alt

রাজনীতি

বর্তমান সংবিধান শেখ হাসিনার গার্বেজ : মাহমুদুর রহমান

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪

বর্তমান সংবিধানকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গার্বেজ বলে আখ্যা দিয়েছেন দৈনিক আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।

তিনি প্রশ্ন তুলে বলেছেনন, বাংলাদেশে বর্তমানে যে সংবিধান আছে সেটি কি আদৌ সংবিধান? আমি মনে করি, বাংলাদেশে এখন যেটা আছে সেটা সংবিধান নামে শেখ হাসিনার গার্বেজ। শেখ হাসিনার গার্বেজ ছাড়া আমি এই সংবিধানকে আর কিছু মনে করি না।

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন হলে সংস্কার সংঘ নামে একটি সংগঠন আয়োজিত ‘সংবিধান সংস্কার যাত্রায় সেকেন্ড রিপাবলিকের খোঁজে’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মাহমুদুর রহমান বলেন, কারণ এই সংবিধানকে বিভিন্নভাবে বিকৃত করে এটিকে একটি ফ্যাসিবাদী দলিলে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এখন এই ফ্যাসিবাদী দলিল থেকে কোনো দিনও একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না।

আমার দেশ সম্পাদক বলেন, আমরা যদি ৭১এর সংবিধানেও ফিরে যাই, এটা কি বাংলাদেশের জনগণের আশা-আকাঙ্খাকে প্রতিফলিত করেছিল? এটা একটা বড় প্রশ্ন। এই প্রশ্নের জবাব কিন্তু জনগণের কাছ থেকে খোঁজার কখনো চেষ্টা করা হয়নি। যদিও আমরা বলে থাকি ড. কামাল হোসেন নাকি সংবিধানটি রচনা করেছিলেন, কিন্তু জনশ্রুতি আছে যে, সংবিধানটি ভারত থেকে তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল এবং বাংলাদেশের তৎকালীন পার্লামেন্ট এটাকে রাবার স্ট্যাম্পের মতো করে একটা স্ট্যাম্প দিয়েছিল। এ ছিল বাংলাদেশের সংবিধান। আমাদের জিজ্ঞাসা করা হয়নি, জনগণের সঙ্গে কোনো পরামর্শ করা হয়নি। কিছুই করা হয়নি। এটা ছিল সেই সংবিধানের যাত্রা। সেই যাত্রার পর থেকে এটাকে বিকৃত করার কাজটা তৎকালীন যিনি রাষ্ট্রপতি ছিলেন, যিনি স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থা বাকশাল কায়েম করেছিলেন তিনি করেছিলেন। কারণ ওই সংবিধানে কোথাও একদলীয় শাসনব্যবস্থা ছিল না। যেটা পঁচাত্তরের সংশোধনীর মাধ্যমে করা হয়েছিল।

সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল প্রধানতম গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য, যখন পাকিস্তানি শাসকরা বাংলাদেশের জনগণের অভিপ্রায়কে অস্বীকার করলো। এবং সেটাকে কেন্দ্র করেই মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল। সেই গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। কাজেই গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশে একটি স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থা তৈরি করেছিলেন এবং ওই অবস্থায় সংবিধানকে রেখে গিয়েছিলেন। তারপর সংবিধানের আরো সংশোধন হয়েছে। জিয়াউর রহমান সাহেব এসে সেটাতে বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম এনেছেন। তারপরে আল্লাহর প্রতি আস্থা এনেছিলেন, যেটাকে পরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু কোনো অবস্থাতেই জনগণের কোনো মতামত নেওয়া হয়নি। জনগণের কোনো রেফারেন্ডম নেওয়া হয়নি এই সংবিধানের ব্যাপারে।

তিনি বলেন, যে দলিলে জনগণের কোনো মতামত নেওয়া হয়নি, জনগণের কোনো রেফারেন্ডম নেওয়া হয়নি, বর্তমান সংবিধান এমনভাবে করা হয়েছে, যে এই সংবিধান সংশোধন করতে রেফারেন্ডমের যে অংশ ছিল সেটাকে পর্যন্ত বাদ দেওয়া হয়েছে৷ অর্থাৎ, এখন যে গার্বেজটি আছে সংবিধানের নামে সেখানে জনগণের কোনো অধিকার নেই। কাজেই আমি মনে করি এই সংবিধানের মাধ্যমে, এই সংবিধানকে রেখে কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ সম্ভব নয়৷ এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। কাজেই এই সংবিধান সংশোধন কিংবা পরিবর্তন যেটাই করুক না কেন এটি একটি নির্বাচিত পার্লামেন্ট ঠিক করবে। কিন্তু অবশ্যই এটাকে সংশোধন কিংবা পরিবর্তন জরুরি। আমি মনে করি, এটাকে পরিবর্তন করা উচিত।

