বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকারকে এ দেশের ছাত্র-জনতা ও রাজনৈতিক দলগুলো মিলেই ক্ষমতায় বসিয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা ছিল, যেসব জায়গায় সংস্কার প্রয়োজন, সেগুলো শেষ করে সরকার দ্রুত সবার ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেবে। কিন্তু এখন নতুন খেলা শুরু হয়েছে। কিছু দল বলছে, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করতে হবে। তাদের অনুরোধ করে বলতে চাই, দেশকে আর ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেবেন না, নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দেবেন না।
ধামরাই উপজেলার যাত্রাবাড়ি মাঠে সোমবার দুপুরে ঢাকা জেলা বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সহনীয় পর্যায়ে রাখা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানানো হয়।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, "প্রথম থেকেই আমরা সহযোগিতা করেছি। সংস্কারের যতগুলো প্রস্তাব এসেছে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। এই সুযোগ যেন আমরা হেলায় হারাই না। শত্রুরা বিভিন্ন ফাঁদ পাতছে, যাতে উত্তেজিত হয়ে আইনশৃঙ্খলা নষ্ট করি। কিন্তু আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না। সবাইকে সহযোগিতা করে দেশকে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে, যেন জনগণের প্রতিনিধিরা নির্বাচিত হতে পারেন।"
তিনি বলেন, "মানুষ যেকোনো বিষয়ে রাস্তায় নামে, রাস্তা বন্ধ করে দেয়—এটা দায়িত্বশীলতার কাজ নয়। একটা ফ্যাসিস্টকে সরানো হয়েছে, কিন্তু নতুন সরকারকেও ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। আমরা চাই, সরকার যেন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারে।"
গত ১৫ বছরে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতনের কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, "আওয়ামী লীগ সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশ থেকে রাজনীতিকে নির্বাসিত করতে চেয়েছিল। তারা রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে, নির্বাচনব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে ১৫৪ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। ভোটকেন্দ্রগুলোতে কুকুর ঘুরে বেড়িয়েছে। শফিউল আলম প্রধান তখন বলেছিলেন, ‘কুত্তামার্কা নির্বাচন’।"
ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি ভাঙচুর প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, "ফ্যাসিস্ট হাসিনা কান্না করতে করতে বলেছেন, ‘আমার বাবার বাড়িটা ধুলায় মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ আপনি যদি জানতে চান, আপনার অপরাধ কী, তাহলে বলব—আপনি জাতিকে ধ্বংসের চক্রান্ত করেছেন, জনগণের অধিকার ধ্বংস করেছেন, দেশকে বিক্রি করে দিয়েছেন, ধর্ম ও ইতিহাস বিকৃত করেছেন।"
বেলা একটার পর থেকেই ধামরাই, সাভারসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপি নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন। এতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়।
ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকের সভাপতিত্বে সমাবেশের সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক নিপুন রায় চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ (টিটু) ও নজরুল ইসলাম (আজাদ)।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-পরিবার কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন (বাবু), বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ধামরাই উপজেলা বিএনপির সভাপতি তমিজ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সামছুল ইসলাম, ঢাকা জেলা যুবদলের সভাপতি ইয়াসিন ফেরদৌস (মুরাদ), সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব খান, ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নাজমুল হাসান, সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান মোহন প্রমুখ।
সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকারকে এ দেশের ছাত্র-জনতা ও রাজনৈতিক দলগুলো মিলেই ক্ষমতায় বসিয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা ছিল, যেসব জায়গায় সংস্কার প্রয়োজন, সেগুলো শেষ করে সরকার দ্রুত সবার ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেবে। কিন্তু এখন নতুন খেলা শুরু হয়েছে। কিছু দল বলছে, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করতে হবে। তাদের অনুরোধ করে বলতে চাই, দেশকে আর ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেবেন না, নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দেবেন না।
ধামরাই উপজেলার যাত্রাবাড়ি মাঠে সোমবার দুপুরে ঢাকা জেলা বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সহনীয় পর্যায়ে রাখা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানানো হয়।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, "প্রথম থেকেই আমরা সহযোগিতা করেছি। সংস্কারের যতগুলো প্রস্তাব এসেছে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। এই সুযোগ যেন আমরা হেলায় হারাই না। শত্রুরা বিভিন্ন ফাঁদ পাতছে, যাতে উত্তেজিত হয়ে আইনশৃঙ্খলা নষ্ট করি। কিন্তু আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না। সবাইকে সহযোগিতা করে দেশকে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে, যেন জনগণের প্রতিনিধিরা নির্বাচিত হতে পারেন।"
তিনি বলেন, "মানুষ যেকোনো বিষয়ে রাস্তায় নামে, রাস্তা বন্ধ করে দেয়—এটা দায়িত্বশীলতার কাজ নয়। একটা ফ্যাসিস্টকে সরানো হয়েছে, কিন্তু নতুন সরকারকেও ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। আমরা চাই, সরকার যেন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারে।"
গত ১৫ বছরে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতনের কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, "আওয়ামী লীগ সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশ থেকে রাজনীতিকে নির্বাসিত করতে চেয়েছিল। তারা রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে, নির্বাচনব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে ১৫৪ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। ভোটকেন্দ্রগুলোতে কুকুর ঘুরে বেড়িয়েছে। শফিউল আলম প্রধান তখন বলেছিলেন, ‘কুত্তামার্কা নির্বাচন’।"
ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি ভাঙচুর প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, "ফ্যাসিস্ট হাসিনা কান্না করতে করতে বলেছেন, ‘আমার বাবার বাড়িটা ধুলায় মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ আপনি যদি জানতে চান, আপনার অপরাধ কী, তাহলে বলব—আপনি জাতিকে ধ্বংসের চক্রান্ত করেছেন, জনগণের অধিকার ধ্বংস করেছেন, দেশকে বিক্রি করে দিয়েছেন, ধর্ম ও ইতিহাস বিকৃত করেছেন।"
বেলা একটার পর থেকেই ধামরাই, সাভারসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপি নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন। এতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়।
ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকের সভাপতিত্বে সমাবেশের সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক নিপুন রায় চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ (টিটু) ও নজরুল ইসলাম (আজাদ)।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-পরিবার কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন (বাবু), বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ধামরাই উপজেলা বিএনপির সভাপতি তমিজ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সামছুল ইসলাম, ঢাকা জেলা যুবদলের সভাপতি ইয়াসিন ফেরদৌস (মুরাদ), সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব খান, ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নাজমুল হাসান, সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান মোহন প্রমুখ।