আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন যে, দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে বিএনপির সাথে একযোগে কাজ করতে তার দল প্রস্তুত। সম্প্রতি লন্ডনভিত্তিক ‘চ্যানেল এস’ টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, “বিএনপি যে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কথা বলছে, একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলছে, সেটির সাথে আমরা একমত এবং প্রয়োজনে বিএনপির সাথে একযোগে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আমরা কাজ করব।” আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এটিই প্রথমবারের মতো দলটির শীর্ষ পর্যায়ের কেউ এমন মন্তব্য করলেন।
হাছান মাহমুদ তার বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বেশ কিছু বক্তব্যের সাথে একমত হওয়ার কথাও জানান। তিনি বলেন, “বিশেষ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার আমরা কারা?’- এই যে প্রশ্ন তুলেছেন, আমি এটির সাথে একমত।”
প্রাক্তন তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, "রাষ্ট্রের অনেকগুলো সংস্কার দরকার। তবে এই সংস্কার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমেই হওয়া উচিত। এবং রাষ্ট্র সংস্কারের মূল দায়িত্বটাও তাদেরই হওয়া উচিত।"
তিনি উল্লেখ করেন যে, ২০০৭ সালে সেনা-নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়েও আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য একসঙ্গে আন্দোলন করেছিল। সেসময় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় একযোগে কাজের উদাহরণ টেনে হাছান মাহমুদ বর্তমান পরিস্থিতিতেও একসাথে কাজ করার সম্ভাবনা ব্যক্ত করেন।
তিনি আরও জানান, বিএনপির নেতারা এখন দ্রুত নির্বাচন চাচ্ছেন এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছেন। তার মতে, রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা এবং সাংবিধানিক সংকট এড়াতে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর হওয়া উচিত।
হাছান মাহমুদ বলেন, "আমাদের রাষ্ট্রে একটি উচ্চ কক্ষ থাকা দরকার, যেটির মাধ্যমে বুদ্ধিজীবী ও নাগরিক সমাজকে রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে যুক্ত করা যাবে। এর মাধ্যমে তাদের অংশগ্রহণ রাষ্ট্র পরিচালনায় ভূমিকা রাখবে।"
তিনি আরও স্বীকার করেন যে, ক্ষমতায় থাকার সময় আওয়ামী লীগ সরকার কিছু ভুল করেছে। তিনি বলেন, “অবশ্যই রাষ্ট্র পরিচালনা করতে গিয়ে আমাদের ভুল ছিল। আমরা সেই ভুলগুলো স্বীকার করি এবং ভুল থেকে মানুষ শিক্ষা গ্রহণ করে।”
আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনামলে বিএনপিকে ২০১৪ এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনে আনতে না পারাকে রাজনৈতিক ব্যর্থতা হিসেবে উল্লেখ করেন হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, “যেহেতু আমরা দায়িত্বে ছিলাম, আমাদের এই জায়গায় ব্যর্থতা ছিল যে, আমরা বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে ব্যর্থ হয়েছি।”
আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমি তাদের সবার উদ্দেশে বলব এই আঁধার কেটে যাবে এবং সহসা দেশে একটি সুস্থ স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসবে এবং জনগণের পাশে অতীতেও ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব।”
তিনি আরও বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দলটি সচেতনভাবে নিশ্চুপ রয়েছে এবং সরকারের উপর কোন দায় চাপাতে চাইছে না।
পরিশেষে, বিএনপি নেতাদের সাম্প্রতিক বক্তব্য এবং রাষ্ট্রের পুনর্গঠনের বিষয়ে বিএনপির বিভিন্ন প্রস্তাবের প্রশংসা করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, “বাংলাদেশকে থেকে চিরতরের জন্য অস্বীকারের রাজনীতি, দ্বান্দ্বিক রাজনীতি, ঘৃণার রাজনীতি বিদায় হওয়া উচিত। দেশে একটি সহনশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি হোক।”
মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন যে, দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে বিএনপির সাথে একযোগে কাজ করতে তার দল প্রস্তুত। সম্প্রতি লন্ডনভিত্তিক ‘চ্যানেল এস’ টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, “বিএনপি যে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কথা বলছে, একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলছে, সেটির সাথে আমরা একমত এবং প্রয়োজনে বিএনপির সাথে একযোগে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আমরা কাজ করব।” আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এটিই প্রথমবারের মতো দলটির শীর্ষ পর্যায়ের কেউ এমন মন্তব্য করলেন।
হাছান মাহমুদ তার বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বেশ কিছু বক্তব্যের সাথে একমত হওয়ার কথাও জানান। তিনি বলেন, “বিশেষ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার আমরা কারা?’- এই যে প্রশ্ন তুলেছেন, আমি এটির সাথে একমত।”
প্রাক্তন তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, "রাষ্ট্রের অনেকগুলো সংস্কার দরকার। তবে এই সংস্কার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমেই হওয়া উচিত। এবং রাষ্ট্র সংস্কারের মূল দায়িত্বটাও তাদেরই হওয়া উচিত।"
তিনি উল্লেখ করেন যে, ২০০৭ সালে সেনা-নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়েও আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য একসঙ্গে আন্দোলন করেছিল। সেসময় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় একযোগে কাজের উদাহরণ টেনে হাছান মাহমুদ বর্তমান পরিস্থিতিতেও একসাথে কাজ করার সম্ভাবনা ব্যক্ত করেন।
তিনি আরও জানান, বিএনপির নেতারা এখন দ্রুত নির্বাচন চাচ্ছেন এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছেন। তার মতে, রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা এবং সাংবিধানিক সংকট এড়াতে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর হওয়া উচিত।
হাছান মাহমুদ বলেন, "আমাদের রাষ্ট্রে একটি উচ্চ কক্ষ থাকা দরকার, যেটির মাধ্যমে বুদ্ধিজীবী ও নাগরিক সমাজকে রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে যুক্ত করা যাবে। এর মাধ্যমে তাদের অংশগ্রহণ রাষ্ট্র পরিচালনায় ভূমিকা রাখবে।"
তিনি আরও স্বীকার করেন যে, ক্ষমতায় থাকার সময় আওয়ামী লীগ সরকার কিছু ভুল করেছে। তিনি বলেন, “অবশ্যই রাষ্ট্র পরিচালনা করতে গিয়ে আমাদের ভুল ছিল। আমরা সেই ভুলগুলো স্বীকার করি এবং ভুল থেকে মানুষ শিক্ষা গ্রহণ করে।”
আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনামলে বিএনপিকে ২০১৪ এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনে আনতে না পারাকে রাজনৈতিক ব্যর্থতা হিসেবে উল্লেখ করেন হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, “যেহেতু আমরা দায়িত্বে ছিলাম, আমাদের এই জায়গায় ব্যর্থতা ছিল যে, আমরা বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে ব্যর্থ হয়েছি।”
আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমি তাদের সবার উদ্দেশে বলব এই আঁধার কেটে যাবে এবং সহসা দেশে একটি সুস্থ স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসবে এবং জনগণের পাশে অতীতেও ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব।”
তিনি আরও বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দলটি সচেতনভাবে নিশ্চুপ রয়েছে এবং সরকারের উপর কোন দায় চাপাতে চাইছে না।
পরিশেষে, বিএনপি নেতাদের সাম্প্রতিক বক্তব্য এবং রাষ্ট্রের পুনর্গঠনের বিষয়ে বিএনপির বিভিন্ন প্রস্তাবের প্রশংসা করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, “বাংলাদেশকে থেকে চিরতরের জন্য অস্বীকারের রাজনীতি, দ্বান্দ্বিক রাজনীতি, ঘৃণার রাজনীতি বিদায় হওয়া উচিত। দেশে একটি সহনশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি হোক।”