টিসিবির ট্রাক সেল কার্যক্রম বন্ধ এবং ৪৩ লাখ পরিবারের রেশন কার্ড বাতিলের সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। দলের সভাপতি মো. শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স আজ শুক্রবার এক যৌথ বিবৃতিতে এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে সিপিবি নেতারা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার জনজীবনের সংকট নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ না নিয়ে বরং মধ্যস্বত্বভোগী ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো সাধারণ মানুষের ওপর বোঝা চাপাচ্ছে। টিসিবির কর্মসূচি বন্ধ এবং ৪৩ লাখ পরিবারের কার্ড বাতিলের ফলে প্রায় অর্ধকোটি মানুষকে কম মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয়ের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
নেতারা বলেন, সরকার অপ্রত্যক্ষ কর বৃদ্ধির মাধ্যমে জনগণের জীবনকে আরো কষ্টকর করে তুলছে। সাধারণ খাদ্য, হোটেল, গ্যাসসহ দৈনন্দিন ব্যবহার্য পণ্যে ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও প্রান্তিক মানুষের জীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।
বিবৃতিতে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এবং আইএমএফের চাপের কথা উল্লেখ করে বলা হয়, এসব সিদ্ধান্ত দেশের অর্থনৈতিক সংকটকে আরও গভীর করবে। তারা এ সিদ্ধান্তকে স্বৈরাচারী সরকারের মতো "জনগণের পকেট কাটার নীতি" বলে অভিহিত করেছেন।
সিপিবি অবিলম্বে সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়ে বিদেশে পাচার করা অর্থ, খেলাপি ঋণ আদায় এবং ধনীদের ওপর বিশেষ কর আরোপ করার আহ্বান জানিয়েছে।
একই বিবৃতিতে নেতারা ময়মনসিংহে মাজারে হামলা, রানীশংকৈলে অনুষ্ঠান পণ্ডসহ বিভিন্ন স্থানে অরাজকতার তীব্র নিন্দা জানান। তারা অবিলম্বে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং জনজীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
বিবৃতির শেষে জনজীবনের সংকট মোকাবিলায় জনগণকে সচেতন ও সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫
টিসিবির ট্রাক সেল কার্যক্রম বন্ধ এবং ৪৩ লাখ পরিবারের রেশন কার্ড বাতিলের সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। দলের সভাপতি মো. শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স আজ শুক্রবার এক যৌথ বিবৃতিতে এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে সিপিবি নেতারা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার জনজীবনের সংকট নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ না নিয়ে বরং মধ্যস্বত্বভোগী ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো সাধারণ মানুষের ওপর বোঝা চাপাচ্ছে। টিসিবির কর্মসূচি বন্ধ এবং ৪৩ লাখ পরিবারের কার্ড বাতিলের ফলে প্রায় অর্ধকোটি মানুষকে কম মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয়ের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
নেতারা বলেন, সরকার অপ্রত্যক্ষ কর বৃদ্ধির মাধ্যমে জনগণের জীবনকে আরো কষ্টকর করে তুলছে। সাধারণ খাদ্য, হোটেল, গ্যাসসহ দৈনন্দিন ব্যবহার্য পণ্যে ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও প্রান্তিক মানুষের জীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।
বিবৃতিতে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এবং আইএমএফের চাপের কথা উল্লেখ করে বলা হয়, এসব সিদ্ধান্ত দেশের অর্থনৈতিক সংকটকে আরও গভীর করবে। তারা এ সিদ্ধান্তকে স্বৈরাচারী সরকারের মতো "জনগণের পকেট কাটার নীতি" বলে অভিহিত করেছেন।
সিপিবি অবিলম্বে সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়ে বিদেশে পাচার করা অর্থ, খেলাপি ঋণ আদায় এবং ধনীদের ওপর বিশেষ কর আরোপ করার আহ্বান জানিয়েছে।
একই বিবৃতিতে নেতারা ময়মনসিংহে মাজারে হামলা, রানীশংকৈলে অনুষ্ঠান পণ্ডসহ বিভিন্ন স্থানে অরাজকতার তীব্র নিন্দা জানান। তারা অবিলম্বে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং জনজীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
বিবৃতির শেষে জনজীবনের সংকট মোকাবিলায় জনগণকে সচেতন ও সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।