রাজনীতির নামে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজে জড়িতরা অন্তর্বর্তী সরকারের ঘনিষ্ঠ মহলের ‘ভাবাদর্শের জনতা’ বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের।
রোববার ঢাকার বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, দেশে আইনের শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে এবং প্রতিদিন পরিস্থিতির আরও অবনতি হচ্ছে।
“অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, দেশে মবক্রেসি বা মবতন্ত্র চলছে,” মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, “সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নেই, কাজের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে না, বেকারত্ব বাড়ছে। নিত্যপণ্যের দাম প্রতিদিন আকাশচুম্বী হচ্ছে, ফলে অভুক্ত ও অর্ধভুক্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।”
সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত সহিংসতার প্রসঙ্গে জি এম কাদের বলেন, “রাজনীতির নামে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজের জন্য উচ্ছৃঙ্খল জনতার অভাব হয় না। সরকার-ঘনিষ্ঠ মহলের ভাবাদর্শের এসব জনতাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বাধা দিচ্ছে না, বরং অনেক ক্ষেত্রে পরোক্ষভাবে সহায়তা করছে বা করতে বাধ্য হচ্ছে।
“এই সুযোগে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীরা যেকোনো ব্যক্তিকে আওয়ামী লীগ বা আওয়ামী লীগের দোসর বলে ট্যাগ দিয়ে তার সহায়-সম্পদ লুটপাট করতে পারছে। বিনা বাধায় মানুষকে অত্যাচার, নির্যাতন ও হেনস্তা করার যেন লাইসেন্স পেয়ে গেছে উচ্ছৃঙ্খল জনতা।”
তিনি সাম্প্রতিক গুলশানের একটি বাসায় লুটপাটের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, ওই ঘটনায় ৮০-৯০ জন উপস্থিত ছিল, কিন্তু মাত্র তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাহলে বাকিরা দায়মুক্তি পেল কেন?”
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, “ঢালাওভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বিগত সরকারের দোসর হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। এতে তাদের মনোবল দুর্বল হয়ে পড়েছে। দায়িত্ব পালনকে অনেক ক্ষেত্রেই ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছে, ফলে তারা দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছে। তাদের জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে না বলেও মনে হচ্ছে।”
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “এভাবে চলতে থাকলে দেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারে।”
মতবিনিময় সভায় জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, মো. জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ সেলিম, মো. শাহজাহান মিয়া, যুগ্ম মহাসচিব সামসুল হকসহ দলের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
রোববার, ০৯ মার্চ ২০২৫
রাজনীতির নামে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজে জড়িতরা অন্তর্বর্তী সরকারের ঘনিষ্ঠ মহলের ‘ভাবাদর্শের জনতা’ বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের।
রোববার ঢাকার বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, দেশে আইনের শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে এবং প্রতিদিন পরিস্থিতির আরও অবনতি হচ্ছে।
“অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, দেশে মবক্রেসি বা মবতন্ত্র চলছে,” মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, “সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নেই, কাজের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে না, বেকারত্ব বাড়ছে। নিত্যপণ্যের দাম প্রতিদিন আকাশচুম্বী হচ্ছে, ফলে অভুক্ত ও অর্ধভুক্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।”
সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত সহিংসতার প্রসঙ্গে জি এম কাদের বলেন, “রাজনীতির নামে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজের জন্য উচ্ছৃঙ্খল জনতার অভাব হয় না। সরকার-ঘনিষ্ঠ মহলের ভাবাদর্শের এসব জনতাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বাধা দিচ্ছে না, বরং অনেক ক্ষেত্রে পরোক্ষভাবে সহায়তা করছে বা করতে বাধ্য হচ্ছে।
“এই সুযোগে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীরা যেকোনো ব্যক্তিকে আওয়ামী লীগ বা আওয়ামী লীগের দোসর বলে ট্যাগ দিয়ে তার সহায়-সম্পদ লুটপাট করতে পারছে। বিনা বাধায় মানুষকে অত্যাচার, নির্যাতন ও হেনস্তা করার যেন লাইসেন্স পেয়ে গেছে উচ্ছৃঙ্খল জনতা।”
তিনি সাম্প্রতিক গুলশানের একটি বাসায় লুটপাটের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, ওই ঘটনায় ৮০-৯০ জন উপস্থিত ছিল, কিন্তু মাত্র তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাহলে বাকিরা দায়মুক্তি পেল কেন?”
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, “ঢালাওভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বিগত সরকারের দোসর হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। এতে তাদের মনোবল দুর্বল হয়ে পড়েছে। দায়িত্ব পালনকে অনেক ক্ষেত্রেই ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছে, ফলে তারা দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছে। তাদের জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে না বলেও মনে হচ্ছে।”
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “এভাবে চলতে থাকলে দেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারে।”
মতবিনিময় সভায় জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, মো. জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ সেলিম, মো. শাহজাহান মিয়া, যুগ্ম মহাসচিব সামসুল হকসহ দলের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।