আমাদের মতভিন্নতা থাকবে তবে জাতীয় স্বার্থের জায়গাটায় সবাইকে একমত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ২৪ এর গণবিপ্লবের পর যে নতুন বাংলাদেশে গড়ার সম্ভাবনা আমাদের হাতে ধরা দিয়েছে। গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া দল ও মতামত পক্ষগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু মতবিরোধ থাকা উচিত নয়। মতপার্থক্য থাকা এটি গণতান্ত্রিক রাষ্টের সৌন্দের্য। এসময় জাতীয় স্বার্থের জায়গাটায় সব রাজনৈতিক দলগুলোকে এক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্ট নাগরিকদের সম্মানে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে জামায়াত। এতে বিএনপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, গণঅধিকার পরিষদ, জাতীয় নাগরিক পার্টি, এনডিএম, ১২ দলীয় জোটসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে কেন্দ্রীয় নেতা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। এদিন ইফতার পূর্ববর্তী সময়ে মিলন মেলায় পরিনত হয় চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র।
জামায়াতের আমির বলেন, সাড়ে ১৩টি বছর আমাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে শত শত খুলে কাজ করতে পারিনি। সবগুলো কার্যালয় আমাদের বন্ধ রাখা হয়েছে। জামায়াতের তৎকালীন আমিরসহ এক এক করে আমাদের নেতাদের মিথ্যা অভিযোগে অত্যন্ত নির্মমভাবে,পার্শ্ববিক নির্যাতন করে বিচারিক কায়দায় ফাঁসিতে ঝুলানো হয়েছে। একজন (এটিএম আজহারুল ইসলাম) মুত্যৃযন্ত্রনা বুকে নিয়ে এখনো বেচে আছেন। ৫ আগষ্ট বাংলাদেশে মজলুমরা মুক্তি পেয়েছে, কিন্তু আমার ভাই এটিএম আজহারুল ইসলাম এখনো মুক্তি পাননি। আইনের প্যাচ দিয়ে কেন বিলম্ব করছে আমরা বুঝতে পারছি না। আমরা চাই যাদের ওপর জুলুম হয়েছে, তাদের একজন মানুষও যেন জেলের ভিতরে আর না থাকুক।
আওয়ামী লীগ দেশে ফিরে রাজনীতি করুক দেশবাসীর মতো জামায়াতে ইসলামীও চায় না মন্তব্য করে শফিকুর রহমান বলেন, যারা দেশ থেকে পালায় তাদের দেশের প্রতি দায় ও ভালোবাসা নেই। যাদের দেশের প্রতি ভালোবাসা আছে, তারা কখনো দেশ ছেড়ে পালায় না।
এ সময় পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জামায়াতের নেতাকর্মীদের ওপর বিভিন্ন জুলুম-নির্যাতনের কথা তুলে ধরেন জামায়াতের আমির। তিনি বলেন, আমরা ৮ বছরের এক শিশুর নিরাপত্তা দিতে পারি নাই এ লজ্জা আমার, এ দেশের, এ জাতির। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় নৈতিকতার অনুপস্থিতির কারণে সমাজের আজ এত অধঃপতন। মানুষ যদি আল্লাহকে ভয় করে, তবে মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব। এ জন্য বাংলাদেশে কোরআনের আইন প্রতিষ্ঠা জরুরি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে শফিকুর রহমান, ইতোমধ্যে সরকার প্রধান জাতীয় নির্বাচনের ব্যাপারে কিছু করা তিনি জাতিকে বলেছেন। আশা করি তিনি অবিলম্বে বিষয়টি আরো স্পষ্ট করবেন। জাতি এব্যাপারে আরো আশাবাদী হবে। আস্থাশীল হবে। এবং নিজেদের ব্যাপারে পরিকল্পনা সাজানোর সুযোগ প্রতিটা দল পাবে।
জামায়াতের সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের সঞ্চালনায় ইফতার মাহফিলে অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মামুনুল হক, হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিবী, খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুস আহমদ, কৃষক শ্রমিক জনতা পার্টির সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ, জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক আন্দোলনের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, এনপিপির চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট ফরহাদুজ্জামান ফরহাদ,জাগপার রাশেদ প্রধান, ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গণি, লেবার পার্টির ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ। শহীদ আবু সাঈদের দুই ভাই রমজান আলী ও আলী হোসেন এবং জামায়াত-শিবিরের শহীদ ও মাজলুম নেতাদের পরিবারের সদস্যগণ এবং ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের বেশ কয়েকটি শহীদ পরিবারের সদস্যগণ ইফতার মাহফিলে অংশগ্রহণ করেছেন।
এছাড়া, যুগান্তর সম্পাদক আবদুল হাই সিকদার, সংগ্রামের সাবেক সম্পাদক জনাব আবুল আসাদ ও বর্তমান সম্পাদক শাহীদুল হক আজম, মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, নিউনেশনের সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার, নয়াদিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন ও নির্বাহী সম্পাদক মাসুদুর রহমান খলিলী, কালবেলা সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলম প্রমখ ইফতার মাহফিলে অংশ নেন।
শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
আমাদের মতভিন্নতা থাকবে তবে জাতীয় স্বার্থের জায়গাটায় সবাইকে একমত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ২৪ এর গণবিপ্লবের পর যে নতুন বাংলাদেশে গড়ার সম্ভাবনা আমাদের হাতে ধরা দিয়েছে। গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া দল ও মতামত পক্ষগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু মতবিরোধ থাকা উচিত নয়। মতপার্থক্য থাকা এটি গণতান্ত্রিক রাষ্টের সৌন্দের্য। এসময় জাতীয় স্বার্থের জায়গাটায় সব রাজনৈতিক দলগুলোকে এক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্ট নাগরিকদের সম্মানে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে জামায়াত। এতে বিএনপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, গণঅধিকার পরিষদ, জাতীয় নাগরিক পার্টি, এনডিএম, ১২ দলীয় জোটসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে কেন্দ্রীয় নেতা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। এদিন ইফতার পূর্ববর্তী সময়ে মিলন মেলায় পরিনত হয় চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র।
জামায়াতের আমির বলেন, সাড়ে ১৩টি বছর আমাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে শত শত খুলে কাজ করতে পারিনি। সবগুলো কার্যালয় আমাদের বন্ধ রাখা হয়েছে। জামায়াতের তৎকালীন আমিরসহ এক এক করে আমাদের নেতাদের মিথ্যা অভিযোগে অত্যন্ত নির্মমভাবে,পার্শ্ববিক নির্যাতন করে বিচারিক কায়দায় ফাঁসিতে ঝুলানো হয়েছে। একজন (এটিএম আজহারুল ইসলাম) মুত্যৃযন্ত্রনা বুকে নিয়ে এখনো বেচে আছেন। ৫ আগষ্ট বাংলাদেশে মজলুমরা মুক্তি পেয়েছে, কিন্তু আমার ভাই এটিএম আজহারুল ইসলাম এখনো মুক্তি পাননি। আইনের প্যাচ দিয়ে কেন বিলম্ব করছে আমরা বুঝতে পারছি না। আমরা চাই যাদের ওপর জুলুম হয়েছে, তাদের একজন মানুষও যেন জেলের ভিতরে আর না থাকুক।
আওয়ামী লীগ দেশে ফিরে রাজনীতি করুক দেশবাসীর মতো জামায়াতে ইসলামীও চায় না মন্তব্য করে শফিকুর রহমান বলেন, যারা দেশ থেকে পালায় তাদের দেশের প্রতি দায় ও ভালোবাসা নেই। যাদের দেশের প্রতি ভালোবাসা আছে, তারা কখনো দেশ ছেড়ে পালায় না।
এ সময় পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জামায়াতের নেতাকর্মীদের ওপর বিভিন্ন জুলুম-নির্যাতনের কথা তুলে ধরেন জামায়াতের আমির। তিনি বলেন, আমরা ৮ বছরের এক শিশুর নিরাপত্তা দিতে পারি নাই এ লজ্জা আমার, এ দেশের, এ জাতির। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় নৈতিকতার অনুপস্থিতির কারণে সমাজের আজ এত অধঃপতন। মানুষ যদি আল্লাহকে ভয় করে, তবে মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব। এ জন্য বাংলাদেশে কোরআনের আইন প্রতিষ্ঠা জরুরি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে শফিকুর রহমান, ইতোমধ্যে সরকার প্রধান জাতীয় নির্বাচনের ব্যাপারে কিছু করা তিনি জাতিকে বলেছেন। আশা করি তিনি অবিলম্বে বিষয়টি আরো স্পষ্ট করবেন। জাতি এব্যাপারে আরো আশাবাদী হবে। আস্থাশীল হবে। এবং নিজেদের ব্যাপারে পরিকল্পনা সাজানোর সুযোগ প্রতিটা দল পাবে।
জামায়াতের সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের সঞ্চালনায় ইফতার মাহফিলে অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মামুনুল হক, হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিবী, খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুস আহমদ, কৃষক শ্রমিক জনতা পার্টির সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ, জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক আন্দোলনের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, এনপিপির চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট ফরহাদুজ্জামান ফরহাদ,জাগপার রাশেদ প্রধান, ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গণি, লেবার পার্টির ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ। শহীদ আবু সাঈদের দুই ভাই রমজান আলী ও আলী হোসেন এবং জামায়াত-শিবিরের শহীদ ও মাজলুম নেতাদের পরিবারের সদস্যগণ এবং ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের বেশ কয়েকটি শহীদ পরিবারের সদস্যগণ ইফতার মাহফিলে অংশগ্রহণ করেছেন।
এছাড়া, যুগান্তর সম্পাদক আবদুল হাই সিকদার, সংগ্রামের সাবেক সম্পাদক জনাব আবুল আসাদ ও বর্তমান সম্পাদক শাহীদুল হক আজম, মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, নিউনেশনের সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার, নয়াদিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন ও নির্বাহী সম্পাদক মাসুদুর রহমান খলিলী, কালবেলা সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলম প্রমখ ইফতার মাহফিলে অংশ নেন।