জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠায় নতুন সংবিধান প্রণয়নের লক্ষ্যে গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি তুলেছে। দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম আজ মঙ্গলবার জানিয়েছেন, গণপরিষদ নির্বাচন এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচন একসঙ্গে হতে পারে এবং এর মাধ্যমেই নতুন কাঠামো ও নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
নাহিদ ইসলাম এই প্রস্তাবনা দেন, যেখানে নতুন সংবিধান এবং প্রকৃত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণ নিশ্চিত করার জন্য গণপরিষদ নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি বলেন, “গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংবিধান প্রণয়ন সম্ভব হবে এবং এটি দেশের রাজনৈতিক কাঠামোকে নতুন করে সাজানোর সুযোগ তৈরি করবে।”
এনসিপির নেতারা সকালেই সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর নাহিদ ইসলাম এবং দলের অন্যান্য নেতারা ঢাকার রায়েরবাজার কবরস্থানে গিয়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ছাত্র-জনতার কবর জিয়ারত করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নাহিদ ইসলাম গণমাধ্যমের কাছে গণপরিষদ নির্বাচনের গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, "পুরোনো সংবিধান ও পুরোনো শাসনকাঠামো রেখে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব নয়। কেবল সরকার পরিবর্তন করেই জনগণের কল্যাণ ও প্রকৃত গণতন্ত্র বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।" তিনি আরও বলেন, "১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেলেও আমাদের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো বারবার ভেঙে পড়েছে। এই সংকটের সমাধান এবং গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের জন্য নতুন সংবিধান এবং কাঠামো প্রয়োজন।"
এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জানান, “১৯৪৭ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত সকল লড়াইয়ের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে আমরা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই এবং সেই লক্ষ্যে আমাদের দল কাজ করছে।” তিনি বলেন, "একদলীয় শাসন ও স্বৈরতন্ত্রের মাধ্যমে দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল হয়ে পড়েছে, যা একাধিকবার প্রমাণিত হয়েছে। আমরা চাই একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান, যা ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেবে।"
নাহিদ ইসলাম উল্লেখ করেন, “সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজন একটি নতুন সংবিধান এবং সেই লক্ষ্যে গণপরিষদ নির্বাচন প্রণীত হতে হবে। গণপরিষদ নির্বাচন এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচন একসঙ্গে হতে পারে, যা নতুন কাঠামো ও নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথ সুগম করবে।”
নাহিদ ইসলাম এছাড়া জুলাই অভ্যুত্থান এবং গত ১৫ বছরে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের দাবি জানান। তিনি বলেন, "আমরা চাই, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার করা হোক এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্রুত জাতীয় সংলাপের মাধ্যমে আমাদের জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়িত হোক।"
এনসিপি আহ্বায়ক বলেন, "বর্তমান সরকারের অধীনে যে হত্যাকাণ্ড ও নিপীড়ন হয়েছে, তা থেকে মুক্তি পেতে হবে এবং বিচার নিশ্চিত করতে হবে।" তিনি আরও বলেন, “যত দ্রুত সম্ভব এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার হতে হবে, এবং প্রয়োজনে বিশেষ ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বাড়িয়ে দ্রুততম সময়ে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।”
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গত শুক্রবার আত্মপ্রকাশের পর আজ শ্রদ্ধা নিবেদন ও কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করেছে। দলটির প্রধান নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, দলটি এখনো সাংগঠনিকভাবে নিজেকে বিস্তৃত করতে কাজ করছে এবং তার দলটির প্রথম লক্ষ্য হলো তৃণমূল পর্যায়ে কার্যক্রম বিস্তৃত করা।
তিনি আরও জানান, "এ মাসের মধ্যে দলের গঠনতন্ত্র প্রণয়নের কাজ শুরু করা হবে এবং নিবন্ধন প্রক্রিয়া শিগগিরই শুরু হবে।
রায়েরবাজারে শহীদদের কবর জিয়ারতের পর এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেন, "যত দিন না পর্যন্ত খুনি হাসিনাকে ফাঁসির মঞ্চে দেখা যাচ্ছে, ততদিন কেউ নির্বাচনের কথা না বলুক।" তিনি আরও বলেন, "সরকার ছাত্র-জনতার রক্তের ওপর এসে ক্ষমতায় রয়েছে এবং তাদের রক্তের প্রতিশোধ নেওয়া উচিত।"
এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “তাদের রক্তের দাম যেন শোষণকারী সরকার না নিতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। যখন পর্যন্ত বিচার নিশ্চিত না হবে, পুরো প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে থাকবে।”
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ সহ দলের অন্যান্য নেতারা শ্রদ্ধা নিবেদনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ ২০২৫