তিনি বলেন, আমাদের সম্মিলিতভাবে সমাজ থেকে আওয়াজ তুলতে হবে, এই সংবিধান দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক ও নাগরিকে পক্ষে যায় এমন রাষ্ট্র বিনির্মাণ সম্ভব নয়৷ কাজেই আমাদের রাষ্ট্র নির্মাণের জন্য নতুন সংবিধান অবশ্যই রচনা করতে হবে। তবে সেই দায়িত্বটা নিতে হবে আগামীতে যে নির্বাচিত পার্লামেন্ট হবে তাদের। আর বর্তমান সরকারের দায়িত্ব হবে, এটার একটি সংস্কারের রূপরেখা তৈরি করে আগামী পার্লামেন্টের বিবেচনার জন্য রেখে যাওয়া। কারণ এই সরকার তো আর এটক পরিবর্তন করতে পারবে না। সেই মেন্ডেট তাদের নেই। কিন্তু সংস্কারের যে কাজটা তারা করছে এটাকে আমি ধন্যবাদ জানাই। কারণ তারা অন্তত একটি দলিল তৈরি করে রেখে যাবে৷ যে দলিলকে কেন্দ্র করে আগামী যে অ্যাসেম্বলি হবে তাদের পক্ষে কাজ করাটা সহজ হবে। এই জন্য আমি মনে করি, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের উচিত, যে দলিল এই সরকার তৈরি করতে যাচ্ছে সেই দলিল প্রণয়নে সহযোগিতা করা। এর মানে এই না যে, আমরা এই দলিলকে গ্রহণ করে নেব বিনা প্রতিবাদে৷ এই দলিল সম্পর্কে আমরা আলোচনা করবো, বিচার-বিশ্লেষণ করবো৷ তারপর জনগণ এটাকে গ্রহণ করবে।

কলামিস্ট ও শিক্ষাবিদ ড. আবদুল ওয়াহিদের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. আবদুল লতিফ মাসুম৷ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিভাগের শিক্ষক ড. তারেক ফজলে।

ছবি

দুদকের আবেদনে লতিফ বিশ্বাস ও পরিবারের বিদেশযাত্রা স্থগিত

ছবি

‘সংস্কার ছাড়া নতুন বাংলাদেশ আসবে না’ — বরগুনায় এনসিপির পথসভায় আহ্বায়ক

ছবি

বিএনপির বিক্ষোভে ব্যবসায়ী হত্যা তদন্তের দাবি ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ

ছবি

বিএনপির বিক্ষোভে ব্যবসায়ী হত্যা তদন্তের দাবি ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ

ছবি

জাতীয় পার্টির বিভক্তির জন্য ক্ষমতাসীনদের দায় দেখছেন কিছু নেতা

ছবি

‘গুপ্ত সংগঠনের মব’ এর বিরুদ্ধে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল

ছবি

বিএনপি এখন চাঁদাবাজের দলে পরিণত হয়েছে: নাহিদ

ছবি

‘তুমি টানতেছ কেন?’—পুলিশকে ধমক সাবেক মন্ত্রী কামরুলের

ছবি

সোহাগ হত্যা: আসামিদের পক্ষে লড়বেন না বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা

ছবি

জয়-পুতুলের দান-অনুদান সংক্রান্ত নথি চেয়ে এনবিআরকে দুদকের চিঠি

ছবি

সোহাগ হত্যাকে ‘রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ার’ হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ ফখরুলের

ছবি

হাতিরঝিলে গ্রেপ্তার শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট

ছবি

জরুরি অবস্থার অপব্যবহার ঠেকাতে সুনির্দিষ্ট আইন চায় এনসিপি

অপপ্রচারের জবাব দিতে তরুণদের সাইবার যুদ্ধে নামতে হবে’

ছবি

ইসি পুনর্গঠন ও শাপলা প্রতীকের পক্ষে অবস্থান নিলো এনসিপি

ছবি

মির্জা ফখরুলের ভাইয়ের ওপর বিএনপি কর্মীদের হামলা চেষ্টা, গাড়ি ভাঙচুর

ছবি

ব্যবসায়ী হত্যার প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মশাল মিছিল

ছবি

‘৯ লাখের শেয়ার লেনদেন, দিয়েছেন ২৫ হাজার’ — খাগড়াছড়িতে এনসিপি নেত্রীকে অভিযুক্ত করলেন সহকর্মী

ছবি

‘গণতান্ত্রিক অধিকারের যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি’ — সজাগ থাকার আহ্বান তারেকের

ছবি

‘অন্তর্বর্তী সরকার অন্যায়কারীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে কি না?’ – প্রশ্ন তারেক রহমানের

