বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের লক্ষ্য থেকে ‘কিছুটা হলেও বিচ্যুত হচ্ছে’। পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন ব্যক্তির বক্তব্য বিভ্রান্তি তৈরি করছে, যা মানুষের মধ্যে অনিশ্চয়তা বাড়াচ্ছে।
রোববার ঢাকায় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
সম্প্রতি সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার উদ্যোগ ও জাতীয় নির্বাচন নিয়ে নানা বক্তব্য দিয়েছে। সরকারের উপদেষ্টারা সংস্কারের পর নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে, অন্যদিকে বিএনপি প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচন চায়।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন প্রথম ধাপের ছয় সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এক দফা বৈঠকও করেছে।
লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমান বলেন, “সরকারের বিভিন্ন ব্যক্তির কথাবার্তা ও আলোচনায় প্রতীয়মান হচ্ছে যে, তারা (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) তাদের লক্ষ্য থেকে কিছুটা হলেও বিচ্যুত হচ্ছেন। বিভিন্ন স্টেটমেন্ট থেকে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে, মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে।”
তিনি বলেন, রাজনীতিতে বিভ্রান্তি থাকলে অস্থিরতা দেখা দেবে, যা দেশের প্রতিটি মানুষকে সমস্যার মুখোমুখি করবে। অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সবকিছুর ওপর এর প্রভাব পড়বে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণআন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাড়ে ছয় মাসের মধ্যে দ্বাদশ সংসদ বিলুপ্ত হয়।
তারেক রহমান বলেন, “যত দ্রুত সম্ভব দেশকে স্থিতিশীল করা আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। রাজনৈতিক আলোচনা ও বিতর্ক সংসদেই হওয়া উচিত। সংসদকে কার্যকর করতে দেরি হলে অস্থিরতা বাড়বে, যা অর্থনীতি ও সামাজিক স্থিতিশীলতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।”
আইনজীবীদের ভূমিকা তুলে ধরে তিনি বলেন, “যদি তর্ক-বিতর্ক চলতেই থাকে, তবে জাতি ও দেশ আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “নির্বাচন হলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে না, তবে স্থিতিশীলতা আসবে, সংস্কারের কাজ শুরু হবে, সমস্যাগুলোর তীব্রতা কমবে।”
তিনি মনে করেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত জনগণের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানানো এবং প্রয়োজনীয় সংস্কারের বাস্তবায়নে সংসদকে কার্যকর করা।
অনুষ্ঠানে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন খানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
রোববার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের লক্ষ্য থেকে ‘কিছুটা হলেও বিচ্যুত হচ্ছে’। পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন ব্যক্তির বক্তব্য বিভ্রান্তি তৈরি করছে, যা মানুষের মধ্যে অনিশ্চয়তা বাড়াচ্ছে।
রোববার ঢাকায় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
সম্প্রতি সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার উদ্যোগ ও জাতীয় নির্বাচন নিয়ে নানা বক্তব্য দিয়েছে। সরকারের উপদেষ্টারা সংস্কারের পর নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে, অন্যদিকে বিএনপি প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচন চায়।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন প্রথম ধাপের ছয় সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এক দফা বৈঠকও করেছে।
লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমান বলেন, “সরকারের বিভিন্ন ব্যক্তির কথাবার্তা ও আলোচনায় প্রতীয়মান হচ্ছে যে, তারা (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) তাদের লক্ষ্য থেকে কিছুটা হলেও বিচ্যুত হচ্ছেন। বিভিন্ন স্টেটমেন্ট থেকে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে, মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে।”
তিনি বলেন, রাজনীতিতে বিভ্রান্তি থাকলে অস্থিরতা দেখা দেবে, যা দেশের প্রতিটি মানুষকে সমস্যার মুখোমুখি করবে। অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সবকিছুর ওপর এর প্রভাব পড়বে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণআন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাড়ে ছয় মাসের মধ্যে দ্বাদশ সংসদ বিলুপ্ত হয়।
তারেক রহমান বলেন, “যত দ্রুত সম্ভব দেশকে স্থিতিশীল করা আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। রাজনৈতিক আলোচনা ও বিতর্ক সংসদেই হওয়া উচিত। সংসদকে কার্যকর করতে দেরি হলে অস্থিরতা বাড়বে, যা অর্থনীতি ও সামাজিক স্থিতিশীলতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।”
আইনজীবীদের ভূমিকা তুলে ধরে তিনি বলেন, “যদি তর্ক-বিতর্ক চলতেই থাকে, তবে জাতি ও দেশ আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “নির্বাচন হলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে না, তবে স্থিতিশীলতা আসবে, সংস্কারের কাজ শুরু হবে, সমস্যাগুলোর তীব্রতা কমবে।”
তিনি মনে করেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত জনগণের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানানো এবং প্রয়োজনীয় সংস্কারের বাস্তবায়নে সংসদকে কার্যকর করা।
অনুষ্ঠানে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন খানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।