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠায় নতুন সংবিধান প্রণয়নের লক্ষ্যে গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি তুলেছে। দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম আজ মঙ্গলবার জানিয়েছেন, গণপরিষদ নির্বাচন এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচন একসঙ্গে হতে পারে এবং এর মাধ্যমেই নতুন কাঠামো ও নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
নাহিদ ইসলাম এই প্রস্তাবনা দেন, যেখানে নতুন সংবিধান এবং প্রকৃত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণ নিশ্চিত করার জন্য গণপরিষদ নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি বলেন, “গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংবিধান প্রণয়ন সম্ভব হবে এবং এটি দেশের রাজনৈতিক কাঠামোকে নতুন করে সাজানোর সুযোগ তৈরি করবে।”
এনসিপির নেতারা সকালেই সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর নাহিদ ইসলাম এবং দলের অন্যান্য নেতারা ঢাকার রায়েরবাজার কবরস্থানে গিয়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ছাত্র-জনতার কবর জিয়ারত করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নাহিদ ইসলাম গণমাধ্যমের কাছে গণপরিষদ নির্বাচনের গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, "পুরোনো সংবিধান ও পুরোনো শাসনকাঠামো রেখে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব নয়। কেবল সরকার পরিবর্তন করেই জনগণের কল্যাণ ও প্রকৃত গণতন্ত্র বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।" তিনি আরও বলেন, "১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেলেও আমাদের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো বারবার ভেঙে পড়েছে। এই সংকটের সমাধান এবং গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের জন্য নতুন সংবিধান এবং কাঠামো প্রয়োজন।"
এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জানান, “১৯৪৭ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত সকল লড়াইয়ের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে আমরা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই এবং সেই লক্ষ্যে আমাদের দল কাজ করছে।” তিনি বলেন, "একদলীয় শাসন ও স্বৈরতন্ত্রের মাধ্যমে দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল হয়ে পড়েছে, যা একাধিকবার প্রমাণিত হয়েছে। আমরা চাই একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান, যা ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেবে।"
নাহিদ ইসলাম উল্লেখ করেন, “সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজন একটি নতুন সংবিধান এবং সেই লক্ষ্যে গণপরিষদ নির্বাচন প্রণীত হতে হবে। গণপরিষদ নির্বাচন এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচন একসঙ্গে হতে পারে, যা নতুন কাঠামো ও নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথ সুগম করবে।”
নাহিদ ইসলাম এছাড়া জুলাই অভ্যুত্থান এবং গত ১৫ বছরে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের দাবি জানান। তিনি বলেন, "আমরা চাই, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার করা হোক এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্রুত জাতীয় সংলাপের মাধ্যমে আমাদের জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়িত হোক।"
এনসিপি আহ্বায়ক বলেন, "বর্তমান সরকারের অধীনে যে হত্যাকাণ্ড ও নিপীড়ন হয়েছে, তা থেকে মুক্তি পেতে হবে এবং বিচার নিশ্চিত করতে হবে।" তিনি আরও বলেন, “যত দ্রুত সম্ভব এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার হতে হবে, এবং প্রয়োজনে বিশেষ ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বাড়িয়ে দ্রুততম সময়ে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।”
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গত শুক্রবার আত্মপ্রকাশের পর আজ শ্রদ্ধা নিবেদন ও কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করেছে। দলটির প্রধান নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, দলটি এখনো সাংগঠনিকভাবে নিজেকে বিস্তৃত করতে কাজ করছে এবং তার দলটির প্রথম লক্ষ্য হলো তৃণমূল পর্যায়ে কার্যক্রম বিস্তৃত করা।
তিনি আরও জানান, "এ মাসের মধ্যে দলের গঠনতন্ত্র প্রণয়নের কাজ শুরু করা হবে এবং নিবন্ধন প্রক্রিয়া শিগগিরই শুরু হবে।
রায়েরবাজারে শহীদদের কবর জিয়ারতের পর এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেন, "যত দিন না পর্যন্ত খুনি হাসিনাকে ফাঁসির মঞ্চে দেখা যাচ্ছে, ততদিন কেউ নির্বাচনের কথা না বলুক।" তিনি আরও বলেন, "সরকার ছাত্র-জনতার রক্তের ওপর এসে ক্ষমতায় রয়েছে এবং তাদের রক্তের প্রতিশোধ নেওয়া উচিত।"
এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “তাদের রক্তের দাম যেন শোষণকারী সরকার না নিতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। যখন পর্যন্ত বিচার নিশ্চিত না হবে, পুরো প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে থাকবে।”
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ সহ দলের অন্যান্য নেতারা শ্রদ্ধা নিবেদনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।