ঢাকায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে শনিবার সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাথে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণের দাবি নিয়ে বৈঠক করেছেন। দেড় ঘণ্টার এই বৈঠকে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ঐকমত্য গড়ে তোলার বিষয়েও আলোচনা হয়। বৈঠকে বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, তারা এসব বিষয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনা করবেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ জানান, তারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন, যা গণঅভ্যুত্থানে ভূমিকা রেখেছে। তিনি বলেন, “গত ২৩ তারিখে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছিলাম। ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থার পুরোপুরি অবসান ঘটাতে চুপ্পু (রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন) এর অপসারণকে আমরা প্রধান বাধা হিসেবে দেখছি।”
বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে রাষ্ট্রপতির দ্রুত অপসারণ ও রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে তোলার ওপর জোর দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ নিয়ে গত ১৯ অক্টোবর মানবজমিন পত্রিকায় একটি রাজনৈতিক প্রবন্ধ প্রকাশিত হওয়ার পর আলোচনা তীব্রতর হয়। সেখানে মানবজমিন সম্পাদক রাষ্ট্রপতির ভাষ্য উদ্ধৃত করেন, "আমি শুনেছি তিনি (প্রধানমন্ত্রী) পদত্যাগ করেছেন। তবে আমার কাছে কোনো প্রমাণ নেই।” এরপর আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল অভিযোগ করেন, রাষ্ট্রপতির মন্তব্য তার শপথ লঙ্ঘন করেছে।
এ প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবি তোলেন ছাত্র আন্দোলন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সঙ্গেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বৈঠক হয়। জামায়াত তাদের নৈতিক অবস্থান তুলে ধরে রাষ্ট্রপতির অপসারণে সমর্থন জানিয়েছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশও দ্রুত জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতির অপসারণ চায়।
বিএনপির সাথে বৈঠকে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ছাড়াও দলটির অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের পর হাসনাত বলেন, “আমরা চুপ্পুর দ্রুত অপসারণ চাই, কিন্তু কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা দিচ্ছি না।”
রবিবার গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট ও গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনার কথা জানান ছাত্র আন্দোলনের নেতা।
রোববার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪
ঢাকায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে শনিবার সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাথে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণের দাবি নিয়ে বৈঠক করেছেন। দেড় ঘণ্টার এই বৈঠকে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ঐকমত্য গড়ে তোলার বিষয়েও আলোচনা হয়। বৈঠকে বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, তারা এসব বিষয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনা করবেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ জানান, তারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন, যা গণঅভ্যুত্থানে ভূমিকা রেখেছে। তিনি বলেন, “গত ২৩ তারিখে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছিলাম। ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থার পুরোপুরি অবসান ঘটাতে চুপ্পু (রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন) এর অপসারণকে আমরা প্রধান বাধা হিসেবে দেখছি।”
বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে রাষ্ট্রপতির দ্রুত অপসারণ ও রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে তোলার ওপর জোর দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ নিয়ে গত ১৯ অক্টোবর মানবজমিন পত্রিকায় একটি রাজনৈতিক প্রবন্ধ প্রকাশিত হওয়ার পর আলোচনা তীব্রতর হয়। সেখানে মানবজমিন সম্পাদক রাষ্ট্রপতির ভাষ্য উদ্ধৃত করেন, "আমি শুনেছি তিনি (প্রধানমন্ত্রী) পদত্যাগ করেছেন। তবে আমার কাছে কোনো প্রমাণ নেই।” এরপর আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল অভিযোগ করেন, রাষ্ট্রপতির মন্তব্য তার শপথ লঙ্ঘন করেছে।
এ প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবি তোলেন ছাত্র আন্দোলন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সঙ্গেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বৈঠক হয়। জামায়াত তাদের নৈতিক অবস্থান তুলে ধরে রাষ্ট্রপতির অপসারণে সমর্থন জানিয়েছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশও দ্রুত জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতির অপসারণ চায়।
বিএনপির সাথে বৈঠকে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ছাড়াও দলটির অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের পর হাসনাত বলেন, “আমরা চুপ্পুর দ্রুত অপসারণ চাই, কিন্তু কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা দিচ্ছি না।”
রবিবার গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট ও গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনার কথা জানান ছাত্র আন্দোলনের নেতা।