বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা অমান্য করে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আগাম দলীয় কাউন্সিলর প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছেন মহানগরীর বাসন থানা বিএনপির সভাপতি তানভীর সিরাজ। শনিবার মহানগরীর ১৭ নং ওয়ার্ড চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় একটি ওয়াজ মাহফিলে ওই ঘোষণা দেন। এসময় মঞ্চে ওয়ার্ড বিএনপির অন্যান্য নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
ওয়াজ মাহফিলে প্রার্থী ঘোষণা দেওয়ার পর তিনি মঞ্চে বহিষ্কৃত ওই নেতাকে হাত তুলে পরিচয় করিয়ে দেন। এ সময় তিনি আগামী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১৭ নং ওয়ার্ডের বিএনপির দলীয় প্রার্থী হিসেবে ওই নেতার জন্য ভোট প্রার্থনা করেন। বহিঃস্কৃত এই নেতার নাম রফিকুল ইসলাম রাতা। তিনি বাসন মেট্রো থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন। দলীয় নির্দেশ অমান্য করে গত সিটি নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী হওয়ায় তাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়। কিন্তু পরে আর বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়নি। কোন নেতাকে নির্বাচন আসার আগেই এভাবে প্রকাশ্যে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করায় গাজীপুর মহানগর বিএনপি নেতা কর্মীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসী ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির কয়েকজন নেতা বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে বাসন থানা বিএনপির সভাপতি তানভীর সিরাজ নানা বিতর্কিত কাজ করে বেড়াচ্ছেন। নির্বাচনের আগেই কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন দেওয়ার মাধ্যমে তিনি নতুন বাণিজ্য শুরু করেছেন। এতে দলের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে।
এ বিষয়ে গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনিরুল ইসলাম সংবাদকে বলেন, আমার সভাপতি যে ঘোষণা দিয়েছেন, এটি সম্পূর্ণ গঠনতন্ত্র বিরোধী। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে আমাদের দূরে থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন। তাছাড়া যার নাম ঘোষণা করা হয়েছে, তিনি এলাকায় বিতর্কিত এবং ইতিপূর্বে দল থেকে বহিষ্কৃত।
প্রার্থী ঘোষণার বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি বহিষ্কৃত নেতা রফিকুল ইসলাম রাতা সংবাদকে বলেন, একটি অনুষ্ঠানে সভাপতি তানভীর সিরাজ আমাকে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসাবে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলেছেন, সবাই যেন আমার দিকে খেয়াল রাখে। তিনি আমার জন্য দোয়া চেয়েছেন। বলেছেন, আমি ৩ বার নির্বাচনে অংশ নিয়েছি, কিন্তু বিগত সরকার আমার জয় ছিনিয়ে নিয়েছে।
দল থেকে বহিস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গত সিটি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কারণে আমাকে বহিস্কার করা হয়, এখানো বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়নি।
বিএনপির একাধিক সূত্র জানায়, রফিকুল ইসলাম রাতা দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী হয়ে পরাজিত হয়েছিলেন। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্যের কারণে তাকে দল থেকে বহিষ্কারের পর আর দলে ফিরিয়ে নেওয়া হয়নি। কোন নেতাকে নির্বাচন আসার আগেই এভাবে প্রকাশ্যে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করায় গাজীপুর মহানগর বিএনপি নেতা কর্মীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানা বিএনপির সভাপতি তানভীর সিরাজ সংবাদকে বলেন, এটি একটি ওয়াজ মাহফিল ছিল। সেখানে আমি বক্তব্যে বলতে চেয়েছি, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছিল। তখন উদাহরণ হিসেবে আমি রফিকুল ইসলাম রাতার প্রসঙ্গ টেনে বলেছি যে, তিনি এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে তিনবার নির্বাচন করেছেন কিন্তু বিগত সরকার তার বিজয় কেড়ে নিয়েছে। তখন আমি তার হাত তুলে ধরে সকলের কাছে পরিচয় করিয়ে দিয়েছি কিন্তু আমি তাকে প্রার্থী ঘোষণা করিনি। আমার বাসায় আসেন সাক্ষাতে কথা বলব।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুর মহানগরীর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম মনজুরুল করিম সংবাদকে বলেন, দল থেকে এখনও কোনো প্রার্থীর নাম ঘোষনা করার সিদ্ধান্ত হয়নি। এছাড়া তিনি যার পক্ষে ভোট চেয়েছে তিনিও বিএনপির বহিঃস্কৃত নেতা। তাই পক্ষে ভোট চাওয়া এটি সম্পূর্ণ গঠনতন্ত্র বিরোধী। বিষয়টি খোঁঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা অমান্য করে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আগাম দলীয় কাউন্সিলর প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছেন মহানগরীর বাসন থানা বিএনপির সভাপতি তানভীর সিরাজ। শনিবার মহানগরীর ১৭ নং ওয়ার্ড চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় একটি ওয়াজ মাহফিলে ওই ঘোষণা দেন। এসময় মঞ্চে ওয়ার্ড বিএনপির অন্যান্য নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
