এলাকায় উন্নয়নের স্বার্থে আওয়ামী লীগের পদ নিলেও মনেপ্রাণে জামায়াতের রাজনীতি করেছেন বলে দাবি
কুমিল্লার তিতাস উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবু হানিফ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে থাকলেও মনেপ্রাণে জামায়াতের রাজনীতি করেছেন বলে জানিয়েছেন। দীর্ঘদিন তিনি এলাকাবাসীর কাছে আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তবে সম্প্রতি জানা গেছে, তিনি ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা।
আবু হানিফ বলেন, ২০১১ সালে প্রবাস থেকে ফিরে তিনি জামায়াতের রাজনীতিতে যুক্ত হন। ২০২১ সালে ইউপি নির্বাচনে জয়ী হয়ে এলাকায় জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাজ শুরু করেন। ২০২২ সালে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনের সময় ইউপি চেয়ারম্যানের অনুরোধে তিনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হন। তবে এটি ছিল সম্পূর্ণ মৌখিক এবং কৌশলগত পদক্ষেপ।
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের পদে থাকলেও আমি সব সময় জামায়াতের রাজনীতি করেছি। সম্প্রতি ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছি। প্রতিপক্ষের প্ররোচনায় বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক ছড়ানো হচ্ছে।”
গত ১২ জানুয়ারি মজিদপুর ইউনিয়নে জামায়াতের কর্মী সম্মেলনের লিফলেটে আবু হানিফের নাম সভাপতি হিসেবে উল্লেখ করা হয়। লিফলেটটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এর আগে স্থানীয় লোকজন তাঁকে আওয়ামী লীগের নেতা বলেই জানতেন।
মজিদপুর ইউপির চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “আবু হানিফ অনেক তদবিরের মাধ্যমে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ পেয়েছিলেন। তবে তিনি এখন ভোল পাল্টে জামায়াতের সভাপতি হয়েছেন। আওয়ামী লীগের পদ ছিল সোনার হরিণ; কাউকে জোর করে দেওয়া হয়নি।”
অন্যদিকে, তিতাস উপজেলা জামায়াতের আমির শামীম সরকার জানান, “আবু হানিফ দীর্ঘদিন ধরে জামায়াতের সক্রিয় সদস্য। স্থানীয় উন্নয়নের স্বার্থে আওয়ামী লীগের পদ নিয়েছিলেন। তবে সব সময় জামায়াতের আদর্শ অনুসরণ করেছেন।”
কুমিল্লা উত্তর জেলা জামায়াতের আমির আবদুল মতিন বলেন, “আবু হানিফ জামায়াতের লোক ছিলেন এবং আছেন। পরিস্থিতির কারণে তিনি ইউপি চেয়ারম্যানের চাপে আওয়ামী লীগের পদ গ্রহণ করেছিলেন। এটি ছিল কৌশলগত সিদ্ধান্ত।”
আবু হানিফ বলেন, “যেহেতু আমাকে মৌখিকভাবে পদ দেওয়া হয়েছিল, তাই আর পদত্যাগ করিনি। প্রকৃত অর্থে আমি জামায়াতের রাজনীতি করেছি এবং করব।”
এলাকায় উন্নয়নের স্বার্থে আওয়ামী লীগের পদ নিলেও মনেপ্রাণে জামায়াতের রাজনীতি করেছেন বলে দাবি
রোববার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
কুমিল্লার তিতাস উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবু হানিফ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে থাকলেও মনেপ্রাণে জামায়াতের রাজনীতি করেছেন বলে জানিয়েছেন। দীর্ঘদিন তিনি এলাকাবাসীর কাছে আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তবে সম্প্রতি জানা গেছে, তিনি ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা।
আবু হানিফ বলেন, ২০১১ সালে প্রবাস থেকে ফিরে তিনি জামায়াতের রাজনীতিতে যুক্ত হন। ২০২১ সালে ইউপি নির্বাচনে জয়ী হয়ে এলাকায় জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাজ শুরু করেন। ২০২২ সালে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনের সময় ইউপি চেয়ারম্যানের অনুরোধে তিনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হন। তবে এটি ছিল সম্পূর্ণ মৌখিক এবং কৌশলগত পদক্ষেপ।
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের পদে থাকলেও আমি সব সময় জামায়াতের রাজনীতি করেছি। সম্প্রতি ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছি। প্রতিপক্ষের প্ররোচনায় বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক ছড়ানো হচ্ছে।”
গত ১২ জানুয়ারি মজিদপুর ইউনিয়নে জামায়াতের কর্মী সম্মেলনের লিফলেটে আবু হানিফের নাম সভাপতি হিসেবে উল্লেখ করা হয়। লিফলেটটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এর আগে স্থানীয় লোকজন তাঁকে আওয়ামী লীগের নেতা বলেই জানতেন।
মজিদপুর ইউপির চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “আবু হানিফ অনেক তদবিরের মাধ্যমে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ পেয়েছিলেন। তবে তিনি এখন ভোল পাল্টে জামায়াতের সভাপতি হয়েছেন। আওয়ামী লীগের পদ ছিল সোনার হরিণ; কাউকে জোর করে দেওয়া হয়নি।”
অন্যদিকে, তিতাস উপজেলা জামায়াতের আমির শামীম সরকার জানান, “আবু হানিফ দীর্ঘদিন ধরে জামায়াতের সক্রিয় সদস্য। স্থানীয় উন্নয়নের স্বার্থে আওয়ামী লীগের পদ নিয়েছিলেন। তবে সব সময় জামায়াতের আদর্শ অনুসরণ করেছেন।”
কুমিল্লা উত্তর জেলা জামায়াতের আমির আবদুল মতিন বলেন, “আবু হানিফ জামায়াতের লোক ছিলেন এবং আছেন। পরিস্থিতির কারণে তিনি ইউপি চেয়ারম্যানের চাপে আওয়ামী লীগের পদ গ্রহণ করেছিলেন। এটি ছিল কৌশলগত সিদ্ধান্ত।”
আবু হানিফ বলেন, “যেহেতু আমাকে মৌখিকভাবে পদ দেওয়া হয়েছিল, তাই আর পদত্যাগ করিনি। প্রকৃত অর্থে আমি জামায়াতের রাজনীতি করেছি এবং করব।”