স্বাধীনতার চেতনা ও গণতান্ত্রিক অধিকার সমুন্নত রাখতে সংবিধানের সংশোধনী প্রস্তাব করেছেন ১৯৭২ সালের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির প্রধান কামাল হোসেন। ঢাকার লেকচার থিয়েটার ভবনে "অভ্যুত্থান ও রাষ্ট্র কাঠামোর সংস্কার: সংবিধান বিষয়ে কর্তব্য ও গন্তব্য" শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তার লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংবিধান গবেষক আরিফ খান।
কামাল হোসেনের বক্তব্যে উঠে আসে সংবিধানে স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থার কোনো সুযোগ না রাখার আহ্বান। তিনি বলেন, “আমরা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত অধিকার নিয়ে সংবিধান রচনা করেছিলাম, যেখানে বৈষম্য নিরসন এবং ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এবারের আন্দোলনও বৈষম্য নিরসনের দাবি সামনে নিয়ে এসেছে। আমাদের সংবিধানকে এমনভাবে সংশোধন করতে হবে যেন ভবিষ্যতে স্বৈরাচারী শাসনের সুযোগ না থাকে।”
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া দমন-পীড়ন ও গণহত্যার ঘটনাবলিকে গভীরভাবে উল্লেখ করে কামাল হোসেন বলেন, “এই অভিজ্ঞতাগুলো আমাদের সংবিধানের মূল কাঠামোতে গেঁথে দিতে হবে। ভবিষ্যতে যেন কোনো নাগরিকের সঙ্গে এমন অন্যায় না হয়, সেটিই হবে সংবিধানের সত্যিকারের পরীক্ষা।”
তিনি আরও বলেন, “নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে গণতান্ত্রিক, ন্যায়সংগত এবং সাম্যভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। সংবিধানকে সময়োপযোগী করে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে যাতে লিঙ্গ, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, রাজনৈতিক মতভেদ বা প্রতিবন্ধিতার কারণে কোনো বৈষম্য না ঘটে।”
অনুষ্ঠানে চিন্তাবিদ জাহেদ উর রহমান ও আইনজীবী মুস্তাফিজুর রহমান খান বক্তব্য দেন।
রোববার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪
স্বাধীনতার চেতনা ও গণতান্ত্রিক অধিকার সমুন্নত রাখতে সংবিধানের সংশোধনী প্রস্তাব করেছেন ১৯৭২ সালের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির প্রধান কামাল হোসেন। ঢাকার লেকচার থিয়েটার ভবনে "অভ্যুত্থান ও রাষ্ট্র কাঠামোর সংস্কার: সংবিধান বিষয়ে কর্তব্য ও গন্তব্য" শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তার লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংবিধান গবেষক আরিফ খান।
কামাল হোসেনের বক্তব্যে উঠে আসে সংবিধানে স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থার কোনো সুযোগ না রাখার আহ্বান। তিনি বলেন, “আমরা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত অধিকার নিয়ে সংবিধান রচনা করেছিলাম, যেখানে বৈষম্য নিরসন এবং ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এবারের আন্দোলনও বৈষম্য নিরসনের দাবি সামনে নিয়ে এসেছে। আমাদের সংবিধানকে এমনভাবে সংশোধন করতে হবে যেন ভবিষ্যতে স্বৈরাচারী শাসনের সুযোগ না থাকে।”
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া দমন-পীড়ন ও গণহত্যার ঘটনাবলিকে গভীরভাবে উল্লেখ করে কামাল হোসেন বলেন, “এই অভিজ্ঞতাগুলো আমাদের সংবিধানের মূল কাঠামোতে গেঁথে দিতে হবে। ভবিষ্যতে যেন কোনো নাগরিকের সঙ্গে এমন অন্যায় না হয়, সেটিই হবে সংবিধানের সত্যিকারের পরীক্ষা।”
তিনি আরও বলেন, “নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে গণতান্ত্রিক, ন্যায়সংগত এবং সাম্যভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। সংবিধানকে সময়োপযোগী করে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে যাতে লিঙ্গ, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, রাজনৈতিক মতভেদ বা প্রতিবন্ধিতার কারণে কোনো বৈষম্য না ঘটে।”
অনুষ্ঠানে চিন্তাবিদ জাহেদ উর রহমান ও আইনজীবী মুস্তাফিজুর রহমান খান বক্তব্য দেন।