ওয়াজ মাহফিলে প্রার্থী ঘোষণা দেওয়ার পর তিনি মঞ্চে বহিষ্কৃত ওই নেতাকে হাত তুলে পরিচয় করিয়ে দেন। এ সময় তিনি আগামী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১৭ নং ওয়ার্ডের বিএনপির দলীয় প্রার্থী হিসেবে ওই নেতার জন্য ভোট প্রার্থনা করেন। বহিঃস্কৃত এই নেতার নাম রফিকুল ইসলাম রাতা। তিনি বাসন মেট্রো থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন। দলীয় নির্দেশ অমান্য করে গত সিটি নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী হওয়ায় তাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়। কিন্তু পরে আর বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়নি। কোন নেতাকে নির্বাচন আসার আগেই এভাবে প্রকাশ্যে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করায় গাজীপুর মহানগর বিএনপি নেতা কর্মীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসী ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির কয়েকজন নেতা বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে বাসন থানা বিএনপির সভাপতি তানভীর সিরাজ নানা বিতর্কিত কাজ করে বেড়াচ্ছেন। নির্বাচনের আগেই কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন দেওয়ার মাধ্যমে তিনি নতুন বাণিজ্য শুরু করেছেন। এতে দলের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে।
এ বিষয়ে গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনিরুল ইসলাম সংবাদকে বলেন, আমার সভাপতি যে ঘোষণা দিয়েছেন, এটি সম্পূর্ণ গঠনতন্ত্র বিরোধী। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে আমাদের দূরে থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন। তাছাড়া যার নাম ঘোষণা করা হয়েছে, তিনি এলাকায় বিতর্কিত এবং ইতিপূর্বে দল থেকে বহিষ্কৃত।
প্রার্থী ঘোষণার বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি বহিষ্কৃত নেতা রফিকুল ইসলাম রাতা সংবাদকে বলেন, একটি অনুষ্ঠানে সভাপতি তানভীর সিরাজ আমাকে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসাবে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলেছেন, সবাই যেন আমার দিকে খেয়াল রাখে। তিনি আমার জন্য দোয়া চেয়েছেন। বলেছেন, আমি ৩ বার নির্বাচনে অংশ নিয়েছি, কিন্তু বিগত সরকার আমার জয় ছিনিয়ে নিয়েছে।
দল থেকে বহিস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গত সিটি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কারণে আমাকে বহিস্কার করা হয়, এখানো বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়নি।
বিএনপির একাধিক সূত্র জানায়, রফিকুল ইসলাম রাতা দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী হয়ে পরাজিত হয়েছিলেন। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্যের কারণে তাকে দল থেকে বহিষ্কারের পর আর দলে ফিরিয়ে নেওয়া হয়নি। কোন নেতাকে নির্বাচন আসার আগেই এভাবে প্রকাশ্যে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করায় গাজীপুর মহানগর বিএনপি নেতা কর্মীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানা বিএনপির সভাপতি তানভীর সিরাজ সংবাদকে বলেন, এটি একটি ওয়াজ মাহফিল ছিল। সেখানে আমি বক্তব্যে বলতে চেয়েছি, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছিল। তখন উদাহরণ হিসেবে আমি রফিকুল ইসলাম রাতার প্রসঙ্গ টেনে বলেছি যে, তিনি এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে তিনবার নির্বাচন করেছেন কিন্তু বিগত সরকার তার বিজয় কেড়ে নিয়েছে। তখন আমি তার হাত তুলে ধরে সকলের কাছে পরিচয় করিয়ে দিয়েছি কিন্তু আমি তাকে প্রার্থী ঘোষণা করিনি। আমার বাসায় আসেন সাক্ষাতে কথা বলব।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুর মহানগরীর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম মনজুরুল করিম সংবাদকে বলেন, দল থেকে এখনও কোনো প্রার্থীর নাম ঘোষনা করার সিদ্ধান্ত হয়নি। এছাড়া তিনি যার পক্ষে ভোট চেয়েছে তিনিও বিএনপির বহিঃস্কৃত নেতা। তাই পক্ষে ভোট চাওয়া এটি সম্পূর্ণ গঠনতন্ত্র বিরোধী। বিষয়টি খোঁঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।