বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা সবচেয়ে বড় পুঁজি। তবে সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে জনমনে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। নিজেদের নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে সরকারের আরও সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি ঢাকায় বিএনপির বর্ধিত সভায় যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। সভাটি জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভার্চ্যুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার রেকর্ড করা বক্তব্য সভায় প্রচার করা হয়।
তারেক রহমান বলেন, বিভিন্ন সময়ে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য ইতিবাচক ধারণা তৈরি করলেও, কিছু উপদেষ্টার মন্তব্য জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বিএনপিসহ গণতন্ত্রপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থন থাকলেও সরকার এখনো নিজেদের কর্মপরিকল্পনার অগ্রাধিকার নির্ধারণ করতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, দেশে খুন, ধর্ষণ, চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ বাড়ছে, আর বাজার সিন্ডিকেটের কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি না করেই সরকার স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে, যা জনগণের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ।
তারেক রহমান অভিযোগ করেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলে তা নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া হিসেবে ব্যবহৃত হবে, যা গণ-আন্দোলনের বিপরীতমুখী। বিএনপি এই প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়ে তারেক রহমান বলেন, শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর ১৬-১৭টি নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বিএনপি এসব দলকে স্বাগত জানায়, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জনগণই নেবে। তাই অংশগ্রহণমূলক ও অবাধ জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে প্রস্তুত করতে হবে।
বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা সবচেয়ে বড় পুঁজি। তবে সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে জনমনে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। নিজেদের নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে সরকারের আরও সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি ঢাকায় বিএনপির বর্ধিত সভায় যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। সভাটি জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভার্চ্যুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার রেকর্ড করা বক্তব্য সভায় প্রচার করা হয়।
তারেক রহমান বলেন, বিভিন্ন সময়ে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য ইতিবাচক ধারণা তৈরি করলেও, কিছু উপদেষ্টার মন্তব্য জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বিএনপিসহ গণতন্ত্রপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থন থাকলেও সরকার এখনো নিজেদের কর্মপরিকল্পনার অগ্রাধিকার নির্ধারণ করতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, দেশে খুন, ধর্ষণ, চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ বাড়ছে, আর বাজার সিন্ডিকেটের কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি না করেই সরকার স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে, যা জনগণের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ।
তারেক রহমান অভিযোগ করেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলে তা নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া হিসেবে ব্যবহৃত হবে, যা গণ-আন্দোলনের বিপরীতমুখী। বিএনপি এই প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়ে তারেক রহমান বলেন, শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর ১৬-১৭টি নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বিএনপি এসব দলকে স্বাগত জানায়, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জনগণই নেবে। তাই অংশগ্রহণমূলক ও অবাধ জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে প্রস্তুত করতে হবে।