ছবি

সহিংসতা বন্ধ না করলে আওয়ামী লীগের পরিণতি ভোগ করবে বিএনপি’ — হুঁশিয়ারি যুবশক্তির

ছবি

পরিকল্পিত প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তায় দেশে অরাজকতা, নির্বাচন বিলম্বের সুযোগ তৈরি করছে : যুবদল সভাপতি

ছবি

সোহাগ হত্যাকাণ্ডে বিএনপির কড়া প্রতিক্রিয়া, জড়িতদের শাস্তির দাবি

ছবি

‘নৃশংসতার রাজনীতি চলতে পারে না’ — সোহাগ হত্যার প্রতিবাদে দুই দলের বিবৃতি

ছবি

জাতিসংঘ কার্যালয়কে ‘সার্বভৌমত্বের হুমকি’ আখ্যা দিয়ে তিন দাবি হেফাজতে ইসলামের

ছবি

সোহরাওয়ার্দীর সমাবেশকে ‘টার্নিং পয়েন্ট’ বললেন জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেল

ছবি

“পাগলও বোঝে কারা ক্ষমতায় যাবে,” প্রতিবাদ সভায় দুদু

ছবি

তত্ত্বাবধায়ক, জরুরি অবস্থা ও বিচারপতি নিয়োগে আংশিক ঐকমত্য,আলোচনা চল‌বে : আলী রীয়াজ

ছবি

বিএনপি চায় না ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ সংবিধানের মূলনীতিতে অন্তর্ভুক্ত হোক: সালাহউদ্দিন আহমদ

ছবি

তরুণ ভোটার, সীমানা, পোস্টাল ব্যালট ও আইন সংশোধনে নানা প্রস্তাব ইসির

ছবি

“বিএনপি কি পাঁচ নম্বর দল?” ক্ষুব্ধ হয়ে চলে যাচ্ছিলেন সালাহউদ্দিন, অনুরোধে ফিরে আসেন

অনলাইন নিবন্ধনে প্রবাসীদের ভোট, সংসদ ও স্থানীয় নির্বাচনে আর ইভিএম নয়

ছবি

ছাত্রদলের অভিযোগ অস্বীকার, সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের

ছবি

শেখ হাসিনার গুলির নির্দেশের অডিও নিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনকে একপেশে বললেন জয়

ছবি

বড়লেখায় জামায়াত নেতার ‘পাকিস্তান খ্যাত’ বক্তব্যে ক্ষুব্ধ ছাত্রদল, আইনগত ব্যবস্থার দাবি

ছবি

আইনশৃঙ্খলা থেকে পর্যবেক্ষক পর্যন্ত দায়িত্বে চার নির্বাচন কমিশনার

tab

রাজনীতি

বর্তমান সংবিধান শেখ হাসিনার গার্বেজ : মাহমুদুর রহমান

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪

বর্তমান সংবিধানকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গার্বেজ বলে আখ্যা দিয়েছেন দৈনিক আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।

তিনি প্রশ্ন তুলে বলেছেনন, বাংলাদেশে বর্তমানে যে সংবিধান আছে সেটি কি আদৌ সংবিধান? আমি মনে করি, বাংলাদেশে এখন যেটা আছে সেটা সংবিধান নামে শেখ হাসিনার গার্বেজ। শেখ হাসিনার গার্বেজ ছাড়া আমি এই সংবিধানকে আর কিছু মনে করি না।

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন হলে সংস্কার সংঘ নামে একটি সংগঠন আয়োজিত ‘সংবিধান সংস্কার যাত্রায় সেকেন্ড রিপাবলিকের খোঁজে’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মাহমুদুর রহমান বলেন, কারণ এই সংবিধানকে বিভিন্নভাবে বিকৃত করে এটিকে একটি ফ্যাসিবাদী দলিলে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এখন এই ফ্যাসিবাদী দলিল থেকে কোনো দিনও একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না।

আমার দেশ সম্পাদক বলেন, আমরা যদি ৭১এর সংবিধানেও ফিরে যাই, এটা কি বাংলাদেশের জনগণের আশা-আকাঙ্খাকে প্রতিফলিত করেছিল? এটা একটা বড় প্রশ্ন। এই প্রশ্নের জবাব কিন্তু জনগণের কাছ থেকে খোঁজার কখনো চেষ্টা করা হয়নি। যদিও আমরা বলে থাকি ড. কামাল হোসেন নাকি সংবিধানটি রচনা করেছিলেন, কিন্তু জনশ্রুতি আছে যে, সংবিধানটি ভারত থেকে তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল এবং বাংলাদেশের তৎকালীন পার্লামেন্ট এটাকে রাবার স্ট্যাম্পের মতো করে একটা স্ট্যাম্প দিয়েছিল। এ ছিল বাংলাদেশের সংবিধান। আমাদের জিজ্ঞাসা করা হয়নি, জনগণের সঙ্গে কোনো পরামর্শ করা হয়নি। কিছুই করা হয়নি। এটা ছিল সেই সংবিধানের যাত্রা। সেই যাত্রার পর থেকে এটাকে বিকৃত করার কাজটা তৎকালীন যিনি রাষ্ট্রপতি ছিলেন, যিনি স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থা বাকশাল কায়েম করেছিলেন তিনি করেছিলেন। কারণ ওই সংবিধানে কোথাও একদলীয় শাসনব্যবস্থা ছিল না। যেটা পঁচাত্তরের সংশোধনীর মাধ্যমে করা হয়েছিল।

সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল প্রধানতম গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য, যখন পাকিস্তানি শাসকরা বাংলাদেশের জনগণের অভিপ্রায়কে অস্বীকার করলো। এবং সেটাকে কেন্দ্র করেই মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল। সেই গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। কাজেই গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশে একটি স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থা তৈরি করেছিলেন এবং ওই অবস্থায় সংবিধানকে রেখে গিয়েছিলেন। তারপর সংবিধানের আরো সংশোধন হয়েছে। জিয়াউর রহমান সাহেব এসে সেটাতে বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম এনেছেন। তারপরে আল্লাহর প্রতি আস্থা এনেছিলেন, যেটাকে পরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু কোনো অবস্থাতেই জনগণের কোনো মতামত নেওয়া হয়নি। জনগণের কোনো রেফারেন্ডম নেওয়া হয়নি এই সংবিধানের ব্যাপারে।

তিনি বলেন, যে দলিলে জনগণের কোনো মতামত নেওয়া হয়নি, জনগণের কোনো রেফারেন্ডম নেওয়া হয়নি, বর্তমান সংবিধান এমনভাবে করা হয়েছে, যে এই সংবিধান সংশোধন করতে রেফারেন্ডমের যে অংশ ছিল সেটাকে পর্যন্ত বাদ দেওয়া হয়েছে৷ অর্থাৎ, এখন যে গার্বেজটি আছে সংবিধানের নামে সেখানে জনগণের কোনো অধিকার নেই। কাজেই আমি মনে করি এই সংবিধানের মাধ্যমে, এই সংবিধানকে রেখে কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ সম্ভব নয়৷ এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। কাজেই এই সংবিধান সংশোধন কিংবা পরিবর্তন যেটাই করুক না কেন এটি একটি নির্বাচিত পার্লামেন্ট ঠিক করবে। কিন্তু অবশ্যই এটাকে সংশোধন কিংবা পরিবর্তন জরুরি। আমি মনে করি, এটাকে পরিবর্তন করা উচিত।

তিনি বলেন, আমাদের সম্মিলিতভাবে সমাজ থেকে আওয়াজ তুলতে হবে, এই সংবিধান দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক ও নাগরিকে পক্ষে যায় এমন রাষ্ট্র বিনির্মাণ সম্ভব নয়৷ কাজেই আমাদের রাষ্ট্র নির্মাণের জন্য নতুন সংবিধান অবশ্যই রচনা করতে হবে। তবে সেই দায়িত্বটা নিতে হবে আগামীতে যে নির্বাচিত পার্লামেন্ট হবে তাদের। আর বর্তমান সরকারের দায়িত্ব হবে, এটার একটি সংস্কারের রূপরেখা তৈরি করে আগামী পার্লামেন্টের বিবেচনার জন্য রেখে যাওয়া। কারণ এই সরকার তো আর এটক পরিবর্তন করতে পারবে না। সেই মেন্ডেট তাদের নেই। কিন্তু সংস্কারের যে কাজটা তারা করছে এটাকে আমি ধন্যবাদ জানাই। কারণ তারা অন্তত একটি দলিল তৈরি করে রেখে যাবে৷ যে দলিলকে কেন্দ্র করে আগামী যে অ্যাসেম্বলি হবে তাদের পক্ষে কাজ করাটা সহজ হবে। এই জন্য আমি মনে করি, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের উচিত, যে দলিল এই সরকার তৈরি করতে যাচ্ছে সেই দলিল প্রণয়নে সহযোগিতা করা। এর মানে এই না যে, আমরা এই দলিলকে গ্রহণ করে নেব বিনা প্রতিবাদে৷ এই দলিল সম্পর্কে আমরা আলোচনা করবো, বিচার-বিশ্লেষণ করবো৷ তারপর জনগণ এটাকে গ্রহণ করবে।

কলামিস্ট ও শিক্ষাবিদ ড. আবদুল ওয়াহিদের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. আবদুল লতিফ মাসুম৷ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিভাগের শিক্ষক ড. তারেক ফজলে।

back to top