আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলকে কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম চালানোর অনুমতি না দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট হয়েছে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে সব ধরনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে দলগুলোকে বিরত রাখতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, সে বিষয়েও রুল চাওয়া হয়েছে এই রিটে। এ বিষয়ে আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, নির্বাচন কমিশন ও পুলিশের মহাপরিদর্শকের প্রতি নির্দেশনা দেয়ার আরজি পেশ করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলমসহ তিনজন আবেদনকারী সোমবার (২৮ অক্টোবর) রিটটি করেছেন। অন্য দু’জন হলেন- মো. আবুল হাসনাত ও মো. হাসিবুল ইসলাম।
আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের বিরুদ্ধে নির্বিচারে মানুষ হত্যা, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা, বেআইনি প্রক্রিয়ায় অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের অভিযোগ আনা হয়েছে রিটে। দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে একই দিনে অন্য একটি রিট করেছেন তারা। এদিকে, সারজিস একবার বলছেন রিটে আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে নিষিদ্ধ করার আবেদন করা হয়নি। আবার বলছেন, রিটই করা হয়নি।
এদিকে রিটকারীদের পক্ষে নিয়োজিত জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম সাংবাদিকদের রিট দায়েরের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘রিটে সরাসরি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চাওয়া হয়নি। রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে।’
গত ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন ছাত্রলীগকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর ক্ষমতাচ্যূত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হবে এমন আলোচনা ওঠে। তবে বড় দল বিএনপি জানায়, তারা কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
সারজিসের করা রিটের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস উইং থেকে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ছাড়া এই মুহূর্তে আর কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত হয়নি।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, সরকার শুধু বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হয়েছে। আর কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সরকারে এই মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।
রিটের বিষয়টিকে সরকার সমর্থন করে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, এটি যেহেতু বিচারাধীন বিষয়, তাই এ বিষয়ে তারা মন্তব্য করবেন না।
**১১ দলের তালিকা**
রিটে আওয়ামী লীগ ছাড়াও অন্য যে ১০টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম চালানোর অনুমতি না দেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে সেগুলো হলো- জাতীয় পার্টি (এরশাদ), জাতীয় পার্টি (মঞ্জু), গণতন্ত্রী দল, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, তরিকত ফেডারেশন, কমিউনিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ, লেবারেল ডেমক্রেটিক পার্টি, মার্ক্সিস্ট-লেলিনিস্ট (বড়ুয়া) ও সোসিওলিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ।
এরমধ্যে কয়েকটি দল নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত। অন্য কয়েকটি দলের নামের সঙ্গে নিবন্ধিত কয়েকটি দলের সঙ্গে মিল রয়েছে।
আর কয়েকটি দল এদেশে রাজনীতিতে আছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
**বিগত ৩টি সংসদ নির্বাচনের বৈধতা**
দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে অন্য রিটটি করা হয়েছে। রিটে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের গেজেট কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না, সে বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে।
এছাড়া, এই দলগুলো থেকে মনোনয়ন নিয়ে যেসব ব্যক্তি দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হওয়াদের বিরুদ্ধে কেন রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হবে না, সে বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে।
**এমপিদের প্লট, গাড়ি, পারিশ্রমিক**
ওই তিনটি নির্বাচনে দলগুলোর মনোনয়ন নিয়ে ‘তথাকথিত সংসদ সদস্যদের’ প্লট বরাদ্দ বাতিল করতে, শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা গাড়ির কর ও শুল্ক আদায় করতে এবং পারিশ্রমিক-ভাতাদি ফিরিয়ে নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, সে বিষয়েও রুল চাওয়া হয়েছে রিটে।
