অধিকার রক্ষায়, দেশের জন্য প্রয়োজন হলে আবারও রাজপথে নেমে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগের মূল মন্ত্রই ছিল ‘আমার ভোট আমি দেবো, তোমার ভোটটাও আমি দেবো’। তারা ভোটের নামে জনগনের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। গত ১৫ বছরে দেশের কেউ ভোট দিতে পারে নাই। আমরা সবার ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই। সবাই ভোট দিতে পারলে সঠিক লোক নির্বাচিত হবে এবং তিনি পার্লামেন্টে গিয়ে আমাদের জন্য ভাল কাজ করবে।’
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ঠাকুরগাঁও শীবগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ মাঠে সদর উপজেলা বিএনপি আয়োজিত অনুষ্ঠিত জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
ভারতকে উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, তারা বার বার বলে ৭১ এ আমাদের দেশটাকে তারা দান করেছে। তাদের বলছি ‘জান দিয়ে পেয়েছি আমরা এ বাংলা, কারো দানে নয়’। ৭১ আমরা ভুলিনি, ভুলতে পারিনা। আমাদের লাখো শহীদের জানের বিনিময়ে এ বাংলা আমরা পেয়েছি। ২০২৪ এ এসেও ছাত্র জনতার জানের বিনিময়ে আবারও নতুন করে এ দেশকে পেয়েছি আমরা।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা সংস্কার চাই। ২০১৬ সালে আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ভিশন, ২০৩০ দিয়েছিলেন। এরপর আমাদের নেতা তারেক রহমান দুই বছর আগে ২০২২ সালে ৩১ দফা দিয়েছিলেন। সেই ৩১ দফাই হচ্ছে সংস্কার। সাধারণ মানুষ সংস্কার বোঝে না। তারা চায় তারা যেন ভোট দিতে পারে। আমাদের দেশটা যেন শান্তিতে থাকে। জিনিসপত্রের দাম যেন কম হয়। মারামারি ও চুরি-ডাকাতি যেন না হয়।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা তিনি ভেবেছিলেন কোনদিন ক্ষমতা থেকে যাবেনা। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যে পরিবারের সবাইকে নিয়ে তাকে পালিয়ে যেতে হয়েছে। সেই নেত্রী যিনি সবসময় বলতেন আমি পালাই না। আমি ভয় পাই না। আমি মুজিবের বেটি। সেই মহিলা জীবন নিয়ে তার নেতাকর্মীদের ছেড়ে দিয়ে, সারাদেশের অসংখ্য আওয়ামী লীগারদের বিপদে ফেলে পালিয়ে গেছে। এটাই হল ফ্যাসিবাদের পরিণতি।
তিনি আরও বলেন, দেশ ছেড়ে ওপারে পালিয়ে গিয়ে হাসিনা ওখান থেকে ষড়যন্ত্র করছে, চক্রান্ত করছে। একটা মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে-এখানে নাকি আমাদের হিন্দু ভাইদের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে। আমরা খুব শান্তিপ্রিয় মানুষ। আমরা সব সময় হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, মুসলমান একসঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করেছি। ছাত্র-জনতাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমাদের ভাইয়েরা যারা ১৫ বছর লড়াই করেছেন, তারা নিজেদের বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে আমাদের জন্য আবার একটা সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন। যেন আমরা দেশে আবার একটা গণতান্ত্রিক পথ সৃষ্টি করতে পারি।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে জনসভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, ঠাকুরগাঁও ৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, মহেবুল্লাহ আবু নুর, জেলা মহিলা দলের সভাপতি ফুরাতুন্নাহার পেরিস, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি পয়গাম আলী, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান হান্নুসহ দলটির অঙ্গ সংগঠনের নেতা ও কর্মীরা।
মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
অধিকার রক্ষায়, দেশের জন্য প্রয়োজন হলে আবারও রাজপথে নেমে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগের মূল মন্ত্রই ছিল ‘আমার ভোট আমি দেবো, তোমার ভোটটাও আমি দেবো’। তারা ভোটের নামে জনগনের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। গত ১৫ বছরে দেশের কেউ ভোট দিতে পারে নাই। আমরা সবার ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই। সবাই ভোট দিতে পারলে সঠিক লোক নির্বাচিত হবে এবং তিনি পার্লামেন্টে গিয়ে আমাদের জন্য ভাল কাজ করবে।’
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ঠাকুরগাঁও শীবগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ মাঠে সদর উপজেলা বিএনপি আয়োজিত অনুষ্ঠিত জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
ভারতকে উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, তারা বার বার বলে ৭১ এ আমাদের দেশটাকে তারা দান করেছে। তাদের বলছি ‘জান দিয়ে পেয়েছি আমরা এ বাংলা, কারো দানে নয়’। ৭১ আমরা ভুলিনি, ভুলতে পারিনা। আমাদের লাখো শহীদের জানের বিনিময়ে এ বাংলা আমরা পেয়েছি। ২০২৪ এ এসেও ছাত্র জনতার জানের বিনিময়ে আবারও নতুন করে এ দেশকে পেয়েছি আমরা।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা সংস্কার চাই। ২০১৬ সালে আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ভিশন, ২০৩০ দিয়েছিলেন। এরপর আমাদের নেতা তারেক রহমান দুই বছর আগে ২০২২ সালে ৩১ দফা দিয়েছিলেন। সেই ৩১ দফাই হচ্ছে সংস্কার। সাধারণ মানুষ সংস্কার বোঝে না। তারা চায় তারা যেন ভোট দিতে পারে। আমাদের দেশটা যেন শান্তিতে থাকে। জিনিসপত্রের দাম যেন কম হয়। মারামারি ও চুরি-ডাকাতি যেন না হয়।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা তিনি ভেবেছিলেন কোনদিন ক্ষমতা থেকে যাবেনা। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যে পরিবারের সবাইকে নিয়ে তাকে পালিয়ে যেতে হয়েছে। সেই নেত্রী যিনি সবসময় বলতেন আমি পালাই না। আমি ভয় পাই না। আমি মুজিবের বেটি। সেই মহিলা জীবন নিয়ে তার নেতাকর্মীদের ছেড়ে দিয়ে, সারাদেশের অসংখ্য আওয়ামী লীগারদের বিপদে ফেলে পালিয়ে গেছে। এটাই হল ফ্যাসিবাদের পরিণতি।
তিনি আরও বলেন, দেশ ছেড়ে ওপারে পালিয়ে গিয়ে হাসিনা ওখান থেকে ষড়যন্ত্র করছে, চক্রান্ত করছে। একটা মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে-এখানে নাকি আমাদের হিন্দু ভাইদের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে। আমরা খুব শান্তিপ্রিয় মানুষ। আমরা সব সময় হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, মুসলমান একসঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করেছি। ছাত্র-জনতাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমাদের ভাইয়েরা যারা ১৫ বছর লড়াই করেছেন, তারা নিজেদের বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে আমাদের জন্য আবার একটা সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন। যেন আমরা দেশে আবার একটা গণতান্ত্রিক পথ সৃষ্টি করতে পারি।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে জনসভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, ঠাকুরগাঁও ৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, মহেবুল্লাহ আবু নুর, জেলা মহিলা দলের সভাপতি ফুরাতুন্নাহার পেরিস, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি পয়গাম আলী, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান হান্নুসহ দলটির অঙ্গ সংগঠনের নেতা ও কর্মীরা।