জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নানা ধরনের ‘গোলমাল’ করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে পিছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক।
বুধবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত এক নাগরিক সমাবেশে ফারুক এই অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, “যারা আয়না ঘরে দীর্ঘদিন থেকে, জেলে থেকে এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করেছে, এই নতুন দল আবার যেন এমন একটি গোলমাল শুরু করে নির্বাচনকে বিলম্বিত করার একটা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই কথাগুলো জনগণ বলা শুরু করেছে।”
ফারুক আরও বলেন, “তাই আমাদের দল বিএনপি এই সরকারের স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন, সংস্কার অবশ্যই করবেন, কিন্তু সংস্কারের নামে আবার আওয়ামী প্রেত্মাতারা সুযোগ বুঝে কোপ মারবে। এটা থেকে বিরত থাকতে হলে আপনাকে অনতিবিলম্বে একটি নির্বাচনের রোডম্যাপ দেওয়া উচিত।”
তিনি এনসিপির গণপরিষদ নির্বাচন ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তাবের সমালোচনা করে বলেন, “সরকারকে বলব, আমি গণপরিষদ বুঝি না, আমি বুঝি একটাই। আমার বিরুদ্ধে ৮৪টা মামলা ছিল, ১৬ বছরে ৯ বছর জেলে ছিলাম। একজন রাজনৈতিক কর্মী ও স্বাধীনতা যোদ্ধা হিসেবে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুসের কাছে দাবি করতে চাই, গণপরিষদ নয়, বাংলাদেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা একটি নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন। যেখানে মৃত ব্যক্তির ভোট নয়, বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদের মতো রশি টানিয়ে এমন একটি নির্বাচন উপহার দেন, যেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আন্দোলনরত সকল দল অংশগ্রহণ করে সরকার গঠন করতে পারে এবং সংসদ গিয়ে যত সংস্কার আছে, সব সংস্কার আলোচনা করে সমাধান করবে।”
ফারুক আরও বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলো, যারা আন্দোলন করেছিল তারেক রহমানের নেতৃত্বে, তাদের দাবি দ্রুত নির্বাচন দিন।” তিনি মনে করেন, পতিত সরকারের বিচার করতে চাইলে এই মুহূর্তে দেশের জনপ্রতিনিধির সরকার প্রয়োজন। তিনি বলেন, “আর বিলম্ব নয়, অনতিবিলম্বে মানুষের ভোটের নিশ্চয়তা দিয়ে সুষ্ঠু ভোটের ব্যবস্থা করুন।”
গণতন্ত্র ফোরামের উদ্যোগে সারাদেশে নারী সহিংসতা, নিপীড়ন, ধর্ষণ, অনলাইনে হেনস্তা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও বিচারহীনতার প্রতিবাদে এই নাগরিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গণতন্ত্র ফোরামের সভাপতি খলিলুর রহমান ভিপি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে ও কৃষক দলের আব্দুল্লাহ আল নাইমের সঞ্চালনায় সমাবেশে তাঁতী দলের কাজী মনিরুজ্জামান, কৃষক দলের জাহাঙ্গীর আলম, কাদের সিদ্দিকী, মমিনুর রহমান সুজন, গণতন্ত্র ফোরামের ইসমাইল হোসেন সিরাজীসহ আরও কয়েকজন বক্তব্য রাখেন।
বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নানা ধরনের ‘গোলমাল’ করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে পিছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক।
বুধবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত এক নাগরিক সমাবেশে ফারুক এই অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, “যারা আয়না ঘরে দীর্ঘদিন থেকে, জেলে থেকে এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করেছে, এই নতুন দল আবার যেন এমন একটি গোলমাল শুরু করে নির্বাচনকে বিলম্বিত করার একটা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই কথাগুলো জনগণ বলা শুরু করেছে।”
ফারুক আরও বলেন, “তাই আমাদের দল বিএনপি এই সরকারের স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন, সংস্কার অবশ্যই করবেন, কিন্তু সংস্কারের নামে আবার আওয়ামী প্রেত্মাতারা সুযোগ বুঝে কোপ মারবে। এটা থেকে বিরত থাকতে হলে আপনাকে অনতিবিলম্বে একটি নির্বাচনের রোডম্যাপ দেওয়া উচিত।”
তিনি এনসিপির গণপরিষদ নির্বাচন ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তাবের সমালোচনা করে বলেন, “সরকারকে বলব, আমি গণপরিষদ বুঝি না, আমি বুঝি একটাই। আমার বিরুদ্ধে ৮৪টা মামলা ছিল, ১৬ বছরে ৯ বছর জেলে ছিলাম। একজন রাজনৈতিক কর্মী ও স্বাধীনতা যোদ্ধা হিসেবে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুসের কাছে দাবি করতে চাই, গণপরিষদ নয়, বাংলাদেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা একটি নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন। যেখানে মৃত ব্যক্তির ভোট নয়, বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদের মতো রশি টানিয়ে এমন একটি নির্বাচন উপহার দেন, যেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আন্দোলনরত সকল দল অংশগ্রহণ করে সরকার গঠন করতে পারে এবং সংসদ গিয়ে যত সংস্কার আছে, সব সংস্কার আলোচনা করে সমাধান করবে।”
ফারুক আরও বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলো, যারা আন্দোলন করেছিল তারেক রহমানের নেতৃত্বে, তাদের দাবি দ্রুত নির্বাচন দিন।” তিনি মনে করেন, পতিত সরকারের বিচার করতে চাইলে এই মুহূর্তে দেশের জনপ্রতিনিধির সরকার প্রয়োজন। তিনি বলেন, “আর বিলম্ব নয়, অনতিবিলম্বে মানুষের ভোটের নিশ্চয়তা দিয়ে সুষ্ঠু ভোটের ব্যবস্থা করুন।”
গণতন্ত্র ফোরামের উদ্যোগে সারাদেশে নারী সহিংসতা, নিপীড়ন, ধর্ষণ, অনলাইনে হেনস্তা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও বিচারহীনতার প্রতিবাদে এই নাগরিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গণতন্ত্র ফোরামের সভাপতি খলিলুর রহমান ভিপি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে ও কৃষক দলের আব্দুল্লাহ আল নাইমের সঞ্চালনায় সমাবেশে তাঁতী দলের কাজী মনিরুজ্জামান, কৃষক দলের জাহাঙ্গীর আলম, কাদের সিদ্দিকী, মমিনুর রহমান সুজন, গণতন্ত্র ফোরামের ইসমাইল হোসেন সিরাজীসহ আরও কয়েকজন বক্তব্য রাখেন।