সরকার পতন আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও পরে গঠিত জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা আসছে শুক্রবার।
রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে সংসদ ভবনের সামনে থেকে আত্মপ্রকাশের আগে দলটির নাম প্রকাশ করা হবে।
সোমবার সন্ধ্যায় বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক কমিটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে গত কয়েক দিন থেকে আলোচিত এ দল ঘোষণার দিনক্ষণ তুলে ধরেন সংগঠনের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, "বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটি ঐক্যবদ্ধভাবে নতুন একটি রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৩টায় জাতীয় সংসদ সংলগ্ন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে এই রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছি।"
“এই দেশের ১৮ কোটি মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক জাতীয় সংসদকে সামনে রেখে আমরা আমাদের আত্মপ্রকাশের শপথটি করতে চাই।"
নতুন দলের নাম প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, অনেকগুলো প্রস্তাব এসেছে। জনতার দল, নতুন বাংলাদেশ পার্টি, বিপ্লবী দল, নাগরিক শক্তি, ছাত্র জনতা পার্টি, বাংলাদেশ বিপ্লবী পার্টি, রিপাবলিক পার্টি, জাতীয় শক্তিসহ ৩০টির অধিক নাম ঘুরে ফিরে এসেছে।
“আত্মপ্রকাশের আগে চূড়ান্ত নামটা আমরা জানাব।"
তিনি বলেন, " গত ১৫ দিন ধরে সারা বাংলাদেশ জুড়ে আপনার চোখে নতুন বাংলাদেশ শীর্ষক একটি একটি জরিপ চালানো হয়েছিল। দুই লাখের অধিক মানুষ আমাদের এই ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ করেছেন। মানুষ প্রথমেই যে বিষয়টি বলেছেন সেটা হচ্ছে দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে। সুশাসন প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন, ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার কথা বলেছেন। সামাজিক ন্যায়বিচার, সবার জন্য সমান সুযোগ ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির কথা বলেছেন। সকল প্রকার বৈষম্য হ্রাস ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির কথা বলেছেন।"
নতুন দলের কাছে মানুষের প্রত্যাশা তুলে ধরে তিনি বলেন, "নেতৃত্ব নির্বাচনে সততা ও আদর্শের গুরুত্বের কথা মানুষ বলেছেন। দল যেন একনায়কতন্ত্র এবং পরিবারতন্ত্রের খপ্পরে না পড়ে সেই কথা বলেছেন। দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্র চর্চার কথা মানুষেরা সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে বলছেন।"
ছাত্র-জনতার তুমুল গণ আন্দোলনে ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়ে সারজিস আলম বলেন, "হাজারো শহীদের রক্তের ওপরে যে নতুন বাংলাদেশ এসেছে, যে নতুন দলটি করতে যাচ্ছি সেখানে ব্যক্তি স্বার্থ, গোষ্ঠী, দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থ প্রাধান্য পাবে।
“আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের যত রাজনৈতিক দল রয়েছে দলের নেতৃবৃন্দ থেকে শুরু করে শহীদ পরিবার, দেশি-বিদেশি কূটনীতিক, গত ১৬ বছরে নির্যাতিত পরিবার, অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া আন্দোলনকারী, ছাত্র-জনতা ও প্রবাসী ভাইয়েরা, বিভিন্ন ধর্মীয় জাতি গোষ্ঠী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সকলের সেখানে অংশগ্রহণ থাকবে।"
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ ও সমন্বয়ক আরিফ সোহেলসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির বর্তমান নেতৃত্বের বড় অংশ নিয়ে গঠন করা হচ্ছে এই নতুন দল।
বর্তমান কমিটিতে নেই এমন অন্তত ৩০ শতাংশ নতুন মুখ যুক্ত করে দেড়শ থেকে ২০০ জনের একটি আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে হবে দলের গোড়াপত্তান। ধীরে ধীরে এই কমিটির সদস্য সংখ্যা ৩০০ জনে উন্নীত হবে। ততদিনে সমান্তরালভাবে জেলা কমিটিগুলো গঠন করা হবে।
সারাদেশে এ দলের কাঠামো ছড়িয়ে দিতে একের পর এক থানা কমিটি দিয়ে যাচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। দলের গঠনতন্ত্র, দর্শন, ঘোষণাপত্র, দলীয় প্রতীক চূড়ান্ত করতে চলছে নানা তৎপরতা।
নতুন দলের আহ্বায়ক হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের নাম আলোচিত হচ্ছে। সদস্য সচিব হিসেবে আখতার হোসেন ও নাসিরউদ্দীন পাটওয়ারীর নাম শোনা যাচ্ছে।
সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সরকার পতন আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও পরে গঠিত জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা আসছে শুক্রবার।
রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে সংসদ ভবনের সামনে থেকে আত্মপ্রকাশের আগে দলটির নাম প্রকাশ করা হবে।
সোমবার সন্ধ্যায় বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক কমিটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে গত কয়েক দিন থেকে আলোচিত এ দল ঘোষণার দিনক্ষণ তুলে ধরেন সংগঠনের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, "বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটি ঐক্যবদ্ধভাবে নতুন একটি রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৩টায় জাতীয় সংসদ সংলগ্ন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে এই রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছি।"
“এই দেশের ১৮ কোটি মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক জাতীয় সংসদকে সামনে রেখে আমরা আমাদের আত্মপ্রকাশের শপথটি করতে চাই।"
নতুন দলের নাম প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, অনেকগুলো প্রস্তাব এসেছে। জনতার দল, নতুন বাংলাদেশ পার্টি, বিপ্লবী দল, নাগরিক শক্তি, ছাত্র জনতা পার্টি, বাংলাদেশ বিপ্লবী পার্টি, রিপাবলিক পার্টি, জাতীয় শক্তিসহ ৩০টির অধিক নাম ঘুরে ফিরে এসেছে।
“আত্মপ্রকাশের আগে চূড়ান্ত নামটা আমরা জানাব।"
তিনি বলেন, " গত ১৫ দিন ধরে সারা বাংলাদেশ জুড়ে আপনার চোখে নতুন বাংলাদেশ শীর্ষক একটি একটি জরিপ চালানো হয়েছিল। দুই লাখের অধিক মানুষ আমাদের এই ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ করেছেন। মানুষ প্রথমেই যে বিষয়টি বলেছেন সেটা হচ্ছে দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে। সুশাসন প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন, ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার কথা বলেছেন। সামাজিক ন্যায়বিচার, সবার জন্য সমান সুযোগ ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির কথা বলেছেন। সকল প্রকার বৈষম্য হ্রাস ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির কথা বলেছেন।"
নতুন দলের কাছে মানুষের প্রত্যাশা তুলে ধরে তিনি বলেন, "নেতৃত্ব নির্বাচনে সততা ও আদর্শের গুরুত্বের কথা মানুষ বলেছেন। দল যেন একনায়কতন্ত্র এবং পরিবারতন্ত্রের খপ্পরে না পড়ে সেই কথা বলেছেন। দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্র চর্চার কথা মানুষেরা সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে বলছেন।"
ছাত্র-জনতার তুমুল গণ আন্দোলনে ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়ে সারজিস আলম বলেন, "হাজারো শহীদের রক্তের ওপরে যে নতুন বাংলাদেশ এসেছে, যে নতুন দলটি করতে যাচ্ছি সেখানে ব্যক্তি স্বার্থ, গোষ্ঠী, দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থ প্রাধান্য পাবে।
“আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের যত রাজনৈতিক দল রয়েছে দলের নেতৃবৃন্দ থেকে শুরু করে শহীদ পরিবার, দেশি-বিদেশি কূটনীতিক, গত ১৬ বছরে নির্যাতিত পরিবার, অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া আন্দোলনকারী, ছাত্র-জনতা ও প্রবাসী ভাইয়েরা, বিভিন্ন ধর্মীয় জাতি গোষ্ঠী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সকলের সেখানে অংশগ্রহণ থাকবে।"
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ ও সমন্বয়ক আরিফ সোহেলসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির বর্তমান নেতৃত্বের বড় অংশ নিয়ে গঠন করা হচ্ছে এই নতুন দল।
বর্তমান কমিটিতে নেই এমন অন্তত ৩০ শতাংশ নতুন মুখ যুক্ত করে দেড়শ থেকে ২০০ জনের একটি আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে হবে দলের গোড়াপত্তান। ধীরে ধীরে এই কমিটির সদস্য সংখ্যা ৩০০ জনে উন্নীত হবে। ততদিনে সমান্তরালভাবে জেলা কমিটিগুলো গঠন করা হবে।
সারাদেশে এ দলের কাঠামো ছড়িয়ে দিতে একের পর এক থানা কমিটি দিয়ে যাচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। দলের গঠনতন্ত্র, দর্শন, ঘোষণাপত্র, দলীয় প্রতীক চূড়ান্ত করতে চলছে নানা তৎপরতা।
নতুন দলের আহ্বায়ক হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের নাম আলোচিত হচ্ছে। সদস্য সচিব হিসেবে আখতার হোসেন ও নাসিরউদ্দীন পাটওয়ারীর নাম শোনা যাচ্ছে।