এ রিটে আইনসচিব, নির্বাচন কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ এবং আওয়ামী লীগসহ রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ চাওয়া ১১টি দলকে বিবাদী করা হয়েছে।
**নিজের বক্তব্য থেকে সরে এলেন সারজিস**
রিটের বিষয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের দুটি রিট করার কথা জানিয়ে নিজেদের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেইজে পোস্ট দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ।
ফেইসবুকে দেয়া ওই স্ট্যাটাসে সারজিস আলম লেখেন, ‘দুটি রিট করেছি। আওয়ামী লীগের বিগত তিনটি নির্বাচনকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং অবৈধভাবে প্রাপ্ত সুবিধাগুলো কেনো ফিরিয়ে দেবে না সে বিষয়ে প্রথম রিট। এই মামলার রায় না হওয়া পর্যন্ত কেন তাদেরকে পলিটিক্যাল সব অ্যাক্টিভিটি থেকে বিরত রাখা হবে না সে বিষয়ে দ্বিতীয় রিট।
দল হিসেবে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ কিংবা নিবন্ধন নিষিদ্ধের কোনো কথা রিটে নেই বলে পোস্টে জানান সারজিস আলম।
বিকেলে এবি পার্টির সঙ্গে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সারজিস আলম জানান, এখনও কোনো রিট হয়নি। রিটের খসড়া তৈরি করা হয়েছে মাত্র।
রিটের প্রক্রিয়া শেষে সমন্বয়করা গণমাধ্যমের সামনে আসবেন বলেও জানান তিনি।
** ক্ষমা চাইতে বললেন অলি**
১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রমে নিষিদ্ধের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটে এলডিপির (লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি) নাম থাকায় অবিলম্বে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহকে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চাইতে অনুরোধ জানিয়েছেন দলটির প্রধান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। একই সঙ্গে রিট আবদন থেকে এলডিপির নাম প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সোমবার এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দীন রাজ্জাক প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘যে সমন্বয়করা স্বৈরাচার হাসিনাবিরোধী আন্দোলনে কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম ও এলডিপির অবদান সম্পর্কে জানে না, তারা আর যাই হোক মেধাবী ও রাজনীতি সচেতন ব্যক্তি হতে পারে না।’
মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪
আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলকে কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম চালানোর অনুমতি না দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট হয়েছে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে সব ধরনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে দলগুলোকে বিরত রাখতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, সে বিষয়েও রুল চাওয়া হয়েছে এই রিটে। এ বিষয়ে আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, নির্বাচন কমিশন ও পুলিশের মহাপরিদর্শকের প্রতি নির্দেশনা দেয়ার আরজি পেশ করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলমসহ তিনজন আবেদনকারী সোমবার (২৮ অক্টোবর) রিটটি করেছেন। অন্য দু’জন হলেন- মো. আবুল হাসনাত ও মো. হাসিবুল ইসলাম।
আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের বিরুদ্ধে নির্বিচারে মানুষ হত্যা, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা, বেআইনি প্রক্রিয়ায় অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের অভিযোগ আনা হয়েছে রিটে। দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে একই দিনে অন্য একটি রিট করেছেন তারা। এদিকে, সারজিস একবার বলছেন রিটে আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে নিষিদ্ধ করার আবেদন করা হয়নি। আবার বলছেন, রিটই করা হয়নি।
এদিকে রিটকারীদের পক্ষে নিয়োজিত জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম সাংবাদিকদের রিট দায়েরের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘রিটে সরাসরি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চাওয়া হয়নি। রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে।’
গত ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন ছাত্রলীগকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর ক্ষমতাচ্যূত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হবে এমন আলোচনা ওঠে। তবে বড় দল বিএনপি জানায়, তারা কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
