরকার।
কিন্তু ২০১০ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়, এবং পরবর্তী শুনানিতে ২০১১ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে রায় দেন আপিল বিভাগ। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে এ রায় দেন।
রায়ে বিচারপতিরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুর্বলতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং এর বিপক্ষে অবস্থান নেন। যদিও বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা এবং বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে অবস্থান নেন।
রায়ের পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার অবসান ঘটে এবং ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে এটি সংবিধান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।