অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ বলেছেন, ক্ষমতায় স্থায়ীভাবে থাকার বাসনা ও একক নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। আজ সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরের থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত ‘গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা পর্যালোচনা ও জনতার অধিকার’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে গণতান্ত্রিক অধিকার আন্দোলন চট্টগ্রাম।
আলোচনায় আনু মুহাম্মদ বলেন, নির্বাচনের স্বচ্ছতা নষ্ট করে ক্ষমতাসীন দল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে চেয়েছে। ব্যাংক লুটপাট, আমলাতন্ত্রের ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক শক্তির কাছে একের পর এক আপসকামিতার মাধ্যমে সরকারের স্থায়িত্ব নিশ্চিত করার প্রয়াস দেখা গেছে। এই প্রক্রিয়ায় অসামঞ্জস্যপূর্ণ চুক্তি এবং বিতর্কিত প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে দেশের সম্পদ লুণ্ঠিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘রামপালে সুন্দরবন বিধ্বংসী প্রকল্প কিংবা আদানির সঙ্গে চুক্তির মতো সিদ্ধান্তগুলো দেশীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে গিয়ে কেবল ক্ষমতা রক্ষার জন্যই নেওয়া হয়েছে।’ সমাজে বৈষম্য তৈরির বিভিন্ন প্রক্রিয়া উল্লেখ করে আনু মুহাম্মদ বলেন, একটি গোষ্ঠী নিজেদের অর্থ ও ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করেছে। এসব কারণে সাধারণ জনগণের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়, যা পরবর্তীতে গণ-অভ্যুত্থানের রূপ নেয়।
তিনি আরও বলেন, গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের তালিকা দ্রুত প্রস্তুত করার প্রয়োজন রয়েছে এবং এর দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে। একাত্তরের শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকার মতো এটি যেন অনির্দিষ্টকালের জন্য ঝুলে না থাকে।
অনুষ্ঠানে শিক্ষক ও অনুবাদক জি এইচ হাবীব এবং সুফি স্পিরিচুয়াল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান খাজা ওসমান ফারুকী বক্তব্য দেন। বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের আহ্বান জানিয়ে তাঁরা বলেন, একটি সুষ্ঠু, ন্যায়ভিত্তিক এবং বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠনের জন্য সামাজিক ও রাজনৈতিক সংস্কারের প্রয়োজন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন গণতান্ত্রিক অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক অধ্যাপক তহুরীন সবুর এবং সঞ্চালনা করেন যুগ্ম আহ্বায়ক দীপা মজুমদার।
রোববার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪
অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ বলেছেন, ক্ষমতায় স্থায়ীভাবে থাকার বাসনা ও একক নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। আজ সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরের থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত ‘গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা পর্যালোচনা ও জনতার অধিকার’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে গণতান্ত্রিক অধিকার আন্দোলন চট্টগ্রাম।
আলোচনায় আনু মুহাম্মদ বলেন, নির্বাচনের স্বচ্ছতা নষ্ট করে ক্ষমতাসীন দল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে চেয়েছে। ব্যাংক লুটপাট, আমলাতন্ত্রের ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক শক্তির কাছে একের পর এক আপসকামিতার মাধ্যমে সরকারের স্থায়িত্ব নিশ্চিত করার প্রয়াস দেখা গেছে। এই প্রক্রিয়ায় অসামঞ্জস্যপূর্ণ চুক্তি এবং বিতর্কিত প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে দেশের সম্পদ লুণ্ঠিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘রামপালে সুন্দরবন বিধ্বংসী প্রকল্প কিংবা আদানির সঙ্গে চুক্তির মতো সিদ্ধান্তগুলো দেশীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে গিয়ে কেবল ক্ষমতা রক্ষার জন্যই নেওয়া হয়েছে।’ সমাজে বৈষম্য তৈরির বিভিন্ন প্রক্রিয়া উল্লেখ করে আনু মুহাম্মদ বলেন, একটি গোষ্ঠী নিজেদের অর্থ ও ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করেছে। এসব কারণে সাধারণ জনগণের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়, যা পরবর্তীতে গণ-অভ্যুত্থানের রূপ নেয়।
তিনি আরও বলেন, গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের তালিকা দ্রুত প্রস্তুত করার প্রয়োজন রয়েছে এবং এর দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে। একাত্তরের শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকার মতো এটি যেন অনির্দিষ্টকালের জন্য ঝুলে না থাকে।
অনুষ্ঠানে শিক্ষক ও অনুবাদক জি এইচ হাবীব এবং সুফি স্পিরিচুয়াল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান খাজা ওসমান ফারুকী বক্তব্য দেন। বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের আহ্বান জানিয়ে তাঁরা বলেন, একটি সুষ্ঠু, ন্যায়ভিত্তিক এবং বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠনের জন্য সামাজিক ও রাজনৈতিক সংস্কারের প্রয়োজন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন গণতান্ত্রিক অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক অধ্যাপক তহুরীন সবুর এবং সঞ্চালনা করেন যুগ্ম আহ্বায়ক দীপা মজুমদার।