সারজিসের করা রিটের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস উইং থেকে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ছাড়া এই মুহূর্তে আর কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত হয়নি।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, সরকার শুধু বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হয়েছে। আর কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সরকারে এই মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।
রিটের বিষয়টিকে সরকার সমর্থন করে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, এটি যেহেতু বিচারাধীন বিষয়, তাই এ বিষয়ে তারা মন্তব্য করবেন না।
**১১ দলের তালিকা**
রিটে আওয়ামী লীগ ছাড়াও অন্য যে ১০টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম চালানোর অনুমতি না দেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে সেগুলো হলো- জাতীয় পার্টি (এরশাদ), জাতীয় পার্টি (মঞ্জু), গণতন্ত্রী দল, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, তরিকত ফেডারেশন, কমিউনিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ, লেবারেল ডেমক্রেটিক পার্টি, মার্ক্সিস্ট-লেলিনিস্ট (বড়ুয়া) ও সোসিওলিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ।
এরমধ্যে কয়েকটি দল নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত। অন্য কয়েকটি দলের নামের সঙ্গে নিবন্ধিত কয়েকটি দলের সঙ্গে মিল রয়েছে।
আর কয়েকটি দল এদেশে রাজনীতিতে আছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
**বিগত ৩টি সংসদ নির্বাচনের বৈধতা**
দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে অন্য রিটটি করা হয়েছে। রিটে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের গেজেট কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না, সে বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে।
এছাড়া, এই দলগুলো থেকে মনোনয়ন নিয়ে যেসব ব্যক্তি দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হওয়াদের বিরুদ্ধে কেন রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হবে না, সে বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে।
**এমপিদের প্লট, গাড়ি, পারিশ্রমিক**
ওই তিনটি নির্বাচনে দলগুলোর মনোনয়ন নিয়ে ‘তথাকথিত সংসদ সদস্যদের’ প্লট বরাদ্দ বাতিল করতে, শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা গাড়ির কর ও শুল্ক আদায় করতে এবং পারিশ্রমিক-ভাতাদি ফিরিয়ে নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, সে বিষয়েও রুল চাওয়া হয়েছে রিটে।
এ রিটে আইনসচিব, নির্বাচন কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ এবং আওয়ামী লীগসহ রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ চাওয়া ১১টি দলকে বিবাদী করা হয়েছে।
**নিজের বক্তব্য থেকে সরে এলেন সারজিস**
রিটের বিষয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের দুটি রিট করার কথা জানিয়ে নিজেদের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেইজে পোস্ট দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ।
ফেইসবুকে দেয়া ওই স্ট্যাটাসে সারজিস আলম লেখেন, ‘দুটি রিট করেছি। আওয়ামী লীগের বিগত তিনটি নির্বাচনকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং অবৈধভাবে প্রাপ্ত সুবিধাগুলো কেনো ফিরিয়ে দেবে না সে বিষয়ে প্রথম রিট। এই মামলার রায় না হওয়া পর্যন্ত কেন তাদেরকে পলিটিক্যাল সব অ্যাক্টিভিটি থেকে বিরত রাখা হবে না সে বিষয়ে দ্বিতীয় রিট।
দল হিসেবে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ কিংবা নিবন্ধন নিষিদ্ধের কোনো কথা রিটে নেই বলে পোস্টে জানান সারজিস আলম।
বিকেলে এবি পার্টির সঙ্গে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সারজিস আলম জানান, এখনও কোনো রিট হয়নি। রিটের খসড়া তৈরি করা হয়েছে মাত্র।
রিটের প্রক্রিয়া শেষে সমন্বয়করা গণমাধ্যমের সামনে আসবেন বলেও জানান তিনি।
** ক্ষমা চাইতে বললেন অলি**
১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রমে নিষিদ্ধের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটে এলডিপির (লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি) নাম থাকায় অবিলম্বে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহকে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চাইতে অনুরোধ জানিয়েছেন দলটির প্রধান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। একই সঙ্গে রিট আবদন থেকে এলডিপির নাম প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সোমবার এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দীন রাজ্জাক প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘যে সমন্বয়করা স্বৈরাচার হাসিনাবিরোধী আন্দোলনে কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম ও এলডিপির অবদান সম্পর্কে জানে না, তারা আর যাই হোক মেধাবী ও রাজনীতি সচেতন ব্যক্তি হতে পারে না।’