রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ আজ মুখর স্লোগান আর মিছিলে। তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে দেশজুড়ে উচ্ছ্বাস দেখা যাচ্ছে। নতুন রাজনৈতিক ধারার সূচনার প্রত্যাশায় রংপুর, খুলনা, রাজশাহী, কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে রাজধানীতে আসেন।
নওগাঁ থেকে আসা তরুণ মোহাম্মদ নাহিদ হাসান বলেন, “খুবই ভালো লাগছে, আলহামদুলিল্লাহ।” গাজীপুর থেকে আসা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, “আমরা তরুণদের দিকে তাকিয়ে আছি। নতুন বাংলাদেশে তাঁরাই আমাদের পথ দেখাবে।”
ঢাকা কলেজের আব্দুল্লাহ আল ইমরান বলেন, “আমরা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত নিয়ে হাজির হয়েছি। বাংলাদেশের মানুষ আমাদের পাশে আছে।”
সমাবেশস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া মেডিকেল টিম, অস্থায়ী ওয়াশ রুম, পুলিশ বুথ, নারীদের জন্য পৃথক বুথ, ভিআইপি বুথ ও পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এই নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা আমন্ত্রিত হয়ে অনুষ্ঠানে অংশ নেন। জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, ইসলামী ঐক্য জোটের সহ-সভাপতি মাওলানা জসিম উদ্দিন ও মহাসচিব সাখাওয়াত হোসেন রাজি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য আশরাফ আলী আকন্দ, খেলাফত মজলিসের আহমদ আব্দুল কাদের, হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির আহমেদ আলী কাশেমী এবং এবি পার্টির মো. দিদারুল আলম সভাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এলডিপির সাহাদাত হোসেন সেলিম, বিকল্পধারা বাংলাদেশের নির্বাহী সভাপতি আব্দুল মান্নান, মহাসচিব শাহ আহমেদ বাদল, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিও উপস্থিত ছিলেন। কূটনীতিবিদদের মধ্যে পাকিস্তান হাই কমিশনের কাউন্সেলর কামরান ধাঙ্গাল উপস্থিত থেকে এই সমাবেশ পর্যবেক্ষণ করেন।
নতুন দলের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন মো. নাহিদ ইসলাম। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করে এই নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। দলের সদস্যসচিব হিসেবে আছেন আখতার হোসেন। এছাড়া সামান্তা শারমিন ও আরিফুল ইসলাম আদীব জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব হিসেবে থাকছেন তাসনিম জারা ও নাহিদা সারওয়ার (নিভা)। প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এবং যুগ্ম সমন্বয়ক হিসেবে আছেন আবদুল হান্নান মাসুদ। দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক করা হয়েছে হাসনাত আবদুল্লাহকে এবং উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক করা হয়েছে সারজিস আলমকে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন জানান, সমাবেশে জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধারা অংশ নিয়েছেন। দেশের ৬৪ জেলা থেকেই নেতা-কর্মীরা এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।
বিকেল ৩টায় সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া এভিনিউতে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বিকাল পৌনে ৪টা পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়নি। তবে আমন্ত্রিত অতিথিরা ইতোমধ্যে উপস্থিত হতে শুরু করেছেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, “আমরা শহীদ পরিবার, আহত যোদ্ধা, উপদেষ্টাদের দাওয়াত করেছি। পাশাপাশি ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে আমাদের সঙ্গে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছি।”
তরুণদের নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ভবিষ্যৎ কোন পথে এগোবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে এই দল তরুণদের নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠবে বলে আশা করছেন সমর্থকরা।
শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ আজ মুখর স্লোগান আর মিছিলে। তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে দেশজুড়ে উচ্ছ্বাস দেখা যাচ্ছে। নতুন রাজনৈতিক ধারার সূচনার প্রত্যাশায় রংপুর, খুলনা, রাজশাহী, কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে রাজধানীতে আসেন।
নওগাঁ থেকে আসা তরুণ মোহাম্মদ নাহিদ হাসান বলেন, “খুবই ভালো লাগছে, আলহামদুলিল্লাহ।” গাজীপুর থেকে আসা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, “আমরা তরুণদের দিকে তাকিয়ে আছি। নতুন বাংলাদেশে তাঁরাই আমাদের পথ দেখাবে।”
ঢাকা কলেজের আব্দুল্লাহ আল ইমরান বলেন, “আমরা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত নিয়ে হাজির হয়েছি। বাংলাদেশের মানুষ আমাদের পাশে আছে।”
সমাবেশস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া মেডিকেল টিম, অস্থায়ী ওয়াশ রুম, পুলিশ বুথ, নারীদের জন্য পৃথক বুথ, ভিআইপি বুথ ও পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এই নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা আমন্ত্রিত হয়ে অনুষ্ঠানে অংশ নেন। জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, ইসলামী ঐক্য জোটের সহ-সভাপতি মাওলানা জসিম উদ্দিন ও মহাসচিব সাখাওয়াত হোসেন রাজি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য আশরাফ আলী আকন্দ, খেলাফত মজলিসের আহমদ আব্দুল কাদের, হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির আহমেদ আলী কাশেমী এবং এবি পার্টির মো. দিদারুল আলম সভাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এলডিপির সাহাদাত হোসেন সেলিম, বিকল্পধারা বাংলাদেশের নির্বাহী সভাপতি আব্দুল মান্নান, মহাসচিব শাহ আহমেদ বাদল, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিও উপস্থিত ছিলেন। কূটনীতিবিদদের মধ্যে পাকিস্তান হাই কমিশনের কাউন্সেলর কামরান ধাঙ্গাল উপস্থিত থেকে এই সমাবেশ পর্যবেক্ষণ করেন।
নতুন দলের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন মো. নাহিদ ইসলাম। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করে এই নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। দলের সদস্যসচিব হিসেবে আছেন আখতার হোসেন। এছাড়া সামান্তা শারমিন ও আরিফুল ইসলাম আদীব জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব হিসেবে থাকছেন তাসনিম জারা ও নাহিদা সারওয়ার (নিভা)। প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এবং যুগ্ম সমন্বয়ক হিসেবে আছেন আবদুল হান্নান মাসুদ। দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক করা হয়েছে হাসনাত আবদুল্লাহকে এবং উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক করা হয়েছে সারজিস আলমকে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন জানান, সমাবেশে জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধারা অংশ নিয়েছেন। দেশের ৬৪ জেলা থেকেই নেতা-কর্মীরা এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।
বিকেল ৩টায় সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া এভিনিউতে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বিকাল পৌনে ৪টা পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়নি। তবে আমন্ত্রিত অতিথিরা ইতোমধ্যে উপস্থিত হতে শুরু করেছেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, “আমরা শহীদ পরিবার, আহত যোদ্ধা, উপদেষ্টাদের দাওয়াত করেছি। পাশাপাশি ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে আমাদের সঙ্গে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছি।”
তরুণদের নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ভবিষ্যৎ কোন পথে এগোবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে এই দল তরুণদের নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠবে বলে আশা করছেন সমর্থকরা।