বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান কার্যকরের স্মরণে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির আয়োজিত এক আলোচনায় রাজনীতিবিদ এবং আইনজীবীরা অন্তর্বর্তী সরকারের সংবিধান সংস্কারের উদ্যোগ নিয়ে সতর্ক বার্তা দিয়েছেন। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, “যে সময় যে সরকার আসে, তারা তাদের সুবিধামতো সংবিধান সংস্কার করে। এটা আমাদের রাষ্ট্রের ও জনগণের দলিল, তাই এতে হাত দেওয়ার আগে ভেবে দেখা উচিত।”
অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এসে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য একটি কমিশন গঠন করেছে, যা সংবিধান সংস্কারের কথাও বলছে। এই কমিশনের প্রধান আলী রিয়াজ নতুন সংবিধান লেখার কথা উল্লেখ করেছেন, যদিও কমিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী সরকার কী পদক্ষেপ নেবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিএনপি ইতোমধ্যে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে যে, নির্বাচিত সংসদই সংবিধান সংস্কার করবে এবং দলটি আগে থেকেই সংশোধনে সতর্ক।
আইনজীবী শাহদীন মালিককে প্রথমে সংবিধান সংশোধন কমিশনের প্রধান করা হয়েছিল, তবে তিনি পরে এই দায়িত্ব থেকে সরে আসেন। আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের দেশের স্বাধীনতার আইনি ভিত্তি হল এই সংবিধান। কেউ কেউ দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদের প্রয়োজনীয়তার কথা বলছেন, কিন্তু এটি এ দেশের প্রেক্ষাপটে যথার্থ নয়।”
ইতিহাসবিদ সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, “অনির্বাচিত সরকার সংবিধান সংস্কার করতে পারে না, বিধিবদ্ধও করতে পারে না। সংস্কার শুধু সুপারিশ করতে পারে, বাস্তবায়নের ক্ষমতা নির্বাচিত সরকারের হাতে দিতে হবে।”
আলোচনা সভায় ৭২ এর সংবিধান প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. কামাল হোসেন বলেন, “সংবিধানের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করার দায়িত্ব সকলের। সংবিধানকে ব্যাখ্যা করার ক্ষেত্রে জনগণকে সতর্ক থাকতে হবে এবং কোনো ভুল হলে যুক্তি দিয়ে সেটি তুলে ধরতে হবে, যাতে সংশোধন সম্ভব হয়।”
গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী সংবিধান দিবসকে জাতীয় দিবসের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সমালোচনা করে বলেন, “সংবিধান দিবস বাতিল করা যাবে না। ৪ নভেম্বর সংবিধান দিবস হিসেবে অক্ষুণ্ন রাখতে হবে।”
১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান কার্যকর হয় এবং তখন থেকে এই দিনটি সংবিধান দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান কার্যকরের স্মরণে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির আয়োজিত এক আলোচনায় রাজনীতিবিদ এবং আইনজীবীরা অন্তর্বর্তী সরকারের সংবিধান সংস্কারের উদ্যোগ নিয়ে সতর্ক বার্তা দিয়েছেন। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, “যে সময় যে সরকার আসে, তারা তাদের সুবিধামতো সংবিধান সংস্কার করে। এটা আমাদের রাষ্ট্রের ও জনগণের দলিল, তাই এতে হাত দেওয়ার আগে ভেবে দেখা উচিত।”
অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এসে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য একটি কমিশন গঠন করেছে, যা সংবিধান সংস্কারের কথাও বলছে। এই কমিশনের প্রধান আলী রিয়াজ নতুন সংবিধান লেখার কথা উল্লেখ করেছেন, যদিও কমিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী সরকার কী পদক্ষেপ নেবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিএনপি ইতোমধ্যে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে যে, নির্বাচিত সংসদই সংবিধান সংস্কার করবে এবং দলটি আগে থেকেই সংশোধনে সতর্ক।
আইনজীবী শাহদীন মালিককে প্রথমে সংবিধান সংশোধন কমিশনের প্রধান করা হয়েছিল, তবে তিনি পরে এই দায়িত্ব থেকে সরে আসেন। আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের দেশের স্বাধীনতার আইনি ভিত্তি হল এই সংবিধান। কেউ কেউ দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদের প্রয়োজনীয়তার কথা বলছেন, কিন্তু এটি এ দেশের প্রেক্ষাপটে যথার্থ নয়।”
ইতিহাসবিদ সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, “অনির্বাচিত সরকার সংবিধান সংস্কার করতে পারে না, বিধিবদ্ধও করতে পারে না। সংস্কার শুধু সুপারিশ করতে পারে, বাস্তবায়নের ক্ষমতা নির্বাচিত সরকারের হাতে দিতে হবে।”
আলোচনা সভায় ৭২ এর সংবিধান প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. কামাল হোসেন বলেন, “সংবিধানের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করার দায়িত্ব সকলের। সংবিধানকে ব্যাখ্যা করার ক্ষেত্রে জনগণকে সতর্ক থাকতে হবে এবং কোনো ভুল হলে যুক্তি দিয়ে সেটি তুলে ধরতে হবে, যাতে সংশোধন সম্ভব হয়।”
গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী সংবিধান দিবসকে জাতীয় দিবসের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সমালোচনা করে বলেন, “সংবিধান দিবস বাতিল করা যাবে না। ৪ নভেম্বর সংবিধান দিবস হিসেবে অক্ষুণ্ন রাখতে হবে।”
১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান কার্যকর হয় এবং তখন থেকে এই দিনটি সংবিধান দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।